চট্টগ্রাম
ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার পর হত্যা, শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড
![মৃত্যুদণ্ড](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-1-219.jpg)
পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যার দায়ে অংবাচিং মারমা প্রকাশ বামং (৪৬) নামের এক শিক্ষককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকালে রাঙামাটির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ ই এম ইসমাইল হোসেনের আদালত এ রায় প্রদান করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা থানার বড়খোলা পাড়ার ৯ বছর বয়সী তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মিতালী মারমা আসামি অংবাচিং মারমা প্রকাশ বামং’র বাসায় প্রাইভেট পড়তে যায়। অতিরিক্ত পড়ানোর কথা বলে তার সঙ্গে পড়তে যাওয়া অন্য শিক্ষার্থীদের ছুটি দিয়ে মিতালীকে রেখে দেন অংবাচিং মারমা। বাড়িতে অন্য কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে মিতালিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। মিতালী ভয় পেয়ে চিৎকার শুরু করলে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
পরে ভুক্তভোগী বাড়ি না ফেরায় তার বাবা খোঁজে বের হন। তখন আসামি পড়া শেষ করে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিতালীকেও ছুটি দেন বলে জানান। আসামির আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় মিতালীর বাবা স্থানীয়দের নিয়ে লুকিয়ে আসামির বাড়ি পাহারা দিতে থাকেন। পরের দিন ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে আসামি মিতালীর বস্তাবন্দি মরদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে বাড়ির বাইরে আনলে বস্তাসহ স্থানীয়রা তাকে আটক করে।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ময়নাতদন্তে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড এবং দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
মিতালী চাকমার বাবা সাথুই অং মারমা বলেন, আমার মেয়েকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তার বিচার আমি পেয়েছি। আমি এই রায়ে সন্তুষ্ট। আর কোনো মা-বাবার বুক যাতে এভাবে খালি না হয়।
এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা এই রায়ে সন্তুষ্ট। এই রায়ের ফলে সমাজে শিশুদের প্রতি অন্যায় ও অবিচারের প্রবণতা কমে আসবে।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশীদ বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আমার এই রায়ের বিপক্ষে থাকার কথা। কিন্তু যেহেতু এটি একটি জঘন্যতম অপরাধ, তাই আমি মনে করি এই রায়ের ফলে সমাজে একটি শক্ত বার্তা পৌঁছাল। আসামির পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে উচ্চ আদালতে আপিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
কেএস/
চট্টগ্রাম
কক্সবাজারে পাহাড় ধসে প্রাণ গেলো স্বামী ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-5-4.jpg)
কক্সবাজারে পাহাড় ধসে এবার প্রাণ গেলো স্বামী ও অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর। শুক্রবার (২১ জুন) রাত সাড়ে ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, নজির হোসেনের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (২৫) ও তার স্ত্রী মায়মুনা আক্তার (২০)।
স্থানীয়রা জানান, মায়মুনা ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। রাতে ঘুমানোর আগে প্রতিবেশীদের সাথে কথা বলেন। রাত ১০ টা থেকে ভারী বর্ষণ হচ্ছিল। পাহাড়ের পাদদেশে তাদের বাড়ি ছিল। পাহাড় ধসে তাদের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহত আনোয়ার হোসেনের মা মমতাজ বেগম বলেন, ‘আমার ছেলে বাদশাঘোনা ওমর ফারুক (রা.) জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম ছিলেন। রাতে যখন ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছিল আমি পাশে আমার বাড়িতে চলে আসার জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু সে সমস্যা হবে না বলে ঘুম যাওয়ার জন্য চলে যায়। আমি কি জানতাম তার এই ঘুম জীবনের শেষ ঘুম হবে।’
স্থানীয় সংবাদকর্মী নুরুল হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই হৃদয়বিদারক। রাত ৪ টার দিকে আমরা কান্নাকাটির শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে যায়। গিয়ে দেখা যায় মাটির নিচে স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ। এলাকার লোকজন ডেকে আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে খবর দিই।’
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর থানার ওসি রকিবুজ্জামান বলেন, ‘ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশের একটি টিম। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আবদুল হান্নান বলেন, ‘দুদিন ধরে কক্সবাজারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৭ মি. মি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আরও কয়েকদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।’
এর আগে গত ১৯ জুন উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে কক্সবাজারে একদিনের ব্যবধানে পাহাড় ধসে মোট ১২ জনের নির্মম মৃত্যু হয়।
চট্টগ্রাম
পানি নেমে যাওয়ায় টেকনাফে ফুটে উঠছে বন্যার ক্ষত
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/টেকনাফ.gif)
কক্সবাজারের টেকনাফে বন্যা কবলিত এলাকার পানি কমতে শুরু করেছে। বাসাবাড়িতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। তবে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে বন্যায় ক্ষতির চিত্র ফুটে উঠছে। পানিতে ডুবে যাওয়া রাস্তা ও ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গেল বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং পাহাড়ি ঢল নেমে না আসার কারণে প্লাবিত এলাকার গ্রামগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) বিষয়টি বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেন কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী পরিচালক আব্দুল হান্নান।
সরজমিনে দেখা যায়, টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক সড়কের উপর দিয়ে পানি নেমে গেছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে ফসলি জমিতে পানি রয়েছে। প্লাবিত এলাকার বসত ঘর থেকে পানি নেমে যাওয়ায় অনেকে ঘরে ফিরছেন।
হ্নীলার বাসিন্দা সৈয়দ আলম জানান, পাহাড়ি ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের পানি তার বাড়িতে কোমর সমান পানি ঢুকে পড়েছিল। গতকাল বিকেলের পর থেকে আর বৃষ্টি না হওয়ায় পানি নেমে যাচ্ছে। বাড়ির অধিকাংশ জিনিসপত্র ভিজে যাওয়ায় নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়েছে পাশাপাশি নানা ধরনের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের পানি নামতে না পারায় প্রায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছিল। নাফনদীর কয়েকটি সুইচগেট নির্মাণাধীন থাকায় পানি নিষ্কাশনের বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে। পরে বাঁধের বিভিন্ন অংশে কেটে দিলে পাহাড়ি ঢলের পানি নাফনদীতে প্রবাহিত হয়। এরমধ্যে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের স্ব স্ব ইউনিয়নের মাধ্যমে তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তাদের সরকারিভাবে সহযোগিতা করা হবে।
হ্নীলার ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী বলেন, প্লাবিত এলাকার গ্রামগুলো থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসতে শুরু করেছে। তবে নাফনদীর তীরে নির্মাণাধীন সুইচগেট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়। গতকাল জোয়ারের পানির সঙ্গে পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণের কারণে অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল।
আই/এ
চট্টগ্রাম
পাহাড় ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-1-61.gif)
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড় ধসের ঘটনায় আরও ১ জনের মৃত্দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে দুজন স্থানীয় বাসিন্দা ও ৮জন রোহিঙ্গা।
বুধবার (১৯ জুন) ভোরে উখিয়ার ৮, ৯, ১০ ও ১৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ পাহাড় ধসের এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান।
নিহতরা হলেন উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৮ ইস্ট মোহাম্মদ হারেস (২), ক্যাম্প-১ ওয়েস্ট এর ফুতুনী (৩৪),ক্যাম্প-১০ ব্লক এফ/১০ এর মোহাম্মদ কালাম, সেলিনা খাতুন, আবু মেহের, জয়নব বিবি, ক্যাম্প -৯,ব্লক বি/১৪ এর মো. হোসেন আহমেদ ও তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম এবং স্থানীয় বাঙালি থাইংখালি’ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর ছাত্র আব্দুল করিম ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেরানীহাট এলাকার আলী জহুরের ছেলে মো. হোসেন আহমেদ (৫০)।
নিহত আব্দুল করিমের (১২) বাবা মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাড়ির সবাই ঘুমিয়েছিলাম। মাঝরাতে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। ভোরে হঠাৎ বাড়ির পাশের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পাহাড় ধসে এসে তাঁদের ঘরের ওপরে পড়ে। তখন তাঁরা কয়েকজন বের হতে পারলেও তাঁর ছেলে বের হতে পারেনি। মাটিচাপা পড়ে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তারাও আহত হয়েছেন।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভীর হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছে।
মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে চলমান ভারী বর্ষণে উখিয়ার চারটি পৃথক ক্যাম্পে পৃথক পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় অন্য পাহাড়ধসের শঙ্কা থাকা এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
আই/এ
- বাংলাদেশ2 days ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
- আন্তর্জাতিক2 days ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
- আইন-বিচার5 days ago
এমপি আনার হত্যা: রিমান্ডে দায় স্বীকার করেননি আ.লীগ নেতা মিন্টু
- ক্রিকেট7 days ago
গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার ঝাঁঝ মেটালো নিউজিল্যান্ড
- বাংলাদেশ7 days ago
বেনজীরের সাভানা পার্ক খুলছে
- বলিউড2 days ago
জাহিরকে বিয়ে করার মাসুল গুনছেন সোনাক্ষী!
- বাংলাদেশ5 days ago
সোনালি ব্যাংককে কোটি টাকা জরিমানা করলো ভারত
- আন্তর্জাতিক5 days ago
প্লাস্টিকের দাঁত লাগিয়ে কুরবানির ছাগল বিক্রি!