আইন-বিচার
৪ বোন ও ভাবী মিলে ৫ সদস্যের পকেটমার দল
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2022/10/06/resize-600x315x1x0image-27498-1665065508.jpg)
রেলস্টশনে, ট্রেনে, হাসপাতালে যেখানেই লোক সমাগম বেশি সেখানে গিয়ে কৌশলে মানুষের ব্যাগ থেকে টাকা, স্বর্ণালংকার ও মুঠোফোন হাতিয়ে নেন নারী পকেটমার দল।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর রেলস্টেশন থেকে তাদের আটক করা হয়।
আপন তিন বোনের সঙ্গে এক ফুফাতো বোন। সঙ্গে রয়েছে তিন মাস আগে বিয়ে হয়া ছোট ভাইয়ের স্ত্রীও। এই পাঁচ সদস্য নিয়ে তাদের 'নারী পকেটমার' দল। পকেটমার দলের সবাই ধরা পড়েছেন। রাজশাহীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে নেমে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করেন। স্টেশন মাস্টারসহ রেলওয়ের কর্মচারীরা তাদের আটক করেন।
এরপর রেলস্টেশনে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বসিয়ে দুইজনের সাত দিন করে কারাদণ্ড ও তিন জনের মোট দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এস.এম হাবিবুল হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
সাত দিনের কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, হামিদা বেগম (২৭) ও রিপন আখতার (২৮)। অর্থদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- রোজিনা বেগম (২৫), মর্জিনা বেগম (২৫) ও লিজা আখতার (২৩)। এরমধ্যে রোজিনা বেগমের এক হাজার টাকা অন্য দুই জনের পাঁচশ করে টাকা। জরিমানার টাকা আদায় করে মুচলেকা নিয়ে তাদের তিন জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তাদের সবার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ধরমণ্ডল গ্রামে। এই পাঁচ নারী পকেটমার দলের দলনেতা রিপন আখতার। তার আপন দুই বোন রোজিনা বেগম ও হামিদা বেগম। আপন ছোট ভাইয়ের স্ত্রী লিজা আখতার ও ফুফাতো বোন মর্জিনা আখতারকে নিয়ে তাদের দল।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, পাঁচ জন নারী এক সপ্তাহ ধরে জয়পুরহাট থেকে ট্রেনে এসে আক্কেলপুর রেলস্টেশনে নেমে আবার রির্জাভ ইজিবাইক নিয়ে জয়পুরহাটে যাচ্ছিলেন। তাদের এমন গতিবিধি দেখে রেলস্টেশন মাস্টার খাদিজা খাতুন ও রেলস্টেশনের কর্মচারীদের সন্দেহ হয়। এরপর আজ সকালে রাজশাহীগামী বরেন্দ্র এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে নেমে ওই পাঁচ নারী জয়পুরহাট যাওয়ার জন্য ইজিবাইক রির্জাভ করছিলেন। তখন রেলস্টেশন মাস্টার খাদিজা খাতুন ও রেলস্টেশনের কর্মচারীরা তাদের ডেকে রেলস্টেশন মাস্টারের কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্টেশন, ট্রেনের ভেতর ও হাসপাতালে পকেট মারার কথা স্বীকার করেন। তখন থানা পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে খবর দেওয়া হয়। ইউএনও এসে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসালে পাঁচ নারী পকেট মারার কথা স্বীকার করেন।
ইউএনও এস.এম হাবিবুল হাসান বলেন, পাঁচ নারী পকেটমার দলের সদস্যের অপরাধ বিবেচনায় নিয়ে জরিমানা ও কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এরা মূলত রেলস্টেশন, ট্রেন ভেতর ও হাসপাতালের মানুষদের টার্গেট করেন।
আসাদ ভূঁইয়া
আইন-বিচার
বগুড়া কারাগারের ডেপুটি জেলার-প্রধান কারারক্ষীসহ ৫ জন বরখাস্ত
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-1-367.jpg)
বগুড়ায় কারাগারের ছাদ ফুটে করে চার আসামি পালানোর ঘটনায় ডেপুটি জেলার ও প্রধান কারারক্ষীসহ ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২৮ জুন) বিকেলে কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কর্নেল শেখ সুজাউর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, দায়িত্বে অবহেলার বিষয় উঠে আসায় বগুড়া কারাগারের ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামান, প্রধান কারারক্ষী আব্দুল মতিনসহ ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া আরও তিনজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে বিছানার চাদরকে রশি হিসেবে ব্যবহার করে পালিয়ে যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি। তারা হলেন- কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা এলাকার নজরুল ইসলাম ওরফে মজনু (কয়েদি নম্বর-৯৯৮), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি এলাকার আমির হোসেন (কয়েদি নম্বর-৫১০৫), বগুড়ার কাহালু পৌরসভার মেয়র আবদুল মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া (কয়েদি নম্বর-৩৬৮৫) এবং বগুড়ার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ফরিদ শেখ (কয়েদি নম্বর-৪২৫২)।
পুলিশ সুপার (এসপি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী গণমাধ্যমে জানান, দীর্ঘদিন পরিকল্পনা করে গেলো মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে তারা কনডেম সেলের ছাদ কেটে কাপড়ের রশি বানিয়ে ছাদ থেকে নেমে পালিয়ে যায়। পরে বুধবার (২৬ জুন) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জেলখানার অদূরে একটি বাজার থেকে পুলিশ তাদের আটক করে। জেল কর্তৃপক্ষ আমাদের বিষয়টি জানায় ৩টা ৫৬ মিনিটে। এরপর পুলিশের সব ফাঁড়ি এবং টহল দলকে অ্যালার্ট করে দেয়া হয়। একপর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪টায় সদর ফাঁড়ির সব-ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে পলাতক চার আসামিকে ধরে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়।
উল্লেখ্য, বগুড়া কারাগার অনেক পুরাতন। এটি ব্রিটিশ আমলে তৈরি। কারাগার ভবনের অনেক স্থান নাজুক। কারাগারের ছাদের যে অংশে ফুটো করেছে সেখানে কোনো রড ছিল না বলে জানা যায়।
এএম/
আইন-বিচার
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-1-362.jpg)
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদুর রহমান ও তার স্ত্রী তহুরা বেগমের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের তেঁতুলিয়া শাখার ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (২৭ জুন) বিকেলে পঞ্চগড় সিনিয়র স্পেশাল জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. গোলাম ফারুক এ আদেশ দেন।
গেলো ১ ফেব্রুয়ারি আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইমরান হোসেন। পরবর্তীতে আয়কর আইনে কাজী মাহমুদুর রহমানের আয়কর ফাইল প্রাপ্ত হন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা যায়, কাজী মাহমুদুর রহমান ডাবলু ২০২০ সালে দাখিল কৃত সম্পদের হিসাবে ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫২ টাকার সম্পদের হিসাব গোপন করেছেন এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৭৯ লাখ ৭২ হাজার ৫৫ টাকার সম্পদ ভোগ দখল করছেন। গেলো ১২ জুন এসব সম্পদের দলিল ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদন করেন মামলার বাদী।
পঞ্চগড় জেলা জজ কোর্টের দুর্নীতি দমন কমিশনের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হাবিবুর রহমান হাবিব জানান, আদালতে গেলো ১ ফেব্রুয়ারি মামলার পর গেলো ১৩ এপ্রিল মামলার শুনানিতে আদালত সন্তুষ্ট হয়ে কাজী মাহমুদুর রহমানের ১৬টি এবং তার স্ত্রীর নামে ১টি দলিল ক্রোক এবং একটি ব্যাংক একাউন্ট অবরুদ্ধের আদেশ দেন।
এএম/
আইন-বিচার
এনবিআর সচিব ফয়সালের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/News-Image-1-110.gif)
দুর্নীতির মামলায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রথম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের সব সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষ থেকে করা আবেদনে বলা হয়, এনবিআর সচিব ও তার স্ত্রী আফসানা জেসমিন এর নামে জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পে মোট দুই কোটি ৩৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকা পরিশোধ করে ৫ কাঠার প্লট ক্রয় করেছিলেন। অনুসন্ধান চলাকালেই জলসিড়ি আবাসন প্রকল্পের প্লট বিক্রয় করেছেন। দুদকের অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তি ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা অপরাধলব্ধ সম্পদ বিক্রি করার চেষ্টা করছেন মর্মে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়।
অপরাধলব্ধ আয়ের মাধ্যমে অর্জিত বর্ণিত সম্পদ/সম্পত্তির বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে তা বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিধায় রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তাই ফয়সাল ও তাঁর স্ত্রী এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিদের নামে নিম্নবর্ণিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর, বিক্রয় বা মালিকানাসত্ব বদল রোধের নিমিত্ত ব্যাংক হিসাব, ব্যাংকে রক্ষিত সঞ্চয়পত্র ও নন ব্যাংকিং ফাইনান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানের আমানত থেকে অর্থ উত্তোলন অবরুদ্ধ এবং স্থাবর সম্পদ জব্দ করা একান্ত প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সংস্থাটির আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
আই/এ
- পর্যটন21 hours ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
- ইসলাম10 hours ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
- আবহাওয়া3 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
- টুকিটাকি2 days ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
- অপরাধ20 hours ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
- রংপুর2 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
- জাতীয়2 days ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!
- আন্তর্জাতিক2 days ago
এক ঘণ্টায় সাড়ে ৪৮ কোটি টাকা জিতলেন জুয়াড়ি, অতপর…