অন্যান্য
হেফাজত নেতা মামুনুল হককে নিয়ে যা বললেন তসলিমা নাসরিন
Published
3 years agoon
By
জাকির হোসাইনবাংলাদেশের একজন লেখিকা তসলিমা নাসরিন। যিনি বর্তমানে ভারতে রয়েছেন। সেখানেই বসবাস করছেন তসলিমা নাসরিন। বিভিন্ন লেখার জন্য তিনি আলোচিত-সমালোচিত হয়েছেন অনেকের কাছে। হেফাজত নেতা মামুনুল হককে তিনি তার ফেসবুকে বিশাল স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পাঠকের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো।
নারায়ণগঞ্জের রিয়েল রিসোর্টে হেফাজতি নেতা মামুনুল হক নিজে যে আদর্শের কথা ওয়াজে মাহফিলে শোনান, সেই আদর্শের বাইরে কাজ করতে গিয়ে ধরা পড়লেন কিছু তরুণের হাতে এবং আল্লাহর কসম খেয়ে ডাহা মিখ্যে কথা বলতে লাগলেন — এই খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পাওয়ার পর শত শত মাদ্রাসার ছেলে তাদের গুরু মামুনুল হককে উদ্ধার করতে গিয়ে রিসোর্টের ভেতর রিসেপশান, রেস্তোরাঁ যা পেয়েছে ভেঙ্গে গুঁড়ো করে দিয়েছে। দেখে প্রশ্ন জাগছিল মনে, মাদ্রাসার ছেলেরা এভাবে অন্যের সম্পত্তি ধ্বংস করার কায়দা কোত্থেকে শিখেছে? হাতে ওদের এমন সব শক্ত লাঠি কে দিল? এমন সব অস্ত্র, যেগুলো দিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই গোটা রিসোর্টের যাবতীয় জিনিসপত্র মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া যায়! যারা রিসোর্টে ধ্বংসাত্মক কাজ করেছে, যারা মামুনুল হককে মাথায় তুলে সম্মান দিয়েছে, তারা কি জানেনা মামুনুল হক সেই কাজটিই করেছেন যে কাজটিকে তিনি নিজেই অনৈতিক, অবৈধ, অন্যায় বলেন? তারা কি জানে না, আল্লাহর কসম কেটে তাদের গুরু মিথ্যে কথা বলেছেন? তারা সব জানে, কিন্তু এতে তাদের কিছু যায় আসে না। তারা শিখেছে গুরু যত ভুলই করুন, গুরু যত মিথ্যেই বলুন, যত প্রতারণাই করুন, গুরুকে গুরু বলে মানতে হবে। গুরুকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে হবে। গুরু ১০০ খুন করে এলেও গুরু নির্দোষ। বলাই বাহুল্য, যুক্তিবুদ্ধিহীন অন্ধ বধির এক জনগোষ্ঠী তৈরি হয়েছে বাংলাদেশে। এই জনগোষ্ঠী তৈরির কারিগর মামুনুল হক এবং তার মৌলবাদী সহিংস সতীর্থরা।
প্রথমে ভেবেছিলাম মামুনুল হক তাঁর প্রেমিকা নিয়ে প্রমোদ বিহারে গেছেন, যেতেই পারেন, প্রেম করা অন্যায় নয়। পরে কিছু ফোনালাপ থেকে বোঝা গেল প্রেম নয়, দুজন মহিলার সঙ্গে তিনি প্রতারণা করছেন। নিজের স্ত্রীকে দিনের পর দিন ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছেন, আর ওদিকে জান্নাত আরা ঝর্ণাকে, যাকে, তিনি, আল্লাহর কসম কেটে বলেছেন বিয়ে করেছেন, আসলে যাকে তিনি বিয়ে করেননি, নেহাত যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করছে্ন। এত ভয়ংকর নারবিদ্বেষী লোক নারীর সঙ্গে প্রেম করেন না, নারীকে নিজের বী*র্য ফেলার ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করেন। দুই রমণীই কিন্তু তাঁকে আপনি সম্বোধন করেন। দু'জনই তাঁকে প্রভু মানেন। প্রেম-ভালোবাসার সম্পর্ক কখনও প্রভু-দাসির সম্পর্ক নয়। ঝর্ণার সঙ্গে কোনও এক ভাইয়ার ফোনালাপ থেকে আমরা জানতে পারি তিনি এবং মামুনুল হক স্বামী স্ত্রীর মতো বাস করেন বটে, তবে তাঁদের বিয়ের কোনও কাবিননামা হয়নি, রেজিস্ট্রেশানও হয়নি। ঝর্ণা নিজেই বলেছেন এ কথা। কাবিননামা হয়নি, এবং রেজিস্ট্রেশান হয়নি মানে বিয়ে হয়নি। ঝর্ণা কিন্তু বিয়ে হবে বলে বসে আছেন, এবং মামুনুল হক তাঁকে ভোগ করে যাচ্ছেন বিয়ে করবেন এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে। এই কাজটি কারা করে বলে আমরা জানি? তাদের তো প্রতারণার দায়ে জেল খাটতে হয়। সরকারি প্রশ্রয় পাচ্ছেন বলে মামুনুল হককে জেল খাটতে হচ্ছে না। মামুনুল হক বাংলাদেশের আইনে বিশ্বাস না করলেও শরিয়া আইনে বেশ বিশ্বাস করেন। তাঁকে যদি ব্যাভিচারের শাস্তি শরিয়া আইনে দেওয়া হয় তাহলে সেই শাস্তি তিনি সহ্য করতে পারবেন তো? সেটি কিন্তু পাথর ছুঁড়ে হত্যা। মামুনুল হকের ভাগ্য ভালো যে তিনি যে দেশে বাস করেন, সে দেশে শরিয়া আইন নেই, যে আইন আনার জন্য তিনি দিনভর চিৎকার করেন, এবং ভক্তবৃন্দকে উত্তেজিত করেন।
হেফাজতি নেতাদের মধ্যে মামুনুলের কীর্তি নিয়ে ফোনালাপ, স্ত্রীকে মিথ্যে বলা শিখিয়ে দেওয়ার জন্য মামুনুলের ফোনালাপ, মামুনুলের স্ত্রীকে মামুনুলের দ্বিতীয় বিয়ে সম্পর্কে মিথ্যে বলার জন্য অনুরোধ করে মামুনুলের বোনের ফোনালাপ, ঝর্ণার সঙ্গে মামুনুলের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত ঝর্ণার পুত্রের ফোনালাপ, ঝর্ণার সঙ্গে কাবিননামা এবং রেজিস্ট্রেশান না হওয়া বিষয়ে এক ভাইয়ার ফোনালাপ, মামুনুলের সঙ্গে তৃতীয় মহিলার ঘনিষ্ঠ ফোনালাপ, মামুনুলের প্রতারণা সম্পর্কে ঝর্ণার পুত্রের ভিডিও । এগুলো শুনলেই প্রতারক মামুনুলের চরিত্র উন্মোচিত হয়। মাত্র দুটি প্রতারণার কাহিনী বেরোলো। এরকম কত কাহিনী আছে, কে জানে।
নারী নির্যাতন, নারী হেনস্থা, নারীর সঙ্গে প্রতারণা বাংলাদেশের বদ পুরুষলোকেরা অহরহই করে। মামুনুল যেহেতু নেতা, যেহেতু তার আদেশে লক্ষ পঙ্গপাল চারদিক পুড়িয়ে ছাই করে দেয়, নিজেরা শুধু খুন করতে নেমে পড়ে না, নিজেরা খুন হতেও নেমে পড়ে, —সেহেতু মামুনুলের চরিত্রের চুলচেরা বিশ্লেষণ জরুরি। পঙ্গপালগুলোর জানা জরুরি কোন নিকৃষ্ট লোকের, কোন প্রতারকের, মিথ্যুকের, কোন স্বার্থান্ধ বদ-লোকের আদেশ তারা মেনে চলে। হয়তো যারা অন্ধ ভক্ত, তাদের কোনও বোধোদয় হবে না। কিন্তু যারা এখনও অন্ধ হয়নি, তাদের তো পরিবর্তন হতে পারে।
মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা তো অপরাধ, মামুনুল তো সেই অপরাধ করছেনই, সবচেয়ে বড় অপরাধ তিনি করছেন, তাঁর ওয়াজে তিনি প্রগতির বিরুদ্ধে, মুক্তচিন্তার বিরুদ্ধে, নারীর বিরুদ্ধে, সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ বিষ উগরে দিচ্ছেন, সেই বিষের ক্রিয়ায় শত শত শিশু কিশোর যুবক হিংস্র দাঙ্গাবাজ হয়ে উঠছে। যুবসমাজকে তিনি সন্ত্রাসবাদে আর জঙ্গিবাদে দীক্ষিত করছেন — এটি নিশ্চিতই তাঁর অক্ষমাযোগ্য অপরাধ। এইতো সেদিন তিনি মাদ্রাসার ছাত্রদের লেলিয়ে দিয়েছেন সারাদেশ জুড়ে সন্ত্রাস করার জন্য। সন্ত্রাস করেছে তারা, দেশের অমূল্য সব সম্পদ পুড়িয়ে দিয়েছে, শুধু তাই নয়, নিজেরাও মরেছে। জেনেবুঝে দেশ ও মানুষের সর্বনাশ করা খুব বড় অপরাধ। এই অপরাধের কারণে মামুনুল হকের শাস্তি হওয়া অত্যন্ত জরুরি। তাঁর কারণে মৃত্যু হলো ভক্তকুলের, কোথায় তিনি নিজেকে তাঁদের মৃত্যুর জন্য দায়ী করে গ্লানি বোধ করবেন, কোথায় তিনি কাঁদবেন, হাহাকার করবেন, তিনি চলে গেলেন আনন্দ করতে। তারপরও কি ভক্তকুল তাঁর আচরণে ক্ষুব্ধ হবে না? গুরুর চরণামৃত খেয়ে গুণগান গাওয়া ছাড়া আর কিছু ভক্তকুলের মগজে ঢোকানো হয়নি।
তবে মামুনুলকে নিয়ে হেফাজতি অন্য নেতাদের মধ্যে কিছু অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাঁরা যদি কখনও মামুনুলকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দিতে সক্ষম হন, তাহলে কি এই সংগঠনকে কোনও সভ্য সংগঠন হিসেবে দাঁড় করানো সম্ভব হবে? আমার তো মনে হয় না। মামুনুলের মতো প্রতারক যদি নাও হন , হেফাজতি নেতারা কিন্তু সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করেন, এ কথা সত্য। এ পর্যন্ত হেফাজতের নেতারা মাদ্রাসার শিশু কিশোরদের দিয়ে দেশ জুড়ে সন্ত্রাস ঘটানোর জন্য ক্ষমা চান নি, দুঃখ প্রকাশও করেননি। তবে কী কারণে মামুনুল হককেই একা মন্দ বলে মনে করছি? ভারতের দেওবন্দিরা কোনও দাঙ্গা ফ্যাসাদ ভায়োলেন্সে যায় না। কিন্তু দেওবন্দি আদর্শ মেনে চলা বাংলাদেশের হেফাজতে ইসলাম, আফগানিস্তানের তালিবান, পাকিস্তানের লস্করে ঝাংভি, সিপাহে সাহাবা, তেহরিকে তালিবান দিব্যি সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছে। পাকিস্তানে সিপাহে সাহাবা সংগঠনটি নিষিদ্ধ হয়েছে। বাকি সব সন্ত্রাসী সংগঠনই নিষিদ্ধ হওয়া উচিত।
রাজনৈতিক ইসলাম খুব বিপজ্জনক। রাজনৈতিক ইসলামের নেতারা দেশে শরিয়া আইন চালু করতে চান, যে আইনে মেয়েদের কোনও অধিকার থাকবে না। যাঁরা আল্লাহর কসম কেটে মিথ্যে কথা বলেন , তাঁরা, কোনও ভুল নয় যে, আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না। আল্লাহ রসুলকে তাঁরা নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য ব্যবহার করেন মাত্র। শরিয়া আইন চালু করতে চান তাঁদের নারীবিদ্বেষ আর অমুসলিমবিদ্বেষের জন্য। কোনও নারী যেন অধিকার বা স্বাধীনতা বলতে কিছু না পায়, কোনও অমুসলিমেরও যেন এ অঞ্চলে বাস করতে না পারে।
যারা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নষ্ট করেছে, তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু যারা ওস্তাদ আলাউদ্দিন খানের সঙ্গীত একাডেমী পুড়িয়ে দিয়েছে, যারা লাইব্রেরি পুড়িয়েছে, যারা জনগণের সম্পদ বাস ট্রাক জ্বালিয়ে দিয়েছে, যারা মন্দির ভেঙ্গেছে তাদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না? নাকি এই সন্ত্রাসবাদীদের সকল সন্ত্রাস ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা হচ্ছে? জানি সরকারি দলের অনেকে মনে করেন, সত্যিকার রাজনৈতিক দল থাকার চেয়ে প্রতিপক্ষ হিসেবে ইসলামী মৌলবাদী সন্ত্রাসীরাই থাকা ভালো। এতে বিপদ দেখলে এদের দান দক্ষিণা দিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে, বাইরের বিশ্বের কাছ থেকে সহানুভূতিও জুটবে, মৌলবাদের মোকাবেলা করার জন্য।
আধুনিকতাও চাই, মৌলবাদও চাই, এ হয় না। সংস্কৃতিও চাই, অপসংস্কৃতিও চাই, এ হয় না। শান্তি চাই, সন্ত্রাসও চাই, এ হয় না। দুই নৌকোয় পা দিয়ে চললে ডুবে মরতে হয়, এই সত্য কি ডুবে না মরা পর্যন্ত বিশ্বাস হবে না?
অন্যরা যা পড়ছেন
‘গাজায় ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে লন্ডনকে পাশে চায় ঢাকা’
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
বিএনপি কখনো পরাজিত হবে না : ফখরুল
রাজধানীর নিকুঞ্জে আবাসিক ভবনে বিস্ফোরণ, আহত ১
এক সপ্তাহে হিটস্ট্রোকে ১০ জনের মৃত্যু
নিজ ঘর থেকে আড়াই বছরের শিশুর দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার
কক্সবাজারে ১০ কেজি গাঁজাসহ যুবক গ্রেপ্তার
তিন ঘণ্টা পর সিলেটের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
ঘুমন্ত হেলপারকে পুড়িয়ে হত্যা, ৩ বিএনপি কর্মী গ্রেপ্তার
অন্যান্য
এক বছর ৩ মাস পর কারামুক্ত হলেন জামায়াত আমির
Published
2 months agoon
মার্চ ১১, ২০২৪By
Anik Mahmudএক বছর তিন মাস কারাভোগের পর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মো. শফিকুর রহমান কারামুক্ত হয়েছেন। ২০২২ সালের ১২ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১টায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে আটক করেছিলো।
সোমবার (১১ মার্চ) কাশিমপুর কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্ত হন। শফিকুর রহমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, আটকের পর দিন ১৩ ডিসেম্বর তাকে যাত্রাবাড়ী থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর একাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
উল্লেখ্য, শফিকুর রহমানের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায়। তিনি সিলেট মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। একসময় ছাত্রশিবিরের সিলেট শহর শাখার সভাপতি ছিলেন।
অন্যান্য
বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার বাম জোটের বিক্ষোভ
Published
2 months agoon
ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪By
অনন্যা চৈতীবিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুক্রবার (০১ মার্চ) সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সেদিন বেলা সাড়ে ১১টায় পুরানা পল্টন মোড়ে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে বলে জোটের এক যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিদ্যুতের দাম বাড়লে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিসহ সবকিছুর দাম বাড়বে। এই বাড়তি দাম সাধারণ জনগণকেই দিতে হবে। মানুষের আয় বাড়েনি, বরং প্রকৃত আয় কমে গেছে। এর মধ্যে এই মূল্যবৃদ্ধি সহ্য করার ক্ষমতা সাধারণ মানুষের নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সরকার ভুল নীতি ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি না দিয়ে মূল্য বৃদ্ধি করেই প্রকারান্তরে জনগণের কাঁধে শাস্তির বোঝা চাপাচ্ছে। বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় কমানোর প্রচেষ্টা সরকার কখনও নেয়নি।
অন্যান্য
পুলিশের বাঁধায় গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ সমাবেশ পণ্ড
Published
2 months agoon
ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ব্যাংক ‘লোপাট’ ও অর্থ পাচারের প্রতিবাদে সচিবালয় অভিমুখে গণতন্ত্র মঞ্চের বিক্ষোভ কর্মসূচি পুলিশের লাঠিপেটায় পণ্ড হয়ে গেছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নেতাকর্মীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে মিছিল নিয়ে পল্টন ঘুরে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হন। এ সময় জিরো পয়েন্ট পার হয়ে সচিবালয় অভিমুখী সড়কে তারা পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে পড়েন।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মঞ্চের কর্মীরা ব্যারিকেডের ভেঙে এগোতে চাইলে পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে।
গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক গণমাধ্যমে বলেন, গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের কাছে এ ঘটনায় গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঞ্চের নেতাকর্মীরা এদিন দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে মিছিল নিয়ে পল্টন ঘুরে সচিবালয়ের দিকে অগ্রসর হন। জিরো পয়েন্ট পার হয়ে সচিবালয় অভিমুখী সড়কে তারা পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে পড়েন।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, দেশে ব্যাংকে টাকা নেই ডালার ও নেই। অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে। সিন্ডিকেট বন্ধ করতে পারে নাই। চাল পেঁয়াজের দাম কত। লোন পেতে হাত পা ধরতে শুরু করেছে। রিজার্ভে টাকা নেই। অপতথ্য সরকার থেকে বেশী দেওয়া হয়। ব্যাংকগুলো ডুবতে শুরু করেছে। রোজায় দাম কমাতে পারবে না সরকার। ৭ জানুয়ারি ভোটের নামে খেলা হলো। ভারতীয় পণ্য বর্জন করলে পুলিশ কিছুই করতে পাবে না। আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাবো। গণতন্ত্র মঞ্চ লড়াই করে যাবে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা জোনের এডিসি শাহ্ আলম সাংবাদিকদের বলেন, উনাদের কর্মসূচি ছিল। এখানে এসে তারা অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু ব্যারিকেড ভেঙে কেপিআই এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করলে আমরা তাদের সরিয়ে দিয়েছি।
এ সময় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান শাহ আলম। তবে ঠিক কতজন আটক হয়েছেন, বা তাদের নাম পরিচয় কী, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু তিনি বলতে পারেননি।
এএম/
জাতীয়
জামিনে মুক্ত হলেন মাওলানা মামুনুল হক
জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন ইসলামবিষয়ক বক্তা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। আজ শুক্রবার...
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ
গাজীপুরে জয়দেবপুরে যাত্রীবাহী ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের ৫ টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। আহত...
জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজ্যুলেশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। রেজ্যুলেশনটিতে ১১২টি দেশ কো-স্পন্সর করেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার...
মুক্তি পাননি মামুনুল হক, কখন পাবেন জানালো কারা কর্তৃপক্ষ
ইসলামবিষয়ক বক্তা ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বৃহস্পতিবার(২মে) রাতে মুক্তি পাননি। ওই রাতেই তার...
মামুনুল হকের জামিন, জেল গেটে নেতাকর্মীদের ভিড়
হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুন হক আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। এখন কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তির অপেক্ষায় আছেন। রাতেই তিনি কারা মুক্ত...
বাসার পথে বেগম খালেদা জিয়া
প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে হাসপাতাল ছাড়লেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৮টা ২৪ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে...
‘গাজায় ও ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে লন্ডনকে পাশে চায় ঢাকা’
গাজা ও ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের অবসানে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। স্থানীয় সময় বুধবার(১...
এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছে ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা
সদ্যবিদায়ী এপ্রিল মাসে ২০৪ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২...
নাফ নদী থেকে ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
মায়ানমারের বিচ্ছিন্নবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা নাফ নদী থেকে ১০ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। তাদের ফেরত আনতে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে...
নির্বাচনে কাউকে প্রভাব বিস্তার করতে দেয়া হবে না: রাশেদা সুলতানা
নির্বাচনী আইন যারা মানবেন না, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আইনী ব্যবস্থা নেবে। নির্বাচন কমিশন কিন্তু এতো দুর্বল নয়। প্রভাবশালীরা নির্বাচনে...
গরমের উত্তাপ লেগেছে সবজিতে, ব্রয়লার মুরগি ও ডিমে স্বস্তি
প্রথম টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ
এসএসসি পরীক্ষার ফলপ্রকাশ কবে জানা গেলো
লেবুতে রস আছে কিনা বুঝবেন যেভাবে
বাঘাইছড়িতে পাহাড় ধস, যান চলাচল বন্ধ
জামিনে মুক্ত হলেন মাওলানা মামুনুল হক
গাজীপুরে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষ
ফের ছাদনাতলায় ধর্মেন্দ্র আর হেমা মালিনী!
ইউপি নির্বাচনে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০
নাফ নদী থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেদের ছেড়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি
৯ দিনে একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই
এক মিনিটের জন্য বিসিএসের স্বপ্ন চুরমার!
রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
৭৫ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
‘মাও বোঝেনি আমাকে’ লিখে ছাত্রীর আত্মহত্যা
বাংলাদেশ-চীনের সামরিক মহড়া, যা জানালো ভারত
সামনে ‘যুদ্ধবিরোধী’ কুমির, আটকে গেলো মার্কিন বিমান (ভিডিও)
বেনজীরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন
গায়ের চাদর না পুড়িয়ে বউদের ভারতীয় শাড়ি পোড়ান: প্রধানমন্ত্রী
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ব্রাজিল কোচ জানালেন এটা মাত্র শুরু
জিলাপির প্যাঁচে লুকিয়ে আছে যে রহস্য!
বাজারে লেবুর সরবরাহ বেশি, তবুও দাম চড়া
রাজধানীতে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার কিশোরীর ঠিকানা খুঁজছে পুলিশ
নীল দুনিয়ায় অভিনেত্রী সোফিয়ার রহস্যজনক মৃত্যু
জামালকে ঠিকঠাক বেতন দেয়নি আর্জেন্টাইন ক্লাব
রণবীরের ‘অ্যানিম্যাল’ দেখে শখ, মাইনাস ২৫ ডিগ্রিতে বসলো বিয়ের আসর
সর্বাধিক পঠিত
- দুর্ঘটনা7 days ago
৯ দিনে একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই
- বাংলাদেশ7 days ago
এক মিনিটের জন্য বিসিএসের স্বপ্ন চুরমার!
- আবহাওয়া6 days ago
রাতের মধ্যে যেসব জেলায় ঝোড়ো হাওয়াসহ হতে পারে বৃষ্টি
- টুকিটাকি4 days ago
সম্পত্তির জন্য ঘুষি মারতে মারতে বৃদ্ধ বাবাকে খুন ছেলের! ভাইরাল ভিডিও
- ঢাকা3 days ago
টয়লেটে ৯ মাস ধরে আটক থাকা যুবক উদ্ধার
- বাংলাদেশ7 days ago
৭৫ নেতাকে বহিষ্কার করলো বিএনপি
- অপরাধ2 days ago
শিশুকে ধর্ষণ-হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত র্যাব কর্মকর্তা
- খুলনা5 days ago
গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু