আইন-বিচার
স্ত্রীর মামলায় সদ্য নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান কারাগারে
স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান জেলা জাতীয় পার্টির নেতা মাকসুদ হোসেনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়দা জজ (বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ২) আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা এ আদেশ দেন।
এর আগে উচ্চ আদালতের ৮ সপ্তাহের জামিন শেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন জামিনের আবেদন করেন তিনি।
মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে মাকসুদ হোসেনের দ্বিতীয় স্ত্রী সুলতানা বেগম ২৪ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইবুনাল আদালতে তাকে আসামি করে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ২৪ এপ্রিল বন্দর থানায় যৌতুকের জন্য মারধরের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী সুলতানা বেগম।
২৫ এপ্রিল বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমান এবং বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চ মাকসুদের আট সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার আবেদনে সুলতানা বেগম উল্লেখ করেন, প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে ১৯৯৮ সালের ৭ জুলাই সুলতানা বেগমকে বিয়ে করেন মাকসুদ। বিয়ের সময় সুলতানার পরিবার মাকসুদের হাতে নগদ ৭ ভরি স্বর্ণালংকার তুলে দেয়। বিয়ের পরে সুলতানাকে নিয়ে একটি ভাড়া করা বাসায় উঠেন মাকসুদ। এর দুই বছরের মাথায় তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। যার নাম ইসরাত জাহান শ্রাবন্তী। একপর্যায়ে সুলতানা টের পান, মাকসুদ একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়াতে লিপ্ত। এসব নিয়ে মাকসুদকে প্রশ্ন করেন ও মাকসুদের বাবার বাড়িতে তুলে নেয়ার দাবি জানান সুলতানা। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে তুলে নেওয়ার শর্ত হিসেবে মাকসুদ সুলতানাকে তার আবার উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি বিক্রি করে সেই টাকা মাকসুদের হাতে তুলে দেওয়ার চাপ দিতে থাকেন।
সুলতানা আরও উল্লেখ করেন, একপর্যায়ে মাকসুদ স্ত্রী-কন্যাকে সুলতানার বাবার বাড়িতে ফেলে রেখে চলে যান ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। অনেক চেষ্টার পরে ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর মাকসুদকে তার মেয়ের অসুস্থতার খবর পাঠিয়ে আসার অনুরোধ করলে তিনি শ্বশুরবাড়িতে এসে ফের সুলতানার উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পত্তি বিক্রির চাপ দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে সুলতানা ওই মাসের ১৪ অক্টোবর যৌতুক নিরোধ আইনে মাকসুদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
কিন্তু এই মামলায় জামিনে কারামুক্ত হয়ে গেলো ২১ এপ্রিল মাকসুদ তার কয়েকজন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে রাত ১১টার দিকে সুলতানার পৈতৃক বাড়িতে আসেন ও মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধমকি দেন। সেইসঙ্গে উত্তরাধিকার সূত্রে সুলতানার পাওয়া সম্পতি বিক্রি করে সেই টাকা ব্যবসার জন্য মাকসুদকে তুলে দিতে বলেন। মাকসুদের কথামতো সুলতানা রাজি হলেই তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে তুলে নেওয়া হবে বলেও প্রলোভন দেখান। কিন্তু এসব শর্তে সুলতানা রাজি না হওয়ায় মাকসুদ সুলতানাকে খুন করার উদ্দেশে তেড়ে আসেন। সুলতানার বাবা বাধা দিলে তাকেও লাথি দেন মাকসুদ। মাকসুদ-সুলতানার কন্যা শ্রাবন্তী মাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকেও জখম করেন মাকসুদ। পরে সুলতানাকে বেদম মারধর করেন মাকসুদ। এই বিষয়ে আবার মামলা করলে ও যৌতুক না দিলে সুলতানাকে মেরে মাটিতে পুঁতে ফেলার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন মাকসুদ।
জেএইচ
আইন-বিচার
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমান ও তার স্ত্রী তহুরা বেগমের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের তেঁতুলিয়া শাখার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৭ জুন) বিকেলে পঞ্চগড় সিনিয়র স্পেশাল জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. গোলাম ফারুক এ আদেশ দেন।
গেলো ১ ফেব্রুয়ারি আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন। পরবর্তীতে আয়কর আইনে কাজী মাহমুদুর রহমানের আয়কর ফাইল প্রাপ্ত হন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু ২০২০ সালে দাখিল কৃত সম্পদের হিসাবে ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫২ টাকার সম্পদের হিসাব গোপন করেছেন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৭৯ লাখ ৭২ হাজার ৫৫ টাকার সম্পদ ভোগ দখল করছেন। গেলো ১২ জুন এসব সম্পদের দলিল ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদন করেন মামলার বাদী।
পঞ্চগড় জেলা জজ কোর্টের দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, আদালতে গেলো ১ ফেব্রুয়ারি মামলার পর গেলো ১৩ এপ্রিল মামলার শুনানিতে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে কাজী মাহমুদুর রহমানের ১৬টি এবং তার স্ত্রীর নামে ১টি দলিল ক্রোক এবং একটি ব্যাংক একাউন্ট অবরুদ্ধের আদেশ দেন।
