বাংলাদেশ
সাড়ে ১১ হাজার প্রবাসী বিদেশের কারাগারে আটক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/News-Image-1-11.jpg)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কারাগারগুলোতে সাড়ে ১১ হাজার ৪৫০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিক আটক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (১ জুলাই) সংসদে টেবিলে উপস্থাপিত সরকারি দলের সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বিদেশে বাংলাদেশী মিশনগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী পর্তুগালে দুইজন, মিশরে ছয়জন, ইতালিতে ৮১ জন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩৮৫ জন, কোরিয়ায় ছয়জন, শ্রীলঙ্কায় তিনজন, কাতারে ৪১৫ জন, লিবিয়ায় নয়জন, স্পেনে ১৯ জন, হংকংয়ে ১২২ জন, সিঙ্গাপুরে ৬৬ জন, ব্রুনাইয়ে ১৬ জন, চীনে ১৯১ জন, আরব আমিরাতে ৪০৪ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ৪৯ জন, সৌদি আরবে ৫ হাজার ৭৪৬ জন, মালয়েশিয়ায় ২১৯ জন, আলজেরিয়ায় পাঁচজন, থাইল্যান্ডে চারজন, লেবাননে ২৮ জন, গ্রিসে ৪১৪ জন, ইরাকে ২১৭ জন, তুরস্কে ৫০৮ জন, মিয়ানমারে ৩৫৮ জন, জাপানে দুইজন ও জর্ডানে ১০০ জন আটক রয়েছেন।
এছাড়াও ভারতে এক হাজার ৫৭৯ জন, ওমানে ৪২০ জন, মোজাম্বিকে চারজন, বেলজিয়ামে দুইজন ও মালদ্বীপে ৭০ বাংলাদেশি আটক রয়েছেন।
এএম/
জাতীয়
বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি একলাফে বাড়লো ৮০ টাকা
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/News-Image-1-50.jpg)
রাজধানীতে সুবাতাস আর প্রকৃতির সান্নিধ্য পাওয়ার অন্যতম জায়গা মিরপুরের জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান। এটি বোটানিক্যাল গার্ডেন নামেই পরিচিত বেশি। আগামীকাল (৪ জুলাই) থেকে ১০০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে হবে দর্শনার্থীদের। প্রাপ্তবয়স্করা এতদিন ২০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতেন। তবে একলাফে ৫ গুণ টিকিটের মূল্যবৃদ্ধিকে অমানবিক বলছেন দর্শনার্থীরা। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
শুধু বিনোদন কেন্দ্রই নয়, আশপাশের বাসিন্দারা শরীরচর্চার জন্য উদ্যানে হাঁটেন। টিকিটের মূল্য বাড়ানোর পাশাপাশি পার্কে সকালে হাঁটতে আসা ব্যক্তিদের জন্য এক বছরের কার্ড ফি ৫০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। তারা প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ১ ঘণ্টা অবস্থান করতে পারবেন।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের পরিচালক শওকত ইমরান আরাফাত গণমাধ্যকে জানান, প্রবেশমূল্য বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন এসেছে বন মন্ত্রণালয় থেকে। ফি আদায় করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। আগে আনুষ্ঠানিকভাবে না থাকলেও নতুন প্রজ্ঞাপনে সকালে হাঁটার জন্য ১ ঘণ্টা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য বাৎসরিক ৫০০ টাকা ফি দিয়ে একটি কার্ড নিতে হবে।
নতুন মূল্য অনুযায়ী এখন থেকে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে প্রবেশের জন্য ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে ১০০ টাকা, ১২ বছরের নিচে প্রতিজনকে ৫০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা ১০০ জনের কম শিক্ষার্থীর গ্রুপের জন্য ১০০০ টাকা ও ১০০ জনের বেশি হলে ১৫০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় একটি সার্কুলার জারি করেছে। ওই সার্কুলারে বন অধিদপ্তরের সব ইকোপার্ক, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে নতুন প্রবেশ ফি নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্কদের (১২ বছরের ঊর্ধ্বে) প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের (১২ বছরের নিচে) প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে ৫০ টাকা। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষার্থীগ্রুপ ১০০ জন পর্যন্ত ১০০০ টাকা ও ১০০ জনের ঊর্ধ্বে ১৫০০ টাকা ধরা হয়েছে।
এএম/
অপরাধ
মাদকবিরোধী অভিযানে পুলিশসহ আহত ৬, কাউন্সিলরসহ ৩ জন আটক
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/News-Image-1-48.jpg)
পাবনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাদকবিরোধী অভিযানের সময় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের দুই সদস্যসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে পাবনার রাধানগরের সিংগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এই ঘটনা ঘটে। আহত ও অন্যান্য আটককৃতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী জানান, বিকেলে ওই এলাকায় পাবনা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা অভিযানে যায়। এসময় তাদের আটক করে রাখেন পাবনা পৌরসভার ১০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান রাজিবসহ তার অনুসারীরা। খবর পেয়ে পাবনা সদর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধারে গেলে পুলিশের ওপরও হামলা করা হয়। এতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৪ জন ও ২ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে অভিযান চালিয়ে রাজিবসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পাবনা কার্যালয়ের এসআই জাকির হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় রাজিব কমিশনার ও তার লোকজন হামলা চালায়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে তাদের ওপরও হামলা চালানো হয়। এঘটনায় আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএম/
জাতীয়
বিশ্বায়নের যুগে নিজেদের দরজা বন্ধ করে রাখতে পারি না : প্রধানমন্ত্রী
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/News-Image-1-49.jpg)
আজ পৃথিবীটা গ্লোবাল ভিলেজ, একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, এগুলোর দরজা বন্ধ করে থাকা যায় না। বিশ্বায়নের যুগে আমরা নিজেদের দরজা বন্ধ করে রাখতে পারি না। বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৩ জুলাই) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে, ট্রান্স-এশিয়ান রেলের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। আজ ভারতকে আমরা ট্রানজিট দিলাম কেন? এটা নিয়ে নানান প্রতিক্রিয়া। আমাদের ট্রানজিট-তো আছেই। ত্রিপুরা থেকে বাস চলে আসে ঢাকায়, ঢাকা হয়ে কলকাতা পর্যন্ত তো যাচ্ছে। এতে ক্ষতিটা কী হচ্ছে! বরং আমরা রাস্তার ভাড়া পাচ্ছি। সুবিধা পাচ্ছে আমাদের দেশের মানুষ। অনেকে অর্থ উপার্জনও করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সারা বিশ্বের সঙ্গে একটা যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা নেপাল-ভুটানের সঙ্গে ট্রানজিট করেছি ভারতে। এটাতো কোনো একটা দেশ না, আঞ্চলিক ট্রানজিট সুবিধা এবং যোগাযোগ সুবিধার জন্য করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা নেপাল, ভুটান, ভারত, বাংলাদেশ -এই চারটি দেশ নিয়ে প্রত্যেকটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা, ট্রানজিটের ব্যবস্থা… আজ নেপাল থেকে আমরা জলবিদ্যুৎ কেনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেখানে গ্রিড লাইন করা, আমরা সেই চুক্তি করেছি। সেটা আমরা কার্যকরও করছি। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর যেসব রেলপথ, নৌপথ যোগাযোগ বন্ধ ছিল, সেগুলো আমরা উন্মুক্ত করে দিচ্ছি। আজ ভারত রেল নিয়ে যাবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ভুটান থেকে একটি রাস্তা যাচ্ছে মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড পর্যন্ত। অথচ সেই রাস্তাটা যাচ্ছে বাংলাদেশকে বাইপাস করে। বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে যে রোড হচ্ছে তা থেকে বিচ্ছিন্ন, কেন আমরা বিচ্ছিন্ন থাকবো! ভারত চাচ্ছিল ভুটান থেকে এই রাস্তাটা বাংলাদেশ হয়ে, ভারত হয়ে মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড যাবে। আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ সব কিছু কত সুবিধা হতো। সেটাও খালেদা জিয়া নাকচ করে দিয়েছিল। এই হলো অবস্থা। আমি প্রথমবার সরকারে এসে অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা যুক্ত হতে পারিনি।
ভারত থেকে পাইপলাইনে তেল নিয়ে আসার কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা আসামের রুমালিগড় থেকে পাইপলাইনে তেল নিয়ে এসেছি। পার্বতীপুর ডিপোতে সেই তেল আসছে। ক্ষতিটা কী হয়েছে? বরং আমরাই কিন্তু সস্তায় কিনতে পারছি। আমাদের দেশের জন্য, ওই অঞ্চলের মানুষের চাহিদা আমরা পূরণ করতে পারি। উত্তরাঞ্চলে কোনো শিল্পায়ন হয়নি, এখন শিল্পায়নে আমরা যেতে পারি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রও আমরা নির্মাণ করেছি। আমরা নিজেদের দরজা তো বন্ধ করে রাখতে পারি না। এটাই কথা।
খালেদা জিয়া মিয়ানমার থেকে গ্যাস আনার সুযোগ নষ্ট করেছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কী সমস্যা দেশের জন্য করেছে দেখেন! মিয়ানমারে সেখানে গ্যাস ফিল্ডের গ্যাস, ভারত, চীন, জাপান সবাই চাচ্ছে। এই গ্যাসকে বাংলাদেশের ভেতর থেকে ভারতে নিয়ে যাবে। এই নিয়ে যাওয়ার সময় গ্যাস থেকে আমরা একটা ভাগ নেবো। তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামসহ ওই এলাকায় আমাদের গ্যাসের কোনো অভাবই হতো না। খালেদা জিয়া সেটা নিতে দেয়নি। কেন দেয়নি?
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ সেই গ্যাস নিচ্ছে চীন। আর কোনো দেশতো নিতে পারছে না। আমরা সরকারে আসার পর কথা বলেছিলাম মিয়ানমারের সঙ্গে, আনতে পারি কি না। কিন্তু সেটা সম্ভব না। তারা এটা অলরেডি দিয়ে দিয়েছে।
এএম/
- পর্যটন6 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
- ইসলাম5 days ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
- বলিউড4 days ago
লন্ডনে অমিতাভের নাতির সঙ্গে শাহরুখ কন্যার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ভাইরাল!
- অপরাধ5 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
- টুকিটাকি6 days ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
- রংপুর6 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
- জাতীয়7 days ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!
- ক্রিকেট5 days ago
বিশ্বকাপ ফাইনাল পণ্ড হলে যারা জিতবে শিরোপা