Connect with us

অর্থনীতি

বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে খরচ বেড়েছে

Avatar of author

Published

on

দেশের বাইরে গিয়ে বাংলাদেশিরা ক্রেডিট কার্ডে বিভিন্ন সেবা ও পণ্য কিনে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ৫০৭ কোটি টাকা খরচ করেছেন। যা মার্চের তুলনায় এপ্রিলে ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা বেশি। মার্চে খরচ করেছিল ৫০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। একই সময়ে বিদেশিরা বাংলাদেশে ২০০ কোটি টাকার লেনদেন করেছিলেন ক্রেডিট কার্ডে।

বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ প্রতি মাসে ভারতে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য যান। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এ কারণে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে ভারতে।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, বাংলাদেশিরা বিদেশে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডে সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করেন কয়েকটি দেশে। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড ও আরব আমিরাত। বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে খরচের ৫০ শতাংশই এই চার দেশে হয়ে থাকে।

বাংলাদেশিদের একটি বড় অংশ প্রতি মাসে ভারতে ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য যান। সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে বাংলাদেশিদের ভ্রমণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এ কারণে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে ভারতে। চলতি বছরের এপ্রিলে প্রতিবেশী দেশটিতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশিরা ৯৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা খরচ করেছেন, যা মোট খরচের ১৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। ভারতে খরচের এ অঙ্ক মার্চে ছিল ১০৬ কোটি টাকা।

Advertisement

একইভাবে এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে বাংলাদেশিরা ৬৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা খরচ করেছে, যা মোট খরচের ১৩ দশমিক ১২ শতাংশ; থাইল্যান্ড গিয়ে ৪৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা এবং আরব আমিরাতে খরচ হয়েছে ৪০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ ছাড়া সৌদি আরবে ৩৭ কোটি, সিঙ্গাপুরে ৩৫ কোটি ৭০ লাখ, যুক্তরাজ্যে ৩১ কোটি ৮০ লাখ এবং কানাডায় প্রায় ২৫ কোটি টাকা কার্ডে খরচ করেছেন বাংলাদেশিরা।

এএম/

Advertisement

অর্থনীতি

আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি অনুমোদন

Published

on

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহিবল-আইএমএফ বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১ দশমিক ১১৫ বিলিয়ন বা ১১১ কোটি ৫০ লাখ  ডলার ছাড় করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে এ অর্থ আইএমএফ থেকে ছাড় করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ-এ যোগ হবে।

সোমবার (২৪ জুন) আইএমএফ পর্ষদ সভায় এ ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব‌্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।

এ মুখপাত্র জানান, এ অর্থ যোগ হলে মোট রিজার্ভ দাঁড়াবে প্রায় ২৬ বিলিয়ন ডলার। ১৯ জুন পর্যন্ত দেশের মোট রিজার্ভ ২৪.৭৮ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে, আইএমএফের ৪ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তির ৪৭৬ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার এসেছে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। আর দ্বিতীয় কিস্তি হিসেবে প্রায় ৬৮১ মিলিয়ন ডলার আসে গত বছরের ডিসেম্বরে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অর্থনীতি

আইএমএফ ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাচ্ছে বাংলাদেশ

Published

on

আন্তর্জাতিক-অর্থ-তহবিল,-আইএমএফ

আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পরিষদের বৈঠক বসছে আজ সোমবার (২৪ জুন)। বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত সাড়ে ৯টায় যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে আইএমএফ-এর সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বৈঠকে বাংলাদেশের অনুকূলে ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের প্রস্তাবটি উত্থাপন হবে। এটি চূড়ান্ত অনুমোদন হলে পরবর্তী এক-দুদিনের মধ্যে অর্থ ছাড় হতে পারে।

প্রস্তাবটি ওই বৈঠকে অনুমোদন হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছিল বাংলাদেশ সফর করে যাওয়া আইএমএফ মিশন।

ঋণের কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে আইএমএফ-এর দেয়া শর্ত বাস্তবায়ন এবং অর্থনৈতিক সংস্কারের অগ্রগতি দেখতে গেলো ২৪ এপ্রিল ঢাকায় এসেছিল সংস্থাটির একটি মিশন । তারা ৮ মে পর্যন্ত অবস্থান করে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করে। এতে শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ সংস্কার কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চায় তারা।

প্রতিনিধিদলটি ঢাকা ত্যাগের আগে এমন বার্তা দিয়ে যায়, শর্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে তারা খুশি। ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে তারা প্রতিবেদনে সুপারিশ করবেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, নির্বাহী পরিষদ ঋণের অর্থ ছাড়ের প্রস্তাবটি অনুমোদন করবে।

Advertisement

বৈঠকে প্রস্তাবটি অনুমোদন হলে মঙ্গলবার (২৫ জুন) বা বুধবার (২৬ জুন) ঋণের অর্থ পাওয়া যাবে। এবার তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ২০ লাখ ডলার দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। টাকার বড় ধরণের অবমূল্যায়নের কারণে কিস্তির অর্থও বেড়েছে।

এর আগে গেলো বছরের ৩১ জানুয়ারি আইএমএফ বাংলাদেশের অনুকূলে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করে। এর মধ্যে দুটি কিস্তিতে ১১৬ কোটি ডলার ছাড় করা হয়েছে। এখন তৃতীয় কিস্তি বাবদ ১১৫ কোটি ডলার ছাড় করার পর্যায়ে রয়েছে।

ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড়ের বিষয়ে চলতি বছরের নভম্বরের শেষদিকে আরও একটি মিশন ঢাকায় আসতে পারে। ডিসেম্বরে ঋণের চতুর্থ কিস্তির অর্থ ছাড় হওয়ার কথা রয়েছে।

এই অর্থ পেলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবার ২ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এর আগে একাধিকবার নিট রিজার্ভ ২ হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমেছে। পাশাপাশি বাজারে ডলারের প্রবাহ কিছুটা বাড়বে।

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অর্থনীতি

৮২টি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে : বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

Published

on

বাংলাদেশের সঙ্গে বর্তমানে বিশ্বের ২১০টি দেশের  বাণিজ্যিক লেনদেন রয়েছে। এর মধ্যে ৮২টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। বললেন, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

রোববার (২৩ জুন) সংসদে এমপি ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে  এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

আহসানুল ইসলাম টিটু জানান, বর্তমান সরকার কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব এই নীতি অনুসরণ করে বিশ্বের প্রায় সকল দেশের সাথেই বাণিজ্য সম্পর্ক বিদ্যমান রেখেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট ১৫,২৩৯.৫৫ মিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে।

এমপি আ. ফ. ম বাহাউদ্দিন নাছিমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন,  মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার পাশাপাশি বৈদেশিক বাণিজ্য ও লেনদেন ভারসাম্য রক্ষা এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এমপি মো. আবুল কালামের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ ব্যতীত আফগানিস্তান, ভুটান ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। আফগানিস্তানের সাথে ১.৪৯ মিলিয়ন ডলার, ভুটানের সাথে ১৪.৪৯ মিলিয়ন ডলার, ভারতের সাথে ৭১৬০.৮১ মিলিয়ন ডলার, পাকিস্তানের সাথে ৬১৪.৭৩ মিলিয়ন ডলার ঘাটতি রয়েছে। অপরদিকে নেপালের সাথে ৪১.৫৪ মিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কার সাথে ৯.০৭ মার্কিন ডলার, মালদ্বীপের সাথে ০.১৪ মিলিয়ন ডলার উদ্ধৃত রয়েছে।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত