পরামর্শ
প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকার উপায়
গরমে অতিষ্ঠ জীবনমান। দিনের বেলায় সূর্যের প্রখর তাপে হাঁসফাঁস অবস্থা। রাতেও শান্তি নেই! ঘুমাতে গেলে মনে হয় ফ্যানের বাতাস গরম হলকা ছাড়ছে। সব মিলিয়ে এই গরমে অতিষ্ঠ জীবন। এখন সবার একটাই চিন্তা কীভাবে এই আবহাওয়ায় ভালো থাকা যায়। প্রচণ্ড গরমে সুস্থ থাকার উপায় নিয়েই আমাদের আজকের আলোচনা।
গরমে কী কী স্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে থাকে?
প্রচণ্ড গরমের সময় সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে ক্লান্তি বোধ করা, হিট স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক বা ব্রেন স্ট্রোক অন্যতম। এছাড়াও এই সময়ে কিডনি ও ফুসফুসের রোগীদের শারীরিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। গরমে যারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন, তাদের মধ্যে আছেন ৬৫ বছরের বেশি বয়সী প্রবীণ ব্যক্তি, শিশু-কিশোর, গর্ভবতী নারী ও দীর্ঘস্থায়ী রোগাক্রান্ত ব্যক্তিরা।
গরমে সুস্থ থাকতে এই পরামর্শগুলো মেনে চলুন-
১. সম্ভব হলে বাসায় এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। ইলেকট্রিক বিল কমাতে একই সময়ে এসি ও ফ্যান ব্যবহার করুন। এসির তাপমাত্রা ২৬-২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখলে রুম দ্রুত ঠাণ্ডা হবে এবং এতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের খরচ কমে আসবে।
২. কাজের ফাঁকে কিছুটা আরাম পেতে একটি স্প্রে বোতলে পানি নিয়ে মুখে স্প্রে করুন অথবা ভেজা স্পঞ্জ ব্যবহার করে মুখ ও হাত ভিজিয়ে নিন।
৩. গরম পানিতে গোসল না করে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করুন ।
৪. সবসময় হালকা রংয়ের ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। সিনথেটিক কাপড়ের পোশাক এড়িয়ে চলুন এবং সুতি, লিলেন ইত্যাদি কাপড়ের পোশাক বেছে নিন।
৫. আপনার ঘরকে শীতল করার জন্য তাপ নিরোধক কোটিং দেয়ালে দিতে পারেন, বাইরের জানালায় খড়খড়ি বা ভারী পর্দা দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন এবং বাড়িতে ইনডোর প্ল্যান্ট রাখতে পারেন।
গরমে সুস্থ থাকতে সতর্ক থাকুন
প্রচণ্ড গরমের সময় বাসায় থাকাই সবচেয়ে ভালো। বিশেষ করে দুপুরবেলায় রোদের তাপ বেশি থাকে বলে এ সময় বাইরে গেলে হিট স্ট্রোক হতে পারে। পরামর্শ থাকবে, অপ্রয়োজনীয় আউটিং বাতিল করুন বা পুনঃনির্ধারণ করুন। এছাড়াও প্রয়োজনীয় খাবার, পানি ও ওষুধ মজুদ রাখুন, যাতে আপনাকে গরমে বারবার বাইরে যেতে না হয়। বাইরে যাওয়ার আগে অবশ্যই আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে নিন।
জেএইচ
পরামর্শ
শিশুর অতিরিক্ত জেদ যেভাবে সামলাবেন
প্রতিটি শিশুই আলাদা। একেকজনের বেড়ে ওঠার পরিবেশ, আচরণ, মানসিক বিকাশ খুব স্বাভাবিকভাবেই আলাদা হবে। শিশুর বয়স যখন দুই বছরের কাছাকাছি চলে আসে, তখন তার বদমেজাজী হয়ে উঠা বা অল্পতেই রেগে যাওয়া খুব কমন একটি ব্যাপার। আপনার যদি দুই বছর বা তার কাছাকাছি বয়সের কোনো বাচ্চা থেকে থাকে, তাহলে ‘টেরিবল টু’ টার্মটির সাথে আপনি হয়তোবা পরিচিত। হুট করেই কি আপনার বাচ্চা রেগে যাচ্ছে, অতিরিক্ত জেদ করছে? কীভাবে সামলাবেন এই পরিস্থিতি? চলুন জেনে নেই আজ।
টেরিবল টু কি স্বাভাবিক বিষয়?
দুই বছর বা তার কাছাকাছি বয়সের বাচ্চাদের কিছু আচরণগত পরিবর্তন দেখা যায়। এটি শিশুর বিকাশের একটি স্বাভাবিক পর্যায়। এই বয়সী কোনো বাচ্চার ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন, সব কিছুতেই ‘না’ বলা ও ছোটখাটো বিষয়ে চিৎকার করা– এই বিষয়টিকেই শিশু বিশেষজ্ঞরা ‘টেরিবল ২’ নামে আখ্যায়িত করেছেন। এই ধাপটি খুব বেশিদিন স্থায়ী হয় না। তাই যারা বাচ্চার এই ফেজ নিয়ে চিন্তিত, তারা কীভাবে এই পরিস্থিতি সহজে সামলে উঠবেন তা নিয়েই আজকের আর্টিকেলে কিছু টিপস শেয়ার করবো।
এই ফেজ কখন শুরু হয়?
সাধারণত ১৮ মাস শুরু হওয়ার পর থেকে বাচ্চাদের মধ্যে টেরিবল ২ এর কিছু বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। বেশিরভাগ শিশু ২ থেকে ৩ বছর বয়সের মধ্যে আক্রোশ ও বিরোধীতা প্রদর্শন করতে শুরু করে। এই লক্ষণগুলো সাধারণত ৩/৪ বছর বয়স পর্যন্ত চলতে পারে। অনেক বাবা-মা এই সময়ে বেশ হতাশ হয়ে যান, তবে মনে রাখতে হবে বাচ্চাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধিরই একটি অংশ এটি।
টেরিবল টু এর লক্ষণ কী?
এর কমন লক্ষণ হলো যে আপনার বাচ্চাকে আপনি যা করতে বলবেন তাতে সে রিঅ্যাক্ট করবে, অকারণেই জেদ করবে। বাবা-মায়েরা খুব সহজেই এই আচরণগত পরিবর্তন চিহ্নিত করতে পারেন। জামাকাপড়/ ডায়পার চেঞ্জ না করতে চাওয়া, খেলনা ছুড়ে ফেলা, জোরে কান্নাকাটি, ঘন ঘন মেজাজের পরিবর্তন, খেতে বা ঘুমাতে না চাওয়া, এমনকি বেশি রেগে গেলে কামড়ানো, আঘাত করা ইত্যাদি টেরিবল টু এর সাধারণ লক্ষণ। এই সময়ে বাচ্চারা নিজের মনের ভাব পুরোপুরি বোঝাতে পারে না, তাই খুব সহজেই তাদের মেজাজের পরিবর্তন ঘটে।
কীভাবে সামলাবেন?
১. ধৈর্য ধরুন
বাচ্চা যতই জেদ করুক না কেন, আপনাকে মাথা ঠান্ডা রেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে। কারণ আপনিও যদি সেই সময়ে রেগে যান তাহলে বাচ্চা ভয় পাবে কিংবা আরও বেশি অ্যাগ্রেসিভ বিহেভ করবে। তাই ধৈর্য ধরতে হবে, এই সময়টা কিন্তু বেশিদিন স্থায়ী হবে না। বাচ্চা জেদ করলে ইগনোর করুন এবং অন্যদিনে তার মাইন্ড ডাইভার্ট করার ট্রাই করুন।
২. পজেটিভ থাকুন
সন্তানের সাথে সবসময় ইতিবাচক আচরণ করা উচিত। এতে সে পজেটিভ মাইন্ড নিয়ে বড় হয়। ভালো কিছু করলে প্রশংসা করা ও ভুল করলে সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেয়া ইতিবাচক আচরণের অন্তর্ভুক্ত। এগুলো আপনার সন্তানকে শেখাবে কোন আচরণ গ্রহণযোগ্য ও কোনটি নয়। ছোট থেকেই সে পজেটিভ মেন্টালিটি নিয়ে বড় হবে।
৩. তাকে চয়েস অপশন দিন
বাচ্চার মতামতকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে এটা বোঝাতে মাঝেমধ্যে তাকে ‘চয়েস অপশন’ বা যেকোনো দু’টি থেকে একটি বেছে নিতে বলুন। তাকে প্রায়োরিটি দিন, তবে এই বয়সে শিশুকে কোনো কিছুর উপর নিয়ন্ত্রণ দিবেন না, সিদ্ধান্ত আপনারই নিতে হবে।
৪. রুটিন সেট করুন
এই বয়সে বাচ্চারা নিয়ম-কানুন মেনে চলতে চায় না। কিন্তু বাবা-মায়ের উচিত তার রুটিন সেট করে দেয়া। খাওয়ার সময় খাওয়া, ঘুমের সময় ঘুম ও খেলার সময় খেলা। বাচ্চাকে অর্গানাইজড ওয়েতে বড় করার পারফেক্ট সময় এটি। রুটিনে যখন বাচ্চা অভ্যস্ত হয়ে যাবে, তখন আপনারই সুবিধা হবে।
৫. কাজে উৎসাহী করে তুলুন
শিশু বিশেষজ্ঞদের মতে দুই বছর বয়সে বাচ্চারা তাদের ফিলিংস কন্ট্রোল করা শিখতে পারে যদি তাদের প্রোপার ট্রেইনিং দেয়া যায়। বাচ্চা যখন ভালো কাজ করবে, সঠিক আচরণ করবে; তখন তাকে পুরস্কৃত করুন ও বাহবা দিন। তাহলে সে এই কাজে আরও উৎসাহী হয়ে উঠবে। খেলনা গুছিয়ে রাখা, গাছে পানি দেয়া, নিজের হাতে খাওয়া, কাপড় ভাজ করে রাখা- এই ধরনের কাজে তাকে উৎসাহ দিন। এতে তার অস্থিরতা কমবে।
কখন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিবেন?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টেরিবল টু স্টেজ বাচ্চার জন্য একদম স্বাভাবিক বিষয় এবং আপনার সন্তানের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা রয়েছে। তবে বাচ্চার কিছু অস্বাভাবিক আচরণ, যেমন – রাগের বসে মাথায় আঘাত করা, নিজেকে আঁচড় দেয়া বা দেওয়ালে আঘাত করা, ঘরের জিনিসপত্র ভেঙে ফেলা ইত্যাদি যদি বার বার করতে থাকে, তাহলে দ্রুত একজন চাইল্ড নিউরোলজিস্টের সাথে কনসাল্ট করুন। আপনার শিশুর যদি ডেভেলপমেন্টাল ডিলে থাকে, কমান্ড না ফলো করে, সেই সাথে চঞ্চলতা অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে যায়, সেক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
টেরিবল টু আসলে বাচ্চার দৈহিক ও মানসিক বিকাশের একটি স্বাভাবিক ধাপ। তবে, বাচ্চার অতিরিক্ত জেদ প্রশ্রয় না দিয়ে ধৈর্য ধরুন। বাবা-মায়ের উচিত সন্তানকে কোয়ালিটি টাইম দেয়া, স্ক্রিন টাইম কমিয়ে আনা, অন্য বাচ্চাদের সাথে খেলার সুযোগ করে দেয়া। প্রতিটি শিশু যেন সুস্থ-স্বাভাবিক পারিবারিক পরিবেশে বড় হতে পারে, সেটিও আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। আজ তাহলে এই পর্যন্তই। ভালো থাকুন।
জেএইচ
পরামর্শ
কাজের চাপ সামলেও যেভাবে সন্তানের পাশে থাকবেন
আজকাল সন্তানের সঙ্গে বেশি সময় কাটানোর সময় হয় না বেশির ভাগ বাবা-মায়েরই। এখন প্রায় অধিকাংশ পরিবারেই মা-বাবা দুজনে বাইরে কাজ করেন। ফলে ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে সারা দিনে মা-বাবার দেখা হওয়ার সময় সীমিত। তাই দেখা যায়, মা বা বাবাকে কাছে না পেয়ে সন্তান অনেক সময়েই অভিমানী হয়ে যায়। কথা শুনতে চায় না। ফলে মা-বাবারও উদ্বেগ বাড়ে। সন্তানকে সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য সারা দিন তার সামনে বসে থাকার প্রয়োজন নেই। বরং নিজের মূল্যবোধ ও চিন্তাধারা একটু একটু করে তার মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে পারাই আসল।
কী করবেন?
১. সারা সপ্তাহের একটা রুটিন করে রাখুন। সন্তান কখন স্কুলে যাবে, কখন ফিরবে, কখন পড়তে বসবে, কখন খাবে, কত ঘণ্টা ঘুমোবে— তার একটা রুটিন করুন। বাচ্চার ঘরে এই রুটিন সেঁটে দিন। এই রুটিন আপনার সন্তান ঠিক ভাবে মেনে চললে মাঝেমধ্যে তাকে উপহার দিন। ছুটির দিনে ঘুরতে নিয়ে যান। এতে সন্তানও বুঝবে আপনি শত ব্যস্ততার মাঝেও তার সব দিকে খেয়াল রাখছেন।
২. সন্তান যদি অভিমান করে তাহলে টিফিন বক্সে, ব্যাগে, বাড়িতে তার ঘরে ছোট ছোট চিরকুট লিখে রাখুন। কখনও কখনও তার জন্য একটি বা দু’টি চিঠিও লিখে যান। তাতে লিখুন আপনি ওকে কতটা ভালোবাসেন। এতে দূরে থাকলেও সন্তান আপনার ভালোবাসার স্পর্শ পাবে। আপনাকে কাছে না পেলে, ওই চিঠি বা চিরকুটই তাকে সঙ্গ দেবে। এতে ওর চিন্তাশক্তি, ধৈর্যও বাড়বে।
৩. সারা দিনে ফোনে অন্তত দু’বার ওর সঙ্গে কথা বলুন। যত কম সময়ই হাতে থাকুক না কেন, তার মধ্য থেকেই কিছুটা সময় বার করে নিন। সেই সময়টুকু তাকে কোনও কারণে বকুনি বা নির্দেশ দিয়ে নষ্ট করবেন না। বরং শিশুর সঙ্গে তার মতো করে গল্প করুন। সারা দিনে তারও আপনাকে অনেক কিছু বলার থাকতে পারে, তা শোনার চেষ্টা করুন।
৪. মাসে অন্তত এক বার সন্তানের স্কুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন। সন্তানের বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আলাপ করুন, তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলুন। তা হলে আপনিও বুঝবেন, সন্তান ঠিক কেমন পরিবেশে বেড়ে উঠছে।
৫. বাড়ি ফিরে যদি জানতে পারেন যে, সে অন্যায় কোনও কাজ করেছে, সঙ্গে সঙ্গে তাকে শাসন করতে বসবেন না। বরং পরে সময় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলুন। সে কেন অমন কাজ করেছে, তা জানার চেষ্টা করুন। তার কাজটা যে ভুল, সেটা বোঝানোর চেষ্টা করুন।
৬. যদি বোঝেন আপনার সন্তানের কোনও সমস্যা হচ্ছে, কিন্তু সে খোলাখুলি কথা বলতে পারছে না, তবে আপনি নিজে শান্ত ভাবে এবং গুছিয়ে তার সঙ্গে কথা বলুন। বলতে হবে যে, আপনি বুঝতে পারছেন সে মানসিক চাপে রয়েছে। কোনও কিছু নিয়ে মন খারাপ হলে তা সে বলতে পারে। আপনি শোনার জন্য তৈরি বা আগ্রহী। সেই মুহূর্তেই যদি সে বলতে না চায়, ভয় পায়, তা হলে অতিসক্রিয়তা না দেখিয়ে বলুন আপনি পরেও শুনতে পারেন। পরিস্থিতি যা-ই হোক, এটা বোঝাতে হবে যে আপনি সব সময়ে পাশে আছেন। তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
৭. শিশুরা খুবই স্পর্শকাতর হয়। হয়তো আপনাকে কাছে পাচ্ছে না, এ দিকে স্কুলে কোনও সমস্যা হচ্ছে বা বন্ধুদের নিয়ে কোনও সমস্যা তৈরি হয়েছে এবং আপনাকে তা বলতে না পেরে ভিতরে ভিতরেই গুমরে রয়েছে। সেই সময়ে কোনও প্রশ্ন না তুলে সন্তানের কথাও শুনতে হবে। বুঝতে হবে এবং মানতে হবে যে সে কী ধরনের মানসিক যন্ত্রণায় রয়েছে। কোনও রকম উপদেশ না দিয়ে বরং কিছু দিন এই বিষয়ে কথা বলুন। বাড়াবাড়ি লক্ষ্য করলে মনোরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
জেএইচ
পরামর্শ
যে খাবারগুলো খেলে কমবে পিঠের ব্যথা
পিঠে ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আজকাল বেশিরভাগ মানুষই পিঠের ব্যথায় ভোগেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং শরীরে পুষ্টির অভাব সব মানুষের সমস্যা বাড়ায়। বিশেষজ্ঞরা পিঠে ব্যথা উপশম করতে বিভিন্ন টিপস দেন। ব্যায়াম তার মধ্যে অন্যতম। এটি শুধু পেশিকে শিথিল করে না, শরীরের বিভিন্ন অংশের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। চিকিৎসকের পরামর্শ তাই নিয়মিত ব্যায়াম করাটা দরকারি।
তবে ব্যায়ামের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় খাবার গ্রহণ করলে ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেলে এই সমস্যা কমানো যায়। এবার দেখা যাক, যে কোন ধরনের খাবার খেলে এই সমস্যা কিছুটা হলেও কমানো যায়।
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ : ঘন ঘন পিঠে ব্যথা হলে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। বাদাম, আখরোট, চিয়া বীজ, শ্লেষের বীজ এবং মাছ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ। রান্নায় সরিষার তেল ও অলিভ অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে।
অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবার : অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি খাবারগুলি ব্যথা কমাতেও সহায়তা করতে পারে। আপনি আপনার রান্নাঘরে এমন অনেক মশলা খুঁজে পেতে পারেন, যা এই ধরনের সমস্যা কমাতে কাজে লাগতে পারে। দারুচিনি, গোলমরিচ এবং আদার মধ্যে এই জাতীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে। হলুদ এমন একটি মশলা যা জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার : শরীরের প্রোটিনের অভাব প্রায়ই ব্যথা সৃষ্টি করে, তাই আপনাকে আপনার ডায়েটে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কোমরের ব্যথা কম করতে ডিম খাওয়া যেতে পারে।
সবুজ শাকসবজি : ফুলকপি, ব্রকোলি, পালং শাক ও বাঁধাকপির মতো সবুজ শাকসবজিও খেতে পারেন। এগুলিতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে কম থাকে। এগুলিতে সালফোরাফেন নামে একটি যৌগ রয়েছে যা ব্যথা উপশমকারী হিসাবে কাজ করে। এগুলো পিঠে ব্যথার জন্য উপযোগী।
মূল জাতীয় সবজি : ব্যথা কমাতে বিটরুট, গাজর সহ মূল জাতীয় সবজিও খেতে পারেন, এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ব্যথা উপশমে সহায়তা করে। এগুলি নিয়মিত খেলে কোমরের ব্যথা কমে যেতে পারে।
তাজা ফল : ব্যথা উপশম ছাড়াও, আপনার স্বাস্থ্যের ভালোর জন্য প্রতিদিন তাজা ফল খান। আনারস, আপেল, চেরি, বেরি, সাইট্রাস ফল, আঙুর ইত্যাদি আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।
জেএইচ
- পর্যটন9 hours ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
- আবহাওয়া2 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
- টুকিটাকি1 day ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
- অপরাধ8 hours ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
- রংপুর1 day ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
- জাতীয়1 day ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!
- আন্তর্জাতিক1 day ago
এক ঘণ্টায় সাড়ে ৪৮ কোটি টাকা জিতলেন জুয়াড়ি, অতপর…
- অপরাধ2 days ago
ট্রেনের খাবার বগিতে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