Connect with us

এশিয়া

মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার ঘোষণায় বাংলাদেশিরা খুশি

Published

on

নতুন করে সেবা খাতের আরও চারটি উপ শাখায় অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের বৈধতা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদিন। মালয়েশিয়া সরকারের এমন সিদ্ধান্তে খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

মালয়েশিয়ার গণমাধ্যমগুলো জানায়, অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের বৈধতা দিতে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ছাড়াই গেল ১৬ নভেম্বর রিক্যালিব্রেশন লেবার ও রিক্যালিব্রেশন রিটার্ন নামে দুটি পরিকল্পনা হাতে নেয় মালয়েশিয়া সরকার। একটি অবৈধ অভিবাসী শ্রমিকদের বৈধভাবে কাজে নিয়োগ আর অপরটি নিজ দেশে স্বেচ্ছায় ফিরে যাওয়া। প্রকল্প দুটি বলবৎ থাকবে চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত।

তবে শুধুমাত্র নির্মাণ, উৎপাদন, চাষ ও কৃষিখাতে বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশের অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের বৈধতার জন্য অনলাইনে আবেদন করার কথা থাকলেও এখন থেকে সার্ভিস সেক্টরের চারটি সাব সেক্টরে যেমন হোলসেল ও রিটেইল, রেস্তোঁরা, কার্গো এবং পরিসেবার জন্য আবেদন করতে পারবে তাদের নিয়োগকর্তারা।

একই সঙ্গে চাইলে শর্তসাপেক্ষে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারবে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীরা। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে খুশি প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

অবৈধদের বৈধকরণের ঘোষণার পর থেকেই এক শ্রেণির দালাল প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে রাজধানী কুয়ালালামপুরসহ পুরো মালয়েশিয়ায়। তাদের বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে কমিউনিটির নেতারা।

Advertisement

কমিউনিটি নেতা ও মালয়েশিয়া প্রবাসি ব্যবসায়ী মো. মামুন বিন আবদুল মান্নান জানান, অনেকেই সার্ভিস সেক্টরের ভিসা করায় আগ্রহী এবং অপেক্ষায় ছিলেন। অবশেষে মালয়েশিয়া সরকার তার রিক্যালিব্রেশন লেবার ও রিক্যালিব্রেশন রিটার্ন নামে দুটি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।  

কমিউনিটি নেতা ও মালয়েশিয়া প্রবাসি ব্যবসায়ী নাজমুল ইসলাম বাবুল বলেন, অযথা দালালদের খপ্পরে পড়বেন না। সঠিক মালিক খুঁজে নেবেন।  

এছাড়া যে সব অভিবাসী ২০১১ সালে এবং ২০১৬ সালে রি-হায়ারিং প্রোগ্রামে নাম নিবন্ধন করেও ভিসা পায়নি তারা এখন বৈধতার জন্য নিবন্ধিত হতে পারবে। আর যারা কোম্পানি থেকে পালিয়ে অন্যত্র গেছে তাদের বিরুদ্ধে কোন রিপোর্ট না থাকলে তারাও এ রিক্যালিব্রেশন কর্মসূচিতে নিবন্ধন করতে পারবে।

রিক্যালিব্রেশন প্রোগ্রাম নামে দুটি পরিকল্পনায় এখন পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ৪৫ হাজার ৮শ’ ৩০ জন অনিবন্ধিত অভিবাসী অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৭২ হাজার ৩২৪ জন নিজ নিজ দেশে ফিরে যেতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর বৈধ হওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছে ৭৩ হাজার ৫০৬ জন।

মালয়েশিয়া সরকারের নতুন সিদ্ধান্তে প্রবাসীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও দালালদের দৌরাত্ম্য ও নানামুখী সমস্যায় প্রবাসীরা আগের বছরগুলোর মতো এবারও যেন প্রতারিত না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার তাগিদ দিয়েছে অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

 

এসএন

Advertisement

এশিয়া

অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত

Published

on

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে উপত্যকাটিতে নিহতের মোট সংখ্যা পৌঁছেছে প্রায় ৩৭ হাজার ৯০০ জনে।

স্থানীয় সময় রোববার (৩০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

গেলো বছরের অক্টোবর থেকে চলা এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৮৭ হাজার ফিলিস্তিনি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় আরও ৪৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিরলস এই হামলায় আরও অন্তত ৮৬ হাজার ৯৬৯ জন ব্যক্তিও আহত হয়েছেন।

Advertisement

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

এদিকে গাজা যুদ্ধে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাতে ৯ মাসে ইসরাইলকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব মারণাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুই হাজার পাউন্ডের বোমা, হেলফায়ার মিসাইল ও ক্ষেপণাস্ত্র। দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত

Published

on

ফাইল ছবি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় আরও ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৮৩০। এছাড়াও গেলো ২৪ ঘণ্টায় ২২৪ জন আহত হয়েছেন।

আজ রোববার (৩০ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেলো বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজা ভূখণ্ডে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে মোট মৃতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৮৩৪ জনে পৌঁছেছে বলে শনিবার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামলায় আরও ৮৬ হাজার ৮৫৮ জন আহত হয়েছেন।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

Advertisement

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।

এদিকে গাজা যুদ্ধে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাতে ৯ মাসে ইসরাইলকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এসব মারণাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুই হাজার পাউন্ডের বোমা, হেলফায়ার মিসাইল ও ক্ষেপণাস্ত্র। দুই মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

জেএইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

নতুন প্রেসিডেন্টের খোঁজে ইরানে আজ নির্বাচন

Published

on

ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ। গেলো মাসে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের এক বছর আগেই দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভোটের ফলাফলট দেশটির ৮৫ বছর বয়সী সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উত্তরাধিকারকে প্রভাবিত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে বলে  এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়,  খামেনি অর্থনৈতিক কষ্ট এবং রাজনৈতিক ও সামাজিক স্বাধীনতার ওপর জনসাধারণের অসন্তোষের কারণে সৃষ্ট বৈধতা সংকট কাটিয়ে উঠতে ‘সর্বোচ্চ সংখ্যক’ ভোটারকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মূলত রাজনৈতিক ও সামাজিক নানা বিধিনিষেধের কারণে গত চার বছরে দেশটিতে বিভিন্ন নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কমে গেছে।

রয়টার্স জানায়,  ম্যানুয়ালি ভোট গণনার কারণে চূড়ান্ত ফলাফল আগামী দুই দিনের মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও ফলাফলের প্রাথমিক প্রবণতা বা প্রাথমিক পরিসংখ্যান শিঘ্রই সামনে আসতে পারে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়,  যদি কোনো প্রার্থী শূন্য ভোটসহ প্রদত্ত সমস্ত ব্যালট থেকে কমপক্ষে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে  জিততে না পারেন। তাহলে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর প্রথম শুক্রবার শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে ফের রান-অফ রাউন্ডের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

Advertisement

জানা যায়, এবারের নির্বাচনের চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেন। এই চার প্রার্থী হলেন- মাসুদ পেজেশকিয়ান, মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি, সাইদ জলিলি এবং মোহাম্মদ বাকের কলিবফ। নির্বাচনে প্রতিদন্দ্বিতা করা প্রার্থীদের মধ্যে তিনজন কট্টরপন্থি এবং একজন তুলনামূলক মধ্যপন্থি। মধ্যপন্থি ওই প্রার্থীকে সংস্কারবাদী দল সমর্থন করছে।

উল্লেখ্য, এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছিলেন সাবেক প্রভাবশালী প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। কিন্তু তার নিবন্ধনটি গ্রহণ করেনি গার্ডিয়ান কাউন্সিল।  যেটির নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত