বিশ্বে আজ সোমবার পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব পানি দিবস ২০২১‘। দৈনন্দিন জীবনে পানির গুরুত্বকে তুলে ধরতে দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য 'পানির মূল্যায়ণ'। পানির গুরুত্ব ও ঘাটতি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরীর জন্য ১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালন করা হয়।
এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ জানিয়েছে, খাদ্য, স্বাস্থ্য, অর্থনীতিসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পানির মূল্য অপরিসীম। এর গুরুত্ব এড়িয়ে যাওয়ার অর্থ হলো অপূরণীয় সম্পদটিকে ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়া।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের গৃহীত এক প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতিবছর ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিওতে এই প্রস্তাব গৃহিত হয়। সেখানে পানি সম্পদের জন্য একটি বিশেষ দিন ঘোষণার দাবি করা হয়। ১৯৯৩ সালে প্রথম বিশ্ব পানি দিবস পালিত হওয়ার পর থেকে এর গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে।
জাতিসংঘ জানায়, বিশ্বে পানির ঘাটতিতে ভোগে প্রায় ৪শ' কোটি মানুষ। শুধুমাত্র বিশুদ্ধ ও নিরাপদ পানির অভাবে রয়েছে দেড়শ' কোটির বেশি মানুষ। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে সব মানুষের জন্য পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিতের কথা থাকলেও পানির সংকট দিন দিন বেড়েই চলেছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা পানিবিহীন এলাকায় বাস করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই দিবসটি উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান। টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা দেওয়াসহ প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও পানি দূষণ কমাতে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনে সক্ষম হবে সরকার। পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা জলবায়ু পরিবর্তন সহিষ্ণু উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তা যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং অধীনস্থ সংস্থাগুলো দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে দিবসটি। এ উপলক্ষে আলাদা বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নদীমাতৃক বাংলাদেশে পানি এবং টেকসই উন্নয়ন একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। পানি ছাড়া আমাদের জীবন অচল। জলবায়ু ও প্রকৃতি- যা আমাদের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত তার স্বাভাবিক প্রবাহের জন্যও পানি অপরিহার্য। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে।
এসএন