আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগের গৌরবোজ্জ্বল পথচলার ৭৫ বছর
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/আওয়ামী-লীগ.jpg)
মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ রোববার (২৩ জুন)।
এদেশের বৃহত্তম ও সর্ব প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ উদযাপন করছে। গেলো সাড়ে সাত দশক ধরে আওয়ামী লীগের পথচলা ছিল গৌরবোজ্জ্বল। দীর্ঘ এই পথচলায় সংগঠনটি বাঙালি জাতির অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সকল প্রতিবন্ধকতা জয় করে সফলতার মুকুটে সংযুক্ত করেছে একের পর এক পালক। পৃথিবীর খুব কম সংগঠন আছে যারা ধারাবাহিক সাফল্য নিয়ে ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন করার সৌভাগ্য অর্জন করেছে। অনুরূপভাবে গৌরব, সাফল্য ও অর্জনের সঙ্গে আওয়ামী লীগ তার প্রতিষ্ঠার রজতজয়ন্তী ও সুবর্ণ জয়ন্তী পালনের বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী। দিবসটি উপলক্ষে দলটির পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরনো ঢাকার ঐতিহ্যবাহী রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে এই রাজনৈতিক দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে আটক ছিলেন। তাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। কেন্দ্রীয়ভাবে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ করা হলেও পরবর্তী সময়ে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আদর্শের অধিকতর প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এর নাম ‘আওয়ামী লীগ’ করা হয়।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগের কাউন্সিলে দলের নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়। আর ‘পূর্ব পাকিস্তান’ শব্দ দুইটি বাদ পড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে। বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে প্রবাসী সরকারের সব কাগজপত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাম ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭০ সাল থেকে এই দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা। পরবর্তী সময়ে দেশের অন্যতম প্রাচীন এই সংগঠনটি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে এদেশের গণমানুষের সংগঠনে পরিণত হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বের জন্যই আওয়ামী লীগকে ’৭০-এর নির্বাচনে পূর্ব-বাংলার মানুষ তাদের মুক্তির ম্যান্ডেট দিয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই ভূখন্ডে প্রতিটি প্রাপ্তি ও অর্জন সবই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই হয়েছে। মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষা থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাঙালির অর্জন এবং বাংলাদেশের সকল উন্নয়নের মূলেই রয়েছে আওয়ামী লীগ।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ এবং বিশিষ্টজনরাও মনে করেন, আওয়ামী লীগের অর্জন পাকিস্তান আমলের গণতান্ত্রিক অর্জন। এই দলের অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। জাতির জন্য যখন যা প্রয়োজন মনে করেছে, সেটি বাস্তবায়ন করেছে দলটি। ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, সব আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশ গঠনে সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করেছে আওয়ামী লীগ। স্বাধীনতার পর থেকে দেশ বিরোধীদের ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধ্বংস্তুপ থেকে উঠে এসে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে।
আওয়ামী লীগ দেশের অন্যতম পুরনো, অসাম্প্রদায়িক, সর্ববৃহৎ ও বাঙালির জাতীয় মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল। আর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার কাজ প্রথম শুরু করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরআগে বঙ্গবন্ধু শুরুতেই পাকিস্তানে একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল গঠনের কথা ভাবছিলেন। তিনি মনে করতেন পাকিস্তান হয়ে যাওয়ার পর সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের আর দরকার নাই। একটা অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হবে, যার একটা সুষ্ঠু ম্যানিফেস্টো থাকবে।
এই ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু তাঁর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে লিখেন, ‘আমি মনে করেছিলাম, পাকিস্তান হয়ে গেছে সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের দরকার নাই। একটা অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হবে। যার একটা সুষ্ঠু ম্যানিফেস্টো থাকবে। ভাবলাম, সময় এখনও আসে নাই। তাই যারা বাইরে আছেন তারা চিন্তাভাবনা করেই করেছেন।’
৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, আইয়ুবের সামরিক শাসন-বিরোধী আন্দোলন, ’৬৪-এর দাঙ্গার পর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা, ’৬৬-এর ছয় দফা আন্দোলন ও ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পথ বেয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের ২৪ বছরের আপোষহীন সংগ্রাম-লড়াই এবং ১৯৭১ সালের নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ তথা সশস্ত্র জনযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালির হাজার বছরের লালিত স্বপ্নের ফসল স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা হলেও দীর্ঘ একুশ বছর লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জয়ী হয়ে ২৩ জুন দলটি ক্ষমতায় ফিরে আসে। পরবর্তীতে বিএনপি-জায়ামাত জোট সরকারের অপশাসন, দমন পীড়নের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগ ‘দিন বদলের সনদ’ ঘোষণা দিয়ে ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে পুনরায় বিজয় অর্জন করে এবং সেই থেকে টানা ৪ বার নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে। আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করেছে। ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছে এবং রায়ও কার্যকর করা হচ্ছে। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও গেলো ১৫ বছরে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন সাধন করে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়নের সুফল প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে।
১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। দীর্ঘ ৬ বছরের নির্বাসন শেষে ১৯৮১ সালের ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নব উদ্যোমে সংগঠিত হয়। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতির হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের এক নবতর সংগ্রামের পথে যাত্রা শুরু করে আওয়ামী লীগ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরে শেখ হাসিনা গেলো ৪ দশকেরও বেশি সময় ধরে এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্ব এই দলের নেতাকর্মীদের প্রেরণার উৎস এবং তা সংগঠনকে করেছে সমৃদ্ধ। শেখ হাসিনার আপসহীন, সুদক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্বৈরতন্ত্রের চৌহদ্দি পেরিয়ে গণতন্ত্রের স্বাদ পেয়েছিল বাংলার জনগণ। কালের বিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আজ ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বাপ্নিক অভিযাত্রী আওয়ামী লীগ।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথপরিক্রমায় অনেক অশ্রু, ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি ফিরে পায় ‘ভাত ও ভোটের অধিকার’; দীর্ঘ স্বৈরশাসনের অবসানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা, রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে ও সুদক্ষ রাষ্ট্র পরিচালনায় সুশাসন, স্থিতিশীল অর্থনীতি, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, উন্নয়নে গতিশীলতা, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষার প্রসার, স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতকরণ, কর্মসংস্থান, বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী, খাদ্য নিরাপত্তা, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যুগান্তকারী উন্নয়নের ফলে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের ইতিহাস, বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল অর্জন ও সংগ্রামের ইতিহাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ বাঙালি জাতির যা কিছু শ্রেষ্ঠ অর্জন, তার মূলে রয়েছে জনগণের এই প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব। জন্মলগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস জনগণ, শক্তির উৎস সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
আওয়ামী লীগের শুভ জন্মদিন ঐতিহাসিক ২৩ জুন অঙ্কুরিত হয়েছিল ‘স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার স্বপ্নসূত্র’। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মী এবং সমর্থকরা শত প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগকে আজ মজবুত ভিত্তির উপর দাঁড় করিয়েছে।
আওয়ামী লীগের লক্ষ্য-দেশকে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ এবং বাঙালি জাতিকে বিশ্বের বুকে একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। ৭৫ বছরে দেশ আজ উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং সাফল্যের জয়গানে মুখরিত। অপ্রতিরোধ্য আওয়ামী লীগ কেবল অতীত বর্তমান নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের নির্মাতা।
২৩ জুন ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী (প্লাটিনাম জয়ন্তী) উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগ ইতোমধ্যে ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এবং ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্য রয়েছে, রোববার সূর্য উদয় ক্ষণে কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন।
সকাল ৭ টায় ধানমন্ডি বত্রিশ নম্বরস্থ ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন।
এছাড়াও সকাল সাড়ে ১০টায় টুঙ্গিপাড়ায় চিরনিদ্রায় শায়িত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সমাধিতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি প্রতিনিধি দল শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হবে। এরপর দুপুর ২ টা ৩০মিনিটে আলোচনা সভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন।
জেএইচ
আওয়ামী লীগ
বেসরকারি হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের দায় নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-1-112.gif)
ইউনাইটেড হাসপাতাল সরকারি নয়, বেসরকারি। সেখানে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কোনো দায় নেই। তারা যদি অ্যাম্বুলেন্স, ইঞ্জেকশন না দিয়ে থাকে সে বিষয়ে তারাই বলতে পারবে। সম্প্রতি খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর সরকারের ওপর বিষেদগারের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দুটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই, সেটি একটি প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটানে চলাচল সম্পর্কে তিনি বলেন, ভারতের ওপর দিয়ে বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করেছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সদ্যসমাপ্ত ভারত সফরে সে দেশের ওপর দিয়ে নেপাল ও ভুটানে মালামাল পরিবহনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে ড. সুবল রোজারিও প্রণীত গবেষণাগ্রন্থ ‘হায়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ’ এবং নাট্যব্যক্তিত্ব জুয়েল কবির রচিত ‘আমি প্রীতিলতা’ নাট্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আই/এ
আওয়ামী লীগ
ইসিতে হিসাব : আওয়ামী লীগের আয়-ব্যয় দুটোই বেড়েছে
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/আলীগ.jpg)
বিগত অর্থবছরের তুলনায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের আয়-ব্যয় দুটোই বেড়েছে। ২০২৩ সালে আওয়ামী লীগের দলীয় আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় ১৬ কোটি ৪৩ লাখ ৯ হাজার ২৩২ টাকা বেশি। একই বছর দলটি ব্যয়ও বেড়েছে। বিগত বছরের তুলনায় যা ২ কোটি ৫১ হাজার ৪২১ টাকা বেশি। দলটির ব্যাংক হিসাবে শতকোটি টাকা উদ্বৃত্ত রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে কমিশনের সচিব শফিউল আজিমের কাছে দলটির আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেয় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল। পরে দলটির কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান সাংবাদিকের বিস্তারিত জানান।
আশিকুর রহমান বলেন, বিধি মোতাবেক প্রতিবছর হিসাব বিবরণী দাখিল করতে হয়। এই বিবরণী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে দিতে হয়। আমরা আগেই দিলাম।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালে জানুয়ারি মাসে আওয়ামী লীগের ব্যাংকে ৭৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা জমা ছিল। আয় হয়েছে ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। মাসিক চাঁদা, সদস্যরা চাঁদা দেন। যার পরিমাণ ১ কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। অনুদান প্রাপ্তি (মেঘনা ব্যাংক পিএলসি) ১ কোটি ১ লাখ টাকা। নমিনেশন ফরম বিক্রয় (৩৩৬৫ জন) ১৬ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ফরম বিক্রয় (অন্যান্য) ২ কোটি ২৯ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ভাড়া (২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ) ১৫ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ব্যাংক সুদ ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। অন্যান্য (উত্তরণ, বিদ্যুৎ বিল) ৩৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা। যার মাধ্যমে দলটি ২৭ কোটি ১৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা আয় করেছে।
তিনি আরও বলেন, ৯ কোটি ৮৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা দলটির ব্যয় হয়েছে। ব্যয় হচ্ছে বেতন। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নানারকম খরচ। পোস্টার ছাপানো। মানুষকে অনুদান। সাহায্য সহযোগিতা যা আমরা করে থাকি। বছরের শুরুতে যে জমা টাকা আছে পাশাপাশি এ বছরের উদ্বৃত্ত ১৭ কোটি ২৭ লাখ ৯ হাজার টাকা; এ দুটো যোগ করলে ৯০ কোটি ৫০ লাখ ৩১ হাজার টাকা হয়।
দলটির কোষাধাক্ষ্য বলেন, এখন আমরা ১০০ কোটি ক্রস করে গেছি। অন্য দলের খরচ যদি হয় দশটাকা। আমাদের খরচ হয় দুই টাকা। কর্মীরা পকেট থেকে খরচ করে। কারণ আমরা ত্যাগ ও আদর্শের রাজনীতি করি।
জেএইচ
আওয়ামী লীগ
রাজনীতিবিদদের আয়নায় নিজের চেহারা দেখতে বললেন কাদের
![ওবায়দুল-কাদের](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/ওবায়দুল-কাদের-4.jpg)
আমলাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে কথা বলার আগে রাজনীতিবিদদের আয়নায় নিজের চেহারা দেখার আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি মনে করেন শুধু আমলারা নয়, রাজনীতিবিদরাও দুর্নীতি করেন।
বুধবার (২৬ জুন) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিআরটিসির বিমানবন্দর শাটল বাস সার্ভিস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বেই দুর্নীতি আছে। বাংলাদেশেও দুর্নীতি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। দুর্নীতি শুধু আমলারা করে রাজনীতিবিদরা করে না, সেটা নয়। যখন আমরা কথা বলি তখন আয়নায় নিজেদের চেহারাও দেখা উচিত যে, আমি একজন পলিটিশিয়ান দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছি, কিন্তু আমাদের মধ্যেও তো করাপশন রয়েছে।’
দুর্নীতির তদন্ত করার অধিকার আছে দুদকের এবং সে স্বাধীনতায় সরকার হস্তক্ষেপ করেনি জানিয়ে সরকারি দলের এই মুখপাত্র বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স, কেউ দুর্নীতি করে ছাড় পাবে না।
এর আগে ফিতা কেটে বিআরটিসি বিমানবন্দর শাটল সার্ভিসের বাস উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ সময় শাটল বাস সার্ভিস চালু প্রসঙ্গে বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, রেমিট্যান্স যোদ্ধারা বিদেশ থেকে অনেকেই এসে বিপাকে পড়েন লাগেজ নিয়ে। গাড়ি পান না তারা। আমরা যে বাস সার্ভিস দিয়েছি এখানে ৪০-৫০ কেজির লাগেজ নিয়ে উঠতে পারবেন। এই গাড়িগুলো এয়ারপোর্টেই থাকবে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান বলেন, সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, আমরা এখন নিজেদের কারখানায়ই এসব গাড়ি প্রস্তুত করছি। অদূর ভবিষ্যতে আর আমাদের গাড়ি আমদানি করতে হবে না। আমরা নিজেরাই উৎপাদন করতে পারব।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপটেন মো. কামরুল ইসলাম প্রমুখ।
- আবহাওয়া2 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
- টুকিটাকি18 hours ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
- অপরাধ1 day ago
ট্রেনের খাবার বগিতে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩
- আন্তর্জাতিক12 hours ago
এক ঘণ্টায় সাড়ে ৪৮ কোটি টাকা জিতলেন জুয়াড়ি, অতপর…
- ঢালিউড1 day ago
দোয়া চাইলেন সংগীতশিল্পী হায়দার হোসেন
- জাতীয়19 hours ago
অভিযানের কথা শুনেই গরু সরিয়ে নিলো সাদিক অ্যাগ্রো
- টুকিটাকি2 days ago
যমজ কন্যা হওয়ায় সন্তানদের খুন করলেন বাবা!
- রংপুর13 hours ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা