Connect with us

আন্তর্জাতিক

ফ্রান্সের নির্বাচনে কে কত ভোট পেল?

Avatar of author

Published

on

ফ্রান্সে পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (১ জুলাই) ভোটের ফলাফল ঘোষণা করে ফরাসি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। খবর- র‍য়টার্স 

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ধাপের নির্বাচনে দেশটির অতি কট্টর ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র‌্যালি (আরএন) সবচেয়ে বেশি ৩৩ শতাংশ ভোট পেয়েছে।

অন্যদিকে বামপন্থী নিউ পপুলার ফ্রন্ট ২৮ শতাংশ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। আর প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী জোট এনসেম্বল অ্যালায়েন্স সর্বনিম্ন ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছে।

গেলো রোববার (৩০ জুন) ফ্রান্সে পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ হয়। এবারের ভোটে আরএন বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থাকবে এবং ম্যাক্রোঁর জোটের পরাজয় হবে, এমনটা আগেই বলা হয়েছে। ভোটের পরপর বুথফেরত জরিপেও একই তথ্য উঠে আসে।

ন্যাশনাল র‌্যালি অভিবাসনবিরোধী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনাকারী হিসেবে বেশ পরিচিত। দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মেরিন লে পেনের শিষ্য ২৮ বছর বয়সী জর্দান বারদেলা। ফ্রান্সের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় আসতে চলেছে দলটি।

Advertisement

ভোটের পরপর উদযাপনরত সমর্থকদের উদ্দেশে মেরিন লে পেন বলেন, অবমাননাকর ও বিনাশকারী শক্তিকে বদলে দিতে নিজেদের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন ফরাসি জনগণ।

তবে ফ্রান্সের রাজনৈতিক ব্যবস্থা বেশ জটিল। ফ্রান্সের পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ৫৭৭ আসনের মধ্যে ২৮৯ আসন প্রয়োজন। প্রথম ধাপে ন্যাশনাল র‌্যালি সরকার গঠনে এগিয়ে থাকলেও কে শেষ হাসি হাসে, তা জানতে ৭ জুলাই পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এদিন দ্বিতীয় দফার ভোট হবে। তখনই চূড়ান্ত ফল জানা যাবে।

 

Advertisement

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাজ্যের নির্বাচন কাল, জয়ের আশা ক্ষীণ ক্ষমতাসীনদের

Published

on

ঋষি সুনাক

প্রত্যাশিত সময়ের আগেই যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই)। ১৪ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি।  তবে এবার এ পার্টির মাথাব্যথার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে লেবার পার্টি। বিভিন্ন জরিপের পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, যুক্তরাজ্যে এক যুগের বেশি সময় রাজত্ব এবার হারাতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীনরা। নির্বাচনে রেকর্ড ব্যবধানে জয় পেতে যাচ্ছে লেবার পার্টি।

বুধবার (০৩ জুলাই) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের  প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে মোট আসন ৬৫০টি। সার্ভেশনসের সেন্ট্রাল সিনারিওর তথ্য অনুযায়ী, লেবার পার্টি এবার ৪৮৪ আসনে জয় পেতে পারে। সাবেক নেতা টনি ব্লেয়ারের আমলে ৪১৮টি আসনে জয় পেয়েছিল তারা।

১৪ বছর ধরে যুক্তরাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে কনজারভেটিভ পার্টি। পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, ক্ষমতাসীন দলটি এবার মাত্র ৬৪ আসনে জয় পেতে পারে। যদি এমনটা হয়, তবে এটাই হবে দলটির ইতিহাসের সবচেয়ে লজ্জাজনক হার। ১৮৩৪ সালে যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠা লাভ করে কনজারভেটিভ পার্টি।

অন্যান্য এমআরপি বিশ্লেষণে অবশ্য লেবার পার্টির ছোট ব্যবধানে জয়ের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এর আগে রেডফিল্ড ও উইল্টন স্ট্র্যাটিজির জরিপেও লেবার পার্টির জয়ের কথা বলা হয়েছে।

Advertisement

বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব দিচ্ছেন ৪৪ বছর বয়সী ঋষি সুনাক। ২০২২ সালে যখন তিনি প্রধানমন্ত্রী হন, তখন তার বয়স ছিল ৪২। আধুনিক ব্রিটেনের সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুনাক। অন্যদিকে লেবার পার্টির নেতৃত্বে রয়েছেন স্যার কিয়ের স্টারমার। তার বয়স ৬১ বছর।

উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ হয় পাঁচ বছরের।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ইসরাইলি হামলায় ১৯ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত: জাতিসংঘ

Published

on

গাজা-যুদ্ধে-বাস্তুচ্যুত-ফিলিস্তিনি

ইসরাইলি হামলায় বাস্তুচ্যুত হয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন লাখ লাখ ফিলিস্তিনি। বাস্তুচ্যুতের এ সংখ্যা প্রায় ১৯ লাখে দাঁড়িয়েছে। জানিয়েছেন জতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয়ক সিগরিদ কাগ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (০২ জুলাই) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে তিনি এ তথ্য জানান।

বুধবার (০৩ জুলাই) তুরস্কের সংবাদ সংস্থা টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার খান ইউনিসের বাসিন্দাদের সরে যেতে ইসরায়েলের নতুন আদেশে ‘গভীর উদ্বেগের’ কথা জানান জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয়ক।

জাতিসংঘের এ কর্মকর্তা বলেন, ফের বাস্তুচ্যুত হলো ১০ লাখের বেশি মানুষ, যারা আশ্রয় ও নিরাপত্তার জন্য মরিয়া। বর্তমানে গাজাজুড়ে বাস্তুচ্যুত ১৯ লাখ মানুষ।

তিনি আরও বলেন, ‘খান ইউনিস এলাকা খালি করা সংক্রান্ত আদেশ জারির প্রতিবেদন নিয়ে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’

Advertisement

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, গাজার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খান ইউনিসের আল কারারা, বানি সুহাইলা ও অন্যান্য এলাকার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ইসরায়েলি আদেশের ভুক্তভোগী আড়াই লাখের মতো মানুষ।

সিগরিদ কাগ বলেন, গাজার বেসামরিক নাগরিকরা অন্তহীন দুর্দশায়। তাদের গৃহজীবন তছনছ হয়ে গেছে; গোটা জীবন ওলট-পালট হয়ে গেছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় পৌঁছাচ্ছে না পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী। মানবিক বিপর্যয় রোধে বিশেষত দক্ষিণ গাজায় নতুন সীমান্ত ক্রসিং খোলা দরকার।

 

এসি//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

রাফায় দুই মাসে ৯০০ হামাস যোদ্ধার মৃত্যু

Published

on

হামাস

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর রাফায় ইসরায়েলি সেনার অভিযান শুরুর পর গেলো দুই মাসে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৯০০ জন হামাস যোদ্ধা। ইসরায়েলের সেনাপ্রধান জেনারেল হেরজি হালেভি এ তথ্য জানিয়েছেন।

বুধবার (৩ জুলাই) সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ইসরায়েলি সেনাদের অস্থায়ী পোস্ট পরিদর্শনে গিয়েছিলেন হালেভি।

সেখানে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘গেলো মে মাসের শুরু থেকে এ পর্যন্ত রাফায় প্রায় ৯০০ জঙ্গি (হামাস যোদ্ধা) নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে একজন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার, বেশ কয়েক জন কোম্পানি কমান্ডার এবং বহুসংখ্যক সাধারণ যোদ্ধা রয়েছে।’

ইসরায়েলের সেনাপ্রধান বলেন, ‘অভিযানের প্রথম পর্যায় শেষ হয়েছে। এই পর্যায়ে এখন হামাসের সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা হচ্ছে। এসব অবকাঠামোর মধ্যে বেশ কিছু আবার ভূ-গর্ভস্থ। তাই রাফায় অভিযান শেষ হতে খানিকটা সময় লাগবে।’

Advertisement

গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা এই উপত্যকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর মধ্যে একটি। গাজার একসময়ের ‘লাইফ লাইন’ নামে পরিচিত রাফা সীমান্ত ক্রসিংয়ের অবস্থান এই শহরেই। এই ক্রসিংয়ের অপর প্রান্তে মিসরের সিনাই উপদ্বীপ। ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর আগ পর্যন্ত রাফা ক্রসিং দিয়েই গাজার ফিলিস্তিনিদের জন্য খাদ্য ও ত্রাণের সরবরাহ আসতো।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাস যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। অভিযানের শুরুর দিকে এই সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল।

এদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযান শুরুর পর প্রাণ বাঁচাতে গাজার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাফায় এসে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার বেসামরিক ফিলিস্তিনি। এ কারণে গেলো এপ্রিলে যখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু রাফায় অভিযান চালানোর ঘোষণা দেন, সে সময় তার তীব্র বিরোধিতা করেছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে বিশ্বস্ত মিত্র যুক্তরাষ্ট্র।

তবে সেই বিরোধিতা উপেক্ষা করেই গেলো মে মাসের শুরু থেকে রাফায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। অভিযান শুরুর আগে এ প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু বলেছিলেন, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের মূল লক্ষ্য হামাসকে চিরতরে নিষ্ক্রিয় করা এবং রাফায় অভিযান ব্যাতীত এই লক্ষ্য পূরণ সম্ভব নয়।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত