Connect with us

বরিশাল

ইজিবাইকে ওড়না পেঁচিয়ে কিশোরীর মৃত্যু

Avatar of author

Published

on

পটুয়াখালী

ইজিবাইকের মোটরে ওড়না পেঁচিয়ে নিভে গেল এইচএসসি পরীক্ষার্থী মোহনার জীবন প্রদীপ। আগামী ৩০ জুন তার পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল।

বুধবার (১২ জুন) পটুয়াখালী শহরের টাউন কালিকাপুর মডেল মসজিদের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মোহনা ঐ ইজিবাইকের যাত্রী ছিলেন।

নিহত তরুণী মোহনা শহরের শিমুল পাগলা এলাকার ব্যবসায়ী মো. রাসেল মুন্সির তিন মেয়ের মধ্যে বড় ছিল। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মোহনা পটুয়াখালী সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী ছিলেন। এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। পরীক্ষার প্রস্তুতি হিসেবে সকালে প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়তে যান। প্রাইভেট শেষে নাস্তা করার জন্য এক সহপাঠী বান্ধবীসহ ইজিবাইকে চৌরাস্তার দিকে যাচ্ছিলেন। ওই ইজিবাইকে আরও দুই যাত্রী ছিলেন। বেলা সোয়া ১১ টায় মডেল মসজিদ মোড় অতিক্রম কালে ইজিবাইকের মোটরের সঙ্গে মোহনার গলায় পেঁচানো ওড়নার অংশ পেঁচিয়ে ফাঁস লেগে যায়। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের ডাক্তার শামীমা নাসরিন পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

জরুরি বিভাগের ডাক্তার শামীমা নাসরিন জানান, হাসপাতালে পৌঁছার আগেই মেয়েটির মৃত্যু হয়। গলায় ওড়নার ফাঁস ও ঘাড়ের স্পাইনাল কর্ডে আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

Advertisement

পটুয়াখালী সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ হিরণ জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে আসে। সুরাতহাল রিপোর্টে ওড়না প্যাঁচানো গলায় দাগের চিহ্ন পাওয়া যায়। তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

পটুয়াখালী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মঈন খান চানু জানান, নিহত তরুণী তার ওয়ার্ডের শিমুলবাগ বাসিন্দা মো. রাসেল মুন্সির মেয়ে। মোহনার অকাল মৃত্যুতে এলাকাবাসী শোকাহত।

Advertisement

বরিশাল

পিকআপের ধাক্কায় শিশুসহ অন্তঃসত্ত্বা নিহত

Published

on

নিহত

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় পিকআপের ধাক্কায় ঝুমাইয়া আক্তার (২৩) ও হাওয়া আক্তার (৭) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও ৪ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (২৪ জুন) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার চরখালী-মঠবাড়িয়া সড়কের ঝাওতলা বাজারের দক্ষিণ ইকড়ি হাওলাদার বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত ঝুমাইয়া আক্তার উপজেলার দক্ষিণ ইকড়ি গ্রামের মো. হোসেনের স্ত্রী এবং হাওয়া আক্তার ঝুমাইয়া আক্তারের ননদের মেয়ে। ঝুমাইয়া আক্তার চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

আহতরা হলেন, ইয়াসিন (৫), মায়া বেগম (৩৫), হাফিজা আক্তার (২৮), হোসেন (৩২)। আহতদের প্রথমে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদেরকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

Advertisement

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকালে হাওয়া আক্তারের মা মায়া বেগমকে গাড়িতে তুলে দেয়ার জন্য ভান্ডারিয়ার ইকরি গ্রামের সাহেববাড়ি এলাকায় রাস্তার পাশে বাসের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। এ সময় মঠবাড়িয়ার দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদেরকে চাঁপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ঝুমাইয়া ও হাওয়া নিহত হন। আহত হন ৪ জন।

ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, পিকআপ ভ্যানের চালক ও পিকআপটি আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দু’টি পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বরিশাল

ট্রাকের চাপায় ভ্যানচালক ও মাছ ব্যবসায়ী নিহত

Published

on

সড়ক দুর্ঘটনা

বরিশালের গৌরনদী উপজেলায় ট্রাকের চাপায় নিহত হয়েছেন এক ভ্যানচালক ও মাছ ব্যবসায়ী। সোমবার (২৪ জুন) ভোরে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বাটাজোর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ট্রাকটি জব্দ করা হলেও চালক ও তার সহকারী পালিয়ে গেছেন।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ভ্যানচালক আয়নাল প্যাদা (৬০) এবং গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের সাকোকাঠি গ্রামের বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী বরুণ চন্দ্র দাস (৫০)।

দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশালের শের-ই–বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় হাইওয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ বিষয়ে গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল বলেন, আজ ভোরে মাছ ব্যবসায়ী বরুণ চন্দ্র একটি ভ্যানে করে মাছ নিয়ে স্থানীয় বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পরে বাটাজোর এলাকায় পৌঁছালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী একটি ট্রাক ভ্যানটিকে চাপা দেয়। এতে বরুণ চন্দ্রের সঙ্গে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ভ্যানচালক আয়নাল প্যাদা। পরে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বরিশাল

৯ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়া সেই সেতুতে ছিলো সতর্কীকরণ নোটিশ

Published

on

বরগুনার আমতলীতে নয়জনের প্রাণ কেড়ে নেয়া সেই সেতুতে ছিলো সতর্কীকরণ নোটিশ। ২০০৫-২০০৬ অর্থবছরে বিএনপি সরকারের আমলে নির্মীত এ সেতুটি পায়ে হেঁটে পার হবার জন্য নির্মান করা হয়েছিল। আর পায়ে হাঁটার এই লোহার সেতুতে নির্দেশনা না মেনে মাইক্রেবাস চলার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২২ জুন) বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরগুনার আমতলী উপজেলার প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এ প্রকৌশলী জানান, এই লোহার সেতুটি ২০০৫-০৬ অর্থবছরে বিএনপির জোট সরকারের আমলে নির্মিত হয়েছিল। প্রকল্পটির পরিচালক ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য সেতুটি নির্মাণ করা হয়। প্রায় বিশ বছর আগে নির্মিত সেতুটিতে চলাচলে সতর্কতা নোটিশ টাঙানো ছিল। সেটি উপেক্ষা করার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।

এদিকে দুর্ঘটনায় জীবিত উদ্ধার হওয়া মাহবুব খান বলেন, ‘শুক্রবার তাঁর ভাগ্নি হুমায়রা বেগমের বাড়ি হলদিয়া ইউনিয়নের গুরুদল গ্রামে যান। সেখান থেকে একটি হাইএস মাইক্রোযোগে আজ  দুপুর ১টার দিকে ভাগ্নি জামাইয়ের বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য রওয়ানা করেন। দুপুর দেড়টার দিকে হলদিয়া বাজার সংলগ্ন একটি লোহার সেতু পার হওয়ার সময় মাইক্রোটি মাঝ বরাবর আসার পর আকস্মিক সেতুটি ভেঙে যায়। এরপর তিনি আর কিছুই বলতে পারেন না। জ্ঞান ফিরে তিনি দেখেন হাসপাতালে।

উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার পর খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা ফায়ার সার্ভিস  পুলিশ ও স্থানীয়রা উদ্ধার কাজে অংশ নেন।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত