ময়মনসিংহ
ঘাস খেয়ে বাছুরসহ খামারের ২৭ গরু মারা গেলো
নেত্রকোণার পূর্বধলায় একটি খামারের ষাঁড়, গাভি, বাছুরসহ ২৭টি গরুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সদর ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া গ্রামের ‘তাহাযিদ অ্যাগ্রো’ ফার্মে এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া খামারটির আরও বেশ কয়েকটি গরু অসুস্থ রয়েছে।
বুধবার (১২ জুন) এ ঘটনার সত্যতা গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন পূর্বধলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এম এম এ আউয়াল তালুকদার।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে খামারের মালিক জাহেরুল ইসলাম বলেন, আমি ওই দিন বাড়িতে না থাকায় খামার দেখাশোনা করার লোকজন খেত থেকে কচি ঘাস কেটে সঙ্গে সঙ্গে গরুগুলোকে খেতে দেয়ায় এই সমস্যা হয়েছে। সাধারণত নেপিয়ার ঘাস আগের দিন কেটে রেখে পরদিন দেয়া হতো। অথবা দুই ঘণ্টার মতো রোদে রেখে প্রাণীগুলোকে খেতে দেয়া হতো। খামারের ২০৩টি গরুর মধ্যে অন্তত ৫০টি গরুকে এই ঘাস খেতে দেয়া হয়েছিল। ২৭টি গরু মারা যাওয়ার পর খামারে এখনও ৪টি গরু অসুস্থ। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা এসে মৃত গরুগুলো নমুনা ও ঘাসের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এম এম এ আউয়াল তালুকদার বলেন, বৃষ্টির সময় কচি ঘাসে নাইট্রোজেনের মাত্রা বেশি থাকে। নাইট্রেট বিষক্রিয়ায় গরুগুলো মারা যেতে পারে। ঘাসের নমুনা ও মারা যাওয়া গরুর নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষার পর আরও বিস্তারিত জানা যাবে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয় খামারির সঙ্গে অধিদপ্তরের মেডিকেল দল সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ খোঁজখবর রাখছে। খামারিদের গরুকে শুধু কাঁচা ঘাস দেয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। এ ছাড়া নেপিয়ার ঘাস কাটার সঙ্গে সঙ্গে গরুকে খেতে দেয়া উচিত নয়।
এএম/
ময়মনসিংহ
ভোরে ট্রাকচাপায় অটোরিকশার চালকসহ দুইজনের মৃত্যু
ময়মনসিংহের ভালুকায় ট্রাকচাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ও যাত্রী নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
শনিবার (১৫ জুন) ভোর ৫টার দিকে উপজেলার ভরাডোবা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহে মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভালুকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, ঢাকাগামী একটি ট্রাক বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। তাদের ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওসি শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
টিআর/
দুর্ঘটনা
ট্রাক ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ২
ট্রাক ও প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষনিকভাবে হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের টাঙ্গাইলের কালিহাতীর বাগুটিয়ার বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (বিটেক) সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, প্রাইভেট কারটি ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় কারটি বাগুটিয়া এলাকায় পৌঁছালে টাঙ্গাইলগামী ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান। আহত হন আরও ৪ জন। হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জেএইচ
ময়মনসিংহ
১৪০ ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে পুলিশ সদস্যের আত্মহত্যা
নেত্রকোনা মডেল থানায় কর্মরত রুবেল মিয়া (২৮) পারিবারিক কলহের জেরে ১৪০টি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। রুবেল মিয়া ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের ছেলে।
রোববার (৯ জুন) রাতে তিনি থানার ব্যারাকে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার (১০ জুন) বিকেল পাঁচটার দিকে তিনি মারা যান।
নেত্রকোনার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো দায়িত্ব পালন শেষে রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে থানার মেসে রাতের খাবার খান রুবেল। এরপর ফেসবুক আইডিতে ‘দ্যা ইন্ড’ লিখে স্ট্যাটাস দেন তিনি। এটি রাত বারোটার দিকে তার ছোট ভাই দেখতে পেয়ে ৯৯৯ এ কল করে জানান। এরপর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করে।
ঘটনার জানার পর নেত্রকোনা মডেল থানা পুলিশ তাকে প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর তাকে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে রুবেল মিয়া মারা যান। তিনি নেত্রকোনা শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকায় তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত সপ্তাহে স্ত্রী ও সন্তানরা বাড়িতে চলে যাওয়ার পর থানা ব্যারাকে থাকতেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, কনস্টেবল রুবেল মিয়া সাড়ে ৮ বছর আগে পুলিশে যোগদান করে। দেড় বছর আগে নেত্রকোনা মডেল থানায় যোগদান করেন। পারিবারিক কলহের কারণে অতিরিক্ত ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ময়মনসিংহে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কেএস/
- বাংলাদেশ2 days ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
- আন্তর্জাতিক2 days ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
- আইন-বিচার5 days ago
এমপি আনার হত্যা: রিমান্ডে দায় স্বীকার করেননি আ.লীগ নেতা মিন্টু
- ক্রিকেট7 days ago
গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার ঝাঁঝ মেটালো নিউজিল্যান্ড
- বাংলাদেশ7 days ago
বেনজীরের সাভানা পার্ক খুলছে
- বলিউড2 days ago
জাহিরকে বিয়ে করার মাসুল গুনছেন সোনাক্ষী!
- বাংলাদেশ5 days ago
সোনালি ব্যাংককে কোটি টাকা জরিমানা করলো ভারত
- আন্তর্জাতিক5 days ago
প্লাস্টিকের দাঁত লাগিয়ে কুরবানির ছাগল বিক্রি!