Connect with us

রংপুর

বাস উল্টে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত, আহত ১০

Avatar of author

Published

on

বাস

গাইবান্ধার সদর উপজেলার তুলসীঘাটে ঢাকাগামী সোনার বাংলা পরিবহণের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।  এসময় বাসের চাপায় নাফিজ শাহারিয়ার আকাশ নামে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হন। এ ঘটনায় আরও ১০ জন  আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে গাইবান্ধা-পলাশবাড়ী সড়কের তুলসীঘাট হেলিপ্যাড নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা।

তিনি জানান, সুন্দরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সোনার বাংলা পরিবহণের একটি বাস ২৫-৩০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলো। দ্রুতগতিতে আসা বাসটি তুলসীঘাটের হেলিপ্যাডের সামনে পৌছিলে হঠাৎ করে চালক নিয়ন্ত্রণ হারায়। এতে বাসটি সড়কে থাকা মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী মারা যান। এ সময় বাসের কমপক্ষে ১০জন যাত্রী আহত হন। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশস্কাজনক।  খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা এসে আহতদের উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে পাঠান।

বাসের যাত্রী  জহুরুল ইসলাম ও হাফিজা আকতার হাসি অভিযোগ করে বলেন,  শুরু থেকে বাসটি বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন চালক। বারবার যাত্রীরা নিষেধ করলেও তাতে কর্ণপাত করেনি চালক। চালকের বেপরোয়া গতির কারণে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

ওসি মো. মাসুদ রানা বলেন, বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উল্টে যাওয়া বাসটি উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।  বাসটির চালক ও হেলপার পলাতক রয়েছেন।

Advertisement

 

Advertisement

জনদুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, বাড়ছে দুর্ভোগ

Published

on

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। বন্যায় জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় লক্ষাধিকের বেশি মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। বিশেষ করে গৃহপালিত পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। অনেকে খোলা আকাশের নীচে নৌকায় রাত যাপন করছেন। এসব উপজেলায় যোগাযোগের একমাত্র বাহন নৌকা। তবে ঘরে চাল-ডাল থাকলেও রান্না করে খেতে পারছেন না অনেকে। বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যানিটেশনের অভাবে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ দেয়া হলেও যা চাহিদার তুলনায় কম।

উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের আঞ্জুমান আরা গণমাধ্যমে বলেন, গত চারদিন ধরে পানিতে ভাসছি। ঘরে এক গলা পানি। আশপাশে কোথাও যাওয়ার উপায় নাই। বৃষ্টির মধ্যে নৌকার মধ্যে দিন-রাত পার করছি।

হকের চরের মো. আব্দুল কাদের বলেন, আজ পাঁচদিন ধরে আমাদের এলাকার মানুষ পানিতে। অথচ কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার কেউ দেখতে আসেনি। আমরা সবাই খুব কষ্টে আছি।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ গণমাধ্যমে বলেন, বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ত্রাণের পাশাপাশি ৪০০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।

এএম/

Advertisement

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

আশ্রয়ণ প্রকল্প বসবাসের অনুপযোগী, ৫৫ পরিবারের মানবেতর জীবন-যাপন

Published

on

প্রকল্প

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে আশ্রয়ণ প্রকল্প বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় ৫৫টি পরিবার মানবেতর জীবন-যাপন করে আসছে। অসহনী দুর্ভোগ সহ্য করতে না পেরে ইতোমধ্যে ১৭৫ টি পরিবার আবাসন ছেড়ে অন্য জায়গায় ঠাই নিয়েছেন। টানা ২২ বছর অতিবাহিত হলেও সংস্কারের উদ্যোগ না নেয়ায় বর্তমানে আবাসনে বসবাসরত ৫৫ টি পরিবারের অন্য কোথাও বসবাসের সুযোগ না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ফুটো-ফাটা মরিচা ধরা টিনের চালে পলিথিন দিয়ে অসহনীয় দূর্ভোগের মধ্যেই দিন পাড় করছেন অসহায় বাসিন্দরা। আবাসনের টিনের চালে বড় বড় ফুটো ও ঘরের বেড়ার টিনগুলো পচে নষ্ট এবং ২০১৭ সালের ভয়াভহ বন্যায় কয়েকটি ব্যারাক দুমড়ে মুচড়ে পড়ে যাওয়ায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ যেন দেখার কেউ নেই।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের সীমান্তরঘেষা গোরকমন্ডল এলাকার ভুমিহীন ও গৃহহীন ছিন্নমুল পরিবারের জন্য ২০০৩ সালে নির্মিত হয় আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প (আবাসন)। খাত জমির ওপর থাকার ঘর নির্মান করে সুফলভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হলে বসবাসের সুযোগ পান ২৩০ টি ভূমিহীন পরিবার। মাত্র ৬-৭ বছর ভূমিহীন পরিবারগুলো আনন্দের সঙ্গে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করেছেন। এরপর আস্তে আস্তে আবাসন প্রকল্পের টিনসেটের ঘরগুলোর চাল ফুটো হয়ে যাওয়ায় একেবারে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। শীত মৌসুমে তীব্র ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়া এবং শিশির বিন্দু ঘরে প্রবেশ করায় কষ্টের জীবন কাঁটছে আবাসনে। আবাসনের প্রতিটি ঘরের চাল ও টিনের বেড়া বড় বড় ফুটো হয়েছে। শীতকালে প্রতিটি রুমে বৃষ্টির পানির মতো শিশির বিন্দু পড়ে বিছানা পত্র ও আসবাব পত্রসহ প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন বর্ষাকাল। এই বর্ষাকালে দুর্ভোগ যেন তিন-চারগুন বেড়ে যায়। টানা ২২ বছর আগে নির্মাণ করা এ সব ঘর সংস্কার না করায় টিনের ছাউনি বেড়া ফুটো হয়ে গেছে। ফলে সামন্য বৃষ্টি হলেই ঘরের  ভিতর পানি পড়ে। কেউ কেউ বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেতে টিনের ওপর পলিথিন দিয়ে রেখেছেন। প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি টিউবওয়েল ও একটি টয়লেট নির্মাণ করা হলেও সংস্কারের অভাবে তা ব্যবহারের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে কেউ কেউ পলিথিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে কাঁচা টয়লেট বানিয়ে তা ব্যবহার করছেন। ফলে তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও পড়ে হুমকির মূখে। শত কষ্টের পরেও ভূমিহীন পরিবার গুলো দিনের পর দিন নিরুপায় হয়ে দিন কাটাঁচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অতি দ্রুত সময়ে গোরকমন্ডল এলাকার জরার্জির্ণ আশ্রয়ণ ও আবাসন প্রকল্প পূর্ণ  নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন আবাসনের বাসিন্দারা।

এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ জানান, গোরকমন্ডল আবাসনের দুর-অবস্থার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। আশাকরি এই অর্থ বছরেই বরাদ্দ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আর বরাদ্দ আসলেই সেখানকার বসবাসরত প্রত্যেকটি পরিবারকে পাঁকাঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

Published

on

অবনতি

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্লাবিত হয়ে পড়েছে নতুন নতুন এলাকা।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৯ সেন্টিমিটার, নুনখাওয়া পয়েন্টে ৫১ সেন্টিমিটার এবং হাতিয়া পয়েন্ট বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেতু পয়েন্টে ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমা ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্য দিকে,কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি,পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার এবং শিমুলবাড়ী পয়েন্টে ধরলার পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে বিপদসীমা নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বন্যার পানি প্রবেশ করায় জেলায় শতাধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বন্যার পানিতে প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।

নদ-নদী তীরবর্তী চর ও নিম্নাঞ্চলের বসতভিটায় পানি প্রবেশ করায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে মানুষজন। অনেক পরিবার গবাদিপশু সহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়ে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।

Advertisement

এছাড়াও বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে, আমন বীজতলা, পাট ও মৌশুমী ফসলের ক্ষেত।

কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এ অবস্থায় দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাষীদের। পানি বন্দী হয়ে পড়েছে অন্ততঃ ৩০ হাজার পরিবারের ৯০ হাজার মানুষ।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের বাসিন্দা জহুরুল ইসলাম বলেন,’ব্রহ্মপুত্রের পানি ঘরের চারপাশে আসছে। গবাদিপশু নিয়ে দুঃচিন্তায় আছি।’

বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুসার চরের মতিয়ার রহমান জানান, আমার চরের প্রতিটি বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। কেউ নৌকা, কেউ বা মাচান করে উঁচু স্থানে রয়েছেন। এখানকার প্রতিটা পরিবার খুব কষ্টে আছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি আরও ৪৮ ঘন্টা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ব্রহ্মপুত্রের পানি তিনটি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যন্য নদ নদীর পানি বিপদসীমা নিচে রয়েছে।

Advertisement

জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার জানান, এখন পর্যন্ত বানভাসীদের জন্য ৯ উপজেলায় ১৭৩ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লক্ষ টাকা বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মজুত আছে ৬০০ মেট্রিক টন চাল ও ৩০ লাখ টাকা । যা পর্যায়ক্রমে বিতরন করা হবে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত