দেশজুড়ে
বন্যার পানিতে কৃষকের ৪৪ কোটি টাকার ক্ষতি
![সুনামগঞ্জ-পাহাড়ি-ঢল](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/সুনামগঞ্জ-পাহাড়ি-ঢল.jpg)
ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢল এবং ভারী বৃষ্টিপাতে সুনামগঞ্জে প্রায় দুই হাজার ২৬৭ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে যায়। এতে জেলার কৃষকদের ৪৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। যারা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করেছিলেন তাদের মাথায় ঋণের বোঝা যুক্ত হয়ে দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এ বছর জেলায় আউশ আবাদ হয়েছিল ৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে এবং গ্রীষ্মকালীন শাক সবজি চাষ হয়েছিল ৩ হাজার ৩শ ৭৭ হেক্টর জমিতে। এর মাঝে ১৭শ হেক্টর আউশ আবাদি জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে এবং গ্রীষ্মকালীন সবজির ৫৬৭ হেক্টর জমি নিমজ্জিত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আউশধানের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা এবং গ্রীষ্মকালীন সবজির ক্ষতি হয়েছে ৩৩ কোটি টাকার।
সদর উপজেলার কৃষক মহিবুর রহমান বলেন, স্ত্রীকে দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক থেকে ১ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ধুন্দল আর পটলের চাষ করেছিলেন। অনেক ফুলও এসেছিল, যে কারণে টাকা ঋণ নিয়েছি তাতে আমি সফল হয়েছেন বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু বন্যা তাঁর সেই ভাবনায় জল ঢেলে দিলো। এখন কিস্তি কিভাবে পরিশোধ করবো সে চিন্তা করছেন তিনি।
দোয়ারাবাজার উপজেলার ডাউকেরখারা গ্রামের কৃষক জুবায়ের আহমদ জানান, ৫ একর জমিতে ডাটা, করলা, ধুন্দল, ঝিঙ্গার চাষ করেছিলেন। পাহাড়ি ঢলে গ্রামের বাধ ভেঙে গিয়ে স্রোতের তোড়ে সব কিছু ভেসে যায়। যে জমিতে ফসল চাষ করেছিলেন সেখানে কাদা ছাড়া কিছুই নেই।
বিমল চন্দ্র সোম জানান, সুনামগঞ্জ জেলায় এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৪০০ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করা হয়েছে এবং তালিকা প্রণয়নের কাজ চলমান আছে। ভবিষ্যতে সরকারি প্রণোদনার মাধ্যমে সকল ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিভাগের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করা হবে।
আই/এ
সিলেট
সিলেটে ফের বন্যার চোখ রাঙানি, আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটতে মানুষ
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/সিলেটে-বন্যা.jpg)
গেলো ১৭ জুন থেকে সৃষ্ট বন্যার রেশ কাটাতে না কাটাতে আবারও বন্যার আতঙ্কে সিলেটে জনজীবন। সীমান্তের ওপারের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জির অবিরাম ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের নিম্নাঞ্চল আবার ও প্লাবিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই সুনামগঞ্জ সদরের সঙ্গে বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ ও দোয়ারাবাজার উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। লোকালয়ে পানি উঠায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। আবার ও মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
রোববার (২ জুলাই) রাত থেকে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন নদনদীর পানি বাড়ার পাশাপাশি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে।
পাহাড়ি ঢল ও অব্যাহত বর্ষণের ফলে সুনামগঞ্জ জেলার সকল নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে। গেলো ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১৭০ মিলিমিটার। ভারতের মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জির বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৩১৩ মিলিমিটার।
এতে সুরমা নদীর তীরবর্তী সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকার বাসা বাড়ির আঙ্গিনায় পানি প্রবেশ করছে। শহরের অনেক রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। তেঘরিয়া, বড়পাড়া,উত্তর আরপিন নগর, বাজার, কাজীর পয়েন্ট, ষোলঘর, নবীনগর সুলতানপুর, ধোপাকালীসহ অনেক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যা কবলিত লোকজন ইতিমধ্যেই অনেক আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
দোয়ারাবাজারের লক্ষ্মীপুরের খাসিয়ামারা নদী, চিলাই নদীর পানি বাড়ছে। তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা, রক্তি, মাহারাম, বৌলাই, পাটলাই নদীসহ অন্যান্য অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি হু হু করে বাড়ছে। ফলে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
দোয়ারাবাজার উপজেলার ইউএনও মেহের নিগার তনু জানিয়েছেন, দোয়ারাবাজার উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন যেমন লক্ষীপুর, সুরমা, বোগলাবাজার মান্নারগাঁও ও সদর ইউনিয়নের অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হলেও কেউ উঠেনি। তবে শুকনো খাবার বিতরণ করা শুরু হয়েছে।
