সিলেট
সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে গ্রেপ্তার
সুনামগঞ্জে নিজেকে অনলাইন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার সহযোগী অন্যান্যদের নিয়ে যুবককে চড় থাপ্পর মারা ও চাঁদা দাবি করা দুষ্কৃতিকারীদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করলো পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের সুনামগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গেলো সোমবার (১০ জুন) বিকাল ৫ টায় সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার পৌরসভার মল্লিকপুর মুজিব পার্কে ২জন যুবক যুবতী বসে গল্প করছিলেন। এমন সময় মল্লিকপুরের বৈঠাখালী খেয়াঘাটের হিন্দু হাটি গ্রামের কৃষ্ণ দাসের ছেলে আকাশ দাস (২০) ও একই গ্রামের মোঃ আমির হোসেন এর ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম শরীফ (২০) সহ দুই তিনজন মোবাইল ফোন দিয়ে পিছন থেকে যুবক যুবতীর ভিডিও করতে থাকে এবং কাছে গিয়ে যুবক এর গেঞ্জি ধরে টানতে থাকে এবং অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
এখানে থাকা একজন আপ্তাব উদ্দিন নিজেকে অনলাইন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তার সহযোগী অন্যান্যদের নিয়ে যুবককে চড় থাপ্পর মারতে থাকে। আসামিরা যুবতীর সাথে অশালীন আচরণ করতে থাকে। আসামিরা তাদের ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে দুই হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। ভিকটিমের কাছে কোন টাকা পয়সা না থাকায় আসামিরা মোবাইল নাম্বারে বিকাশের মাধ্যমে টাকা প্রেরণের শর্তে যুবক যুবতীকে চড় থাপ্পর মেরে ছেড়ে দেয়। ঘটনাটি আপ্তাব উদ্দিনের সহযোগী অপর এক অজ্ঞাত বিবাদী মোবাইলে ভিডিও করে ধারন করে। ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ গেলো মঙ্গলবার (১১ জুন) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মাধ্যমে উক্ত ভিডিওটি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টিগোচর হলে ঘটনার ভিকটিমকে শনাক্ত করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে বর্নিত ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম উক্ত ঘটনার বিষয়ে নিজে বাদী হয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার পৌরসভার মল্লিকপুরের বৈঠাখালী খেয়াঘাটের জলিলপুর গ্রামের আজিজুর রহমান আপ্তাব উদ্দিন (৩২), হিন্দু হাটি গ্রামের কৃষ্ণ দাসের ছেলে আকাশ দাস (২০) ও একই গ্রামের মোঃ আমির হোসেন এর ছেলে মোঃ শফিকুল ইসলাম শরীফ (২০) সহ আরও দুই, তিনজনকে আসামি করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়ের এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলার তিনজন আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনজার্চ মো. খালেদ চৌধুরী জানান, নিজেদের অনলাইন সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে যুবককে চড় থাপ্পর মারা ও চাঁদা দাবি করা দুষ্কৃতিকারীদেরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে আমাদের থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের সুনামগঞ্জ কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারেরঅভিযান অব্যাহত আছে।
সিলেট
বন্যায় বিপর্যস্ত সুনামগঞ্জের জনজীবন
মেঘালয় থেকে আসা পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সুনামগঞ্জের জনজীবন। প্রতিদিন নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে খামারের মাছ ও হাঁস। আমন, আউশ, ইরি ধানি জমি পানির নীচে। নলকুপ নিমজ্জিত থাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। গো-খাদ্যের অভাবে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।বন্যায় পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন জেলার ৬ লক্ষাধিক মানুষ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুর পর্যন্ত জেলার প্রধান নদী সুরমা,কালনী,কুশিয়ারা ও যাদুকাটা নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো.মামুন হাওলাদার।
সরজমিনে দেখা যায়, বন্যায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে শিক্ষাঙ্গন, মসজিদ, মন্দির ও কবরস্থান প্লাবিত হয়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতি ও ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা। রাস্তাঘাটের পাশাপাশি বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। অনেক জায়গায় চুলা-নলকূপও ডুবেছে।
জানা যায়, প্রথম দিকে জেলার ৩টি উপজেলা বন্যা কবলিত হলেও এখন সারা জেলার ১২টি উপজেলা ঢলের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে। হাওর এলাকায় দিনে মাঝে মাঝে বৃষ্টি বন্ধ হলেও মুহুর্তেই কালো হয়ে উঠে আকাশ। নামে অবিরাম বর্ষণ এবং বর্ষণের সাথে শুরু হয় গর্জন। একটানা ৫ দিন ধরে পাহাড়ী ঢলের সাথে লড়াই করে চলছেন বানভাসিরা।
জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় সুনামগঞ্জের ষোলঘর পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার ছাতক উপজেলায় ১৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘন্টায় ভারতের আসাম ও মেঘালয়ের চেরীপুঞ্জিসহ সীমান্তে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। এতে সুনামগঞ্জ জেলায় বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো.রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, বর্তমানে কয়েক লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে আছেন। ইতোমধ্যে যারা আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের জন্য ১০ মেট্রিকটন চাল এবং ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার বরাদ্দসহ বন্টন করা হয়েছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত মরিমাণ ত্রাণসামগ্রী মজুত আছে। জেলা প্রশাসন বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে
এদিকে, গেলো ১৯ জুন দিনব্যাপী সুনামগঞ্জ কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও জেলা আনসার ভিডিপি কার্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেওন্দ্রে শুকনো খাবারসহ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন সুনামগঞ্জ ৪ (সদর বিশ্বম্ভরপুর) আসনের সংসদ সদস্য ড.মোহাম্মদ সাদিক ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী।
এছাড়া ছাতক উপজেলার জামুরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয়,দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের শরীফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে ৫ হাজার পরিবারের মাঝে পুলিশ প্রশাসনের প্রস্তুতকৃত রান্না করা খাবার বিতরণসহ ত্রাণসামগ্রী প্রদান করেছেন সুনামগঞ্জ ৫ আসনের সংসদ সদস্য এম মুহিবুর রহমান মানিক।
আই/এ
সিলেট
হবিগঞ্জে পানিবন্দী ৩০ হাজার মানুষ
হবিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ। কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে কুশিয়ারা নদীর পানি।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকাল ৯টায় কুশিয়ারা নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯, মার্কুলি পয়েন্টে ৩০ এবং আজমিরীগঞ্জে ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ।
জেলা পাউবোর এ প্রকৌশলী বলেন, গেলো রাতে জেলার নবীগঞ্জে কুশিয়ার নদীর বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। এতে ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এরই মধ্যে বন্যা কবলিতরা আশ্রয়কেন্দ্র ছুটছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, খোয়াই নদীর পানি কমলেও কুশিয়ারার পানি বাড়ছে।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোছঃ জিলুফা সুলতানা জানান, বন্যা মোবাবিলায় জেলার ৯টি উপজেলার ৮৮টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ৪২০ মেট্রিক টন চাল, ৭৮ বান্ডিল টিন ও ২ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
আই/এ
সিলেট
বন্যার পানি কেড়ে নিলো দুই শিশুর প্রাণ
মৌলভীবাজারের শ্যামেরকোনা এলাকায় বন্যার পানিতে ভেসে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত দুই শিশু হলো- পশ্চিম শ্যামেরকোনা গ্ৰামের জমির আলীর ছেলে হৃদয় (১৫) ও ফয়সাল মিয়ার ছেলে সাদি (১০) ।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার পশ্চিম শ্যামেরকোনা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাসরিন চৌধুরী।
স্থানীয়রা জানান, মনু নদীর পানি বেড়ে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের শ্যামের কোনা, মাঝপাড়াসহ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। মৌলভীবাজার-শমসেরনগর সড়কে পানি উঠে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। ১৯ জুন হৃদয় ও সাদিক সড়কে বের হওয়ার পর থেকে পরিবারের লোকজন তাদের খুঁজে পায়নি।
আজ সকালে বন্যার পানিতে তাদের মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা। তাৎক্ষণিকভাবে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
সদর উপজেলার ইউএনও জানায়, তাৎক্ষণিকভাবে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে দুজনকে ২৫ হাজার করে পঞ্চাশ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করা হয়েছে। প্রশাসন চেষ্টা করছে মানুষদের উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্র নিয়ে যেতে। গেলো ১৯ জুন মৌলভীবাজার কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদী ভেঙে ও মনু নদীর পানি বেড়ে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের শ্যামের কোনা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
আই/এ
- বাংলাদেশ2 days ago
ভাইরাল ছবি নিয়ে মুখ খুললেন সেই এনবিআর কর্মকর্তা
- আন্তর্জাতিক2 days ago
এবার বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে বিকল্প রেল নেটওয়ার্ক তৈরি করবে ভারত
- আইন-বিচার5 days ago
এমপি আনার হত্যা: রিমান্ডে দায় স্বীকার করেননি আ.লীগ নেতা মিন্টু
- ক্রিকেট6 days ago
গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার ঝাঁঝ মেটালো নিউজিল্যান্ড
- বাংলাদেশ6 days ago
বেনজীরের সাভানা পার্ক খুলছে
- বাংলাদেশ5 days ago
সোনালি ব্যাংককে কোটি টাকা জরিমানা করলো ভারত
- আন্তর্জাতিক5 days ago
প্লাস্টিকের দাঁত লাগিয়ে কুরবানির ছাগল বিক্রি!
- বাংলাদেশ7 days ago
ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে তিন শর্ত পুতিনের