Connect with us

জাতীয়

রাঙ্গামাটি সফরে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি

Avatar of author

Published

on

রাষ্ট্রপতি

বর্ষায় প্রকৃতির রূপ উপভোগ করতে হ্রদ পাহাড়ের জনপদ রাঙ্গামাটি সফরে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। আগামী ৮ থেকে ১০ জুলাই সকাল পর্যন্ত তিনি রাঙ্গামাটিতে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে।

রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন। সোমবার (১ জুলাই) সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ, সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা, এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আহম্মদ শফি, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমাসহ জেলার সব দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্র থেকে জানা গেছে, ৮ জুলাই সকালে হেলিকপ্টার যোগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রাঙ্গামাটি যাবেন। পরে আরণ্যক রিসোর্টে রাত্রী যাপন করবেন। এরপর ৯ জুলাই হাউজবোটে কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণ করে কাপ্তাই উপজেলায় যাবেন। সেখানে বাংলাদেশের একমাত্র পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। পরে রাষ্ট্রপতি নয়নাভিরাম আসামবস্তি সড়ক হয়ে রাঙ্গামাটিতে ফিরবেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, ১০ জুলাই সকালে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রাঙ্গামাটি ত্যাগ করবেন। রাঙ্গামাটি অবস্থানকালে রাষ্ট্রপতি পাহাড়িদের কোমর তাঁতে বোনা ঐতিহ্যবাহী পোশাকের মার্কেট পরিদর্শন করবেন।

Advertisement

এএম/

Advertisement

জাতীয়

বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি একলাফে বাড়লো ৮০ টাকা

Published

on

রাজধানীতে সুবাতাস আর প্রকৃতির সান্নিধ্য পাওয়ার অন্যতম জায়গা মিরপুরের জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান। এটি বোটানিক্যাল গার্ডেন নামেই পরিচিত বেশি। আগামীকাল (৪ জুলাই) থেকে ১০০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে হবে দর্শনার্থীদের। প্রাপ্তবয়স্করা এতদিন ২০ টাকা প্রবেশ ফি দিয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করতেন। তবে একলাফে ৫ গুণ টিকিটের মূল্যবৃদ্ধিকে অমানবিক বলছেন দর্শনার্থীরা। এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

শুধু বিনোদন কেন্দ্রই নয়, আশপাশের বাসিন্দারা শরীরচর্চার জন্য উদ্যানে হাঁটেন। টিকিটের মূল্য বাড়ানোর পাশাপাশি পার্কে সকালে হাঁটতে আসা ব্যক্তিদের জন্য এক বছরের কার্ড ফি ৫০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। তারা প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ১ ঘণ্টা অবস্থান করতে পারবেন।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের পরিচালক শওকত ইমরান আরাফাত গণমাধ্যকে জানান, প্রবেশমূল্য বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন এসেছে বন মন্ত্রণালয় থেকে। ফি আদায় করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। আগে আনুষ্ঠানিকভাবে না থাকলেও নতুন প্রজ্ঞাপনে সকালে হাঁটার জন্য ১ ঘণ্টা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য বাৎসরিক ৫০০ টাকা ফি দিয়ে একটি কার্ড নিতে হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী এখন থেকে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে প্রবেশের জন্য ১২ বছরের ঊর্ধ্বে সবাইকে ১০০ টাকা, ১২ বছরের নিচে প্রতিজনকে ৫০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা ১০০ জনের কম শিক্ষার্থীর গ্রুপের জন্য ১০০০ টাকা ও ১০০ জনের বেশি হলে ১৫০০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় একটি সার্কুলার জারি করেছে। ওই সার্কুলারে বন অধিদপ্তরের সব ইকোপার্ক, জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে নতুন প্রবেশ ফি নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্কদের (১২ বছরের ঊর্ধ্বে) প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের (১২ বছরের নিচে) প্রবেশ ফি ধরা হয়েছে ৫০ টাকা। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষার্থীগ্রুপ ১০০ জন পর্যন্ত ১০০০ টাকা ও ১০০ জনের ঊর্ধ্বে ১৫০০ টাকা ধরা হয়েছে।

Advertisement

এএম/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

বিশ্বায়নের যুগে নিজেদের দরজা বন্ধ করে রাখতে পারি না : প্রধানমন্ত্রী

Published

on

আজ পৃথিবীটা গ্লোবাল ভিলেজ, একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, এগুলোর দরজা বন্ধ করে থাকা যায় না। বিশ্বায়নের যুগে আমরা নিজেদের দরজা বন্ধ করে রাখতে পারি না। বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার (৩ জুলাই) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এসময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে, ট্রান্স-এশিয়ান রেলের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। আজ ভারতকে আমরা ট্রানজিট দিলাম কেন? এটা নিয়ে নানান প্রতিক্রিয়া। আমাদের ট্রানজিট-তো আছেই। ত্রিপুরা থেকে বাস চলে আসে ঢাকায়, ঢাকা হয়ে কলকাতা পর্যন্ত তো যাচ্ছে। এতে ক্ষতিটা কী হচ্ছে! বরং আমরা রাস্তার ভাড়া পাচ্ছি। সুবিধা পাচ্ছে আমাদের দেশের মানুষ। অনেকে অর্থ উপার্জনও করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সারা বিশ্বের সঙ্গে একটা যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা নেপাল-ভুটানের সঙ্গে ট্রানজিট করেছি ভারতে। এটাতো কোনো একটা দেশ না, আঞ্চলিক ট্রানজিট সুবিধা এবং যোগাযোগ সুবিধার জন্য করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা নেপাল, ভুটান, ভারত, বাংলাদেশ -এই চারটি দেশ নিয়ে প্রত্যেকটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা, ট্রানজিটের ব্যবস্থা… আজ নেপাল থেকে আমরা জলবিদ্যুৎ কেনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেখানে গ্রিড লাইন করা, আমরা সেই চুক্তি করেছি। সেটা আমরা কার্যকরও করছি। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর যেসব রেলপথ, নৌপথ যোগাযোগ বন্ধ ছিল, সেগুলো আমরা উন্মুক্ত করে দিচ্ছি। আজ ভারত রেল নিয়ে যাবে।

Advertisement

শেখ হাসিনা বলেন, ভুটান থেকে একটি রাস্তা যাচ্ছে মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড পর্যন্ত। অথচ সেই রাস্তাটা যাচ্ছে বাংলাদেশকে বাইপাস করে। বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে যে রোড হচ্ছে তা থেকে বিচ্ছিন্ন, কেন আমরা বিচ্ছিন্ন থাকবো! ভারত চাচ্ছিল ভুটান থেকে এই রাস্তাটা বাংলাদেশ হয়ে, ভারত হয়ে মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড যাবে। আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ সব কিছু কত সুবিধা হতো। সেটাও খালেদা জিয়া নাকচ করে দিয়েছিল। এই হলো অবস্থা। আমি প্রথমবার সরকারে এসে অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা যুক্ত হতে পারিনি।

ভারত থেকে পাইপলাইনে তেল নিয়ে আসার কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা আসামের রুমালিগড় থেকে পাইপলাইনে তেল নিয়ে এসেছি। পার্বতীপুর ডিপোতে সেই তেল আসছে। ক্ষতিটা কী হয়েছে? বরং আমরাই কিন্তু সস্তায় কিনতে পারছি। আমাদের দেশের জন্য, ওই অঞ্চলের মানুষের চাহিদা আমরা পূরণ করতে পারি। উত্তরাঞ্চলে কোনো শিল্পায়ন হয়নি, এখন শিল্পায়নে আমরা যেতে পারি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রও আমরা নির্মাণ করেছি। আমরা নিজেদের দরজা তো বন্ধ করে রাখতে পারি না। এটাই কথা।

খালেদা জিয়া মিয়ানমার থেকে গ্যাস আনার সুযোগ নষ্ট করেছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কী সমস্যা দেশের জন্য করেছে দেখেন! মিয়ানমারে সেখানে গ্যাস ফিল্ডের গ্যাস, ভারত, চীন, জাপান সবাই চাচ্ছে। এই গ্যাসকে বাংলাদেশের ভেতর থেকে ভারতে নিয়ে যাবে। এই নিয়ে যাওয়ার সময় গ্যাস থেকে আমরা একটা ভাগ নেবো। তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রামসহ ওই এলাকায় আমাদের গ্যাসের কোনো অভাবই হতো না। খালেদা জিয়া সেটা নিতে দেয়নি। কেন দেয়নি?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ সেই গ্যাস নিচ্ছে চীন। আর কোনো দেশতো নিতে পারছে না। আমরা সরকারে আসার পর কথা বলেছিলাম মিয়ানমারের সঙ্গে, আনতে পারি কি না। কিন্তু সেটা সম্ভব না। তারা এটা অলরেডি দিয়ে দিয়েছে।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

লাভের গুড় পিঁপড়ায় খায় সংসদে এমপি পঙ্কজ

Published

on

প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা, আন্তরিকতার লাভের গুড় পিঁপড়ায় খেয়ে ফেলে। সেটি হচ্ছে ডিজি কিংবা মন্ত্রণালয়কেন্দ্রিক বদলি বাণিজ্যের তদবির আর ট্রেনিংয়ের একটা সিন্ডিকেট। সেই সিন্ডিকেটটা ভাঙা দরকার। দুর্নীতিবাজরা প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা ধ্বংস করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বরিশাল-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ।

বুধবার (৩ জুলাই) জাতীয় ‘জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি বিল–২০২৪’ এর ওপর সংশোধন আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

পঙ্কজ নাথ বলেন, আমাদের প্রাথমিক শিক্ষাকে একেবারেই তৃণমূলের পর্যায়ের শিশুদের যোগ্য করে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী তার সাধ্যের সবটুকু ঢেলে দিয়েছেন। তিনি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু করেছেন, যেই গ্রামে বিদ্যালয় নেই সেটি খুঁজে বের করে আমাদের চরাঞ্চলে স্কুল দিয়েছেন, প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছেন। সন্তানকে স্কুলে পাঠানো মায়ের মোবাইল অ্যাকাউন্টে মাসে দেড়শ টাকা চলে যায় সেটিও প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন। শিক্ষার প্রতি তার যে অনুরাগ তার বহিঃপ্রকাশ এটি।

তিনি বলেন, অনলাইনে বদলির আবেদনের কথা বললেও ম্যানুয়ালি বদলিগুলো হচ্ছে। আমি গ্রামের মানুষ, আমার চরে কেউ থাকতে চান না। এক বছরের বেশি রাখতেই পারি না। সেই বদলিটা যেন যত্রতত্র না হয়। ঢাকায় এসে তদবির করে বদলি হয়ে যায়।

পঙ্কজ নাথ বলেন, এই বদলির আর্জিটা বন্ধ করতে না পারলে প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা ধ্বংস করে ফেলবে এই দুর্নীতিবাজরা আর শিক্ষকরা। তার (প্রধানমন্ত্রীর) প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, দক্ষ ও পরিশ্রমী শিক্ষকদের প্রণোদনা দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটা উপজেলায় একটি করে আবাসিক প্রতিবন্ধী স্কুল প্রতিষ্ঠা করে প্রতিবন্ধী শিশুদের শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত