বাংলাদেশ

কোটা আন্দোলন সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৫

কোটা আন্দোলন সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৫

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা,রংপুর ও চট্রগ্রামে তিনজনসহ মোট ৫ জন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

জানা যায়,  দুপুর ৩টা নাগাদ চট্রগ্রাম নগরীর মুরাদপুর, ২ নম্বর গেট এবং ষোলশহরসহ আশেপাশের এলাকায় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। আগে থেকেই বিভিন্ন মোড়ে অবস্থা নেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা। । দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় ৫০ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিহতদের একজন চট্টগ্রাম কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ওয়াসিম (২২) । আরেকজন ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী মো. ফারুক (৩২)। তবে নিহত অপর পথচারীর পরিচয় জানা যায়নি।

তিনি বলেন, কলেজ শিক্ষার্থীর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন ছিল না। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে পুলিশ মৃত্যুর তথ্য পেয়েছে। তবে পুলিশ কোথাও বলপ্রয়োগ করেনি।

চমেক চিকিৎসকরা জানান, ওই যুবকের পিঠে গুলির ক্ষত রয়েছে

এদিকে রাজধানীর ঢাকা কলেজের বিপরীত পাশে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষে অজ্ঞাতনামা এক যুবক (২৫) নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন এক পথচারী। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া ওই যুবকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের  কানের নিচে ও মুখের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী আকাশ মাহমুদ জানান,  ওই যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকা কলেজের বিপরীত পাশে পেট্রোল পাম্পের সামনে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। এরপর তিনি হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

রংপুরে দুপুর ২টায়  খামার মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা  মিছিল নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং ফটকের সামনে আসেন। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু সাইদ নিহত হন।

নিহত সাঈদ কোটা সংস্কার আন্দোলন রংপুর জেলার অন্যতম সমন্বয়ক ও ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

এদিকে বর্তমানে পরিস্থিতে ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী ও বগুড়ায় বিজিবি মোতায়েন করেছে সরকার।

আই/এ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন কোটা | আন্দোলন | সংঘর্ষে | নিহত | বেড়ে | ৫