Connect with us

বাংলাদেশ

মুরগি ডিম না দেয়ায় থানায় অভিযোগ!

Published

on

শিরোনাম দেখে অবাস্তব মনে হলেও ঘটনা সত্য। চুরি, খুন বা জখম নয়, মুরগি ডিম পাড়ছে না। এই কষ্টে থানায় অভিযোগ করেছেন খামারি। ভারতের পুনে শহরে এই ঘটনা ঘটেছে।

খামারির অভিযোগ, একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানের তৈরি খাবার খাওয়ানোর পর তার খামারের মুরগিগুলো ডিম পাড়া বন্ধ করে দেয়। একই অভিযোগ তুলেছেন আরও চার খামারি। 

ডেকান হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুলিশের কাছে গিয়ে সেই খামারের মালিক লিখিত অভিযোগ করেছেন। শুধু তিনি একা নন, তার পাশাপাশি আরও চার খামারি তার সঙ্গে একই অভিযোগ করেন। পরে অবশ্য সেই খাবার তৈরি করা প্রতিষ্ঠান খামারিকে ক্ষতিপূরণ দিতে চাইলে পুলিশ আর এফআইআর লেখেননি।

পুনের লোনি কালভর থানার জ্যেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক রাজেন্দ্র মোকশী জানান, একটি অভিযোগ নিয়ে মুরগির খামারের মালিক থানায় আসেন। একটি প্রতিষ্ঠানের তৈরি খাবার খাওয়ানোর পর তার খামারের মুরগি ডিম দেয়া বন্ধ করে দেয়, এমন অভিযোগে এফআইআর করতে চান। তবে শেষ পর্যন্ত আর করতে হয়নি।

মোকশী বলেন, ‘তিনি লিখিত অভিযোগ করেন সেই কোম্পানির খাবার খাওয়ানোর পর তার মুরগিগুলো ডিম দেয়া বন্ধ করে দেয়। আমরা অভিযুক্ত পোলট্রি খাবার তৈরির প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা একই ধরনের আরও কয়েকটি অভিযোগ পেয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথাও জানিয়েছেন তারা।’

Advertisement

আগে ওই খামারিরা খাবার কিনতেন পুনের একটি কোম্পানির। সম্প্রতি এসব খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা কম দামে তারা খাবার কেনেন পার্শ্ববর্তী আহমেদাবাদ শহরভিত্তিক একটি পোলট্রি ফিড কোম্পানির কাছ থেকে।

এস

Advertisement

অপরাধ

দেশে কখনোই জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের উত্থান হবে না : র‍্যাব ডিজি

Published

on

জঙ্গি তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে র‌্যাব অনেক আধুনিক হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জঙ্গিরা তৎপর আছে। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডেও তৎপর র‍্যাব। পলাতক জঙ্গিদের নজরদারি মধ্যে রাখা হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ একটি নিরাপদ দেশ। এ দেশে আর কখনোই জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদের উত্থান হবে না। বললেন র‌্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ।

আজ (সোমবার) সকালে গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার ৮ বছর পূর্তিতে  দীপ্ত শপথ ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, বলেন, ২০১৬ সালের এই দিনে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। পরবর্তীতে র‍্যাব ও পুলিশ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করে। অনেক জঙ্গি আস্তানা ধ্বংস করতে র‍্যাব ও পুলিশ সক্ষম হয়। অনেক জঙ্গিকে আটক করে আইনের আওতায় আনা হয়।

তিনি বলেন, র‍্যাব সূচনালগ্ন থেকে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে আসছে। জঙ্গিবাদের বিষয়ে র‍্যাবের নজরদারি রয়েছে। র‍্যাব এখন একটি আধুনিক এবং পেশাদার বাহিনী। ভবিষ্যতে এ দেশে জঙ্গিবাদ ও উগ্রবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারবে না। র‍্যাবের সেই সক্ষমতা আছে।

তিনি বলেন, জঙ্গি সংগঠন আনসার ইসলাম ও আদালত থেকে জঙ্গিদের ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয় নজরদারি করছি। গত সপ্তাহেও চট্টগ্রাম থেকে তিন জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা কিন্তু সার্বক্ষণিকই জঙ্গিদের বিষয়ে নজরদারি করছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিরা এক সময় নানা প্রচারণা করার চেষ্টা করেছে।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

হলি আর্টিজানে হামলার ৮ বছর আজ, হাইকোর্টের রায় প্রকাশের অপেক্ষা

Published

on

দেশের ই‌তিহাসে অন্যতম নৃশংস ঘটনা হলো হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলা। হলি আর্টিজান বেকারিতে নৃশংস জঙ্গি হামলার ৮ বছর আজ।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির (আত্মঘাতী) সদস্যরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হন পাঁচ জঙ্গি।

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গেলো বছরের ৩০ অক্টোবর ৭ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। তবে এই মামলায় হাইকোর্টের রায় এখনও প্রকাশ হয়নি। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলছেন- পূর্ণাঙ্গ রায় হাতে পাওয়ার পর, ফাঁসির দণ্ড থেকে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

দেশে এখন পর্যন্ত যত জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোতে মূলত চারটি সংগঠনের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে তিনটি সংগঠন একেবারেই দুর্বল হয়ে পড়েছে। কারও কারও নামমাত্র কার্যক্রম রয়েছে। তবে এখনো তৎপর আছে আনসার আল–ইসলাম বাংলাদেশ।

২০১৬ সালের ১ জুলাই। রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলা স্তম্ভিত করেছিল গোটা দেশকে। সুনাম ক্ষুণ্ন হয় বহির্বিশ্বেও। সেনা অভিযানে নিহত হয় হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী তামিম চৌধুরীসহ আট জঙ্গি। কারাগারে আছে আরও ৮ জন।

Advertisement

২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর, ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ৭ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড ও ১ জনকে খালাস দেন। রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন আসামিরা। গেলো বছর অক্টোবরে ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে বিচারপতি সহিদুল করিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ ৭ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। কিন্তু এখনও প্রকাশ হয়নি সেই পূর্ণাঙ্গ রায়।

আমৃত্যু কারাদণ্ড পাওয়া আসা‌মিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে র‌্যাশ, আব্দুস সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাদিসুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশিদ।

রায়ে আদালত বলেছেন, আসামিরা স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত কারাগারেই থাকবেন।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, সম্পূর্ণ নিরীহ কতগুলো মানুষকে তারা ধর্মের নাম ও উগ্রবাদীতার নামে হত্যা করেছে। এখন যাদের আদেশগুলো হয়েছে তারা কিন্তু পেছনে ছিল, তারাই কিন্তু ওদের মদদ দিয়েছে অস্ত্র দিয়ে, পয়সা দিয়ে। মূল পরিকল্পনার অনেকাংশে ওরা ছিল। যার ফলে ওদের প্রতি বিন্দুমাত্র অনুকম্পা দেখানোর কোনো সুযোগ নেই বলে আমি মনে করি।

অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, পুরো রায় পাওয়ার পর আমরা রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব, যোগাযোগ করব। ওনাদের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। কিন্তু এখন আমরা রায় পুরোটা পাইনি, সেটা পাওয়ার পর আমরা কি করব সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

এইচএস‌সি পরীক্ষা দি‌তে পারেনি ২২ পরীক্ষার্থী, শিক্ষ‌কের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

Published

on

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ক‌লেজ কর্তৃপ‌ক্ষের অব‌হেলা ও এক শিক্ষ‌কের প্রতারণার কার‌ণে এইচএস‌সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কর‌তে পা‌রে‌নি ২২ পরীক্ষার্থী। এতে পু‌লি‌শের সঙ্গে পরীক্ষার্থী‌দের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া শুরু হয়। প‌রে অতি‌রিক্ত পু‌লিশ ঘটনাস্থ‌লে গি‌য়ে প‌রি‌স্থি‌তি নিয়ন্ত্রণে আনে। ত‌বে শিক্ষার্থী‌দের অভিযোগ, বিনা কার‌ণে পু‌লিশের সদস্যরা পরীক্ষার্থীদের মার‌পিট করে‌ছে।

রোববার (৩০জুন) সকা‌লে পরীক্ষা শুরুর আগে নিকরাইল শমশের ফকির ডিগ্রি কলেজের ২২ পরীক্ষার্থী বিক্ষুব্ধ হ‌য়ে নিকরাইলের পল‌শিয়া রানী দীনম‌নি উচ্চ বিদ্যাল‌য়ে কে‌ন্দ্রে গি‌য়ে আন্দোলন শুরু ও ভাঙচুর কর‌তে থা‌কে।

জানা গে‌ছে, উপ‌জেলার নিকরাইল শম‌সের ফ‌কির ডিগ্রি ক‌লে‌জ কর্তৃপক্ষ এইচএস‌সি পরীক্ষার জন্য নির্ধা‌রিত টাকার চে‌য়ে বাড়‌তি টাকা দাবি ক‌রে। এতে অনেক শিক্ষার্থী বাড়‌তি টাকা দি‌তে অস্বীকার ক‌রে। প‌রে ওই ক‌লে‌জের বাংলা বিভা‌গের প্রভাষক লোকমান হো‌সেন এ সু‌যো‌গে ২২জন পরীক্ষার্থীর কাছ থে‌কে ৩ হাজার টাকা নেন ফরম পূরণের জন্য। কিন্তু পরব‌র্তিতে ওই শিক্ষার্থী‌দের বোর্ড থে‌কে কোনো রে‌জি‌স্ট্রেশ‌ন কার্ড বা প্রবেশপত্র দেয়া হয়‌নি শিক্ষার্থী‌দের।

পরীক্ষার্থীরা গণমাধ্যমে জানায়, কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবিকৃত ৮ হাজার টাকা দি‌তে না পারায় ফরম পূরণ ক‌রে‌নি। প‌রে ক‌লে‌জের বাংলা প্রভাষক লোকমানের মাধ্যমে ফরম পূরণ করে জালিয়াতির শিকার হ‌য়ে‌ছি। টাকা দি‌য়েও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ কর‌তে পারলাম না। আমা‌দের ভ‌বিষ্যৎ নষ্ট হ‌য়ে যা‌বে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষ‌কের প্রতারণার কার‌ণে। আমরা যেভাবে হোক পরীক্ষা দি‌তে চাই।

শম‌সের ফ‌কির ডিগ্রি ক‌লে‌জের বাংলা‌ বিভা‌গের প্রভাষক লোকমান হো‌সেন গণমাধ্যমে ব‌লেন, ওই ২২ শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ হ‌য়ে‌ছে। সব প্রমাণপত্র আমার কা‌ছে র‌য়ে‌ছে। কিন্তু গতকাল রা‌তে ক‌লে‌জের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বো‌র্ডে ফোন ক‌রে ২২জন পরীক্ষার্থীর ফরম বা‌তিল ক‌রেছেন।

Advertisement

ত‌বে শম‌সের ফ‌কির ডিগ্রি ক‌লে‌জের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আক্তারুজাজামান গণমাধ্যমে জানান, পরীক্ষার্থীরা ক‌লে‌জে‌ কোনো যোগাযোগ করেনি। অনেক শিক্ষার্থী‌কে বিনামূ‌ল্যে ফরম পূরণ করা হ‌য়ে‌ছে। বাড়‌তি ফি নেয়া হয়‌নি। শিক্ষার্থী‌দের অভিযোগ সত্য না।

ভুঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও‌সি) আহসান উল্লাহ  জানান, পরীক্ষা দি‌তে না পারা শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হ‌য়ে কে‌ন্দ্রে আন্দোলন ক‌রে। ‌প‌রে কেন্দ্র অ‌তি‌রিক্ত পু‌লিশ মোতা‌য়েন ক‌রে প‌রি‌স্থি‌তি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত