Connect with us

ক্রিকেট

সাকিববিহীন কলকাতার প্রতিপক্ষ মুস্তাফিজের রাজস্থান

Published

on

মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে আইপিএলের পয়েন্ট তালিকায় শেষ দুই দলের লড়াই শনিবার (২৪ এপ্রিল)। সহজ করে বললে, মুস্তাফিজের রাজস্থান রয়্যালসের মুখোমুখি হবে সাকিববিহীন কলকাতা নাইট রাইডার্স। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে খেলাটি।   

পাঞ্জাব কিংস মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে হারাতেই সাতে নেমেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আটে রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। কেকেআর জয় দিয়ে আইপিএল অভিযান শুরু করলেও শেষ তিনটি ম্যাচেই হেরেছে। রাজস্থান রয়্যালস হেরেছে শেষ দুটি ম্যাচ। চারটি ম্যাচে দুই দলের ঝুলিতেই ২ পয়েন্ট, তবে নেট রান রেট কিছুটা ভালো থাকায় সাতে রয়েছে কেকেআর। দুই দলই জয়ের লক্ষ্যে ফিরতে মরিয়া এবং জিতলে নিজেদের অবস্থান থেকে কিছুটা হলেও উপরে উঠে আসতে পারবেন। 

অতীতে দল দুটি মুখোমুখি হয়েছে ২৩ বার। ১২টি ম্যাচে জিতেছে কলকাতা। রাজস্থানের জয় ১০টিতে। পরিত্যক্ত হয়েছে বাকি ম্যাচ। ২০০৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আর আইপিএল জয়ের স্বাদ পায়নি রাজস্থান রয়্যালস। কলকাতা নাইট রাইডার্স ২০১২ ও ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন। গত দুই বছর ধরেই কেকেআর বাজে পারফর্ম করেছে টুর্নামেন্টে। রাজস্থানের অবস্থাও গেল আসরে ভালো ছিল না। গত বছর অবশ্য দুটি সাক্ষাতের দুটিতেই বড় ব্যবধানে জিতেছিল কেকেআর। প্রথম সাক্ষাতে ৩৭ রানে জেতার পর ফিরতি ম্যাচ ৬০ রানে জিতেছিল নাইটরা। ২০১৮ সালের এলিমিনেটরে রাজস্থানকে কেকেআর হারিয়েছিল ২৫ রানে। অধিনায়ক বদলে দুই দলই এবার ভালো কিছু করতে বদ্ধপরিকর।

কেকেআরের হয়ে আইপিএলে ৯৯২ রান করেছেন দীনেশ কার্তিক। আর ৮ রান করলেই তিনি ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করবেন তিনি। ক্যারিয়ারের সেরা অপরাজিত ৯৭ রানের ইনিংসও রাজস্থানের বিরুদ্ধেই খেলেছিলেন কার্তিক। ২৯৯টি টি-টোয়েন্টি ইনিংসে ৬ হাজার ৯৫৭ রান করেছেন ইয়ন মরগান। আর ৪৩ রান করলেই ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ৭ হাজার রানের মাইলস্টোন স্পর্শ করবেন কেকেআর অধিনায়ক। ৮১ ইনিংসে ডেভিড মিলালের সংগ্রহ ১ হাজার ৯১৪ রান।  এ ছাড়া আন্দ্রে রাসেলের বিপক্ষে রাজস্থান রয়্যালসের সফলতম বোলার ক্রিস মরিস। ২০ বলে ৩২ রান খরচ করে তিনবার রাসেলের উইকেট পেয়েছেন আইপিএলের সবচেয়ে দামি ক্রিকেটার। 

চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ৩১ রানে ৫ উইকেট হারিয়েও ২০২ রান অবধি পৌঁছেছিল কেকেআর। প্যাট কামিন্স, আন্দ্রে রাসেল ও দীনেশ কার্তিকের ব্যাটিং তাণ্ডব দলের আত্মবিশ্বাস বাড়ালেও শুভমান গিল, ইয়ন মরগ্যানদের ছন্দে থাকা চিন্তা বাড়াচ্ছে। বল হাতে সুনীল নারিন, বরুণ চক্রবর্তীরা ভরসা দিচ্ছেন। আগের ম্যাচে অবশ্য পেসাররা অনেক রান খরচ করে ফেলেছেন। তবু খুব বেশি রদবদলের সম্ভাবনা নেই নাইটদের প্রথম একাদশে। কমলেশ নাগরকোটির জায়গায় খেলানো হতে পারে শিবম মাভিকে।

Advertisement

আসরে দলের প্রথম তিনটি ম্যাচে খেললেও সাকিব আল হাসান ছিলেন না সবশেষ ম্যাচে। চোট কাটিয়ে একাদশে ফিরেছেন সুনিল নারিন। বিদেশি কোটায় চার খেলোয়াড়ের বেশি নেয়ার সুযোগ নেই, তাই নারিন একাদশে থাকলে সাকিব থাকবেন না-এটা স্বাভাবিক। গত ম্যাচে কলকাতার বোলাররা খরুচে বোলিং করলেও তুলনামূলক ভালো ছিল নারিনের বোলিং। তাই তাকে একাদশ থেকে বাদ দেয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। 

টানা দুটি ম্যাচে পরাজয়ের জেরে রদবদল হতে পারে রাজস্থান রয়্যালসে। তবে বেন স্টোকস, লিয়াম লিভিংস্টোন ও জোফরা আর্চারের মতো তিন বিদেশি ছিটকে যাওয়ায় খুব বেশি বিকল্প নেই সাঞ্জু স্যামসনদের হাতে। 

দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যান ডার ডুসেনকে নেয়া হলেও তিনি এখনও ভিসার অপেক্ষায়। তারপর এসে থাকতে হবে সাত দিনের কোয়ারেন্টিনে। ফলে রাজস্থান রয়্যালস খুব সমস্যায়। মনন ভোরা বাদ পড়তে পারেন প্রথম একাদশ থেকে। তার জায়গায় খেলানো হতে পারে যশস্বী জয়সওয়াল কিংবা অনুজ রাওয়াতকে। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত চারটি ম্যাচেই মুস্তাফিজকে খেলিয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। বল হাতে রাজস্থানের আস্থার পাত্রে পরিণত হয়েছেন তিনি। কলকাতার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তাই রাজস্থানের একাদশে প্রায় নিশ্চিত বাংলাদেশি এই পেসার। তবে একাদশের বাইরে থাকা আরেক বিদেশি পেসার অ্যান্ড্রু টাইকেও বাজিয়ে দেখতে পারে টিম ম্যানেজমেন্ট। সেক্ষেত্রে বাদ পড়তে পারেন মুস্তাফিজ। 

এএ

Advertisement
Advertisement

ক্রিকেট

ঘোষণা করা হলো বিশ্বকাপের সেরা একাদশ

Published

on

বিশ্বকাপের সেরা একাদশ গঠন হয়ে গেছে। যেখানে জায়গা হয়েছে চ্যাম্পিয়ন দল ভারতের ৬ ক্রিকেটারের। তবে রানার্সআপ দল দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো ক্রিকেটার নেই একাদশে।

রোহিত শর্মাকে দেওয়া হয়েছে নেতৃত্বভার। সেমিফাইনাল নিশ্চিত করা আফগানিস্তান থেকে ৩ ক্রিকেটার জায়গা নিয়েছেন সেরা একাদশে। এছাড়াও অস্ট্রেলিয়া থেকে একজন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে একজন ক্রিকেটার বিশ্বকাপের সেরা একাদশে আছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা পেসার আনরিখ নরকিয়াকে ১২ নম্বরে রাখা হয়েছে।

রোহিতের সাথে ওপেনিংয়ে রাখা হয়েছে আফগান রহমানুল্লাহ গুরবাজকে। গুরবাজকে দেওয়া হয়েছে উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব। তিন নম্বরে রাখা হয়েছে উইন্ডিজ নিকোলাস পুরানকে। এরপর সূর্যকুমার যাদবের জায়গা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার মার্কাস স্টইনিস, ভারতের হার্দিক পান্ডিয়া- দুই পেস বোলিং অলরাউন্ডার আছেন একাদশে।

সাত নম্বরে আছেন অক্ষর প্যাটেল। যার স্পিনের পাশপাশি, ব্যাটিংটাও দারুণ কার্যকর হয়ে উঠেছিল এই বিশ্বকাপে। এরপর আফগান অধিনায়ক রশিদ খান রয়েছেন আরেক স্পিনার হিসেবে। তিন পেসার রাখা হয়েছে; জাসপ্রীত বুমরাহ, আর্শদ্বীপ সিং ও ফজল হক ফারুকী।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ভারত।

Advertisement

 

বিশ্বকাপের সেরা একাদশ:  রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটকিপার), নিকোলাস পুরান, সূর্যকুমার যাদব, মার্কাস স্টইনিস, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, রশিদ খান, জাসপ্রীত বুমরাহ, আর্শদ্বীপ সিং, ফজল হক ফারুকী।

দ্বাদশ: আনরিখ নর্কিয়া।

 

এম/এইচ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

পিচের মাটি খেয়ে রোহিত শর্মার উদযাপন

Published

on

জয় নিশ্চিত হবার পর ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা ছুটে যান বার্বাডোজে ২২ গজের পিচে।  পিচের কাছে গিয়ে শান্ত হয়ে বসে আঙুল দিয়ে খুঁচিয়ে পিচের ছোট্ট একটু মাটি তুলেন তিনি।  আঙুল দিয়ে সেই মাটি একটু নাড়িয়ে মুখে দেন। এরপর আরেকটু মাটি তুলে আবারও মুখে দেন রোহিত।

কিছুক্ষণ আগেই এই পিচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে ভারত।  তাই পিচের মাটি মুখে নিয়ে রোহিতের এমন উদযাপন।  ম্যাচ শেষে ভারতীয় অধিনায়কের সেই উদযাপনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করেছে আইসিসি।

কেনসিংটন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে ১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৭৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা দেয় বিরাট কোহলিরা।  রান তাড়ায় নেমে নিজেদের বাগে খেলা নিয়ে এলেও, শেষে এসে ফসকে যায় প্রোটিয়াদের হাত থেকে।  শেষ পর্যন্ত ৭ রানের জয় লাভ করে ভারত।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

ক্রিকেট

এগারো বছরের ট্রফি খরা ঘুচলো ভারতের

Published

on

ভারত সবশেষ আইসিসি ট্রফি জেতে ২০১৩ সালে। একবার মাত্র টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে, সেটা ২০০৭ সালে। এবার ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বকাপে দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুললো উপমহাদেশের এই দেশটি।

পুরো ম্যাচটি অনেকরকম পরিস্থিতির জন্ম দিল। দক্ষিণ আফ্রিকা নিজেদের বাগে খেলা নিয়ে এলেও, শেষে এসে তা ফসকে যায়। ডেভিড মিলার ও হেনরিখ ক্লাসেনের মারমুখী জুটি বলে দিচ্ছিল প্রোটিয়াদের ক্ষুধা। তবে মিলারকে একা করে ২৭ বলে ৫২ রানে যখন ক্লাসেন ফিরলেন, সেসময় আশার পালে যেন বিপরীত হাওয়া এসে লাগল।

সেই হাওয়ায় শেষ পর্যন্ত আর উঠে দাঁড়ানো হয়নি প্রথমবারের মতো আইসিসি ফাইনাল খেলা দলটির। তবুও মিলার ছিলেন। ম্যাচের শেষ ওভারে যখন ১৬ রান দরকার, তখন হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম বলেই ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ হলেন মিলার, ১৭ বলে ২১ রানে তার এই বিদায়েই উদযাপনের উপলক্ষ পেয়ে যায় ভারত। পুরো ওভারে একটি মাত্র বাউন্ডারি আসে, এছাড়াও আরও একটি উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।

বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভারত। ভিরাট কোহলির ৫৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংসটি ছিল সবচেয়ে কার্যকরী। এছাড়াও অক্ষর প্যাটেলের ব্যাটে ৩১ বলে ৪৬ রান, শিভাম দুবের ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংস ভারতকে অনেকটুকু এগিয়ে দেয়। প্রোটিয়াদের পক্ষে বল হাতে কেশব মহারাজ ও এনরিখ নরকিয়া ২ টি করে উইকেট নেন।

দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭৭ রানের। দলটি দলীয় ১২ রানের মাথায় রিজা হেনড্রিকস ও এইডেন মার্করামের উইকেট হারায়। কুইন্টন ডি কক ও ট্রিস্টান স্টাবসের জুটিতে সেই ঝাপটা কাটিয়ে ওঠে তারা। স্টাবস ফিরেছেন ২১ বলে ৩১ রান করে অক্ষরের শিকার হয়ে। আর ডি ককের ইনিংস থেমেছে ৩১ বলে ৩৯ রানে আর্শদ্বীপের ডেলিভারিতে। ডি কক যখন ফেরেন, প্রোটিয়াদের সংগ্রহ তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান।

Advertisement

এরপর মিলার ও ক্লাসেন মিলে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ে তোলেন। আর সেই জুটিতে বল আর রানের সমীকরণ সমান করে ফেলেন দুই ব্যাটার। তাদের ২২ বলে ৪৫ রানের জুটিতে ভাঙ্গন ধরে ক্লাসেনের উইকেট পতনে। হার্দিক পান্ডিয়ার শিকার হয়ে ১৭তম ওভারের প্রথম বলে ফেরেন এই ব্যাটার। এতেই দক্ষিণ আফ্রিকার ফানুস একেবারেই মিইয়ে যায়। পরের ব্যাটাররা আর কার্যকরী কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি ভারতীয় ডেথ বোলারদের সামনে। পরাজয়কেই সঙ্গী করতে হয় মার্করামের দলকে।

ভারতের পক্ষে বল হাতে হার্দিক পান্ডিয়া ৩ টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন। জাসপ্রীত বুমরাহ ও আর্শদ্বীপ সিং নিয়েছেন ২ টি করে উইকেট।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত