Connect with us

পরামর্শ

কাজের চাপ সামলেও যেভাবে সন্তানের পাশে থাকবেন

Avatar of author

Published

on

আজকাল সন্তানের সঙ্গে বেশি সময় কাটানোর সময় হয় না বেশির ভাগ বাবা-মায়েরই। এখন প্রায় অধিকাংশ পরিবারেই মা-বাবা দুজনে বাইরে কাজ করেন। ফলে ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে সারা দিনে মা-বাবার দেখা হওয়ার সময় সীমিত। তাই দেখা যায়, মা বা বাবাকে কাছে না পেয়ে সন্তান অনেক সময়েই অভিমানী হয়ে যায়। কথা শুনতে চায় না। ফলে মা-বাবারও উদ্বেগ বাড়ে। সন্তানকে সঠিক পথে পরিচালনা করার জন্য সারা দিন তার সামনে বসে থাকার প্রয়োজন নেই। বরং নিজের মূল্যবোধ ও চিন্তাধারা একটু একটু করে তার মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে পারাই আসল।

কী করবেন?

১. সারা সপ্তাহের একটা রুটিন করে রাখুন। সন্তান কখন স্কুলে যাবে, কখন ফিরবে, কখন পড়তে বসবে, কখন খাবে, কত ঘণ্টা ঘুমোবে— তার একটা রুটিন করুন। বাচ্চার ঘরে এই রুটিন সেঁটে দিন। এই রুটিন আপনার সন্তান ঠিক ভাবে মেনে চললে মাঝেমধ্যে তাকে উপহার দিন। ছুটির দিনে ঘুরতে নিয়ে যান। এতে সন্তানও বুঝবে আপনি শত ব্যস্ততার মাঝেও তার সব দিকে খেয়াল রাখছেন।

২. সন্তান যদি অভিমান করে তাহলে টিফিন বক্সে, ব্যাগে, বাড়িতে তার ঘরে ছোট ছোট চিরকুট লিখে রাখুন। কখনও কখনও তার জন্য একটি বা দু’টি চিঠিও লিখে যান। তাতে লিখুন আপনি ওকে কতটা ভালোবাসেন। এতে দূরে থাকলেও সন্তান আপনার ভালোবাসার স্পর্শ পাবে। আপনাকে কাছে না পেলে, ওই চিঠি বা চিরকুটই তাকে সঙ্গ দেবে। এতে ওর চিন্তাশক্তি, ধৈর্যও বাড়বে।

৩. সারা দিনে ফোনে অন্তত দু’বার ওর সঙ্গে কথা বলুন। যত কম সময়ই হাতে থাকুক না কেন, তার মধ্য থেকেই কিছুটা সময় বার করে নিন। সেই সময়টুকু তাকে কোনও কারণে বকুনি বা নির্দেশ দিয়ে নষ্ট করবেন না। বরং শিশুর সঙ্গে তার মতো করে গল্প করুন। সারা দিনে তারও আপনাকে অনেক কিছু বলার থাকতে পারে, তা শোনার চেষ্টা করুন।

Advertisement

৪. মাসে অন্তত এক বার সন্তানের স্কুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন। সন্তানের বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আলাপ করুন, তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলুন। তা হলে আপনিও বুঝবেন, সন্তান ঠিক কেমন পরিবেশে বেড়ে উঠছে।

৫. বাড়ি ফিরে যদি জানতে পারেন যে, সে অন্যায় কোনও কাজ করেছে, সঙ্গে সঙ্গে তাকে শাসন করতে বসবেন না। বরং পরে সময় নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলুন। সে কেন অমন কাজ করেছে, তা জানার চেষ্টা করুন। তার কাজটা যে ভুল, সেটা বোঝানোর চেষ্টা করুন।

৬. যদি বোঝেন আপনার সন্তানের কোনও সমস্যা হচ্ছে, কিন্তু সে খোলাখুলি কথা বলতে পারছে না, তবে আপনি নিজে শান্ত ভাবে এবং গুছিয়ে তার সঙ্গে কথা বলুন। বলতে হবে যে, আপনি বুঝতে পারছেন সে মানসিক চাপে রয়েছে। কোনও কিছু নিয়ে মন খারাপ হলে তা সে বলতে পারে। আপনি শোনার জন্য তৈরি বা আগ্রহী। সেই মুহূর্তেই যদি সে বলতে না চায়, ভয় পায়, তা হলে অতিসক্রিয়তা না দেখিয়ে বলুন আপনি পরেও শুনতে পারেন। পরিস্থিতি যা-ই হোক, এটা বোঝাতে হবে যে আপনি সব সময়ে পাশে আছেন। তা সুনিশ্চিত করতে হবে।

৭. শিশুরা খুবই স্পর্শকাতর হয়। হয়তো আপনাকে কাছে পাচ্ছে না, এ দিকে স্কুলে কোনও সমস্যা হচ্ছে বা বন্ধুদের নিয়ে কোনও সমস্যা তৈরি হয়েছে এবং আপনাকে তা বলতে না পেরে ভিতরে ভিতরেই গুমরে রয়েছে। সেই সময়ে কোনও প্রশ্ন না তুলে সন্তানের কথাও শুনতে হবে। বুঝতে হবে এবং মানতে হবে যে সে কী ধরনের মানসিক যন্ত্রণায় রয়েছে। কোনও রকম উপদেশ না দিয়ে বরং কিছু দিন এই বিষয়ে কথা বলুন। বাড়াবাড়ি লক্ষ্য করলে মনোরোগ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

জেএইচ

Advertisement
Advertisement

পরামর্শ

প্রতিদিন পর্যাপ্ত না ঘুমোলে যে বড় ক্ষতি হতে পারে আপনারও

Published

on

বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিন অন্তত ৬ ঘণ্টার কম ঘুমোলে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন যে কেউ। কী কী অসুবিধা হতে পারে? দেখুন-

নানা কারণে আজকাল বেশিরভাগ মানুষের ঘুম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বেশিরভাগ মানুষকেই অনিদ্রার সমস্যায় পড়তে হয়। অনিদ্রা এমন একটি অবস্থা যখন একজন ব্যক্তি স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম ঘুমান বা একেবারেই ঘুমান না। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।

কম ঘুমের অসুবিধা

একজন মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে ৬ ঘণ্টার কম ঘুমোলে তার শরীরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। জেনে নিন কম ঘুমের কারণে স্বাস্থ্যের কী কী ক্ষতি হয়।

মস্তিষ্কের উপর প্রভাব: বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে ঘুমের অভাব আপনার মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস করে। আপনি হ্যালুসিনেশনের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন।

Advertisement

কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা: ঘুমের অভাব পরিপাকতন্ত্রেও প্রভাব ফেলে। যাদের ঘুমের সমস্যা হয়, তাদের প্রায়ই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে।

একটি দুর্ঘটনা ঘটতে পারে: আপনি যদি প্রতিদিন কম ঘুমোন, তবে কখনও কখনও আপনি হঠাৎ ঘুমিয়ে যেতে পারেন। গাড়ি চালানোর সময় বা অন্যান্য বিপজ্জনক কাজ করার সময় যদি এই ঘুম চলে আসে, তবে আপনার সঙ্গে ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা।

চোখ দুর্বল হয়ে যেতে পারে: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আপনি যদি দীর্ঘ সময় ধরে ৬ ঘণ্টার কম ঘুমোন। তবে সাবধান, কারণ এটি আপনার চোখের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। কম ঘুমালে চোখের সমস্যা হতে পারে।

মানসিক চাপ এবং বিষণ্ণতা: স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে বেশিরভাগ মানসিক সমস্যা ঘুমের অভাবের সঙ্গে সম্পর্কিত। আপনি যদি খুব কম পরিমাণে ঘুমোন তবে আপনাকে মানসিক চাপ এবং বিষণ্ণতার মতো সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

এইসব মারাত্মক রোগের ঝুঁকি থাকে: গবেষণা অনুসারে, যারা প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমোন না, তাদের ক্যানসার, হার্ট স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিসের মতো গুরুতর রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

ত্বক সুন্দর রাখতে এড়িয়ে চলুন ৮টি খাবার

Published

on

ত্বক

প্রায়ই আমরা বিভিন্ন স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট বা ন্যাচারাল ইনগ্রেডিয়েন্ট ব্যবহার করে থাকি। তবে আমরা যতই নামী-দামি প্রোডাক্ট ব্যবহার করি না কেন, সঠিক খাদ্যাভ্যাস যদি মেনটেইন করা না হয়, তাহলে কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও স্বাস্থ্যোজ্বল ত্বক পাওয়া সম্ভব হবেনা। তাই ত্বকের যত্নের পাশাপাশি পরিবর্তন আনতে হবে আমাদের খাবারের তালিকায়। আজ আপনাদের জানাবো এমন ৮টি খাবার সম্পর্কে যেগুলো ত্বক সুন্দর রাখতে এড়িয়ে চলতে হবে।

ত্বক সুন্দর রাখতে যা যা খাবেন না

আমাদের সার্বিক সুস্থতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ত্বক ও চুল সুন্দর রাখতে সঠিক খাদ্যাভ্যাসের কোনো বিকল্প নেই। স্কিনকেয়ার করে হয়তো অল্প সময়ের জন্য ত্বককে সুন্দর করা যায়, তবে গভীর থেকে স্বাস্থ্যোজ্বল ত্বক পেতে হলে আমাদের খাদ্যাভ্যাসেও আনতে হবে পরিবর্তন। অস্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের হজমের সমস্যা, ইনফ্ল্যামেশন, একনে ইত্যাদি তৈরি করতে পারে, যা আমাদের ত্বকের জন্য মোটেই ভালো নয়। এ ধরনের খাবার খেলে ব্রণ থেকে শুরু করে ত্বকের অকালে বয়সের ছাপও পড়তে পারে। তাই ত্বকের সুস্থতা চাইলে খাবারের ক্ষেত্রে থাকতে হবে বেশ সতর্ক।চলুন জেনে নেওয়া যাক ত্বক সুন্দর রাখতে যে ৮টি খাবার অতিরিক্ত খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে-

লবণ

আমাদের শরীরে আয়োডিনের ঘাটতি পূরণ করে লবণ। তবে অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে মুখে বিশেষ করে, চোখের চারপাশে ফোলাভাব দেখা দেয়। আমাদের চোখের চারপাশের ত্বক বেশ পাতলা হয়ে থাকে। অতিরিক্ত সোডিয়াম বা লবণ গ্রহণে এসব জায়গা ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকি অতিরিক্ত সোডিয়াম খাওয়ার ফলে ডার্ক সার্কেল এর সমস্যাও হতে পারে। তাই খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খাওয়াটা এড়িয়ে চলা উচিত।

Advertisement

দুগ্ধজাত খাদ্য

দুধ বা দুগ্ধজাত খাবারের উপকারিতা নিয়েই সাধারণত অনেক কথা হয়। শরীর ও ত্বকের জন্য দুগ্ধজাত খাদ্য খুবই উপকারী। তবে দুগ্ধজাত খাদ্য অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে ত্বকের বিভিন্ন ক্ষতি যেমন,চোখের পাতা ফোলা, আই ব্যাগ, ব্ল্যাকহেডস, ব্রণ ও বলিরেখার মতো নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই অতিরিক্ত দুগ্ধজাত খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকাটাই শ্রেয়।

চিনি

চিনি শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর একটি খাবার। চিনিতে প্রচুর ক্যালরি থাকায় এটি খেলে ওজন বেড়ে যায়। পাশাপাশি ত্বকেও খারাপ প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার অভ্যাস ত্বকে ইনফ্ল্যামেশন তৈরি করে, যা থেকে একনে ব্রেকআউট দেখা দিতে পারে। পাশাপাশি যাদের পিসিওএসের তো হরমোনাল সমস্যার কারণে একনে হয়, তাদের একনেও অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে বেড়ে যেতে পারে। এ কারণে চিনিযুক্ত খাবার যত কম খাওয়া যায়, ততই ভালো।

চকলেট বা ক্যান্ডি

Advertisement

কম বেশি সবাই ক্যান্ডি বা চকলেট খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু সুস্থ ত্বকের জন্য যেসব খাবার আমাদের পারতপক্ষে এড়িয়ে চলতে হবে, এই মজাদার চকলেট বা ক্যান্ডি তার মধ্যে অন্যতম। কারণ যদি আপনি নিয়মিত এগুলো খান, তাহলে আপনার শরীরে প্রক্রিয়াজাত চিনির পরিমাণ বেড়ে যাবে মারাত্মক আকারে। এই অতিরিক্ত চিনির কারণে ত্বকে থাকা কোলাজেনের ব্যালেন্স নষ্ট হয়, যা ত্বকের ইলাস্টিসিটি নষ্ট করে। পাশাপাশি ত্বকের ন্যাচারাল গ্লো হারিয়ে ত্বক হয়ে যায় মলিন। তাই প্রচন্ড পছন্দের খাবার হলেও ত্বকের সুস্থতার জন্য চকলেট কিছুটা হলেও এড়িয়ে চলা উচিত।

সোডা ও কোমল পানীয়

খুব গরম পড়লে বা গুরুপাক খাবার খাওয়ার পরে কোমল পানীয় বা সোডা পান করা প্রায় সবারই একটি নিত্যদিনের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কোমল পানীয় পান করতে বেশ ভালো লাগলেও ত্বকের জন্য কিন্তু এটি মোটেও ভালো নয়! এই ধরনের পানীয়তে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় চিনি। তাই এগুলোতে ক্যালরিও অনেক বেশি। কোমল পানীয়র কারণে ত্বকে অকালে বয়সের ছাপ পড়াসহ বিভিন্ন স্কিন ইরিটেশন দেখা দিতে পারে। তাই আপনার যদি হুটহাট কোমল পানীয় পান করার অভ্যাস থেকে থাকে, তাহলে আজই সেটি ছাঁটাই করে ফেলুন।

ফাস্টফুড ও তেলে ভাজা খাবার

আমাদের মধ্যে অনেকেরই মিড মর্নিং বা বিকেলের নাস্তায় চপ, সিঙাড়া অথবা বার্গার, ফ্রায়েড চিকেন ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস আছে। এসব খাবার খেতে ভালো লাগলেও, ত্বকের জন্য কিন্তু এগুলো একেবারেই উপকারী নয়! এই খাবারগুলো আমাদের ত্বকে ইনফ্ল্যামেশন বা ব্রণজনিত সমস্যার জন্য অনেকটা দায়ী। তাই ত্বক সুন্দর রাখতে এখন থেকে এসব খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

Advertisement

কফি

বন্ধুদের আড্ডায় কিংবা দিনশেষে ক্লান্তি দূর করতে কফি পান করতে পছন্দ করেন অনেকেই! কারো কারো তো কফি না খেয়ে দিনই শুরু হয়না! তবে এই অতিরিক্ত কফি পান করার ফলে শরীরে দেখা দিতে পারে ডিহাইড্রেশন এবং সেই সাথে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা। তাই অতিরিক্ত কফি পান করা থেকে বিরত থাকাটা খুব জরুরি সুন্দর ও সুস্থ ত্বক পেতে হলে।

প্রক্রিয়াজাত খাবার

যেসকল খাবার প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত না হয়ে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় নানা প্রক্রিয়ায় প্রক্রিয়াজাত হয়, সেসব খাবার ত্বকের জন্য বেশ ক্ষতিকর। এধরনের খাবারের মধ্যে প্যাকেট করা বা কৌটাজাত দীর্ঘদিন সংরক্ষিত বিভিন্ন খাবার যেমনঃচিকেন নাগেটস, মিটবল, ক্যানে থাকা ফল বা সবজি, জুস অন্যতম। এসকল খাবার আমাদের স্কিনের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কেননা এগুলোতে ব্যবহার করা হয় প্রিজারভেটিভস, যা আমাদের স্কিন ব্যারিয়ারের ক্ষতি করে। তাই এই খাবারগুলো কম খেয়ে বাড়িতে তৈরি খাবার খান। বেশি করে ফলমূল ও শাকসবজি খাদ্যতালিকায় রাখুন। এতে করে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে, আবার ত্বক ও চুলও ভালো থাকবে।

তো এই ছিলো ত্বক সুন্দর রাখতে যে খাবারগুলো কম খাওয়া উচিৎ তা নিয়ে আমাদের আজকের আলোচনা। সবসময় মনে রাখবেন, সুস্থ ত্বকের জন্য সবার আগে দরকার সঠিক খাদ্যাভাস এবং পরিমিত মাত্রায় খাবার গ্রহণ। আমাদের শরীর যদি সঠিক পুষ্টি উপাদান পায় তবে ত্বকের সুস্থতা বজায় রাখাটাও হবে বেশ সহজ।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

পরামর্শ

প্রযুক্তির বেড়াজাল থেকে নিজেকে উদ্ধার করবেন যেভাবে

Published

on

প্রযুক্তি

ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমিয়ে পড়া পর্যন্ত হাতে ফোন থাকেই! প্রযুক্তিময় জীবনটাই বেশ পছন্দ করে সবাই। কখনো কি মনে হচ্ছে প্রযুক্তি আপনাকে জীবনের মূলধারা থেকে সরিয়ে নিয়ে আসছে অনেকটাই? যদি সেটা পাল্টাতে চান তো সচেতন হন এখনই। অল্প কিছু অভ্যাস একটু একটু করে পাল্টে নিন। কীভাবে? চলুন জেনে নেই প্রযুক্তির বেড়াজাল থেকে নিজেকে উদ্ধার করার কিছু কার্যকরী পদ্ধতি সম্পর্কে।

প্রযুক্তির বেড়াজাল থেকে নিজেকে উদ্ধার করার পদ্ধতি 

১. ডায়রি লিখুন

সারাদিন সামাজিক সাইটগুলোতে ঘোরাঘুরি কমিয়ে আনুন অল্প অল্প করে। দিন জুড়ে স্ট্যাটাস আপডেট করার চাইতে বরং রাতের বেলা প্রিয় ডায়রিতে নিজের দিনটাকে বন্দী করে রাখবেন। এমনটাও হয়, আমরা খুব একটা উপভোগ করছি না কিন্তু তাও ফেসবুকেই সময় কাটাচ্ছি। বিষয়টা এমন যে অন্য কিছু করার ইচ্ছেটাই কাজ করছে না তখন আর তাই ফেসবুক ওই মুহূর্তে ভালো না লাগলেও সেটাই আমাদের সঙ্গী। এই অভ্যাসটা বাড়তে দেয়া কখনোই ভালো কিছু নয়!

২. ছুটির দিনে শহর ঘুরে দেখুন 

Advertisement

নিজের শহরটাকে পুরো ঘুরে দেখার পরিকল্পনা নিন, শুরু করুন, আপনার সময় যে দারুণ কাটবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। ভ্রমণপ্রিয় হলে তো কথাই নেই, একা ঘুরতেও দিব্যি ভালো লাগবে তখন। সারাদিন মুভি দেখা, রেস্টুরেন্টে চেক-ইন দেয়া ইত্যাদি পরিকল্পনায় ভরা ছুটির দিনটা পাল্টে নিন পুরোপুরি। না দেখা কোন জায়গাকে জানার জন্য বেড়িয়ে পড়ুন। দিন খারাপ যাবে না আপনার।

৩. বই পড়ুন

ই-বুক, পিডিএফ পারতপক্ষে এড়িয়ে চলুন। কাগজের বই যে নির্মল আনন্দ দিতে পারে তার বিকল্প আর কিছুতে নেই। দরকারের জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার অবশ্যই করবেন, বই পড়ার ক্ষেত্রেও তেমন হতেই পারে কিন্তু ই-বুকের কারণে কাগুজে বই ভুলে যাবেন, এটা শুভ কিছু নয়।

৪. ঘুরে বেড়ানো

সময় পেলে ঘুরতে বেড়িয়ে যান। দলবল নিয়ে বা কখনো একা, ঘুরে বেড়ান কাছের-দূরের জায়গাগুলোতে। আপনি নিজে ঘরকুনো হতেই পারেন, আপনার ঘুরে বেড়াতে ভালো নাই লাগতে পারে কিন্তু সঙ্গের মানুষটা হয়তো ঘুরতে চাচ্ছে, বন্ধুরা আনন্দ নিয়ে প্ল্যান করেছে বেড়ানোর, তাদের সঙ্গে বেড়িয়ে পড়ুন।

Advertisement

৫. প্রিয়মুখগুলোকে সময় দিন

সময়ের এতোটাও অভাব হয় না যে মাসে দুই-একবার আপনি প্রিয়মুখগুলোর জন্য সময় করতে পারবেন না। মূল সমস্যা অনাগ্রহ, আলসেমি যা আপনাকে প্রিয় মানুষদের থেকেই দূরে নিয়ে যাচ্ছে। এক শহরে আছেন যারা, যতোটা পারা যায় একসাথে সময় কাটান। প্রত্যক্ষ সাক্ষাতে সম্পর্কের সজীবতা অটুট থাকে। মেসেজে-স্কাইপে খোঁজ নিয়ে কাজ সারার চল এবার বন্ধ দিন।

৬. পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান

প্রতিদিন রাতে খাবারের পর পরিবারের সঙ্গে ছোট একটা আড্ডা জমান। সবাই নিজেদের গল্প ভাগাভাগি করুন। কিছু অসাধারণ সময় জমা হবে আপনার ঝুলিতে। এই সময়গুলিই বহু বছর বাদে মনে পড়বে, মুখে হাসি এনে দিবে।

জীবনটাকে তার আসল রূপেই উপভোগ করুন। প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই থাকবে, সেটা সাথেই নিয়েই চলুন কিন্তু তাতে হাড়িয়ে যাবেন না। একটি সতেজতায় ভরপুর জীবন আপনার অপেক্ষায় আছে। সেটা প্রযুক্তির বেড়াজালে আটকে যেতে দিবেন না। পৃথিবী, প্রকৃতি আমাদের দু’হাত ভরে দিয়েছে, সেই স্বাদ-বর্ণ-ঘ্রাণ উপভোগ করুন যতোটা পারা যায়।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত