Connect with us

চট্টগ্রাম

সাড়ে ৯ হাজার ঘর পুড়ে ছাই, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুনে মৃত ৭

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীতে আটটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর কয়েকটি ইউনিট প্রায় সাত ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টার পর রাত ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এই অগ্নিকাণ্ডে ৭ জন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে একজন নারী, দুই জন শিশু ও চার জন বৃদ্ধ রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২ হাজার।

Published

on

কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালীতে আটটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর কয়েকটি ইউনিট প্রায় সাত ঘণ্টারও বেশি সময় চেষ্টার পর রাত ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। এই অগ্নিকাণ্ডে ৭ জন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে একজন নারী, দুই জন শিশু ও চার জন বৃদ্ধ রয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২ হাজার।

সোমবার (২২ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে এই আগুন লাগে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে এর সূত্রপাত হয়। এরপর একে একে আটটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে প্রায় রোহিঙ্গাদের ৯ হাজার ৫৮৯ বসতঘর পুড়ে গেছে। এছাড়া স্থানীয়দের প্রায় ৩০০ ঘর পুড়ে গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহত সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

আগুনে ঘরহারা রোহিঙ্গাদের অনেকে বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন নিকটবর্তী রোহিঙ্গা শিবিরে। অনেক স্বজনদের খুঁজছেন দিগ্বিদিক।

কক্সবাজারস্থ অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দৌজা নয়ন জানিয়েছেন, সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় উখিয়ার বালুখালী ৮-ডব্লিউ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে আগুন ক্যাম্পটির লাগোয়া ৮-এইচ, ৯ ও ১০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে। তবে আগুনের কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

সামছু-দৌজা আরও জানান, সোমবার বিকেলে উখিয়ার বালুখালীর ৮-ডব্লিউ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। বাতাসের গতিবেগ বেশি হওয়ায় আগুন দ্রুত পার্শ্ববতী ক্যাম্পগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ক্যাম্পটির লাগোয়া আরো তিনটি ক্যাম্পে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডে অন্তত সহস্রাধিক বসত ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। আগুন লাগার সাথে সাথে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক কর্মী ও স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালায়। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও আগুন নিয়ন্ত্রণ যোগ দেন।

Advertisement

বালুখালি ক্যাম্প ৮ ই এর ক্যাম্প ইনচার্জ মোহাম্মদ তানজীম জানান, বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাতাসের গতি বেশি হওয়ার কারণে আগুন বিভিন্ন ব্লকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনসহ রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের দলনেতা ইমদাদুল হক বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চারটি ইউনিট কয়েক ঘণ্টা ধরে কাজ করে। রাত পৌনে ১০টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলেও কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্নভাবে আগুন জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। আগুনের সূত্রপাত গ্যাস সিলিন্ডার থেকে হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি শুকনা খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কাল সকাল থেকে তাদের রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।

শেখ সোহান

Advertisement
Advertisement

চট্টগ্রাম

বজ্রপাতে প্রাণ গেলো দুই শিক্ষার্থীর

Published

on

শিক্ষার্থী মাহাদি হাসান

ফেনীর ছাগলনাইয়ায় বজ্রপাতে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু মাহাদি হাসান এবং স্থানীয় নিকুঞ্জরা মাদরাসার দশম শ্রেনির শিক্ষার্থী শাহীন মাহমুদ অভি।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে ছাগলনাইয়া উপজেলার উত্তর কুহুমা এবং দক্ষিণ লাঙ্গল মোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ছাগলনাইয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম।

নিহতদের স্বজনেরা জানান, দুপুরে বৃষ্টি শুরু হলে মাঠে গরু আনতে যান মাহাদি। সেখানেই হঠাৎ বজ্রপাতে তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। একই সময় ঘোপালের দক্ষিণ লাঙ্গল মোড়া এলাকায় বাড়ির পাশে মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ হারান অভি।

ছাগলনাইয়া থানার ওসি জানান, দুপুরে পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ঘটনার পরে ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিহত মাহাদির বাড়ি পরিদর্শন করেছেন। দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

চট্টগ্রাম

মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, যুবলীগ নেতাসহ নিহত ২

Published

on

সংঘর্ষ

কক্সবাজারে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভে দুই মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবলীগ নেতাসহ দুই জন নিহত হয়েছেন।

রোববার (১৯ মে) দুপুর দেড়টার দিকে মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন বাহারছড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, টেকনাফের হরিখোলা গ্রামের লাতাইঅং চাকমার ছেলে বারিক্কা (প্রকাশ) কিরণ চাকমা (৪০)। ও হোয়াইক্যং ইউনিয়ন যুবলীগের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি। নিহত অপরজনের পরিচয় যাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ (পরিদর্শক) মো. সামিউদ্দিন বলেন, দুপুরে কক্সবাজার-টেকনাফের বাহারছড়া এলাকায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর সংঘর্ষ হয়। এতে দুই জন নিহত হয়। নিহতের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও অপরজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

আরসার শীর্ষ চার সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার

Published

on

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) শীর্ষ চার সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে এপিবিএন। এসময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়।

রোববার ( ১৯ মে) দিবাগত রাতে উখিয়ার ক্যাম্প -২০ এলাকার পাহাড়ে এ অভিযান পরিচালনা করে এপিবিএন।

গ্রেপ্তাররা হলেন, উখিয়ার ক্যাম্প-১৭ এইচ ব্লকের দ্বীন মোহাম্মদের ছেলে আমির হোসেন (২৯), একই ক্যাম্পের মৃত ফজল করিমের ছেলে জিয়াউর রহমান (৩২), মৃত আব্দুস সালামের ছেলে সৈয়দুল আমিন (৩০) ও বাদশা মিয়ার ছেলে মো. হারুন (২২)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ( অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. ইকবাল বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতার লক্ষ্যে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি ( আরসার) শীর্ষ চার সন্ত্রাসী বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ ও হ্যান্ড গ্রেনেডসহ অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে এপিবিএনের একটি টিম আজ দিবাগত রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২০ এর এস১/বি৭ ব্লকস কাটা তারের বাইরের সংলগ্ন গোয়াম বাগান পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় আরসার চার শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দুইটি দেশীয় তৈরি বড় ওয়ান শুটার গান (এলজি), চারটা মাঝারি সাইজের ওয়ান শুটার গান (এলজি), একটি দেশীয় তৈরি এমএমজি সাদৃশ্য ওয়ান শুটার গান, দুইটি লম্বা কিরিচ, চারটি হ্যান্ডগ্রেনেড, ছয় রাউন্ড রাইফেলের গুলি ও দুই রাউন্ড পিস্তলের গুলি, এক রাউন্ড কার্তুজ, এগারোটি গুলির খোসা ও দুইটি কার্তুজের খোসা, হ্যান্ডগ্রেনেডে ব্যবহৃত দুই প্যাকেট লোহার বল, দুইটি ওয়াকি-টকি চার্জার। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত