Connect with us

ক্রিকেট

সুপার এইটের স্বপ্ন নিয়ে সাগরপাড়ে ডাচদের মুখোমুখি বাংলাদেশ

Avatar of author

Published

on

আর্নোস ভেল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে ক্যারিবিয়ানদের মাঠে। প্রতিপক্ষ সেখানে নেদারল্যান্ডস। সহযোগী দেশ হিসেবে ডাচদের সহজ হিসেবে নেওয়ার সুযোগ কি আছে? পরিষ্কার করে এর উত্তর দেওয়া যায়, না। এই দেশটির সাথে টাইগারদের ক্রিকেটের ইতিহাস যে খুব সুখকর, এমনটি তো নয়।

বাংলাদেশ সময় আজ (১৩ জুন) রাত সাড়ে ৮ টায় মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস। দুই দলই দুইটি করে ম্যাচ খেলেছে। একটি করে ম্যাচ জিতেছে, একটি হেরেছে। নেট রান রেটে কিছুটা এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশ আছে টেবিলের দুইয়ে আর নেদারল্যান্ডস তিনে।

আজকের ম্যাচটি বাংলাদেশ জয় ছিনিয়ে নিতে পারলে, অনেককিছুই সহজ হয়ে যাবে। অনেককিছু বলতে সুপার এইটের সমীকরণ। যা নিয়ে এখন সবচেয়ে বড় চিন্তা বা আকাঙ্ক্ষা। বাংলাদেশের সামনে সুযোগ আছে। দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী হিসেবে তো বাংলাদেশ দলকেই এগিয়ে রাখতে হবে।

নেদারল্যান্ডসের সাথে সর্বশেষ দেখায় অবশ্য পুড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। ওডিআই বিশ্বকাপ ২০২৩, ডাচদের বিপক্ষে পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছিল লাল সবুজের দল। টি-টোয়েন্টি’তে অবশ্য যে চার বার দেখা হয়েছে, প্রতিবারই জিতেছে বাংলাদেশ। আর সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপে ২ বার সাক্ষাৎ হয় দুই দলের, ২০১৬ ও ২০২২; যার দুইটিই বাংলাদেশ জিতে যায়।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠ আর্নোস ভেল নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। এই মাঠে প্রায় ১০ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরেছে। এখানে কোনো ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) ম্যাচও আয়োজন করা হয়নি এখন পর্যন্ত।

Advertisement

এই মাঠের শেষ ম্যাচটিতে বাংলাদেশ খেলেছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সে ম্যাচটি ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত হয়, আর বাংলাদেশ দল সেখানে পরাজিত হয়। সেই দলের একমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবারের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে আছেন।

বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ‘আমরা এই মাঠ নিয়ে কথা বলেছি। আমার মনে হয়, সাকিব ভাই আমাকে বলছিল সে তার অধিনায়কত্বের অভিষেক করে এই মাঠে। রিয়াদ ভাইয়ের টেস্টে ৫ উইকেট আছে এখানে।’

বাংলাদেশ দল এখন চাইবে ম্যাচটি জিততে। এই ম্যাচে জয় নিশ্চিত করতে পারলে, নেপালের বিপক্ষে পরের ম্যাচটিতে অনেকটাই নির্ভার হয়ে খেলতে পারবে তারা। এদিকে নেদারল্যান্ডসের ভাবনাতেও জয় থাকবে। সুপার এইটে যাওয়ার সুযোগ আছে তাদের হাতেও রয়েছে।

 

এম/এইচ

Advertisement
Advertisement

ক্রিকেট

অপরাজেয় দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড

Published

on

সুপার এইটের ম্যাচে আজ রাত সাড়ে ৮ টায় মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দলই ছন্দে আছে নিজেদের গ্রুপে। এক ম্যাচ করে জয় পেয়েছে ভিন্ন প্রতিপক্ষের সাথে। যেখানে ইংল্যান্ড জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে। আর দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। সেন্ট লুসিয়ায় আজকের ম্যাচ তাই দুই দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

গ্রুপ পর্বে বেশ কঠিন সময় পার করেছে ইংল্যান্ড। শঙ্কা এমন তৈরি হয়েছিল যে, সুপার এইটে যাওয়া নিয়ে উঠেছিল ভাবনা। তবে সব পেরিয়ে তা নিশ্চিত করেছে ইংলিশরা। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা বেশ দাপটের সাথেই সুপার এইট নিশ্চিত করেছে। যেখানে একটি ম্যাচও হারেনি তারা।

এখন পর্যন্ত হারের তিতকুটে স্বাদ পেতে হয়নি প্রোটিয়াদের। ব্যাট ও বলে প্রতিপক্ষকে বেশ হুমকি দেওয়ার সক্ষমতা দেখাতে পেরেছে তারা। এদিকে ইংলিশরাও নিজেদের বাজে সময়টুকু পার করে ওঠার তাগিদ দিচ্ছে। উইন্ডিজদের সাথে সবশেষে ম্যাচের দাপুটে জয় দিয়ে সেটার প্রমাণ মেলে।

সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামের পিচ ব্যাটিং সহায়ক। দুই দলই বড় রান করার চেষ্টায় থাকবে বলে ধারণা করা যায়। আর এই ম্যাচে ভালো রান হবে বলেই পূর্ব থেকে অনুমান করা হচ্ছে। আবহাওয়া নিয়ে তেমন চিন্তার কিছু নেই। অর্থাৎ আকাশ পরিষ্কার থাকবে বলে জানা যায়, বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

টি-টোয়েন্টি সংস্করণে মুখোমুখি দেখায় দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড উভয় দলই ১২ টি করে ম্যাচ জিতেছে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিসংখ্যান বলছে এগিয়ে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে ৬ বারের দেখায় ৪ বারই জয় নিশ্চিত করেছে প্রোটিয়ারা।

Advertisement

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

অন্তত ১৭০ রান করা উচিত ছিল, মনে করেন শান্ত

Published

on

সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ দল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি টাইগাররা। যেখানে মিচেল মার্শদের সামনে কেবল ১৪১ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছুঁড়ে দিয়েছিল তারা। মারমুখী ব্যাটিংয়ের পর বৃষ্টি আইনে ২৮ রানের জয় পেয়েছে অজিরা। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে কথা বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।

তানজিদ তামিমের বিদায় ঘটে মিচেল স্টার্কের করা প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে। এরপর শান্ত ও লিটন দাস মিলে চাপ সামলিয়ে খেলতে থাকেন। লিটন অনেকটা ধীরগতিতে খেলেছেন, অন্যদিকে শান্ত চেষ্টা করেছেন রান বের করতে। অনেকদিন বাদে রান এসেছে শান্তর ব্যাটে। এটাই এক আশার কথা। রান করেছেন তাওহীদ হৃদয়ও। শান্ত ৩৬ বলে ৪১ এবং হৃদয় ২৮ বলে ৪০ রান করেন।

তবে রান তো খুব বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ দল। ম্যাচ শেষে শান্ত তাই বলছিলেন, ‘উইকেট ভালো ছিল, কিন্তু কিছুটা মন্থরও ছিল। তবুও এই উইকেটে অন্তত ১৭০ রান করা উচিত ছিল।‘

বাংলাদেশ পরের ম্যাচ খেলবে ভারতের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে আশা রাখছেন অধিনায়ক। আর বোলারদের নিয়ে আলাদা করে প্রত্যাশা তো থাকেই এই দলের। আজ অবশ্য খুব একটা ভালো করতে পারেননি দলের বোলাররা। শান্ত বলেন, ‘আশা করি বোলাররা তাদের ফর্ম বজায় রাখবে। আমাদের পরের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ভালো খেলার চেষ্টা করব।’

 

Advertisement

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

হার দিয়ে সুপার এইট শুরু বাংলাদেশের

Published

on

বৃষ্টি আইনে ২৮ রানের জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের দেওয়া ১৪১ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে বেশ সহজভাবেই জয় নিশ্চিত করে নিল দলটি।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। অ্যান্টিগুয়ার এই মাঠে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে সুবিধা পাওয়া যায় বলে জানা যায়। অস্ট্রেলিয়া তার পুরো ফায়দা নিতে চেয়েছে। পাওয়ারপ্লেতে টানা ৩ ওভার করলেন মিচেল স্টার্ক। স্টাম্প টু স্টাম্প ডেলিভারি, ব্যাটারের খেলার উপায় নেই। মাঝেমধ্যে ইয়র্কার লেন্থেই চেষ্টা করে গেলেন। যখনই কিছুটা হাফ লেন্থ দিয়েছেন, নাজমুল হোসেন শান্ত শট খেলতে চেয়েছেন।

তানজিদ তামিমকে শুরুর ৩ বলেই ফিরিয়ে দেন স্টার্ক। ওপেনার লিটন দাসের ধীরগতির খেলা দলের জন্য ভালো বার্তা দিচ্ছিল না। অন্যপাশে অধিনায়ক শান্ত অবশ্য কিছুটা চেষ্টা করছিলেন রান বের করার, সুযোগ পেলে শট খেলার।

অ্যাডাম জাম্পার শিকার হয়ে লিটন ফিরলে রিশাদ হোসেনকে নামানো নয়। বড় শট খেলে স্ট্রাইক রেট বাড়িয়ে নিতেই হয়তো। তবে রিশাদও ব্যর্থ ছিলেন। বরাবরের মতো তাওহীদ হৃদয় দলের পক্ষে হাল ধরলেন। তার ২৮ বলে ৪০ রানের ইনিংস শেষ হয় প্যাট কামিন্সের ডেলিভারিতে ক্যাচ দিয়ে।

আর কামিন্স তুলে নেন নিজের হ্যাটট্রিক। তার আগে ফিরিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ ও শেখ মেহেদীকে। তাসকিন আহমেদ শেষ দিকে অপরাজিত ছিলেন ৭ বলে ১৩ রান নিয়ে। আর বাংলাদেশ থামে ২০ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রানে।

Advertisement

অস্ট্রেলিয়ার মোকাবিলা করার জন্য খুব বেশি রান নয়। অজি দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড বেশ মারমুখী হয়ে শুরু করেন। পাওয়ারপ্লেতে বিনা উইকেটে দলটির সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫৯ রান। এরমধ্যে বৃষ্টি এলে খেলা কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে। বৃষ্টির পর রিশাদের বোলিংয়ে কিছুটা নাকাল হয় প্রতিপক্ষ ব্যাটাররা।

ট্রাভিস হেড ও মিচেল মার্শের উইকেট বগলদাবা করেন রিশাদ। উজ্জীবিত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। কিন্তু তা খুব ক্ষণস্থায়ী। ওয়ার্নার একপাশ থেকে আবারও আগ্রাসী হন। ৩৪ বলে তুলে নেন ফিফটি। অন্যদিকে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও খেলতে থাকেন নিজের ভঙ্গিতে। পরের বার বৃষ্টি নামার আগে ৩৫ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন ওয়ার্নার, ৬ বলে ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন হেড।

সেসময় দলের সংগ্রহ ছিল ১১.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান।

অস্ট্রেলিয়া দল এগিয়ে ছিল ডিএলএস মেথডে অর্থাৎ বৃষ্টি আইনে। এরপর আর বৃষ্টি না থামলে ২৮ রানের জয় পায় তারা।

 

Advertisement

এম/এইচ

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত