Connect with us

জাতীয়

শুক্রবার গোপালগঞ্জ যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

Avatar of author

Published

on

দুই দিনের ব্যক্তিগত সফরে আগামীকাল ৫ জুলাই শুক্রবার গোপালগঞ্জে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় প্রধানের আগমনের অধীর অপেক্ষায় রয়েছেন জেলার নেতাকর্মীরা। ইতোমধ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জেলাজুড়ে গ্রহণ করা হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। দলীয় প্রধানের আগমনকে ঘিরে পুরো জেলার নেতাকর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম গণমাধ্যমকে প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিষয় নিশ্চিত করেন।

জেলা প্রশাসক জানান, আগামীকাল বিকেল ৩ টায় সড়ক পথে গণভবন থেকে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানের সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন। সমাবেশ শেষে মাওয়া থেকে  বিকেল ৫টায় সড়ক পথে তার ব্যক্তিগত সফরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।

টুঙ্গিপাড়া পৌছে সন্ধ্যা পৌনে ৭ টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মোনাজাত করবেন তিনি। এদিন রাতে প্রধানমন্ত্রী তার নিজ বাসভবনে রাত যাপন করবেন।

কাজী মাহবুবুল আলম জানান, পরদিন ৬ জুলাই সকালে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১ টায় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত জিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন, ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ শীর্ষক অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি।

Advertisement

দুপুর ১২ টায় নবনির্মিত টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন করবেন। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নিজ বাসভবনে যোহরের নামাজ আদায় করবেন এবং মধ্যাহ্ন ভোজ করবেন। বেলা সাড়ে ৩টায় জাতির পিতার সমাধি সৌধে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, বিকেল ৪ টায় টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন প্রধানমন্ত্রী।

আই/এ

Advertisement

জাতীয়

কোটাবিরোধী আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই: প্রধানমন্ত্রী

Published

on

কোটা বাতিলের জন্য আন্দোলন করায় লেখাপড়ার ক্ষতি হচ্ছে। উচ্চ আদালতের রায় অমান্য করে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে সময় নষ্ট করার যৌক্তিকতা নেই। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (৭ জুলাই) গণভবনে যুব মহিলা লীগের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা কোটা বাতিল করেছিলাম। কিন্তু এতে লাভ কী হলো। অনেক মেয়ে চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। অনেক জেলার মানুষও বঞ্চিত হয়েছে। এরকমই একজন মামলা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় হাইকোর্টের রায় মেনে নেই। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে, কোটাবিরোধী আরেকটি আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। লেখাপড়া বাদ দিয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলন করছে, সেখানে মেয়েরাও আন্দোলন করে।

তিনি আরও বলেন, এর আগে যারা কোটাবিরোধী আন্দোলন করেছিল তাদের কতজন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা দিয়েছিল এবং কতজন পাশ করেছিল তার একটা হিসাব বের করা দরকার। তারা (মেয়েরা) দেখাক পরীক্ষা দিয়ে বেশি পাশ করেছিল কিনা। মেয়েরা প্রমাণ করুক তারা বেশি পাশ করেছে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

মন্ত্রী-কর্মকর্তারা সৎ থাকলে দুর্নীতির সুযোগ থাকবে না :কাদের

Published

on

ওবায়দুল-কাদের

দুর্নীতি এখন বেপরোয়া গতিতে বিস্তার লাভ করছে। কিন্তু ধরা পড়ে অনেক পরে। দুর্নীতির জন্য যে মূল্য দিতে হয় সেটা আমাদের জন্য সত্যিই দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক। মন্ত্রী সচিব ও কর্মকর্তারা সৎ থাকলে দুর্নীতি হওয়ার কোন সুযোগ থাকবে না। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (০৭ জুলাই) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুদ্ধাচার পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ভালো কাজের যেমন পুরস্কার, সেভাবে খারাপ কাজের জন্য নিন্দা শাস্তির ব্যবস্থা থাকা দরকার। দুর্নীতি, কমিশন পারসেন্টটেন্স, প্রমোশন ট্রান্সফার এসব নিয়ে আগে অনেক কথা ছিল। এ প্রাকটিস বন্ধ করা হয়েছে। বিশেষ করে বিআরটিএ এবং সড়ক বিভাগে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, কোন রাজনৈতিক তদবিরে কাউকে বদলি করা যাবে না। আগে এক সময় লেনদেন হতো, তার বিনিময়ে বদলি হতো। সেটা অনেক অংশে বন্ধ হয়েছে। তবে মিরপুর ইকুরিয়াসহ বেশ কিছু জেলায় কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে অপকর্ম করে থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আন্দোলন গভীরভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সময় মতো সমাধান হয়ে যাবে। আই বিলিভ সো আই হোপ সো। শিক্ষকদের সঙ্গে বসে কথা বলতে পারছি না। তবে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে। যে কোন সময় সমাধান হয়ে যাবে।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

দেশটাকে কয়বার বিক্রি করা যায়? বিএনপির কাছে প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

Published

on

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে প্রীতি সাংবাদিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সংগৃহীত ছবি

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর শেষে দেশে আসার পর বিএনপি বলতে শুরু করেছে, আমরা নাকি দেশটা ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। এখন চীন থেকে আসার পর তারা বলে কি না, চীনের কাছেও দেশটা বিক্রি করে দিয়েছি। যেখানেই যাই তারা বলছে দেশটাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। বিএনপির কাছে আমার আমার প্রশ্ন, দেশটাকে কয়বার বিক্রি করা যায়?’

শনিবার (৬ জুলাই) রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে প্রীতি সাংবাদিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এসব এসব কথা বলেন। বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম বিভাগ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেই নীতিটাই অনুসরণ করে চলেছেন অত্যন্ত সফলভাবে। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক দেখে বিএনপি’র গাত্রদাহ হচ্ছে। সেজন্য তারা উল্টাপাল্টা বলা শুরু করেছে।’

‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় এবং আমরা অত্যন্ত সফলভাবে সেটি করে চলেছি’ মন্তব্য করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়েছিলেন সেখান থেকে এসে কিছুদিনের বিরতিতে তিনি এখন চীন সফরে যাচ্ছেন। আমাদের সঙ্গে ভারতের সঙ্গে যেমন অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক, চীনের সঙ্গেও আমাদের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক। আমাদের সঙ্গে রাশিয়ার যেমন অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক একই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও আমাদের অত্যন্ত চমৎকার ও ভালো সম্পর্ক।’

মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিকট প্রতিবেশী ভারত যারা আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান রেখেছে, তাদের সঙ্গে যেমন ভালো সম্পর্ক বজায় রাখছি, যারা স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আমাদের পাশে ছিল না তারাও আমাদেরকে সহায়তা করছে আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখছে, আমাদের উন্নয়নে অবদান রাখছে। এটি আমাদের পররাষ্ট্রনীতির এই সফলতা। এটি বিএনপিসহ অনেকেই বুঝেও না বোঝার ভান করে।’

Advertisement

বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই যুগ্মসাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার সরকার মাথা উঁচু করে চলে। শেখ হাসিনা কারও কাছে মাথা নোয়াবার নয়, এটি মনে রাখতে হবে। খেপাটে মেজাজের রিজভী সাহেব কী বলল, ঢুলঢুলে মেজাজে গয়েশ্বর বাবু কী বলল, শিক্ষিত হয়েও মীর্জা ফখরুল সাহেব অশিক্ষিতের মতো কথা বলল তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা রাষ্ট্রের মর্যাদা রক্ষা করে, সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, প্রধানমন্ত্রী সেটিই করে চলেছেন।’

‘গণমাধ্যমে রাষ্ট্রের উন্নতি প্রতিফলিত হওয়া উচিত’ মন্তব্য করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি, প্রতিটি মানুষের জীবন মানের উন্নতি, সেটি সংবাদ মাধ্যমে প্রতিফলিত হওয়া প্রয়োজন। সেটি অনেক সময় সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় না। সমাজের অসংগতি কিংবা দায়িত্বশীলদের ব্যর্থতা যতটুকু প্রতিফলিত হয়, সমাজের উন্নতি, রাষ্ট্রের উন্নতি কিংবা দায়িত্বশীলদের সফলতা সেটি অনেক সময় ততটুকু প্রতিফলিত হয় না, সেটি হওয়া প্রয়োজন রয়েছে।’

বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজে’র মহাসচিব দীপ আজাদ।

এমআর//

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত