Connect with us

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে চার বঙ্গকন্যার বাজিমাত

Avatar of author

Published

on

যুক্তরাজ্যের নির্বাচনে ৪১০টি আসন পেয়ে বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। এর মধ্যে দিয়ে ১৪ বছর ধরে কনজারভেটিভ পার্টির শাসনামলের অবসান হলো।  এই নির্বাচনে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৯ জন নারী প্রার্থীসহ মোট ৩৪ জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চারজন নারী প্রার্থী জয়লাভ করেন। তারা হলেন টিউলিপ সিদ্দিক, রুশনারা আলী, রূপা হক ও আফসানা বেগম। তারা সবাই গেলো নির্বাচনেও লেবার পার্টি থেকে বিজয়ী হন।

টিউলিপ সিদ্দিক

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি এবং শেখ রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পস্টেড এবং হাইগেট থেকে চতুর্থবারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন। লেবার পার্টির হয়ে তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ২৩ হাজার ৪৩২। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভের ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন ৮ হাজার ৪৬২ ভোট। ২০১৯ সালের নির্বাচনের ভোটের চেয়ে টিউলিপের এবছরের ভোটের সংখ্যা দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে।

মেয়ের জয়ে দারুন উচ্ছ্বস প্রকাশ করেছেন শেখ রেহানা। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সবার কাছে দোয়া চাই, টিউলিপ যেন তার কাজ সততা ও নিষ্ঠার সাথে করতে পারে। শুধু নির্বাচনী এলাকায় না, যেখানে অসহায় মানুষ আছে-তাদের পাশে থাকবে। সবার সেবার জন্য তার জীবনকে নিয়োজিত করবে। সবার কাছে তার জন্য চোয়া চাই, সে যেন, সব সময় সৎভাবে থাকতে পারে। ’

শেখ রেহানা আরও বলেন, ‘আমি আসলে স্বপ্ন দেখিনি, সে রাজনীতিতে আসুক। এটা তার নিজের ইচ্ছায়। আমি চাচ্ছিলাম সে টিচার হোক, জজ-ব্যারিস্টার হোক বা অন্যকিছু হোক। রাজনীতিতে সে চলে গেছে। এখানে আমার অবদান নেই। এখানে সম্পূর্ণ তার নিজের ইচ্ছায়। মা হিসেবে সন্তানকে যেভাবে দেখার। আমি সেভাবেই দেখি। ’

Advertisement

রুশনারা আলী

টানা পঞ্চমবারের মতো যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে এবার জিতেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত রুশনারা আলী। লেবার পার্টি থেকে তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৯৭টি।

২০১০ সাল থেকে লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে টানা নির্বাচিত হয়ে আসছেন রুশনারা আলী। এ রাজনীতিকের জন্ম বাংলাদেশের সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ভুরকি গ্রামে। ছোটোবেলায় মা-বাবার সঙ্গে লন্ডনে যান তিনি।

রুপা হক

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে পশ্চিম লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসনে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশি নারী রুপা আশা হক। তিন মোট গণনাকৃত ভোটের ৪৬ দশমিক ৮ শতাংশ পেয়েছেন। লেবার পার্টির মনোনয়নে ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত হন রুপা আশা হক। এরপর টানা তিনবার তিনি এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এবারও তিনি লেবার পার্টির টিকিটেই জয়লাভ করেছেন।

Advertisement

এর আগে ২০১৬ সালের অক্টোবরে লেবার পার্টির ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পান রুপা হক। তাকে সর্বদলীয় সংসদীয় মিউজিক গ্রুপের ভাইস চেয়ার এবং ক্রসরেলের সর্বদলীয় সংসদীয় পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল।

আফসানা বেগম

পূর্ব লন্ডনে পপলার অ্যান্ড লাইম হাউজ আসন থেকে দ্বিতীয়বারের মতো জয় পেয়েছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি আপসানা বেগম। লেবার পার্টির এই প্রার্থী ১৮৫৩৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। আপসানার নিকটতম প্রতিদ্বন্দী গ্রিন পার্টির নাটালি পেয়েছেন ৫৯৭৫ ভোট। আপসানার সাবেক স্বামী অপর ব্রিটিশ বাংলাদেশি প্রার্থী এহতেশামুল হকও এই আসন থেকে লড়েছিলেন। তিনি পেয়েছেন ৪৫৫৪ ভোট পেয়েছেন।

এনএস/

 

Advertisement
Advertisement

আন্তর্জাতিক

সৌদিতে মাদক কারবারের দায়ে ৭ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার

Published

on

ছবি- গালফ নিউজ।

সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদক ব্যবসা ও পাচারের দায়ে সাত বাংলাদেশিসহ ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির মাদক বিরোধী পুলিশ। খবর- গালফ নিউজ

এ বিষয়ে সৌদি আরবের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেনারেল ডিরেক্টরেট জানিয়েছে, ৩.৩ কেজি উচ্চ আসক্তি সৃষ্টিকারী উদ্দীপক মেথামফেটামিন, ১২ হাজার ৪৩২টি অ্যামফিটামিন ট্যাবলেট এবং বিপুল পরিমাণ হাশিশের ব্যবসা ও চোরাচালানের দায়ে রিয়াদে এসব বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

৭ বাংলাদেশি মাদককারবারির পাশাপাশি সংস্থাটি জেদ্দা নগরীতে ২১ হাজার অ্যামফিটামিন বিক্রির অভিযোগে দুই জন সিরিয়া ও একজন সৌদি নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে।

এছাড়া মদিনায় আলাদা একটি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে দেশটির মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এ অভিযানে ৭৫ হাজার ৬ শ অ্যামফিটামিন  বিক্রির অভিযোগে একজন প্রবাসী ও একজন সৌদি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়। পাশাপাশি দেশটির সীমান্ত পুলিশ ৪০ কেজি অবৈধ কাত পাচারের অভিযোগে দুইজন নাইজেরিয়ান নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে।

সম্প্রতি সৌদি আরবে মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এ অভিযানকে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করছে দেশটির সরকার।

Advertisement

এনএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর প্রচেষ্টা একটু আটকানো গেছে: অমর্ত্য সেন

Published

on

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বোলপুরে বেসরকারি সংগঠন প্রতীচী ট্রাস্ট আয়োজিত আলোচনা সভায় অমর্ত্য সেন।ছবি: ইটিভি ভারত

‘ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র বানানোর প্রচেষ্টা কিছুটা আটকানো গেছে। মানুষ এবার আর বিজেপির ধর্মান্ধতার পক্ষে রায় দেয়নি।’ ভারতের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করলেন নোবেলজয়ী প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন।

শনিবার (৬ জুলাই) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বোলপুরে বেসরকারি সংগঠন প্রতীচী ট্রাস্ট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

প্রতিবছর প্রতীচী ট্রাস্টের পক্ষ থেকে একটি আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। এবার সেই আলোচনার বিষয় ছিল, ‘কেন স্কুলে যাই: সহযোগিতার সহজ পাঠ।’ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অমর্ত্য সেন ছাড়াও অধ্যাপক জঁ দ্রেজ, রাজ্যের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা ওই আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানে নতুন ভারতীয় ন্যায় সংহিতা নিয়ে বিজেপির সমালোচনা করে নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, ‘একটা সংবিধান বদলাতে গেলে যে আলোচনা দরকার, সেগুলো হয়নি । এটা আক্ষেপ ৷ আরও আলোচনার প্রয়োজন ছিল ৷ তার প্রমাণ তো দেখিনি ৷ মণিপুরে সমস্যা আর মধ্যপ্রদেশে সমস্যা নিশ্চই এক নয় ৷ এগুলো নিয়ে আমাদের অনেক আলোচনা করা উচিত ছিল। ক্ষমতার বলে চট করে পাশ করে দেওয়া হয় ৷ কিন্তু এটাকে খুব শুভ পরিবর্তন বলে মনে করি না ৷”

অমর্ত্য সেন বলেন, ‘এবার স্কুলে পর্যন্ত আলোচনা পৌঁছে গিয়েছিল, কিভাবে ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্র করা যায়? তবে এটাও ঠিক যে, এখনো আমাদের শিশুদের মধ্যে হিন্দু-মুসলমান পার্থক্য একদম নেই। তাই এবার লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমে হিন্দু রাষ্ট্র বানানোর প্রচেষ্টা আটকানো গেছে।’

Advertisement

অযোধ্যার রামমন্দির এলাকার আসনে বিজেপি প্রার্থীর হেরে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে অমর্ত্য সেন বলেন, ‘অযোধ্যার রামমন্দির এলাকার আসনে এবার জিততে পারেননি বিজেপির প্রার্থী। জিতেছে ধর্ম নিরপেক্ষ আদর্শের একজন প্রার্থী। তাতেই প্রমাণ হয়ে যায়, এখনো ভারতের মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শে লালিত। যদিও ভারত যে একেবারে ধর্মনিরপেক্ষ দেশ, তাও নয়। ভারত বহু ধর্মের দেশ।’

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

ফ্রান্সে পার্লামেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ শুরু

Published

on

ফ্রান্সে গুরুত্বপূর্ণ পার্লামেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। রোববার (৭ জুলাই) স্থানীয় সময় ৮ টা ও বাংলাদেশ সময় দুপুর ১২ টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

দেশটির কট্টর ডানপন্থী ও অভিবাসনবিরোধী নেতা লে পেন ও জর্ডান বারদেলার দল ন্যাশনাল র‍্যালীর সংখ্যাগরিষ্ঠতার  সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। তবে বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, দেশটিতে রাজনৈতিক অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে।

প্রথম দফার ভোটে লে পেনের ন্যাশনাল র‍্যালী জয় পায়। তবে দ্বিতীয় দফায়  কট্টর ডানপন্থী দলটিকে হারানোর জন্য প্রায় দুইশ জন তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।

তবে ফলাফল যাই হোক না কেন,  প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জন্য খারাপ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসা বর্তমানে বেশ কঠিন।

ফ্রান্সে গেলো রোববার অনুষ্ঠিত সংসদীয় নির্বাচনের প্রথম দফায় ৩৩ শতাংশের বেশি ভোট নিয়ে এগিয়ে ছিল ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র‍্যালি (এনআর)।

Advertisement

আর ২৮ শতাংশ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ফ্রান্সের বামপন্থি জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনপিএফ)।

অন্যদিকে ২১ শতাংশের কাছাকাছি ভোট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে ছিলেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর দল।

ফ্রান্সে প্রায় ৪ কোটি ৯০ লাখ ভোটার আছেন। ফ্রান্সের ৫৭৭ আসনের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপেই সবকিছু নিশ্চিত করে বলে দেয় যায় না। তবে আরএন অপেক্ষাকৃত বেশি আসন পাওয়ায় দলটি বেশ সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য অন্তত ২৮৯ আসনে জিততে হবে।

এনএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত