Connect with us

জাতীয়

শ্রীমঙ্গলে পানিবন্দী হাজারো মানুষ, বিপর্যস্ত জনজীবন

Avatar of author

Published

on

সংগৃহীত ছবি

বিরামহীন বৃষ্টিতে নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের একাধিক পয়েন্টে হাজারো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বাসা-বাড়িতে ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। ক্ষেতের ফসলসহ ঘরবাড়িও নষ্ট হচ্ছে বন্যার কারণে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলার সবুজবাগ, রূপসপুর, লালবাগ, উত্তর উত্তসুর, বিরামপুরসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তা ও বাসাবাড়িতে পানি উঠেছে। অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল চলমান থাকায় বাড়ছে উপজেলার নদ-নদীর পানি। পৌরশহরসহ বিভিন্ন উপজেলার ৫০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় দিন পার করছেন।

ঈদের দিনগত রাতেই বসতভিটায় বন্যার পানি ওঠে যাওয়ায় পরিবার, পরিজন ও গৃহপালিত পশু নিয়ে এদিক-ওদিক ছুটেছেন শ্রমজীবী মানুষ। এসব এলাকায় খাবার পানি, গোখাদ্যসহ নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। উপজেলাসমূহে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘শ্রীমঙ্গলে পৌরসভা এবং ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘরের ভেতর পানি উঠেছে। সেসব স্থানে আগামীকাল সকালে তালিকা করে আমরা ব্যবস্থা নেব। পরিস্থিতি বেশি খারাপ দেখলে তাদেরকে অন্যস্থানে সরিয়ে নিয়ে যাব। তাছাড়া শ্রীমঙ্গল পৌরসভার বিভিন্ন ড্রেনে ময়লা আবর্জনায় ভরে গেছে, সেই ড্রেন চিহ্নিত করে পরিষ্কারের ব্যবস্থা করছি।’

এদিকে, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. উর্মি বিনতে সালাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতি মনিটর এবং কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রসমূহে প্রয়োজনীয় ওষুধসহ খাবার ও পানির ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।’

Advertisement
Advertisement

চট্টগ্রাম

সেন্ট মার্টিনগামী ট্রলারে পতাকা উঁচুতে বাঁধার নির্দেশ বিজিবি মহাপরিচালকের

Published

on

সেন্ট মার্টিনে যেসব ট্রলার চলাচল করে সেসব ট্রলারকে বাংলাদেশের পতাকা উঁচুতে বেঁধে চলাচল করতে বলেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় বিজিবির ১০১তম রিক্রুট ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিদ্রোহী দলের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে। মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ও বিদ্রোহী দলের মধ্যে নাফ নদীর তীরবর্তী এলাকায় তুমুল যুদ্ধ চলছে। যখন একটি-দুটি দলের মধ্যে যুদ্ধ চলে তখন এর পাশাপাশি এদিক-ওদিক গোলাগুলি হতে পারে। কিছু গোলা এদিক-ওদিক গেছে, কিছু ট্রলারে গেছে। আমরা মিয়ানমারের দুই পক্ষকে জানিয়েছি, আমাদের ট্রলারে পরবর্তীতে যেন কোনো (গুলির) ঘটনা না ঘটে।

তিনি আরও বলেন, আমরা নিশ্চিত করছি, সেন্টমার্টিন যেসব ট্রলার যাবে, সেসব ট্রলার যেন বাংলাদেশের পতাকা উঁচু করে চলাচল করে। সেক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা হবে না।

মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, যেকোনো মূল্যে দেশের অখণ্ডতা রক্ষা এবং সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষার জন্য বিজিবি বদ্ধপরিকর। সেন্টমার্টিন নিয়ে অপপ্রচার করার চেষ্টা করছে অনেকেই। সেগুলোতে কান দেওয়া যাবে না।

Advertisement

সাবধানতা অবলম্বন করে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিকল্প পথে কক্সবাজার থেকে জাহাজ, ট্রলার গমনাগমন করছে। শুধুমাত্র ঝুঁকিপূর্ণ যে এলাকা, ওই এলাকা বাদ দিয়ে চলাচলের জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপর থেকে আর কোনো গোলাগুলি হয়নি বলেও জানান বিজিবি মহাপরিচালক।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

মেট্রোরেলে প্রতিদিন ৩ লাখ মানুষ যাতায়াত করছেন: কাদের

Published

on

ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জনসাধারণ নিরাপদে স্বাচ্ছন্দ্যে ও স্বল্প সময়ে মেট্রোরেলে যাতায়াতের সুফল ভোগ করছে। চালু হওয়ার পর থেকে মেট্রোরেলের জনপ্রিয়তা প্রতিনিয়ত বেড়ে চলেছে। এখন মেট্রোরেলে প্রতিদিন তিন লাখ মানুষ যাতায়াত করছেন। বলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নোত্তরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

রাজধানীতে বাস রুট রেশনালাইজেশন সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাস রুট রেশনালাইজেশনের (পুনর্বিন্যাস) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে ভিন্ন ভিন্ন রঙের নয়টি ক্লাস্টার, ২২টি কোম্পানি ও ৪২টি রুটের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। এর মাঝে ছয়টি ক্লাস্টার নগর পরিবহন ও তিনটি ক্লাস্টার শহরতলী পরিবহন। ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঘাটার চর-কাঁচপুর রুটে পরীক্ষামূলক ঢাকা নগর পরিবহন উদ্বোধন করা হয়। ওই সেবায় বিআরটিসির ৩০টি বাস চলছে। পরবর্তীতে ২০২২ সালের অক্টোবরে ঘাটারচর-স্টাফ কোয়ার্টার ও ঘাটারচর-কমদতলী থানা রুটে নগর পরিবহন চালু করা হয়।

সড়কে শৃঙ্খলা আনতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার জনসাধারণ নিরাপদে স্বাচ্ছন্দ্যে ও স্বল্প সময়ে মেট্রোরেলে যাতায়াতের সুফল ভোগ করছে। প্রতিদিন তিন লাখ মানুষ মেট্রোরেলে যাতায়াত করছেন।

সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের এক লিখিত প্রশ্নোত্তরে সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে চলতি বছরের ১৯ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন যানবাহন থেকে মোট ১ হাজার ৬৩১ কোটি ৮৬ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।

Advertisement

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নোত্তরে সেতুমন্ত্রী বলেন, এক বছরে জুলাই থেকে চলতি মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত দেশের তিনটি সেতু (যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতু, ধলেশ্বরী নদীর ওপর মুক্তারপুর সেতু এবং পদ্মা সেতু) থেকে টোল আদায় হয়েছে মোট এক হাজার ৪৭২ কোটি ৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে পদ্মা সেতু থেকে ৮১১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা, বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে ৬৪৮ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু ১১ কোটি ৬১ লাখ টাকা।

নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে দেশে ছোট-বড় ৪ হাজার ১৬৬টি সেতু রয়েছে। সেতুগুলো রক্ষণাবেক্ষণে ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত ১ হাজার ৯১৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। চলতি অর্থবছরে সেতুগুলো রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ৩৫৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

বিআরটি প্রকল্পের আওতায় গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট এলাকা যানজটমুক্ত এবং সুশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় আনতে ছয়টি স্থানে সাতটি ফ্লাইওভার উন্মুক্ত করা হয়েছে। গাজীপুরের চৌরাস্তায় আরেকটি ফ্লাইওভার আগামী আগস্ট নাগাদ শেষ হবে। গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত বিআরটি প্রকল্পটি পুরোপুরি শেষ হলে এই সড়কে ট্রাফিকের চাপ কমবে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সব হাসপাতালেই রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম আছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Published

on

রাসেলস ভাইপারের অ্যান্টিভেনম বাংলাদেশের প্রত্যেক হাসপাতালেই আছে। হাসপাতালে ভ্যাকসিন নেই, সাপের কামড়ে রোগী মারা গেছে—দয়া করে এমন সব ভুল তথ্য সাধারণ মানুষের মাঝে কেউ দেবেন না। ভুল তথ্য দিলে মানুষ আতঙ্কিত হয়। বললেন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে  এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সারাদেশে ডাক্তার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মী,বিশেষজ্ঞরা এমনভাবে কাজ করছেন। এতে তিনি মনে করেন, দেশের মানুষের রাসেলস ভাইপারের আতঙ্ক একদিন চলে যাবে। সবাই একসাথে সচেতন হলে  বর্তমানে যে সংকট চলছে তা থেকে উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,  চিকিৎসকদের কাছে সাপেকাটা রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে। তবে তাদের কাছে রোগী যথাসময়ে আনতে হবে। সেটা তো আর চিকিৎসকরা পারবে না। কিন্তু এই যে যত দ্রুত নিয়ে আসা যায় তাহলে কিন্তু চিকিৎসকরা রোগীকে বাঁচাতে পারেন।

সেমিনারে বৈজ্ঞানিক সেশনে বক্তা হিসেবে রাসেলস ভাইপার সাপ এবং অ্যান্টিভেনম নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আবু রেজা, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবু শাহীন মো. মাহবুবুর রহমান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ডা. অনিরুদ্ধ ঘোষ।

Advertisement

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন আয়োজিত ‘রাসেলস ভাইপার : ভয় বনাম ফ্যাক্ট’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি  ডা. মো. টিটু। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নূরুল হকসহ প্রমুখ।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত