Connect with us

বাংলাদেশ

হেফাজতের বিক্ষোভ: কঠোর অবস্থানে পুলিশ

Published

on

রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার (২ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে হেফাজতের নেতাকর্মীরা।

হেফাজতের সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুপুর থেকেই মসজিদের উত্তর গেটে অবস্থান নেয় পুলিশ। রাজধানীর পল্টন মোড়, দৈনিক বাংলা মোড় ও এর আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ দেখা গেছে। এছাড়াও জলকামান ও সাজোয়া যান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এদিকে প্রেসক্লাব, কাকরাইল মোড়, গুলিস্তান জিরো পয়েন্টসহ আশপাশের এলাকায়ও পুলিশের অবস্থান দেখা গেছে। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া সাদা পোশাকধারী বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে গত শুক্রবার (২৬ মার্চ) বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে নেতাকর্মীদের পুলিশ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মধ্যকার সংঘর্ষ বাঁধে। এতে বায়তুল মোকাররম এলাকা মুহূর্তেই উত্তপ্ত হয়ে উঠে। ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনায় রণক্ষেত্র হয় বায়তুল মোকাররম এলাকা।

Advertisement

এ ঘটনার পর সংঘর্ষের রেশ ছড়িয়ে পড়ে হাটহাজারী, ঢাকা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপক বিক্ষোভ-ভাঙচুর ও সহিংসতায় জড়ায় হেফাজতের নেতাকর্মী ও মাদরাসা শিক্ষার্থীরা। টানা তিনদিনের সংঘাতে অন্তত ১২ জনের প্রাণহানি হয়। অভিযোগ উঠে, হেফাজতের নেতাকর্মীরা এসব এলাকায় সরকারি বিভিন্ন অফিস ও স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করে।

এরপর রোববার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতের মহাসচিব নুরুল ইসলাম পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে দোয়া ও বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়। ঘোষণায় জানানো হয়, সোমবার (২৯ মার্চ) দোয়া এবং শুক্রবার (২ এপ্রিল) দেশব্যাপী বিক্ষোভ করবে তারা।

শেখ সোহান /শুভ

Advertisement

জাতীয়

‘জনগণ ও দেশের উন্নতিতে সহযোগিতায় সম্মত ঢাকা-দিল্লি’

Published

on

একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে যৌথ এক সংবাদ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

‘বাংলাদেশ ও ভারত  শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতকরণে একটি ‘রূপকল্প ঘোষণা’ গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি ‘ডিজিটাল অংশীদারত্ব’ এবং ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারত্ব’ বিষয়ক দুটি সমন্বিত রূপকল্পকে সামনে রেখে কাজ করতে আমরা দুপক্ষই সম্মত হয়েছি।’

শনিবার(২২ জুন)  দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এবং কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সইয়ের পর যৌথ এক সংবাদ বিবৃতিতে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন,  ‘আজ আমাদের দুই পক্ষের মধ্যে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। আমরা রাজনীতি ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও যোগাযোগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’

প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা বলেন, ‘ ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী, বিশ্বস্ত বন্ধু এবং আঞ্চলিক অংশীদার। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে শুরু হওয়া ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে বাংলাদেশ সবসময়ই বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে।’’

এসময় শেখ হাসিনা মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার এবং ভারতের জনগণের অবদানকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং  ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে ভারতের যেসব বীর জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

Advertisement

যৌথ বিবৃতিতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘উভয় দেশ শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে আমাদের দিকনির্দেশনা দিতে ‘ভিশন স্টেটমেন্ট’ সমর্থন করেছে। বাংলাদেশ ও ভারত ‘ডিজিটাল পার্টনারশিপ’ ও ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য সবুজ অংশীদারত্বের’ জন্য একটি অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে সম্মত হয়েছে।’

চলতি বছরের  ৭ জানুযারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়লাভ করে টানা চতুর্থবার সরকার গঠনের পর প্রথমবারের মতো ভারতে দ্বিপক্ষীয় সফর শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরেই চীন সফর রয়েছে। তবে এখনও সফরের তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।১৫ দিনেরও কম সময়ের মধ্যে ভারতে শেখ হাসিনার এটি দ্বিতীয় সফর। এর আগে, গত ৯ জুন নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যৌথ বিবৃতিতে শেখ হাসিনা আরও  বলেন, বৈঠকে আমরা অন্যান্য পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের মধ্যে রাজনীতি ও নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও সংযোগ, অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন, জ্বালানি ও শক্তি এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা করেছি। দুদেশের এবং জনগণের কল্যাণের জন্য আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি।

বাংলাদেশের সরকারপ্রধান বলেন, ‘যেহেতু নতুন সরকার গঠনের মাধ্যমে ঢাকা ও দিল্লি নতুনভাবে পথচলা শুরু করেছে, সে ধারাবাহিকতায় আমরা ‘রূপকল্প ২০৪১’ এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা এবং ‘বিকশিত ভারত ২০৪৭’ অনুসরণ নিশ্চিত করার জন্য ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুদেশই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়সহ উচ্চপর্যায়ের মধ্যে যোগাযোগ ও সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে।  ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী অনুষ্ঠান, দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাংলাদেশ সফর করেছিলেন। আমিও ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলাম। পরবর্তীকালে আমি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র আমন্ত্রিত অতিথি দেশের নেতা হিসেবে নয়াদিল্লিতে ভারতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিই। ’

Advertisement

বাংলাদেশের সরকারপ্রধান এসময় আরও বলেন, ‘এখন আমি এই একই জুন মাসে অভূতপূর্ব দ্বিতীয়বারের মত নয়াদিল্লি সফর করছি। গত ৯ জুন অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার নবগঠিত মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আরও কয়েকজন বিশ্বনেতার সঙ্গে নয়াদিল্লি সফর করি। এসবই আমাদের এই দুদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠভাবে একে অপরের সঙ্গে কাজ করার প্রমাণ বহন করে।’

এর আগে, সকালে, দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান নরেন্দ্র মোদি। সেখানে শেখ হাসিনাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস একটি দল তাঁকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গার্ড পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।ভারতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে আজই  ঢাকায়  ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। গতকাল শুক্রবার দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দুর্ঘটনা

সেতু ভেঙ্গে বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস খালে, নিহত ১০

Published

on

বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে ১০ বরযাত্রী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। নিহতদেরর মধ্যে ৭ নারী ও দুই শিশুর লাশ এখন পর্যন্ত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার (২২ জুন) দুপুর ২ টায় আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটে বলে বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেছেন হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান (মিন্টু মল্লিক)।

স্থানীয়রা জানান, ঝুকিপূর্ণ ওই ব্রীজ একটি মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা পার হওয়ার সময় ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ে। এসময়ে অটোরিকশার যাত্রীরা বের হতে পারলেও। মাইক্রোবাসের ১২ যাত্রী ভিতরে আটকা পড়ে বলে জানান তাঁরা।

ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু মল্লিক জানান, মাইক্রোবাসের ড্রাইভার দুঘটনার পরে মাইক্রোবাস থেকে বের হতে পেরেছেন। তাঁর দাবি এখনো মাইক্রোবাসের ভিতরে তিনজন রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল বর্তমানে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালাচ্ছে।

তিনি জানান, মাইক্রোবাসটি কনের বাড়ি থেকে ছেলের বাড়িতে অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে।  ব্রীজটি আনুমানিক ১০-১২ বছর আগে নির্মান করা হয় বলে তিনি জানান। নিম্ন মানের কাজ হওয়া নির্মানের পরে এ অবস্থা হয়েছে বলে দাবি করেন মিন্টু মল্লিক।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

বাংলাদেশ

রাসেলস ভাইপার নিয়ে বন মন্ত্রণালয়ের আট পরামর্শ

Published

on

দেশের বিভিন্ন জেলায় রাসেলস ভাইপার ছড়িয়ে পড়ায়, মানুষের মাঝে বিরাজ করছে আতঙ্ক। এ প্রেক্ষিতে জননিরাপত্তা এবং জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় আট পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

শনিবার (২২ জুন) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাসেলস ভাইপার দক্ষ সাঁতারু হওয়ায় নদীর স্রোতে ও বন্যার পানিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত হয়েছে। তাই সবাইকে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে সাপের কামড় এড়াতে ৮টি পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সেগুলো হলো-

১. যেসব এলাকায় রাসেলস ভাইপার দেখা গেছে, সেসব এলাকায় চলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করুন।

Advertisement

২. লম্বা ঘাস, ঝোঁপঝাড়, কৃষি এলাকায় হাঁটার সময় সতর্ক থাকুন। গর্তের মধ্যে হাত-পা ঢুকাবেন না।

৩. সংশ্লিষ্ট এলাকায় কাজ করার সময় বুট এবং লম্বা প্যান্ট পরুন।

৪. রাতে চলাচলের সময় অবশ্যই টর্চ লাইট ব্যবহার করুন।

৫. বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার ও আবর্জনামুক্ত রাখুন।

৬. পতিত গাছ, জ্বালানি লাকড়ি, খড় সরানোর সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন।

Advertisement

৭. সাপ দেখলে তা ধরা বা মারার চেষ্টা করবেন না।

৮. প্রয়োজনে জাতীয় হেল্পলাইন ৩৩৩ নম্বরে কল করুন বা নিকটস্থ বন বিভাগের অফিসকে অবহিত করুন।

আই/এ

 

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত