Connect with us

অপরাধ

শিশু ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ৬৫ বছরের বৃদ্ধ

Avatar of author

Published

on

মুখে গামছা বেধে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় শাহজাহান বেপারী নামে ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রোববার (২৩ জুন) দুপুরে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার দূর্বাডাঙা হাওলাদার কান্দি গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার শাহজাহান বেপারী হাওলাদার কান্দি গ্রামের বাসিন্দা।

ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২২ জুন) বিকেলে শাহজাহান বেপারীর বাড়িতে তার নাতনির সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায় তৃতীয় শ্রেণীর এক শিশু। খেলার ফাঁকে তার নাতনি প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে গেলে ভুক্তভোগী শিশুটির কাছে পানি পান করতে চান শাহজাহান বেপারী। শিশুটি পানি নিয়ে ঘরে প্রবেশ করলে কৌশলে দরজা বন্ধ করে দেন তিনি। এরপর শিশুটির মুখে গামছা দিয়ে বেঁধে পাশবিক নির্যাচন চালান। এতে শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হলে সে গুরুতর আহত হয়ে পড়ে।

এরপর শিশুটি কোনো মতে পালিয়ে বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি খুলে বলে। পরে ভুক্তভোগী শিশুটির মা বাদী হয়ে জাজিরা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর হাওলাদার কান্দি গ্রামের একটি ফসলি মাঠ থেকে শাহজাহান বেপারীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

ভুক্তভোগী শিশুর বাবা বলেন, আমার মেয়ের সঙ্গে শাহজাহান বেপারী নরপশুর মতো আচরণ করেছে। আমি আইনের মাধ্যমে উপযুক্ত বিচার চাই, যেন আর কোনো বাবার এমন পরিস্থিতির শিকার না হতে হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন জাজিরা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক।

তিনি জানান, ধর্ষণের অভিযোগে এক শিশুর মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় শাহজাহান বেপারী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী শিশুটিকে চিকিৎসা ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

অপরাধ

ইবির ৮ প্রকৌশলীকে তলব করলো দুদক

Published

on

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উন্নয়ন প্রকল্পের (৩য় পর্যায়) সোয়া ৬ কোটি টাকা ভুয়া বিলের মাধ্যমে  আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীসহ আট প্রকৌশলীকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামী ৩০ জুন ও ১ জুলাই দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তাদের সাক্ষাৎকার দিতে বলা হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ জুন) তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

ওই চিঠিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রশাসন ভবন নির্মাণে সর্বশেষ চলতি বিলে ভুয়া বিল দিয়ে ৬ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলন ও ভাগ-বাটোয়ারা করে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। তাই অনুসন্ধানের স্বার্থে আট প্রকৌশলীর বক্তব্য গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছে দুদক।

এর আগে গেলো ১০ ও ১১ জুন তাদের সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীষ্মকালীন ও ঈদুল আজহার ছুটিতে অফিস বন্ধকালীন রেজিস্ট্রার দপ্তরে এসেছে বলে জানা গেছে। ফলে যথাসময়ে সাক্ষাৎকার দিতে পারেননি প্রকৌশলীরা।

তাই দুদকের সঙ্গে আলোচনা করে সাক্ষাতের নতুন সময় নির্ধারণ করে রেজিস্ট্রার দপ্তর।

Advertisement

আট প্রকৌশলী হলেন- ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন ও আলিমুজ্জামান টুটুল, নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) বাদশা মামুনুর রশিদ, মোহা. নুর আলম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) প্রসেনজিৎ কুমার বিশ্বাস, রাজিব হোসাইন ও সোহাগ ইসলাম সাগর।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

Published

on

কক্সবাজারে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৩ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী পুস্তিকা, লিফলেট ও বিস্ফোরক তৈরির ম্যানুয়াল উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে র‌্যাব-১৫ এর সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

আটকরা হলেন, জামালপুরের ইসলামপুর এলাকার আব্দুল ওহাবের ছেলে জাকারিয়া মন্ডল(১৯), ভোলার নুরুল আমিনের ছেলে মোঃ নিয়ামত উল্লাহ (২১) ও ফেনী সোনাগজী এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে মোঃ ওজায়ের।

কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে তারা স্বীকার করে নিষিদ্ধ এই জঙ্গি গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য। সাম্প্রতিক সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ও নেতৃস্থানীয় অনেক সদস্য আটক হয়েছে। যেহেতু কিছু সংখ্যক সদস্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়েছে, তাই এই সংগঠনটিকে তারা পুনরুজ্জীবিত করতে নতুন রিক্রুটিং করছে। উঠতি বয়সী কিশোরদের অপব্যাখা দিয়ে সহজে ব্রেন ওয়াশের মাধ্যমে ভূলপথে নেয়া যায় বিধায় কোমলমতি কিশোরদের তারা প্রথমে টার্গেট করতো। তাই এই সংগঠনের বেশিরভাগ সদস্যই ১৯ থেকে ২০ বছর বয়সী তরুণ এবং মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষক। সাধারণত লেখাপড়ায় শিক্ষিত উগ্র মনোভাবাপন্ন লোকজনকে আকৃষ্ট করার জন্য দেশ বিরোধিতাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতো।

তিনি আরও বলেন, এ সংগঠনে মাদ্রাসা শিক্ষক সদস্যগণ অত্যন্ত সু-কৌশলে মাদ্রাসা পড়ুয়া কোমলমতি ছাত্রদের এ বিষয়ে অনুপ্রাণিত করতো। এ জন্য তারা সংগঠনের সদস্যদের গোপনে শারীরিক প্রশিক্ষণ প্রদান করতো বলে জানা যায়। তারা বিভিন্ন দেশের সমমনা ব্যক্তিদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখতো এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন উগ্রবাদী গ্রুপে তাদের বিচরণ ছিল।

Advertisement

আরাফাত ইসলাম বলেন, আটক হওয়া সদস্যরা ঈদের ছুটিতে মাদ্রাসার বন্ধ থাকায় সকলে ছুটিতে বাড়িতে যায়। গ্রেপ্তারকৃতরা ছুটি শেষে পুনরায় মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু মাদ্রাসায় না গিয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সংগঠনের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি, চাঁদা আদায়, দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা এবং বিভিন্ন নীতি নির্ধারণের জন্য গোপন বৈঠক করার উদ্দেশ্যে জঙ্গি সংগঠনটির বাংলাদেশের পরবর্তী সম্ভাব্য আমিরের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কক্সবাজারে একত্রিত হয়েছিল। পরবর্তীতে গোপন বৈঠক চলাকালীন সময়ে র‌্যাব তাদের আটক করে।

উল্লেখ্য, আটক হওয়া সদস্যরা মূলত কক্সবাজারে এসে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তির সাথে আলোচনা করতে চেয়েছিল। যা কিনা র‌্যাবের কারণে ভেস্তে গেছে পুরো পরিকল্পনা। আটককৃত জঙ্গি সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র‌্যাব।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

Published

on

রোহিঙ্গা

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে মো. সালেক নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত ১টার দিকে ৮ নম্বর ইস্ট ক্যাম্পের বি/৫০ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. শামীম হোসেন।

নিহত মো. সালেক ওই ক্যাম্পের ডি/৭৬ ব্লকের মো. নুর আলমের ছেলে।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন জানান, আজ দিবাগত রাতে সালেক নামে এ রোহিঙ্গা নিজ ঘরে ফেরার পথে বোরকা পরিহিত ৩/৪ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এই হাসপাতালে নেয়ার সময় রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত