Connect with us

বাংলাদেশ

যে ছয়টি কারণে এবার হজে এতো মানুষ মারা গেছে

Avatar of author

Published

on

হজে

প্রতি বছর লাখ লাখ মুসলমান সৌদি আরবে হজ পালন করতে যান। তবে এবছরটা বাড়তি শোকাবহ হয়ে উঠেছে বহু মুসল্লির মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে। এবারের হজযাত্রায় বিভিন্ন দেশের কমপক্ষে ৯২২ জন হাজির মৃত্যু হয়েছে, যার বেশির ভাগের পেছনে রয়েছে তীব্র গরম। জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

বুধবার (১৯ জুন) আর্থিক ও শারীরিকভাবে সক্ষম মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় বাধ্যবাধকতার এই যাত্রা শেষ হয়েছে।

যদিও এবছর হজ মৌসুমে স্বাস্থ্য পরিকল্পনার সাফল্যের দিক তুলে ধরেছে সৌদি আরব। “বড় সংখ্যক হজযাত্রী এবং উচ্চ তাপমাত্রার কারণে চ্যালেঞ্জ হলেও হজ মৌসুমে কোনো ধরণের জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত ঝুঁকিমুক্ত” বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন সৌদি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহাদ আল-জাল্লায়েল।

সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বছর প্রায় ১৮ লাখ ৩০ হাজারের মতো হাজী এই তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছেন যার মধ্যে ১৬ লাখই এসেছিলেন বিদেশ থেকে।

এই বছরের হজে এতো বেশি মৃত্যুর কারণ হলো :

Advertisement

চরম তাপে উত্তপ্ত পরিস্থিতি

এবার সৌদি আরবে তাপমাত্রা ছায়ার মধ্যেই ৫১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত ছিল। এই পরিস্থিতিকেই একটা বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় উচ্চতাপ ও পানিশূন্যতা এড়াতে সতর্কতা জারি করলেও অনেক হাজি তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা এবং হিটস্ট্রোকের শিকার হয়েছেন।

দুই ডজনের বেশি দেশ থেকে মানুষ হজ পালন আসা মানুষের মধ্যে সর্বাধিক মৃত্যু হয়েছে মিশরীয়দের। একজন আরব কূটনীতিক জানান, মিশরের যে ৬৫৮ জন ব্যক্তির মৃত্যুর কথা বলা হচ্ছে তার প্রায় সবই চরম তাপের কারণে হয়েছে। এই হাজিদের অনেকেরই যথাযথ হজ পারমিট ছিল না, যার ফলে তাদের ক্ষেত্রে হাজিদের জন্য নির্ধারিত সহযোগিতা বা সুযোগ-সুবিধার ঘাটতি ছিল।

নাইজেরিয়ান হাজি আইশা ইদ্রিস বলছেন, ‘শুধু আল্লাহর রহমতে আমি বেঁচে গেছি, কারণ সেখানে অত্যধিক গরম ছিল। তারা কাবার সব দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল, আমাদের ছাদ ব্যবহার করতে হয়েছিল, সেখানে প্রচণ্ড তাপে যেন জ্বলছিল।’

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে ছাতা ব্যবহার করতে হয়েছিল এবং ক্রমাগত জমজম পানি (পবিত্র পানি) দিয়ে নিজেকে ভিজিয়ে রাখতে হয়েছিল। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল আমি অজ্ঞান হয়ে যাবো, তখন আমাকে ছাতা দিয়ে একজনের সাহায্য করতে হয়েছিল। আমি ভাবিনি যে তাপ এতো তীব্র হবে।’

এমন তাপের সঙ্গে অভ্যস্ত না থাকা, কঠিন ধরণের শারীরিক কাজকর্ম, বিস্তীর্ণ খোলা জায়গা এবং হাজিদের অনেকে বয়স্ক বা অসুস্থ থাকায় হাজিদের জন্য ঝুঁকি থাকেই।

হজের সময় গরমের কারণে মৃত্যুর ঘটনা নতুন নয় এবং ১৪০০ সাল থেকে মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত করা হচ্ছে।

গেলো বছরও গরমের কারণে কোনো না কোনোভাবে আক্রান্ত হওয়ার ২০০০ ঘটনার তথ্য দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন যে বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে সামনে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

Advertisement

ক্লাইমেট অ্যানালিটিক্সের কার্ল-ফ্রেডরিচ শ্লেউসনার রয়টার্স নিউজ এজেন্সিকে বিশ্বের তাপমাত্রার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তার গবেষণা অনুযায়ী শিল্প বিপ্লবের আগের সময়ের তুলনায় বিশ্বের তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি বাড়লে হজের সময় হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি পাঁচ গুণ বেড়ে যেতে পারে।

বর্তমান পূর্বাভাস অনুযায়ী পৃথিবীর উষ্ণতা ২০৩০ এর দশকের মধ্যে ১.৫ ডিগ্রি বেড়ে যাবে যা ভবিষ্যতে হজযাত্রীদের আরও চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে।

অতিরিক্ত ভিড় এবং পরিচ্ছন্নতাজনিত সমস্যা

বিভিন্ন মানুষের বয়ান থেকে জানা গেছে সৌদি কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে চরম পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে, যার ফলে হজযাত্রীদের জন্য নির্ধারিত অনেক এলাকায় বিভিন্ন সংকট দেখা গেছে।

অনেকে বলছেন থাকার জায়গা বা সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থাপনার দিক দিয়ে ভালো ছিল না, ফলে তাঁবুগুলোতে অতিরিক্ত ভিড় এবং পরিচ্ছন্নতা সংক্রান্ত সুবিধার ঘাটতি ছিল।

Advertisement

ইসলামাবাদ থেকে আসা ৩৮ বছর বয়সী আমিনা (ছদ্মনাম) বলেন, “মক্কার তাপে আমাদের তাঁবুগুলিতে কোনো এয়ার কন্ডিশনার ছিল না। যে কুলারগুলি বসানো হয়েছিল তাতে বেশিরভাগ সময় পানি ছিল না।”

কিছু হাজি অভিযোগ করেছেন যে কিছু তাঁবুতে শীতলীকরণ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত ছিল না।

তিনি আরও যোগ করেন,”এই তাঁবুগুলি এতটা শ্বাসরুদ্ধকর ছিল যে আমরা ঘেমে ভিজে যাচ্ছিলাম এবং এটি একটি ভয়ানক অভিজ্ঞতা ছিল।”

পরিবহন সমস্যা

প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই হাজিরা প্রায়শই দীর্ঘ পথ হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন। এজন্য অনেকে বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা আটকে দেয়া এবং খারাপ পরিবহন ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন।

Advertisement

একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাকিস্তানি হাজি বলেন, “আমাদের সাত কিলোমিটার দীর্ঘ পথে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যেখানে কোনো পানি এবং ছায়া ছিল না। পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে আমাদের অপ্রয়োজনীয়ভাবে দীর্ঘ দূরত্ব হাঁটতে বাধ্য করেছে।”

তার মতে, সৌদি সরকারি যানবাহন পাওয়া গেলেও গরমের কারণে অসুস্থ ও অজ্ঞান হয়ে পড়া তীর্থযাত্রীদের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, “ক্যাম্পে মানুষকে মুরগি বা খামারের পশুর মতো রাখা হয়েছিল, দুই বিছানার মাঝে দিয়ে যাওয়ার মতো জায়গা ছিল না, এবং কয়েকটি টয়লেট শত শত মানুষের জন্য যথেষ্ট ছিল না।”

যদিও একটি বেসরকারি দলের হজ সংগঠক মুহাম্মদ আচা অব্যবস্থাপনার বিষয়ে একমত।

তিনি বলেন, “এটি আমার ১৮তম হজ, এবং আমার অভিজ্ঞতায়, সৌদি নিয়ন্ত্রকরা সাহায্যকারী নয়। তারা নিয়ন্ত্রণ করে, কিন্তু তারা সাহায্য করে না।”

Advertisement

আচার বলেন, গ্রীষ্মকালে, একজন সাধারণ হাজিকে দিনে কমপক্ষে ১৫ কিলোমিটার হাঁটতে হতে পারে। এতে তাদের হিটস্ট্রোক, ক্লান্তি এবং পানির সংকটে ভোগার ঝুঁকি রয়েছে।

তিনি বলেন, “আগেকার বছরগুলিতে তাঁবুতে প্রবেশের জন্য ইউ-টার্নগুলি খোলা ছিল, কিন্তু এখন সেই সমস্ত রুট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে একজন সাধারণ হাজী, যদি ‘এক নম্বর জোনের ‘এ’ ক্যাটাগরি তাঁবুতে থাকলেও তাকে তাঁবু পর্যন্ত পৌঁছাতেই গরমের মধ্যে কমপক্ষে আড়াই কিলোমিটার হাঁটতে হয়।”

আচা যোগ করেন, “যদি এই রুটে কোনও জরুরি পরিস্থিতিও ঘটে, তাহলে ৩০ মিনিটের মধ্যে কেউ আপনার কাছে পৌঁছাবে না। জীবন বাঁচানোর কোনও ব্যবস্থা নেই, এমনকি পথে পানির পয়েন্টও নেই।”

বিলম্বিত চিকিৎসা সহায়তা

অনেকে বলছেন যারা তীব্র গরমে ক্লান্তি বা অন্যান্য স্বাস্থ্যসমস্যায় ভুগেছেন তাদের জন্য অ্যাম্বুলেন্স বা প্রাথমিক চিকিৎসা সহজে পাওয়ার উপায় ছিল না।

Advertisement

আমিনা বর্ণনা করছিলেন, একজন সহযাত্রীর ক্লাস্ট্রোফোবিয়ার বা শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে অক্সিজেন প্রয়োজন ছিল, তখন তাদের মরিয়া অনুরোধ সত্ত্বেও অ্যাম্বুলেন্স আসতে ২৫ মিনিটেরও বেশি সময় লেগেছিল।

তিনি বলেন, “অবশেষে, একটি অ্যাম্বুলেন্স এসেছিল এবং ডাক্তার তাকে দুই সেকেন্ডও দেখেননি এবং ‘তার কিছু হয়নি’ বলে চলে গেলেন।”

অবশ্য হজযাত্রীদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে বরাদ্দকৃত সম্পদের কথা তুলে ধরেছেন সৌদি স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সরকারি এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারা ৬৫০০ শয্যার সক্ষমতাসম্পন্ন ১৮৯টি হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মোবাইল ক্লিনিক চিকিৎসা সেবায় যুক্ত করেছে এবং ৪০ হাজারের বেশি চিকিৎসা, প্রযুক্তি, প্রশাসনিক বিষয়ক কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ দিয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সেখানে ৩৭০ টির বেশি অ্যাম্বুলেন্স, সাতটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, শক্তিশালী লজিস্টিক নেটওয়ার্কসম্পন্ন ১২ টি ল্যাবরেটরি, ৬০ টি সরবরাহ ট্রাক এবং তিনটি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সামগ্রী সংবলিত গুদাম স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত করা হয়েছে এবং পবিত্র স্থাপনার বিভিন্ন জায়গায় সুকৌশলে স্থাপন করা হয়েছে।

Advertisement

নথিবিহীন হাজিরা

হজ করতে, একজন হাজিকে একটি বিশেষ হজ ভিসার জন্য আবেদন করতে হয়। কিন্তু কিছু ব্যক্তি সঠিক কাগজপত্র ছাড়াই হজে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

এই “অনুমোদনহীন হজ” সমস্যা অতিরিক্ত মৃত্যুর জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়।

যারা সঠিক কাগজপত্র ছাড়া হজ করেন তারা কর্তৃপক্ষকে এড়িয়ে চলেন, এমনকি প্রায়শই সাহায্যের প্রয়োজন হলেও। কিছু তাঁবুর ভিড়ের জন্য কর্তৃপক্ষ তাদেরকে দায়ী করেছেন।

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় হজ এবং উমরাহ কমিশনের চেয়ারম্যান মুস্তোলিহ সিরাজ বলেন, “আমাদের সন্দেহ যাদের হজের ভিসা নেই তারা হজ এলাকায় অনুপ্রবেশ করেছে।”

Advertisement

একজন আরব কূটনীতিকের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে যে, এই মৌসুমে কমপক্ষে ৬৫৮ জন মিশরীয় মারা গেছেন, যার মধ্যে ৬৩০ জনের হজ পারমিট ছিল না।

জাতীয় হজ ও উমরাহ কমিটির উপদেষ্টা সাদ আল-কুরাইশি বলেন, “যাদের কাছে হজের ভিসা নেই তাদেরকে বরদাশত করা হবে না এবং তাদের অবশ্যই দেশে ফিরে যেতে হবে।”

তিনি উল্লেখ করেছেন যে অনিয়মিত হাজিদের চিহ্নিত করা হয় নুসুক কার্ডের মাধ্যমে, যা সরকারি হাজিদের দেয়া হয় এবং তাতে পবিত্র স্থানে প্রবেশের জন্য একটি বারকোড থাকে।

বয়োজ্যেষ্ঠ, রুগ্ন বা অসুস্থ তীর্থযাত্রী

অনেক হাজি জীবনের শেষের দিকে হজে যান, হয় আজীবন সঞ্চয়ের পর, বা অনেকে আশা করেন যে মৃত্যু হলে যেন সেখানেই হয়।

Advertisement

উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের মুসলমানরা হজ পালনের সময় মারা যাওয়া সৌভাগ্যের বিষয় বলে মনে করেন। মনে করা হয় এটি একটি বিশেষ মর্যাদা প্রদান করে।

হজে প্রতি বছর মৃত্যুর এটি আরেকটি কারণ। ২০২২-২৩ মৌসুমে প্রায় দুইশো জন মারা গিয়েছিল।

কেএস/

Advertisement

দুর্ঘটনা

রিয়াজউদ্দিন বাজারের আগুনে পুড়লো ৩ প্রাণ

Published

on

চট্টগ্রাম নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় কটি বাণিজ্যিক অগ্নিকাণ্ডে ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন দুইজন। ফায়ার সার্ভিসের ৮ ইউনিট ৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

শুক্রবার (২৮ জুন)  রাত ১টা ৩৫ মিনিটের দিকে রিয়াজউদ্দিন মোহাম্মদীয়া প্লাজা নামে একটি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিস চট্রগ্রাম বিভাগের উপসহকারী পরিচালক মো. আবদুর রাজ্জাক।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে রিজোয়ান কমপ্লেক্সের দোতলার একটি মোবাইলের দোকান থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয় বলে তাঁরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। একটি ভবনের সঙ্গে আরেকটি ভবন লাগোয়া হওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে ও নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হয় বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

মো. আবদুর রাজ্জাক জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের নন্দনকানন, চন্দনপুরা, আগ্রাবাদ ও লামার বাজারসহ মোট ৪টি স্টেশনের ৮টি ইউনিট কাজ করে।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল আলম আশেক জানান, আগুনের ঘটনায় মোট ৫ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৩ জনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেছেন। বাকি দুজনকে হাসপাতালের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। আহত দুইজনই নারী বলে জানান তিনি।

Advertisement

নিহত তিনজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- সাতকানিয়া উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের মো. রিদুয়ান (৪৫) ও একই উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের মির্জাখিল বাংলাবাজার এলাকার মো. শাহেদ (১৮)।

এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান,  হতাহতরা যে ভবনে আগুন লেগেছে সেটির  ৫ তলায় থাকতেন। ধোঁয়ার  কারণে তারা শ্বাস নিতে না পাওয়ায় মৃত্যুবরণ করেছেন।

উল্লেখ্য, আগুনের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আইন-বিচার

সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

Published

on

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমান ও তার স্ত্রী তহুরা বেগমের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের তেঁতুলিয়া শাখার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৭ জুন) বিকেলে পঞ্চগড় সিনিয়র স্পেশাল জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. গোলাম ফারুক এ আদেশ দেন।

গেলো ১ ফেব্রুয়ারি আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন। পরবর্তীতে আয়কর আইনে কাজী মাহমুদুর রহমানের আয়কর ফাইল প্রাপ্ত হন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু ২০২০ সালে দাখিল কৃত সম্পদের হিসাবে ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫২ টাকার সম্পদের হিসাব গোপন করেছেন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৭৯ লাখ ৭২ হাজার ৫৫ টাকার সম্পদ ভোগ দখল করছেন। গেলো ১২ জুন এসব সম্পদের দলিল ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদন করেন মামলার বাদী।

পঞ্চগড় জেলা জজ কোর্টের দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, আদালতে গেলো ১ ফেব্রুয়ারি মামলার পর গেলো ১৩ এপ্রিল মামলার শুনানিতে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে কাজী মাহমুদুর রহমানের ১৬টি এবং তার স্ত্রীর নামে ১টি দলিল ক্রোক এবং একটি ব্যাংক একাউন্ট অবরুদ্ধের আদেশ দেন।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

আওয়ামী লীগ নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা

Published

on

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় দিন-দুপুরে সুরুজ মিয়া নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা ও তার দুই ছেলেসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে সুরুজ মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। অন্য আহতরা হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে ফতুল্লার উত্তর কাশিপুর এলাকার আলীপাড়া মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সুরুজ মিয়া ফতুল্লার কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক এবং আলীপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন।

আহতরা হলেন- সুরুজ মিয়ার দুই ছেলে মো. জনি আহমেদ (৩৫) ও রাজু আহমেদ (৪০)। অন্য দুজন অটোরিকশাচালক মো. রাসেল (৩২) ও শাকিল (৩০)।

নিহত ও আহতের স্বজনরা গণমাধ্যমে জানান, উত্তর কাশিপুর আলীপাড়া গ্রামে তাদের অটোরিকশার গ্যারেজ ও ইট-বালুর ব্যবসা রয়েছে। ব্যবসা নিয়ে এলাকার সালাউদ্দিন সালু ও হিরার সঙ্গে তাদের বিরোধ ছিল। এছাড়া সালু ও হিরা এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে সকালে চাঁদা দাবি করেন। ভুক্তভোগী সেই লোক এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে সুরুজ মিয়ার কাছে বিচার দেন। এ নিয়ে সালু ও হিরাকে শাসন করেন সুরুজ মিয়া।

Advertisement

স্বজনরা আরও জানান, শাসন এর জের ধরে আলীপাড়া মসজিদে জোহরের নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর সুরুজ মিয়ার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সালু ও হিরাসহ ২০-২৫ জনের একটি দল। তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে ছেলেসহ স্বজনরা এগিয়ে গেলে তাদেরও কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম গণমাধ্যমে জানান, বালু সিমেন্ট ব্যবসা ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সন্ত্রাসী সাল্লু ও তার বাহিনী হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা সুরুজ মিয়া ও তার ছেলেসহ চার জনকে কুপিয়ে জখম করে। সুরুজ মিয়া ঢামেকে হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

তিনি আরও জানান, সাল্লু ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের আরও অভিযোগ রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত