অর্থনীতি
‘প্রত্যয়’ স্কিম নিয়ে কিছু বিষয় স্পষ্ট করলো অর্থ মন্ত্রণালয়
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/অর্থ-মন্ত্রণালয়.jpg)
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষকরা। এ পরিস্থিতিতে ‘প্রত্যয়’ স্কিমের কিছু বিষয় স্পষ্ট করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে ১ জুলাই থেকে প্রত্যয় স্কিম যাত্রা শুরু করে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ১ জুলাই ২০২৪ সাল থেকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের ‘প্রত্যয়’ স্কিম যাত্রা শুরু করেছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থায় আনয়নের লক্ষ্যে অন্যান্যদের পাশাপাশি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য ‘প্রত্যয়’ স্কিম প্রবর্তন করা হয়েছে।
বর্তমানে ৪০৩টি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৯০টির মতো প্রতিষ্ঠানে পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে। অবশিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড (সিপিএফ) এর আওতাধীন।
সিপিএফ সুবিধার আওতাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা এককালীন আনুতোষিক প্রাপ্ত হয়ে থাকেন, কোনো পেনশন পান না। তাছাড়া সরকারি, স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের বিপুল সংখ্যক জনসাধারণ একটি সুগঠিত পেনশনের আওতা বহির্ভূত থাকায় সরকার সব শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের মাধ্যমে একটি সুগঠিত পেনশন কাঠামো গড়ে তোলার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রবর্তন করেছে।
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ এর ১৪ (২) ধারা অনুযায়ী, দেশের সব মানুষের জন্য পেনশন স্কিম প্রবর্তনের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে ১ জুলাই ২০২৪ বা তৎপরবর্তীতে যোগদানকারী সব কর্মচারী বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যয় স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন।
অর্থমন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন, ১ জুলাই ২০২৫ বা তৎপরবর্তীতে যোগদানকারী সরকারি কর্মচারীরাও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবেন।
প্রত্যয় স্কিম সম্পর্কে কিছু বিষয়ে অধিকতর স্পষ্টীকরণ
>>> ৩০ জুন ২০২৪ সাল পর্যন্ত যে সব শিক্ষক/কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরিরত আছেন তারা পূর্বের ন্যায় সব পেনশন সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
>>> বর্তমানে সরকারি পেনশনে আনফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট সিস্টেমের পেনশন ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। ফলে, পেনশনের যাবতীয় ব্যয় প্রয়োজন অনুযায়ী প্রদত্ত বাজেট বরাদ্দ থেকে মেটানো হয়। ১ জুলাই ২০২৪ সাল থেকে ফান্ডের ডিফাইন্ড কন্টিবিউটরি সিস্টেমের পেনশন ব্যবস্থা চালু হবে বিধায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বেতন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে মাসিক জমার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্ত মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা যা কম হবে তা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন থেকে কাটা হবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা প্রদান করবে। অতঃপর উভয় অর্থ ওই কর্মকর্তা/কর্মচারীর কর্পাস অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
>>> আনফান্ডেড ডিফাইন্ড বেনিফিট সিস্টেমের পেনশন ব্যবস্থায় সরকারের আর্থিক সংশ্লেষ ক্রমাগত বৃদ্ধি পায় যা দীর্ঘমেয়াদে কোনোক্রমেই টেকসই ব্যবস্থা নয়। অপরদিকে ফান্ডেড কন্টিবিটরি পেনশন সিস্টেমে প্রাপ্ত কন্ট্রিবিউশন এবং বিনিয়োগ মুনাফার ভিত্তিতে একটি ফান্ড গঠিত হবে বিধায় এটি দীর্ঘমেয়াদে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থা।
উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ২০০৪ সাল থেকে ফান্ডেড কন্ট্রিবিউটরি পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে।
>>> নতুন পেনশন ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর মধ্যে আনা সম্ভব হবে। এতে ফাইনান্সিয়াল ইনক্লুশন এবং ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
>>> কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনের পর নিজ বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে একই পদে বা উচ্চতর কোনো পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে তিনি সার্ভিস প্রটেকশন ও পে প্রটেকশন প্রাপ্ত হন বিধায় এটিকে নতুন নিয়োগ হিসাবে গণ্য করা হয় না। সেক্ষেত্রে তার বিদ্যমান পেনশন সুবিধার আওতায় থাকার সুযোগ থাকবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী যারা ২০২৪ সালের ১ জুলাই ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন কেবলমাত্র তারা প্রত্যয় স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হবেন।
>>> সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনে ৬০ বছর বয়স থেকে পেনশন প্রাপ্তির উল্লেখ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ৬৫ বছর থেকে অবসরে যাবেন বিধায় ৬৫ বছর থেকে আজীবন পেনশন প্রাপ্ত হবেন। এক্ষেত্রে সরকার আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করবে।
>>> লাম্পগ্রান্ট ও পিআরএল অর্জিত ছুটি প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রদান করা হয় বিধায় ছুটি জমা থাকা সাপেক্ষে তা বহাল থাকবে।
>>> কন্ট্রিবিউটরি পেনশন সিস্টেমে অংশগ্রহণকারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এককালীন নয় বরং মাসিক পেনশনের যুক্তিসংগত পরিমাণ নির্ধারণ করাই অগ্রগণ্য বিধায় এক্ষেত্রে আনুতোষিকের ব্যবস্থা রাখা হয়নি বরং বিদ্যমান মাসিক পেনশনের কয়েকগুণ বেশি মাসিক পেনশন প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিমে মাসিক ৫০০০ টাকা বেতন থেকে কাটা হলে একই পরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠান জমা প্রদান করলে ৩০ বছর পর একজন পেনশনার প্রতি মাসে ১,২৪,৬৬০ টাকা হারে আজীবন পেনশন পাবেন। তার নিজ আয়ের মোট জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ১৮ লাখ টাকা এবং তিনি যদি ১৫ বছর ধরে পেনশন পান সেক্ষেত্রে তার মোট প্রাপ্তি হবে ২ কোটি ২৪ লাখ ৩৮ হাজার ৮০০ টাকা যা তার জমার প্রায় ১২.৫ গুণ। পেনশনার পেনশনে যাবার পর ৩০ বছর জীবিত থাকলে তার জমার প্রায় ২৫ গুণ অর্থ পেনশন পাবেন।
>>> বিদ্যমান ব্যবস্থায় পেনশনার আজীবন পেনশন পান। তার অবর্তমানে পেনশনারের স্পাউজ (স্বামী/স্ত্রী) এবং প্রতিবন্ধী সন্তান আজীবন পেনশন পান। নতুন পেনশন ব্যবস্থায়ও পেনশনার আজীবন পেনশন পাবেন। পেনশনারের অবর্তমানে তার স্পাউজ (স্বামী/স্ত্রী) বা নমিনি পেনশনারের পেনশন শুরুর তারিখ থেকে ১৫ বছর হিসাবে যে সময় অবশিষ্ট থাকবে সে পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্য হবেন।
উদাহরণস্বরূপ, একজন পেনশনার অবসরে যাবার পর পেনশন ভোগরত অবস্থায় ৫ বছর পেনশন পেয়ে তারপর মারা গেলেন। এক্ষেত্রে তার স্পাউজ বা নমিনি আরো ১০ বছর পেনশন পাবেন।
টিআর/
আমদানি-রপ্তানি
৬০৯ কোটি টাকার এলএনজি কিনবে সরকার
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/এলএনজি.jpg)
স্পট মার্কেট থেকে ১ কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার। যার মূল্য ধরা হয়েছে ৬০৯ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার ৮৯৭ টাকা৷ ২০২৪ সালের ২১তম এলএনজি আমদানি ক্রয়ের প্রস্তাব এটি৷ ২০১০ সালের বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইন এর আওতায় এই এলএনজি কেনা হচ্ছে।
আজ বুধবার (৩ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন৷
মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০ এর আওতায় ‘মাস্টার সেল এন্ড পারসেজ এগ্রিমেন্ট’ স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য হতে কোটেশন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় স্পট মার্কেট হতে ১ কার্গো এলএনজি আমদানির ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে৷
তিনি বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এই এলএনজির ক্রয়মূল্য ৬০৯ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার ৮৯৭ টাকা (ভ্যাট ও ট্যাক্সসহ)। এর একক মূল্য ধরা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫৫৮০ মার্কিন ডলার৷ পূর্বে ছিল ১২ দশমিক ৯৬৯৭ মার্কিন ডলার৷
এ ক্রয় প্রস্তাবের সুপারিশকৃত দরদাতা মের্সাস এক্সিলেরেট এনার্জি এলপি, ইউনাইটেড স্টেটস৷
এর আগে গত সপ্তাহে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি বিশেষ বিধানের আওতায় জাপান থেকে এক কার্গো তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার অনুমোদন দেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রতি কার্গোতে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানি হয়ে থাকে। প্রতি এমএমবিটিইউ ১৬.৫০ মার্কিন ডলার হিসেবে এ পরিমাণ জ্বালানি আমদানির খরচ হবে ৬৯০ কোটি ৪২ লাখ ৯ হাজার ৩১২ টাকা।
জেএইচ
অর্থনীতি
নিয়ম লঙ্ঘন করে চার গ্রুপের ৬ হাজার ৪৯৭ কোটির সুদ মাফ
![ব্যাংক,-সুদ-মওকুফ](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/ব্যাংক-সুদ-মওকুফ.jpg)
দেশের চার ব্যবসায়ী গ্রুপকে নিয়ম লঙ্ঘন করে বড় অঙ্কের সুদ মওকুফ সুবিধা দিয়েছে দুটি ব্যাংক। এস আলম, নাসা, বিসমিল্লাহ ও এননটেক্স গ্রুপকে এ সুবিধা দেয়া হয়। এসব গ্রুপের ১৪ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে ৬ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা মওকুফ করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় মালিকানার জনতা ব্যাংক নাসা, বিসমিল্লাহ ও এননটেক্স গ্রুপকে ৪ হাজার ২২৪ কোটি টাকার সুদ মওকুফ করে। আর বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপের ৩ হাজার ৬১৮ কোটি স্থিতির বিপরীতে ২ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা মওকুফ করা হয়। এভাবে ব্যাংক খাতে গেলো তিন বছরে সব মিলিয়ে ৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করা হয়েছে।
বড় ঋণের সুদ মওকুফের ঘটনা সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় আনেন জাতীয় পার্টির এমপি মুজিবুল হক চুন্নু। গেলো ১০ জুন জাতীয় সংসদে এক আলোচনায় তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সুদ মওকুফের চারটি ইনগ্রেডিয়েন্স রয়েছে। এর মধ্যে একটিও নেই এমন প্রতিষ্ঠানের কয়েকশ’ কোটি টাকা মওকুফ করা হয়েছে।
এদিকে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে বিভিন্ন অনিয়মের কঠোর সমালোচনা করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ ও হামিদুল হক খন্দকার। মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় সংসদের একটি বিলের আলোচনায় তারা বলেছেন, খোঁড়া অজুহাতে কয়েকটি বড় প্রতিষ্ঠানের সুদ মওকুফ করা হয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংকের কথা এলে সবার মধ্যে আতঙ্ক চলে আসে। তবে সংসদ সদস্যদের সমালোচনার কোনো জবাব দেননি অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী ঋণ গ্রহীতার মৃত্যু, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, মড়ক, নদীভাঙন, দুর্দশাজনিত কারণ বা বন্ধ প্রকল্পে আংশিক বা সম্পূর্ণ সুদ মওকুফ করা যাবে। তবে আয় খাত বিকলন ও নিয়মিত ঋণে, সুদ মওকুফ করার নিয়ম নেই। তবে এস আলম গ্রুপ ও নাসা গ্রুপের কারখানা সচল এবং প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগের ঘটনা না ঘটলেও আয় খাত বিকলন করে সুদ মওকুফ করেছে ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমোদন নিয়ে এই সুবিধা দেয়া হয়েছে। অথচ, ২০২১ ও ২০২২ সালে বড় অংকের সুদ মওকুফ করা ব্যাংক দুটি এখন নিজেরাই নানা সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
জনতা ব্যাংক থেকে বিসমিল্লাহ, এননটেক্স ও নাসা গ্রুপের ৪ হাজার ২২৪ কোটি টাকার সুদ মওকুফ সুবিধা দেয়ার সময় ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন আব্দুছ ছালাম আজাদ। তিনি বলেন, এসব সুদ মওকুফ সুবিধা দেয়া হয় তিনি এমডি হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার আগে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে সম্প্রতি এননটেক্সের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিল করা হয়েছে। আর নাসা গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠান সুদ মওকুফ-পরবর্তী সমুদয় পাওনা শোধ করে এই ব্যাংক থেকে চলে গেছে।
ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তৌহিদুল আলম খান গণমাধ্যমকে বলেন, সে সময়ে তিনি এ ব্যাংকে ছিলেন না। ফলে এ বিষয় তার জানা নেই।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গেলো তিন বছরে সব মিলিয়ে ৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা সুদ মওকুফ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে মওকুফ হয় ১ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। ২০২২ সালে সুদ মওকুফ হয়েছিল ৫ হাজার ৬৫ কোটি টাকা। আর ২০২১ সালে মওকুফ হয় ১ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা। তবে এননটেক্স গ্রুপের ৩ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা এবং বিসমিল্লাহ গ্রুপের ৬০৪ কোটি টাকা সুদ মওকুফ কার্যকর না হওয়ায় সে তথ্য এখানে নেই।
ব্যাংক খাত-সংশ্লিষ্টরা জানান, একসময় রাষ্ট্রীয় মালিকানার ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় ছিল জনতা ব্যাংক। বেসরকারি খাতের সবচেয়ে পুরোনো ন্যাশনাল ব্যাংক সব সময় মুনাফায় ছিল। বড় ব্যাংক হওয়ায় এ দুই প্রতিষ্ঠানের খারাপ অবস্থার প্রতিফলন পুরো খাতের ওপর পড়েছে। গত ডিসেম্বর শেষে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণ দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫০১ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১৯ দশমিক ২০ শতাংশ। মূলধন ঘাটতি ঠেকেছে ২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকায়। গত বছর শেষে ন্যাশনাল ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ঠেকেছে ১৫ হাজার ৭২৫ কোটি টাকায়, যা মোট ঋণের ৩৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ব্যাংকটির মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকা। দুটি ব্যাংকই বড় অঙ্কের লোকসান দিয়ে চলেছে।
এসি//
অন্যান্য
শিক্ষকদের আন্দোলনের কোনো যুক্তি নেই: অর্থমন্ত্রী
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/07/অর্থমন্ত্রী.jpg)
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের আন্দোলন অযৌক্তিক। শিক্ষকদের আন্দোলনের কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি না। বললেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে অর্থমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) দক্ষিণ, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইয়াংমিং ইয়ংয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেনম প্রত্যাশার চেয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক বেশি সহায়তা করছে।
এদিকে প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন একাডেমিক কাজ করতে আসা শিক্ষার্থীরা।
আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগেই খোলা হয়নি তালা। বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম। একই অবস্থা প্রশাসনিক ভবনেও। কিছু কিছু কক্ষের দরজা খোলা হলেও বন্ধ রয়েছে কার্যক্রম। ফলে জরুরি কাজে মার্কশিট, সার্টিফিকেট ইত্যাদি তুলতে আসা শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
গেলো ২৫ থেকে ২৭ জুন তিনদিনের অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শাবি শিক্ষকরা। দাবি আদায় না হওয়ায় গেলো ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন এবং ১ জুলাই থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। একই দাবি আদায়ে তিনদিনের কর্মবিরতির ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
টিআর/
- পর্যটন7 days ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
- ইসলাম6 days ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
- বলিউড5 days ago
লন্ডনে অমিতাভের নাতির সঙ্গে শাহরুখ কন্যার অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি ভাইরাল!
- অপরাধ7 days ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
- ক্রিকেট6 days ago
বিশ্বকাপ ফাইনাল পণ্ড হলে যারা জিতবে শিরোপা
- অপরাধ5 days ago
‘হত্যার উদ্দেশ্যে মাঠে টিম’, থানায় জিডি ব্যারিস্টার সুমনের
- বলিউড6 days ago
স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হিনা খান
- রংপুর6 days ago
স্ত্রীর প্রেমিকের হাতে স্বামী খুন, গ্রেপ্তার ২