এএম/
আইন-বিচার
এনবিআর সচিব ফয়সালের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
দুর্নীতির মামলায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের সব সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষ থেকে করা আবেদনে বলা হয়, এনবিআর সচিব ও তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন এর নামে জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পে মোট দুই কোটি ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে ৫ কাঠার প্লট ক্রয় করেছিলেন। অনুসন্ধান চলাকালেই জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পের প্লট বিক্রয় করেছেন। দুদকের অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অপরাধলব্ধ সম্পদ বিক্রি করার চেষ্টা করছেন মর্মে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়।
অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত বর্ণিত সম্পদ/সম্পত্তির বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাই ফয়সাল ও তাঁর স্ত্রী এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের নামে নিম্নবর্ণিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর, বিক্রয় বা মালিকানাসত্ব বদল রোধের নিমিত্ত ব্যাংক হিসাব, ব্যাংকে রক্ষিত সঞ্চয়পত্র ও নন ব্যাংকিং ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানের আমানত থেকে অর্থ উত্তোলন অবরুদ্ধ এবং স্থাবর সম্পদ জব্দ করা একান্ত প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সংস্থাটির আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
আই/এ
আইন-বিচার
বেনজীর দম্পতির আটটি ফ্ল্যাট ও ২৫ একর ২৭ কাঠা জমির তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা আটটি ফ্ল্যাট এবং ২৫ একর ২৭ কাঠা জমি তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিয়েছেন আদালত। এই ফ্ল্যাটগুলো ঢাকার বাড্ডা ও আদাবরে এবং জমি নারায়ণগঞ্জ, বান্দরবান ও উত্তরায়।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এ বিষয়ে দুদকের এক আবেদনের শুনানি করে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। এ তথ্য গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বাড্ডা ও আদাবরে থাকা আটটি ফ্ল্যাট রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ২৪ কাঠা জমি, বান্দরবানে ২৫ একর ও উত্তরায় তিন কাঠা জমির তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ফ্ল্যাট ও জমি দেখভালে কোন সংস্থাকে তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দেয়া হয়েছে আদালতের পূর্ণাঙ্গ আদেশ পাওয়ার পর তা জানা যাবে।
এর আগে, গত ৬ জুন বেনজীর আহমেদের আরও সম্পত্তির তত্ত্বাবধায়ক (রিসিভার) নিয়োগের আদেশ দেন আদালত। তার আগে দুই দফায় বেনজীর ও তার পরিবারের নামে গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানির শেয়ার, গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট ক্রোকের আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
এ ছাড়া ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৩৩টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি বিও হিসাব (শেয়ার ব্যবসার বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট) অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার এসব সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তত্ত্বাবধায়কও নিয়োগ দেন আদালত।
এর আগে বেনজীরের পরিবারের সদস্যদের এসব সম্পদের মধ্যে গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট রক্ষণাবেক্ষণ ও দেখভালে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দায়িত্ব দিয়েছিলেন আদালত। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে তাদের যেসব কৃষিজমি রয়েছে, সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেয়া হয় জেলা দুটির কৃষি কর্মকর্তাদের। একই সঙ্গে মৎস্য ও প্রাণীর খামার দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয় জেলার প্রাণিসম্পদবিষয়ক কর্মকর্তাদের।
প্রসঙ্গত, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর তার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তিনি ২০২০ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক(আইজিপি)ছিলেন। ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ও র্যাবের মহাপরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
এএম/
- আবহাওয়া1 day ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
- টুকিটাকি11 hours ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
- অপরাধ1 day ago
ট্রেনের খাবার বগিতে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
- আন্তর্জাতিক6 hours ago
এক ঘণ্টায় সাড়ে ৪৮ কোটি টাকা জিতলেন জুয়াড়ি, অতপর…
- ঢালিউড1 day ago
দোয়া চাইলেন সংগীতশিল্পী হায়দার হোসেন
- টুকিটাকি1 day ago
যমজ কন্যা হওয়ায় সন্তানদের খুন করলেন বাবা!
- জাতীয়13 hours ago
অভিযানের কথা শুনেই গরু সরিয়ে নিলো সাদিক অ্যাগ্রো
- আইন-বিচার1 day ago
পাহাড়ের নিচে যেভাবে আত্মগোপনে ছিলেন আনার হত্যার আসামিরা