অপরাধ
বেনজীরের স্ত্রী-সন্তানও দুদকের তলবে সাড়া দিলেন না
বিপুল পরিমাণ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদকে সপরিবারে তলব করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তবে সে তলবে বেনজীর আহমেদের পর তার স্ত্রী-সন্তানও সাড়া দিলেন না।
সোমবার (২৪ জুন) অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জিসান মির্জা, দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরকে তলব করেছিল দুদক। তবে এদিন তাদের কেউই সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আসেননি।
এর আগে রোববার (২৩ জুন) বেনজীর আহমেদকে দুদকে হাজির হওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল। তিনিও দুদকে হাজির হননি।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সকাল ১০টা থেকে অপেক্ষায় ছিলেন বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও সন্তানরা আসবেন বলে। অপেক্ষায় ছিলেন গণমাধ্যম কর্মীরাও। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের কেউ আসেননি।
দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন জানান, সময় চেয়েও দুদকে হাজির হননি বেনজীর আহমেদ। তবে তিনি একটি চিঠি পাঠিয়ে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের লিখিত জবাব দিয়েছেন। কমিশন বেনজীরের দেয়া চিঠির বক্তব্য পর্যালোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে।
জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ গেলো ৪ মে সপরিবারে দেশ ত্যাগ করেন। এর আগে তাকে গত ৬ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। বিদেশে অবস্থান করায় তিনি ওইদিন দুদকে হাজিন হননি। পরে তিনি সময় চেয়ে আবেদন করলে তাকে ১৬ দিনের সময় দিয়ে রোববার ডাকা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দুদক বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করে গত ২২ এপ্রিল। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকের তলবি নোটিশ পাঠায় হয় গেলো ২৮ মে। এর আগে গত ৪ মে তিনি সপরিবারে দেশ ত্যাগ করেন। বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে তাদের বিরুদ্ধে সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) বিস্তারিত তদন্ত করেছে। এরপরই গণমাধ্যমে তাদের অস্বাভাবিক সম্পদের খবর প্রকাশ পায়।
গেলো ২৩ ও ২৬ মে আদালতের আদেশে বেনজীর, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে থাকা বিপুল পরিমাণ সম্পদ, ব্যাংক হিসাব, শেয়ারসহ অন্যান্য সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়। তাদের নামে থাকা ৮৩টি দলিলে ৬২১ বিঘা জমি, গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দ, ৩৮টি ব্যাংক হিসাব ও তাদের মালিকানার কোম্পানি ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধের ওই আদেশ দিয়েছেন। ওই দুইদিনে বেনজীর ও তার পরিবারের পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৩৩ কোটি টাকার বেশি সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়।
অপরাধ
ইবির ৮ প্রকৌশলীকে তলব করলো দুদক
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উন্নয়ন প্রকল্পের (৩য় পর্যায়) সোয়া ৬ কোটি টাকা ভুয়া বিলের মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলীসহ আট প্রকৌশলীকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আগামী ৩০ জুন ও ১ জুলাই দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তাদের সাক্ষাৎকার দিতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (২৮ জুন) তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় প্রশাসন ভবন নির্মাণে সর্বশেষ চলতি বিলে ভুয়া বিল দিয়ে ৬ কোটি ২৫ লাখ ২০ হাজার টাকা উত্তোলন ও ভাগ-বাটোয়ারা করে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে। তাই অনুসন্ধানের স্বার্থে আট প্রকৌশলীর বক্তব্য গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছে দুদক।
এর আগে গেলো ১০ ও ১১ জুন তাদের সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীষ্মকালীন ও ঈদুল আজহার ছুটিতে অফিস বন্ধকালীন রেজিস্ট্রার দপ্তরে এসেছে বলে জানা গেছে। ফলে যথাসময়ে সাক্ষাৎকার দিতে পারেননি প্রকৌশলীরা।
তাই দুদকের সঙ্গে আলোচনা করে সাক্ষাতের নতুন সময় নির্ধারণ করে রেজিস্ট্রার দপ্তর।
আট প্রকৌশলী হলেন- ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম শরীফ উদ্দীন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরিদ উদ্দিন ও আলিমুজ্জামান টুটুল, নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) বাদশা মামুনুর রশিদ, মোহা. নুর আলম, উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) প্রসেনজিৎ কুমার বিশ্বাস, রাজিব হোসাইন ও সোহাগ ইসলাম সাগর।
আই/এ
অপরাধ
নিষিদ্ধ সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার
কক্সবাজারে নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন আনসার আল ইসলামের ৩ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে উগ্রবাদী পুস্তিকা, লিফলেট ও বিস্ফোরক তৈরির ম্যানুয়াল উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে র্যাব-১৫ এর সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
আটকরা হলেন, জামালপুরের ইসলামপুর এলাকার আব্দুল ওহাবের ছেলে জাকারিয়া মন্ডল(১৯), ভোলার নুরুল আমিনের ছেলে মোঃ নিয়ামত উল্লাহ (২১) ও ফেনী সোনাগজী এলাকার ইদ্রিস আলীর ছেলে মোঃ ওজায়ের।
কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞেসাবাদে তারা স্বীকার করে নিষিদ্ধ এই জঙ্গি গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য। সাম্প্রতিক সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ও নেতৃস্থানীয় অনেক সদস্য আটক হয়েছে। যেহেতু কিছু সংখ্যক সদস্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়েছে, তাই এই সংগঠনটিকে তারা পুনরুজ্জীবিত করতে নতুন রিক্রুটিং করছে। উঠতি বয়সী কিশোরদের অপব্যাখা দিয়ে সহজে ব্রেন ওয়াশের মাধ্যমে ভূলপথে নেয়া যায় বিধায় কোমলমতি কিশোরদের তারা প্রথমে টার্গেট করতো। তাই এই সংগঠনের বেশিরভাগ সদস্যই ১৯ থেকে ২০ বছর বয়সী তরুণ এবং মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষক। সাধারণত লেখাপড়ায় শিক্ষিত উগ্র মনোভাবাপন্ন লোকজনকে আকৃষ্ট করার জন্য দেশ বিরোধিতাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতো।
তিনি আরও বলেন, এ সংগঠনে মাদ্রাসা শিক্ষক সদস্যগণ অত্যন্ত সু-কৌশলে মাদ্রাসা পড়ুয়া কোমলমতি ছাত্রদের এ বিষয়ে অনুপ্রাণিত করতো। এ জন্য তারা সংগঠনের সদস্যদের গোপনে শারীরিক প্রশিক্ষণ প্রদান করতো বলে জানা যায়। তারা বিভিন্ন দেশের সমমনা ব্যক্তিদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখতো এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন উগ্রবাদী গ্রুপে তাদের বিচরণ ছিল।
আরাফাত ইসলাম বলেন, আটক হওয়া সদস্যরা ঈদের ছুটিতে মাদ্রাসার বন্ধ থাকায় সকলে ছুটিতে বাড়িতে যায়। গ্রেপ্তারকৃতরা ছুটি শেষে পুনরায় মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু মাদ্রাসায় না গিয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী সংগঠনের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি, চাঁদা আদায়, দাওয়াতী কার্যক্রম পরিচালনা এবং বিভিন্ন নীতি নির্ধারণের জন্য গোপন বৈঠক করার উদ্দেশ্যে জঙ্গি সংগঠনটির বাংলাদেশের পরবর্তী সম্ভাব্য আমিরের আহ্বানে সাড়া দিয়ে কক্সবাজারে একত্রিত হয়েছিল। পরবর্তীতে গোপন বৈঠক চলাকালীন সময়ে র্যাব তাদের আটক করে।
উল্লেখ্য, আটক হওয়া সদস্যরা মূলত কক্সবাজারে এসে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তির সাথে আলোচনা করতে চেয়েছিল। যা কিনা র্যাবের কারণে ভেস্তে গেছে পুরো পরিকল্পনা। আটককৃত জঙ্গি সদস্যদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানায় র্যাব।
এএম/
অপরাধ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে মো. সালেক নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত ১টার দিকে ৮ নম্বর ইস্ট ক্যাম্পের বি/৫০ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. শামীম হোসেন।
নিহত মো. সালেক ওই ক্যাম্পের ডি/৭৬ ব্লকের মো. নুর আলমের ছেলে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন জানান, আজ দিবাগত রাতে সালেক নামে এ রোহিঙ্গা নিজ ঘরে ফেরার পথে বোরকা পরিহিত ৩/৪ জন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এই হাসপাতালে নেয়ার সময় রোহিঙ্গা যুবকের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এএম/
- পর্যটন10 hours ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
- আবহাওয়া2 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
- টুকিটাকি1 day ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
- অপরাধ9 hours ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
- রংপুর1 day ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
- জাতীয়1 day ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!
- আন্তর্জাতিক1 day ago
এক ঘণ্টায় সাড়ে ৪৮ কোটি টাকা জিতলেন জুয়াড়ি, অতপর…
- অপরাধ2 days ago
ট্রেনের খাবার বগিতে তরুণীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