তাহিরপুর উপজেলার ইউএনও সালমা পারভীন ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ইউএনও মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, তাদের উপজেলার অনেক জায়গাতেই রাস্তাঘাট ও ঘর বাড়িতে পানি প্রবেশ করার ফলে লোকজন আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়েছেন। প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা তাদের শুকনো খাবার ও রান্না করা খাবার বিতরণ করেছেন।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ইউএনও মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ২২ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত আছে ইতিমধ্যেই ৭টিতে মানুষ উঠেছে।
তাহিরপুর উপজেলার বালিজুরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাদ হোসেন জানান, আনোয়ারপুর সড়ক প্লাবিত।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও মৌসুমী মান্নান জানিয়েছেন, সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর প্রবাহিত। তাদের পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানিয়েছেন, বন্যা মোকাবিলার জন্য সকল প্রস্তুতি রয়েছে। ইতিমধ্যেই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার সভা করে সকল ইউএনওদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
টিআর/
চট্টগ্রাম
আলুটিলায় পাহাড় ধস, সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/আলুটিলায়-পাহাড়-ধস.jpg)
খাগড়াছড়ির আলুটিলার সাপমারা এলাকায় ভারী বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া জেলার মহালছড়ির ২৪ মাইল এলাকায় পানিতে তলিয়ে গেছে সড়ক। রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কেও যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোরের দিকে এ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। সড়কের ওপর মাটি জমে থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীরা আটকা পড়েছেন। ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম যাতাযাতকারী যাত্রীরা। সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এদিকে দীঘিনালা উপজেলার মেরুং স্টিল ব্রিজ এলাকায় পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি লংগদু সড়ক তলিয়ে বন্ধ হয়ে গেছে যানবাহন চলাচল। খাগড়াছড়ি সাজেক সড়কের বাঘাইহাট এলাকায় পানিতে ডুবে যাওয়ায় সড়কটি বন্ধ রয়েছে।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের লিডার মো. জসিমউদ্দীন বলেন, সাপমারা এলাকায় সড়কের মাটি সরানোর কাজ চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ি চলাচলের উপযোগী হবে। তবে আলুটিলা সড়কের আরও কিছু স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। খাগড়াছড়িতে বৃষ্টি চলমান। বৃষ্টি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তলিয়ে যাওয়া সড়কগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে না। এছাড়া অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে জেলার নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হচ্ছে। বসতবাড়িতেও প্রবেশ করছে পানি।
টিআর/
ঢাকা
কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় চেয়ারম্যান কারাগারে
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/News-Image-1-3.gif)
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় নারান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মুসলেহ উদ্দিনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। হাইকোর্টের দেয়া ৬ সপ্তাহের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে আজ কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত এর রায় দেন।
সোমবার (১ জুলাই) কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ আদেশ দেন।
জানা যায়, গেলো ২৫ এপ্রিল রাতে নারান্দি ইউনিয়নের পোড়াবাড়িয়া গ্রামের বৈশাখী মেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের গান বন্ধ হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। এক পযার্য়ে কুষাকান্দা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে কিশোরগঞ্জ সরকারী গুরুদয়াল কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র শরীফ উদ্দিন (২৩) নিহত হন।
এ ঘটনায় মেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান মুসলেহ উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে ২৭ এপ্রিল ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০-৩০জনকে আসামী করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা করেন নিহতের বাবা আবুল হোসেন।
পরে রাজন মিয়া, সোহেল মিয়া, মাহমুদুল হাসান রাজন ও দেলোয়ার হোসেন শাহীনসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও চেয়ারম্যান মুসলেহ উদ্দিন হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নিয়েছিলেন।
আই/এ
- পর্যটন4 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
- ইসলাম4 days ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
- বলিউড3 days ago
লন্ডনে অমিতাভের নাতির সঙ্গে শাহরুখ কন্যার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ভাইরাল!
- অপরাধ4 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
- আবহাওয়া6 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
- টুকিটাকি5 days ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
- রংপুর5 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
- জাতীয়5 days ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!