Connect with us

ক্রিকেট

নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ

Avatar of author

Published

on

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নেপালকে হারিয়ে সুপার এইট নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। সেই রান তাড়া করতে নেমে ৮৫ রানে গুটিয়ে যায় নেপাল।

সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদের খুশিটা হয়তো বাড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আরও ।

তবে এই ঈদের দিনেও যারা ভোর বেলা উঠেই বাংলাদেশের খেলা দেখা শুরু করেছিলেন তারা হয়তো ঐ সময়টায় কোন ভাবেও খুশি হতে পারেননি।  ইনিংসের প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক তানজিদ তামিম। পরের ওভারেই বোল্ট নাজমুল হোসেন শান্ত।

প্রথম ওভারে রিভিউ নিয়ে বেঁচেছিলেন। চতুর্থ ওভারে ক্যাচ তুলেও ফিল্ডার নিকটে না থাকায় সে যাত্রায়ও বেঁচে যান। তবে লিটনের যেন উইকেটে থাকারই ইচ্ছে ছিলো না। পঞ্চম ওভারে সোমপালের শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে খাড়া ওপরে।

ষষ্ঠ ওভারে তাওহিদ আউট হয়ে গেলে পাওয়ারপ্লেতেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর দুই অভিজ্ঞ সাকিব আল হাসান ও মাহমুদ উল্লাহ রিয়াদ যখন কিছুটা চাপ সামলানোর চেষ্টা করছিলেন তখনই রান আউট। সাকিব বসে পড়লেন। মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে প্যাভিলিয়নের পথে মাহমুদউল্লাহ।

Advertisement

রিয়াদের বিদায়ের পর ১৭ রান করে ফেরেন সাকিবও। তার ইনিংসটি বাংলাদেশের  সর্বচ্চো । এরপর তাজিম হাসান ৩,  জাকের আলী ১২, রিশাদ হোসেন ১৩, তাসকিন আহমেদ ১২ এবং মোস্তাফিজ ৩ রানে রান আউট হলে ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।

এতো কম রান করে বাংলাদেশ এর আগে কোন ম্যাচ জিততে পারেনি। তবে বোলিংয়ে নেমে তানজিম হাসান সাকিবের তোপে ২৬ রানেই ৫ উইকেট হারায় নেপাল।  কিন্তু পাঁচ উইকেট হারানোর পর ৫২ রানের জুটি গড়েন কুশল মাল্লা ও দীপেন্দ্র সিং ঐরী।

কুশল মাল্লাকে ফিরিয়ে মোস্তাফিজ জুটি ভেঙ্গে দিলে ম্যাচ আর বেশিদূর নিতে পারেনি নেপাল। ৮৫ রানেই হারিয়ে ফেলে সব কয়টি উইকেট। তানিজমের ৪ ও মোস্তাফিজের ৩ উইকেটের সাথে সাকিব আল হাসান ২ টি ও তাসকিন ১ টি করে উইকে নেন।

গ্রুপ সিডিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ডি-১ হয়ে আগেই নিশ্চিত করেছে সুপার এইট।  বাংলাদেশ নিশ্চিত করলো ডি-২ হিসেবে।  এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ খেলবে সুপার এইটের গ্রুপ ‘এ’ তে।  যেখানে টাইগাররা প্রতিপক্ষ হিসেবে পাবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানকে।

সুপার এইটে সময়সূচিটাও নির্ধারিত আগে থেকেই।  সুপার এইটে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২১ জুন।  প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার । অ্যান্টিগাতে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ছয়টায়।

Advertisement

এমন এক আজব সূচি করেছে আইসিসি।  অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সুপার এইটে প্রথম ম্যাচ খেলে পরের দিনই মাঠে নামতে হবে বাংলাদেশকে। অর্থাৎ ২২ জুন আবার খেলবে টাইগার। প্রতিপক্ষ ভারত। অনুষ্ঠিত হবে  অ্যান্টিগাতেই। বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটায়।

সুপার এইটে বাংলাদেশ সবশেষ ম্যাচ খেলবে ২৫ জুন। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সেন্ট ভিনসেন্টে  সকাল সাড়ে ছয়টায়।

Advertisement

ক্রিকেট

সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন শান্ত

Published

on

বাংলাদেশ দলের কাছে সমর্থকদের এখন বড় আশা। শুধুমাত্র এক বা দুইটি জয়ে তারা সন্তুষ্ট নন। তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলার সুযোগ অন্তত দর্শকেরা নিতে চান না। তারা চান আরও বড় কিছু। এমন কিছু, যা নতুন। সুপার এইটে দুই ম্যাচ হেরেও বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। যা পূরণ হয়নি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ক্ষমা চাইলেন দেশের কাছে।

হতাশ দর্শকেরা হয়েছেন বটেই!

এতটুকু ক্রিকেট দলের না বোঝার কোনো কারণ নেই। ক্রিকেট-পাগল জাতি বলে কথা। যে সমীকরণে সেমিতে যাওয়ার সুযোগ ছিল টাইগারদের জন্য, সেটা তো হয়নি- শেষমেশ ম্যাচটিতেও পেতে হয়েছে পরাজয়ের স্বাদ।

সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্ট নিয়ে আমি বলব, আমরা সবাইকে হতাশ করেছি। আমাদের খেলা যারা অনুসরণ করেন, যারা আমাদের সব সময় সমর্থন করেন, তাদের আমরা হতাশ করেছি। পুরো দলের পক্ষ থেকে আমি তাদের কাছে ক্ষমা চাইছি।’

বাংলাদেশ দল টুর্নামেন্ট জুড়ে খারাপ ব্যাটিং প্রদর্শনী দিয়েছে। ম্যাচ শেষে সেই কথাও তুললেন শান্ত। ব্যাটারদের দায় দিলেন। দর্শকদের হতাশ করেছে দলের ব্যাটাররা, সেই কথাও জানিয়েছেন। শেষমেশ দলের পক্ষ থেকে নিজে ‘সরি’ বলেছেন শান্ত।

Advertisement

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

বাংলাদেশের ম্যাচের পর যা বললেন মাশরাফি

Published

on

সবকিছুর পরও সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের কাছে। সে সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা কতটুকু করতে পারলো দল, তা এক প্রশ্ন। শুরুতে ফিল্ডিং করতে নেমে আফগানিস্তান দলকে ১১৫ রানে আটকে রাখে বাংলাদেশি বোলাররা। সেই রান টপকে যেতে হতো ১২.১ ওভারে। তবেই সেমি নিশ্চিত হতো বাংলাদেশের। বাংলাদেশ ম্যাচটি হেরেছে, যা নিয়ে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা মন্তব্য করেছেন।

নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) একটি পোস্ট করেছেন মাশরাফি। তিনি লিখেছেন, ‘এই ম্যাচ ১২.১ ওভারে জেতার জন্যই খেলা উচিত ছিল বাংলাদেশের। আর সেটি করতে গিয়ে যদি ৫০ রানেও অলআউট হতো দল দর্শকরা সেটিকে সহজভাবে নিতো। আর যদি এই ম্যাচ জিততাম, বিবেকের কাছে হেরে যেতাম। এই ম্যাচ আর দশটা ম্যাচের মতো ছিল না আমাদের কাছে। এটা ছিল ইতিহাস গড়ার সমান। এরপরও অবশ্যই আশা দেখি বা দেখবো ইনশাআল্লাহ।’

বাংলাদেশ দল সমীকরণ মেলাতে পারেনি। জিততেও পারেনি। সুপার এইটে শূন্য হাতে বিদায় নিতে হলো দলটিকে। এই পর্বে প্রথম দুই ম্যাচ হারার পরেও যে সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ, সেই সুযোগ কাজে লাগানো হলো না দলটির।

 

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

দ্রুত উইকেট পতনে, সেমির চেষ্টা করেনি বাংলাদেশ

Published

on

সমীকরণ আর সমীকরণ! বাংলাদেশ দলের সামনে সবার এই এক কথা। এরমধ্যে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানালেন নতুন কথা। যেখানে দলটির পরিকল্পনার বিষয়টি উঠে এসেছে। তবে সেমি নিয়ে এই পরিকল্পনা শুনে কিছুটা অবাক হওয়ার দশা হতে পারে সমর্থকদের।

যেখানে সুপার এইটের প্রথম দুই ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ, সেখানে সেমি নিয়ে কথাই ওঠার কথা নয়। কিন্তু এরপরও ভাগ্য সহায় হলে অনেককিছুই ঘটে। বাংলাদেশের সামনে তেমনই এক লক্ষ্য ছিল। আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা পেরোতে হবে ১২.১ ওভারে। তবেই মিলবে সেমির টিকিট।

ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে তানজিদ হাসান ফিরে যান। এরপর সাকিব আল হাসান ও নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেটও দ্রুত হারায় দল। এভাবে দ্রুত ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ায় সেমি নিয়ে আর সেভাবে ভাবেনি শান্তর দল। এমনটি তিনি জানিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে, ‘পরিকল্পনাটা এমন ছিল যে আমরা প্রথম ৬ ওভার চেষ্টা করব। পরিকল্পনা ছিল, যদি আমরা ভালো শুরু করি, দ্রুত উইকেট যদি না পড়ে, তাহলে আমরা সুযোগটা নেব।’

‘কিন্তু যখন আমাদের দ্রুত ৩ উইকেট পড়ে গেল,  তখন আমাদের পরিকল্পনা ভিন্ন ছিল, যেন আমরা ম্যাচটা জিততে পারি। তারপরও আমি বলব, মিডল অর্ডার ভালো সিদ্ধান্ত নেয়নি। যার কারণে ম্যাচটা আমরা হেরে গেছি।’

নির্দিষ্ট ওভারের পর আর ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপে আর কোনো পার্থক্য তৈরি করতে পারতো না বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে কেবল সেমি খেলতে পারতো অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান বাদ পড়তো।

Advertisement

 

এম/এইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত