Connect with us

অপরাধ

মৃত্যুর আগে বড় বোনকে যা বলেছিল মোসারাত

Published

on

সোমবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে রাজধানীর গুলশান-২-এর ১২০ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর বাড়ির ৩/বি ফ্ল্যাট থেকে এইচএসসি পড়ুয়া মোসারাত জাহান মুনিয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মুনিয়ার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত শফিকুর রহমান। তার বাড়ি কুমিল্লা শহরের উজির দিঘিরপাড়।

বর্তমানে এ বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৃত তরুণী মোসারাত জাহান মুনিয়া আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান। অপরদিকে তার বড় বোন নুসরাত জাহান তানিয়া একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মুনিয়ার মৃত্যুর আগে তার সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়টি তুলে ধরেন।

নুসরাত জাহান বলেন, সোমবার সকাল ৯টার দিকে ওর (মোসারাত জাহান মুনিয়া) ফোনে কান্নায় আমার ঘুম ভাঙে। ও অনেক কান্না করছিল আর আমাকে বলছিল, ‘আপু আনভীর আমাকে ধোকা দিছে। আমি অনেক বিপদে আছি। তুমি তাড়াতাড়ি ঢাকায় আস।’

আমি ওকে অনেক বুঝিয়ে বলি, আমি অফিসে। অফিস থেকে বেরিয়ে রওনা দিয়ে তোমাকে কুমিল্লা নিয়ে আসব। তুমি চিন্তা কর না। এর কিছুক্ষণ পর তখন হয়তো সাড়ে ১০টা কিংবা ১১টা হবে তখন ও আবার আমাকে কল দিয়ে বলে, ‘আপু, আমার অনেক বিপদ। তুমি তাড়াতাড়ি আস।’

‘তারপর আমি গাড়ি ঠিক করে ঢাকায় আসতে আসতে অনেকবার কল দেই কিন্তু ও ফোন ধরে না। আমার সঙ্গে কাজিনরাও ছিল। কারো ফোন না ধরায় আমরা চিন্তাই পড়ে যাই। আমরা এসে পৌছাই ৪টা বা সাড়ে ৪টা হবে। এসে দরজায় কলিং বেল দিলে দেখি সেটা নষ্ট। পরে বাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তিনি বাইরে থেকে মিস্ত্রী এনে তালা ভাঙার কথা বলেন। পরে বাড়ির ম্যানেজার লোক এনে তালা ভাঙার ব্যবস্থা করেন। এতো জোড়ে তালা ভাঙার শব্দ হচ্ছিল তারপরও ভেতর থেকে কোনো শব্দ না পেয়ে আমরা ভয় পাচ্ছিলাম। এভাবে তো কেউ ঘুমাতে পারে না।’

Advertisement

‘তালা ভাঙার পর বাইরে থেকেই তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। পরে আমরা কেউ ভেতরে ঢুকিনি। তখন পুলিশকে কল দিলে ইফতারের পর পুলিশ আসে। পুলিশের অনুরোধে তখন ভেতরে যাই। গিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখি। পা দুটি বাঁকা অবস্থায় বিছানায় লাগানো ছিল। বিছানাটাও ছিল পরিপাটি। পরে পুলিশ ওড়নার প্যাঁচ কেটে তার মরদেহ নামায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আনভীর তাকে ফুসলিয়ে আবার ঢাকায় নিয়ে আসার কথা বললে, সে আমার সঙ্গে ঝগড়া করে ঢাকায় চলে আসে। সে বলে, ঢাকায় গিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। আনভীর তাকে বিয়ে করবে। তবে কিছুদিন গোপন রাখতে হবে। তারপর বিদেশে নিয়ে সেটেল হবে।’

এস

Advertisement

অপরাধ

ইটের স্তূপের নিচে চাপা পড়লো ঘর, নামাজরত বৃদ্ধ দম্পতি নিহত

Published

on

নরসিংদী সদর উপজেলার চরাঞ্চলের স্তুপ করে রাখা ইটের নিচে চাপা পড়ে বৃদ্ধ দম্পতির মৃত্যু হয়েছে। পরে এলাকার লোকজন ইট সরিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) ভোরে জেলা সদরের নজরপুর ইউনিয়নের ছগরিয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন ছগরিয়াপাড়া এলাকার কালু মিয়া (৭৫) ও তার স্ত্রী সবমেহের বেগম (৬৫)।

তাদের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ভোরে ফজরের নামাজ আদায় করছিলেন তার বাবা-মা। টানা বৃষ্টিপাত ও ঝড়ের কারণে পাশে বিশাল স্তূপ করে রাখা ইট ঘরের ওপর হেলে পড়ে। এ সময় টিনের বেড়া ও চালা ভেঙে তাদের ওপর পড়ে। তাতে ঘটনাস্থলেই বাবা-মার মৃত্যু হয়। পরে এলাকার লোকজন ইট সরিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইফুল হক স্বপন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান তিনি। ঘরের পাশেই এক ব্যবসায়ীর ইটের স্তূপ ছিল। সেই ইটের নিচে চাপা পড়ে বৃদ্ধ স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।

Advertisement

এ বিষয় নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তানভীর আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। প্রতিবেশী ও নিহতের ছেলেরা লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ২০    

Published

on

মাদকবিরোধী

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। অভিযানে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

ডিএমপি পক্ষ থেকে বলা হয়, ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে সোমবার (২৭ মে) সকাল ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

এ সময়  ৩৮৭ পিস ইয়াবা, ১৬০ গ্রাম  হেরোইন, ১৮ কেজি ৮২৫ গ্রাম গাঁজা ও ৪৫ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা রুজু হয়েছে।

Advertisement

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

মডেল হতে চাওয়া শিলাস্তি যেভাবে অন্ধকার জগতে

Published

on

শিলাস্তি-রহমান

এমপি আজিম হত্যায় যাকে নিযে সবচেয়ে বেশি আলোচনা সমালোচনা তিনি হলেন শিলাস্তি রহমান। মূলত তিনি হতে চেয়েছিলেন মডেল । কিন্তু অন্ধকার জগতের চোরাবালিতে হারিয়ে গিয়ে তিনিই এখন সংসদ সদস্য আজিম হত্যার অন্যতম আসামি।

এবার মুখ খুললেন সেই হানি ট্র্যাপখ্যাত শিলাস্তি। গেলো ২৪ মে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলার সময় ক্যামেরা দেখে মুখ লুকাতে থাকেন তিনি। পরে তাকে আদালতের ডকে তোলা হলে কাঁদতে থাকেন। আদালতে শুনানির আগে শিলাস্তি রহমান  জিজ্ঞাসা করেন,  আমি কীভাবে আসামি হই। আমি শুধু ওই বাসায় ছিলাম। তাছাড়া কিছুই জানি না।

পুরান ঢাকার এই তরুণী বিত্তশালী এমপি আজিমের বন্ধু আক্তারুজ্জামান শাহীনের খপ্পরে পড়ে চলে যান অন্ধকার জগতে। মার্কিন পাসপোর্টধারী শাহীন দেশে এলেই ঘুরে বেড়াতেন তার সঙ্গে। বিভিন্ন পার্টিতে অংশ নিতেন শাহীনের ফ্ল্যাটে। কলকতায় এমপি আজিম খুন হওয়ার পর মাস্টারমাইন্ড শাহীনের বান্ধবী হিসেবে নাম আসে এই শিলাস্তি রহমানের। যার আরেক নাম সেলে নিস্কি।

গেলো ১৩ মে কলকাতায় এমপি আনার খুন হওয়ার পর ১৫ মে ঢাকায় চলে আসেন প্রধান কিলার আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া। তার সঙ্গে একই ফ্লাইটে কলকাতা থেকে ঢাকায় ফেরেন শাহীনের বান্ধবী শিলাস্তি রহমান। বিমানবন্দর থেকে চলে যান বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় শাহীনের অভিজাত ফ্ল্যাটে। এমপিকে খুন করে সফল হওয়ায় ওই রাতেই শাহীন সেখানে পার্টির আয়োজন করেন। সেখানে মনোরঞ্জন করেন এই শিলাস্তি ওরফে সেলে নিস্কি। এর আগে ৩০ এপ্রিল সিলাস্তি শাহীনের সঙ্গে কলকাতায় গিয়েছিলেন। ১০ মে শাহীন দেশে ফিরলেও শিলাস্তিকে রেখে আসে কলকাতাতেই।

শিলাস্তির গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুরে। তবে বড় হয়েছেন পুরান ঢাকায়। অবশ্য বিত্তশালীদের ডেরায় গিয়ে নিজেও থাকতেন উত্তরার অভিজাত ফ্ল্যাটে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত