Connect with us

ঢাকা

নবাবগঞ্জে নিখোঁজ দুই এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

Published

on

ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজ দুই এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর মুরগীর ফার্ম ও তার অটোরিকশা গেরেজের পেছনের ইছামতি নদীর তীর থেকে পাশাপাশি মাটি চাপা দেওয়া অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম শেখ।

নিহতরা হলেন: ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার গৌরিপুর গ্রামের গোলাম সারোয়ারের ছেলে রাজিবুল ইসলাম (৩০) ও একই জেলার নগরকান্দা উপজেলার বাসিন্দা অভিজিৎ কুমার মালো (২৮)।

গ্রেপ্তাররা হলেন: ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার চুড়াইন ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের আনিসের ছেলে ও ওই এনজিও সদস্য ঋনগ্রহীতা ইউসুফ আলী (৩৫), একই গ্রামের বাসিন্দা ও ওই এনজিও আরেক সদস্য মুকলেছুর রহমানের ছেলে রনি (২৫) ও তার কাকাতো ভাই মনির হোসেন (৩০)।

ওসি সিরাজুল জানান, নিহত ওই দুজনই সোসাইটি ডেভোলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) চুড়াইন শাখার ক্রেডিট অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিল। এদের মধ্যে রাজিবুল গত বছরের ৫ই ডিসেম্বর ও অভিজিৎ এ বছরের চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে কর্মরত প্রতিষ্ঠান থেকে দায়িত্ব পালনে বের হয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন।

Advertisement

রাজিবুলের নিখোঁজের বিষয়ে নিখোঁজের দিনই ওই প্রতিষ্ঠানের শাখা ব্যবস্থাপক মো. জিন্নাত আলী ও অভিজিৎ এর নিখোঁজের বিষয়ে নিখোঁজের দিনই ওই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান শাখা ব্যবস্থাপক সমরেশ চট্টোপাধ্যায় থানায় পৃথক দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে। পরে রাজিবুলের নিখোঁজের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়।

তাদের সন্ধানে পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ দল তদন্ত শুরু করলে এক পর্যায়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই আজ ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যমতে আটককৃতদের সঙ্গে নিয়ে তাদের দেখানো  ইছামতি নদীর তীরের ওই স্থানে পাশাপাশি মাটিচাপা দেওয়া ওই দুই এনজিও কর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলেন ওসি সিরাজুল।

মরদেহ দুটোর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। আগামীকাল সকালে ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ্ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল মর্গে ও গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হবে।

অভিজিৎ এর ঘটনায় থানায় আরও একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

শেখ সোহান

Advertisement
Advertisement

ঢাকা

এখনও সন্ধান মেলেনি কলেজ ছাত্র ফারদিনের

Published

on

এখনও সন্ধান মেলেনি ফরিদপুর শহরের মদনখালী স্লুইস গেটে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ কলেজছাত্র ফারদিনের। ফারদিন শহরের কমলাপুর বালির মাঠ এলাকার সিরাজ শেখের ছেলে। তিনি সরকারি ইয়াছিন কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর  পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান চালিয়েও তাকে খুঁজে পায়নি বলে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. মামুন।

স্থানীয়রা জানান, গেলো বুধবার বিকেলে ওই স্লুইস গেটে গোসল করতে নামেন দুই বন্ধু। আধাঘণ্টা পর স্লুইস গেটের উপর থেকে লাফ দেয় ফারদিন ও ফেরদৌস। পানিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফেরদৌস উঠে আসতে পারলেও ফারদিন উঠতে পারেনি। পানির স্রোত বেশি থাকায় ফারদিন তলিয়ে যায়।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, বুধবার বিকেলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। দুই ঘণ্টা অভিযান চালানোর পর রাত হয়ে যাওয়ায় উদ্ধার অভিযান বন্ধ করা হয়।

পরে আজ সকাল থেকে নিখোঁজ ফারদিনকে উদ্ধারে পুনরায় অভিযান শুরু করা হয়। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ফারদিনকে পাওয়া যায়নি। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

এক্সপ্রেসওয়েতে তিন ট্রাকের সংঘর্ষ, ঢাকামুখী যান চলাচল বন্ধ

Published

on

মাদারীপুরের শিবচরে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে ৩টি ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চারজন আহত হয়েছেন। এ সময় ঢাকা থেকে ভাঙ্গাগামী লেনে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দেড় ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে শিবচরে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকামুখী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

শিবচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুব্রত গোলদার গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আজ সকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী একটি ট্রাকের চাকা ফেটে বিকল হয়ে যায়। পরে পেছন দিক আসা আরও দুটি ট্রাক থেমে থাকা ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ৪ জন আহত হন। পরে ফরিদপুরের ভাঙ্গাগামী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে রেকার দিয়ে ট্রাকগুলো সরিয়ে নেয়া হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শিবচর হাইওয়ে থানার সার্জেন্ট মো. আরিকুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এছাড়া একজনকে রয়েল প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Advertisement

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ঢাকা

ঢাকায় তীব্র গ্যাস সংকট, ভোগান্তি চরমে

Published

on

গ্যাস

ঢাকায় চরম আকার ধারণ করেছে গ্যাস সংকট। দিনের বেশিরভাগ সময় গ্যাস থাকে না। পাইপলাইনের গ্যাস রাত ১২টার পর গ্যাস এসে ভোর ৫টায় চলে যায়। দিনের বেলা আসলেও চুলা নিবু নিবু করে।

গ্যাস সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, কদমতলী, কামরাঙ্গীরচর, মিরপুর, নদ্দা ও কুড়িল বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।

এসব এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, লাইনের গ্যাস বেশিরভাগ সময় থাকে না। গ্যাসের চাপও কম। বাধ্য হয়ে সিলিন্ডার ব্যবহারের দিকে ঝুঁকতে হচ্ছে। উপায় না পেয়ে অনেক সময় হোটেল থেকে খাবার এনে খেতে হচ্ছে।

জানা যায়, রাজধানীর মিরপুর এলাকায় দিনে দু-তিন ঘণ্টা গ্যাস থাকে না। মগবাজার ওয়্যারলেস গেট, বেইলি রোড, রমনা সিদ্ধেশরী এলাকার চিত্র একই। রাতে আসলেও দিনে গ্যাস থাকে না।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী মো. সেলিম মিয়া বলেন, সব এলাকায় সমস্যা নেই। কিছু কিছু এলাকায় আছে। সাপ্লাই কম থাকায় এমনটা হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ে ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রেগাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সরবরাহ এখন কম। আশা করছি, চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে সমস্যার সমাধান হবে।

Advertisement

পেট্রোবাংলা সূত্রে জানা যায়, সামিট গ্রুপের এলএনজি টার্মিনালটি বন্ধ থাকায় একটি টার্মিনাল দিয়ে মাত্র ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ কূপ থেকে আরও ২০০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। দেশে গ্যাসের চাহিদা রয়েছে কমপক্ষে ৩ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটের। ফলে বর্তমানে প্রতিদিন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের ঘাটতি রয়েছে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত