Connect with us

জাতীয়

১৯ জেলা জজকে বদলি

Avatar of author

Published

on

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করে ১৯ জন জেলা জজকে বদলি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। গেলো বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

শনিবার (২৯ জুন) আইন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রজ্ঞাপনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে জুডিশিয়াল সার্ভিসের বর্ণিত সদস্যদের বর্তমান কর্মস্থল থেকে বদলি করে পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বর্ণিত পদে নিয়োগ বা বদলি করা হলো। এসব বিচারককে পরবর্তী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা/দপ্তর প্রধানের মনোনীত কর্মকর্তা বা জেলা ও দায়রা জজের কাছে আগামী ২ জুলাই দায়িত্বভার অর্পণ করে অবিলম্বে বদলি করা কর্মস্থলে যোগদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

বদলি হওয়া বিচারকরা হলেন– জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের সচিব শেখ আবু তাহেরকে বরিশালের জেলা জজ, নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব মাহবুবুর রহমান সরকারকে নরসিংদীর জেলা জজ, পটুয়াখালীর জেলা জজ এম এম এরশাদুল আলমকে নারায়ণগঞ্জের জেলা জজ, আইন কমিশনের সচিব আতোয়ার রহমানকে গোপালগঞ্জের জেলা জজ, গোপালগঞ্জের জেলা জজ মো. কামরুল হাসানকে পটুয়াখালীর জেলা জজ, মৌলভীবাজারের জেলা জজ আল মাহমুদ ফায়জুল কবিরকে গাইবান্ধার জেলা জজ, টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মাহাবুবুর রহমানকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬, ঢাকার বিচারক, নরসিংদীর জেলা জজ মোসতাক আহমেদকে কুমিল্লার জেলা জজ, গাইবান্ধার জেলা জজ মো. আবুল মনসুর মিঞাকে ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা জজ পদে বদলি করা হয়েছে।

এ ছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, কক্সবাজারের বিচারক মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিনকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩, হবিগঞ্জের বিচারক, সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সিলেটের বিচারক মুহাম্মদ নুরুল আমীন বিপ্লবকে কিশোরগঞ্জের জেলা জজ, কুষ্টিয়ার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলামকে বাগেরহাটের জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২, কুমিল্লার বিচারক মো. জাহিদুল কবিরকে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, খুলনার বিচারক, সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল, খুলনার বিচারক রোজিনা আক্তারকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, বাগেরহাটের বিচারক, বিশেষ জজ আদালত-৪, ঢাকার বিচারক সৈয়দ আরাফাত হোসেনকে মৌলভীবাজারের জেলা জজ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩, কুমিল্লার বিচারক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল-১ ঢাকা, এর সদস্য, ৩য় শ্রম আদালত ঢাকার বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানাকে বিশেষ জজ আদালত কুষ্টিয়ার বিচারক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, রাঙামাটির বিচারক এ ই এম ইসমাইল হোসেনকে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের পরিচালক এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারক মো. রবিউল আলমকে বিশেষ জজ আদালত-৪ ঢাকার বিচারক পদে বদলি করা হয়েছে।

Advertisement

এএম/

Advertisement

জাতীয়

পুনরায় ৩ ও ১৫ দিনের ইন্টারনেট প্যাকেজ চালু হচ্ছে

Published

on

মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহারকরীদের সুবিধার্থে ৯৫টির পরিবর্তে ডাটা প্যাকেজ ৪০টিতে নামিয়ে আনা হয়। এতে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমতে থাকে। ইন্টারনেট প্যাকেজ থেকে যে আয় হয়, তাতেও ধস নামে মোবাইল অপারেটরগুলোরও।

তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডাটা প্যাকেজ কমানোর সিদ্ধান্ত নেন। গেলো বছরের অক্টোবরে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

অপারেটরগুলো জানায়, গ্রাহকদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্যাকেজ ছিল ৩ দিনের। এটা বন্ধ করায় ইন্টারনেট গ্রাহক কমে যায়। এতে তাদের আয়ে ভাটা পড়ে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে ৩ ও ১৫ দিনের প্যাকেজ চালুর দাবি জানাতে থাকেন মোবাইল অপারেটরগুলো।

অপারেটর ও গ্রাহক—উভয়পক্ষ অসন্তোষ প্রকাশের পর এক জরিপ দেখা যায়, প্রায় ৭০ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী তিনদিনের ডাটা প্যাকেজ ব্যবহার করেন। তারা পুনরায় ৩ ও ১৫ দিনের এ প্যাকেজ চালুর দাবিও জানান।

বিটিআরসির এক বৈঠকে সম্প্রতি এ তথ্য তুলে ধরা হয়। সেখানে উপস্থিতি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। গ্রাহকদের চাওয়া-পাওয়াকে গুরুত্ব দিয়ে প্যাকেজ সাজানোর পরামর্শ দেন প্রতিমন্ত্রী। এরপর ৩ ও ১৫ দিনের প্যাকেজ পুনরায় চালুর লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে বিটিআরসি।

Advertisement

সম্প্রতি বিটিআরসিতে কলড্রপ সংক্রান্ত সভায় জুনাইদ আহমেদ পলক গণমাধ্যমে বলেন, গণশুনানিতে দেখেছি, গ্রাহকদের কাছে ছোট প্যাকেজগুলোর জনপ্রিয়তা বেশি। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ও এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। জনপ্রিয় প্যাকেজগুলো যেন আমরা পুনরায় চালু করি, সেই নির্দেশনা আছে।

তিনি আরও বলেন, বিটিআরসি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে। অপারেটরগুলোকে এ নিয়ে নির্দেশনা দিয়ে চিঠি ইস্যু করা হবে। আশা করি দ্রুত ছোট প্যাকেজগুলো আবারও ফিরে পাবেন গ্রাহকরা।

এএম/

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

সারা দেশে ‘বাংলা ব্লকেড’ ঘোষণা কোটা আন্দোলনকারীদের

Published

on

কোটা-আন্দোলন

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ মোড় থেকে সরে গেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় শাহবাগ ছাড়ার আগে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেন, আগামীকাল রোববার (০৭ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে দেশজুড়ে ‘বাংলা ব্লকেড’ (অবরোধ) কর্মসূচি পালন করা হবে।

ঢাবির সমাজকল্যাণ বিভাগের এই শিক্ষার্থী আরও বলেন, শুধু শাহবাগ মোড় নয়, রাজধানীর প্রতিটি পয়েন্টে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা নেমে এসে কর্মসূচি সফল করবেন। ঢাকার বাইরের জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করবেন।

এ সময় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি চলবে বলেও জানান নাহিদ ইসলাম।

Advertisement

এর আগে, কোটা বাতিলের দাবিতে পঞ্চম দিনের মতো শনিবার বিকেলে অন্দোলনে নামেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনে যোগ দিতে ঢাবির বিভিন্ন হল থেকে আলাদা ব্যানারে মিছিলে নিয়ে সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে আসেন তারা। পরে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে আসেন শিক্ষার্থীরা। এরপর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। এ সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথার কবর দে’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই’ এমন বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের জন্য ৫ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।

ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ কোটা থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। পরে সে বছরের ৪ অক্টোবর কোটাপদ্ধতি বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর মাধ্যমে ৪৬ বছর ধরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে যে কোটাব্যবস্থা ছিল, তা বাতিল হয়ে যায়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে রিট করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই চাকরিপ্রত্যাশী সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে নামছেন।

Advertisement

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা পরিপত্র পুনর্বহালের পাশাপাশি আরও কিছু দাবি জানাচ্ছেন। এগুলো হলো, পরবর্তী সময়ে সরকার কোটাব্যবস্থা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নিতে চাইলে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া, সংবিধান অনুযায়ী অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা, চাকরির নিয়োগের পরীক্ষায় কোটাসুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করার সুযোগ বন্ধ করা ও কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোয় মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেয়া এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া।

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

পার্কে প্রবেশে অতিরিক্ত ফি প্রত্যাহারের দাবি : পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন

Published

on

সবধরনের উদ্যান ও উন্মুক্ত জনসমাগমস্থলে (পাবলিক প্লেস) জনপ্রবেশ অধিকার যত সংকুচিত হবে দেশে হাসপাতাল ও কারাগারের সংখ্যা তত বাড়বে৷ সংরক্ষিত সব মাঠ, পার্ক, উদ্যান এবং খেলার মাঠে বিনা ফিতে সর্বসাধারণের প্রবেশের সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশবাদী সংগঠন পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)।

শনিবার (৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমনের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সরকার জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান হিসাবে পরিচিত ঢাকার বোটানিক্যাল গার্ডেন, বলধা গার্ডেন, কক্সবাজারের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া ও সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, চট্টগ্রামের বাঁশখালী ইকোপার্ক ও ময়মনসিংহ মধুটিলা ইকোপার্কে প্রবেশ মূল্য এক লাফে ৫ গুণ বৃদ্ধি করেছে (২০ থেকে ১০০ টাকা)। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বন অধিশাখা-১ কর্তৃক জারিকৃত এ প্রজ্ঞাপন ধ্বংসাত্মক, জনবিরোধী ও নিন্দনীয়৷

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছে। ঢাকাসহ সারাদেশে সর্বসাধারণের ব্যবহার উপযোগী নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জনসমাগমস্থল (পাবলিক প্লেস) সীমিত। সেখানে বিভিন্ন লেক, পার্ক, উদ্যান কিংবা খেলার মাঠ ক্রমশ সাধারণের প্রবেশ বিভিন্ন উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এতে নানাভাবে মারাত্মক নেতিবাচক সমাজে পড়ছে৷ বিশেষ করে, নিরাপদ, স্বাচ্ছন্দ্যময় ও অবারিত শারীরিক এবং মানসিক স্বস্তির স্থানগুলোতে প্রবেশাধিকার ক্রমশ সংকুচিত হয়ে পড়ায় সামাজিক বন্ধন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

শিশু-কিশোরসহ সকল প্রকার সাধারণ মানুষ একাকী হয়ে পড়ছে৷ যা জনসাধারণের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ৷ এসব কারণে মোবাইল আসক্তি, নেশাগ্রস্ত হওয়া, মুটিয়ে যাওয়াসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে৷ সুস্থ শারীরিক ও মানসিক বিনোদনের অভাবে শিশু-কিশোররা ‘কিশোর গ্যাং’ এর মতো ধ্বংসাত্মক কাজেও জড়িয়ে পড়ছে৷

Advertisement

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ঢাকাসহ দেশের মানুষকে গাছ ও উদ্যান, পার্কমুখী করা প্রয়োজন, শরীর চর্চা ও বিনোদনের সুযোগ অবারিত রাখা প্রয়োজন, সেখানে প্রবেশ ফি আরোপ ও বৃদ্ধির মতো বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত তরুণ প্রজন্ম, শিক্ষার্থী ও গবেষক, সাধারণ মানুষ ও দরিদ্র জনগণকে উদ্যানবিমুখ করে তুলবে৷ বাংলাদেশের সংবিধানের ১৫(গ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাষ্ট্র অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব হিসাবে নাগরিকের যুক্তিসঙ্গত বিশ্রাম, বিনোদন ও অবকাশের অধিকার নিশ্চিত করবে৷

সরকারের এমন সিদ্ধান্তের ফলে কিশোর-তরুণদের মোবাইলসহ যন্ত্রের প্রতি আসক্ত ও একাকীত্বে ভোগার প্রবণতা বাড়তে পারে উল্লেখ করে আরও বলা হয়েছে, তাদের যদি গাছের গুরুত্ব বোঝানো যায়, প্রকৃতি-জীববৈচিত্র-পরিবেশের প্রতি আগ্রহী করে তোলা যায়, খেলাধুলা ও সুস্থ ধারা বিনোদনের প্রতি আগ্রহী করা যায় তাহলে তারা শারীরিক ও মানসিকভাবে ইতিবাচক এবং সামাজিক হয়ে উঠবে৷ কিশোর গ্যাংয়ের মতো ধ্বংসাত্মক কাজে যুক্ত হওয়ার ঝুঁকি কমবে৷ প্রকৃতি, পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা এবং খেলাধুলার প্রতি শিশু-কিশোরদের আগ্রহী করে তোলা আমাদের সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব৷

এএম/

 

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত