Connect with us

জাতীয়

মহান মে দিবস আজ: নতুন ভোরের অপেক্ষায় শ্রমিকরা

Published

on

গোটা পৃথিবী আজ একটি ভয়ংকর অণুজীবের বিরুদ্ধে লড়ছে। অদৃশ্য এই শত্রুর বিরুদ্ধে চলা যুদ্ধ কবে শেষ হবে তা কেউ জানে না। প্রাণঘাতী এই করোনাভাইরাসের ভয়ে ঘরবন্দি মানুষ। কবর-শ্মশান-হাসপাতাল সব যেন একাকার। সারা বিশ্ব আজ স্তব্ধ, নির্বিকার। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। ব্যবসা-বাণিজ্য চলছে খুঁড়িয়ে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে সারা বিশ্বের কোটি মানুষ।

দেশজুড়ে বর্তমানে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ। এরই মাঝে আজ সেই বিশেষ দিন। যে দিনটা শুধুই শ্রমিকদের। প্রতিবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনটি পালন করে থাকে বিশ্ববাসী। গত বছরের মতো এবারও করোনার ভয়াল থাবায় তা থমকে যায়।

যাদের সারা বছর কাটে উদয়াস্ত পরিশ্রম করে। একটি দিন। কাজ থেকে ছুটির দিন। কর্মহীন, বেকার হয়ে ঘরে বসে থাকার দিন। আজ পয়লা মে। বিশ্ব শ্রমিক দিবস। মে দিবস। প্রতিবছর সারা বিশ্বে এই দিনটি পালিত হয় প্রতীকী দিন হিসেবে। শ্রমজীবী মেহনতি মানুষদের দিন হিসেবে।

মে দিবস হাজার হাজার শ্রমিকের পথচলা মিছিলের কথা। একই পতাকা তলে দাঁড়িয়ে আপোষহীন সংগ্রামের কথা। মে দিবস দুনিয়ার সব শ্রমিকদের এক হওয়ার দিন। আন্তর্জাতিক সংগ্রাম আর ভ্রাতৃত্বের দিন। মে দিবস, শ্রমজীবী মানুষের কাছে জাগরণের গান, সংগ্রামের ঐক্য ও গভীর প্রেরণার দিন।

মে দিবস আসলে শোষণমুক্তির অঙ্গীকার, ধনকুবেরদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সমাজতন্ত্র গড়ে তোলার শপথ নেয়ার দিন। ইতিহাসের পাতায় চোখ ফেরালেই আমরা জানতে পারি, শ্রমজীবী মানুষদের সেই আন্দোলনের কথা।

Advertisement

মেহনতি মানুষদের এই আন্দোলনের পথ কখনও মসৃণ ছিল না। ছিল নানা ঘটনার ঘাত-প্রতিঘাতে মোড়া। জুলুম, অত্যাচার, প্রতিরোধ, ধর্মঘট, মিছিল, সংগ্রামের গল্প রয়েছে এই দিনটি ঘিরে।

১৮৮১ সালে নভেম্বর মাসে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘আমেরিকান ফেডারেশ অব লেবার’। ১৮৮৪ সালের ৭ অক্টোবর সেখানে চতুর্থ সম্মেলনে গৃহীত হয় এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত, বলা হয় ১৮৮৬ সালের ১ মে থেকে সব শ্রমজীবী মানুষ আট ঘণ্টার বেশি কোনওভাবেই কাজ করবে না। ওই দিনটিতে তাই পাঁচ লক্ষ শ্রমিক প্রত্যক্ষভাবে ধর্মঘটে যোগ দেন।

শাসকদল এই ঐক্যবদ্ধ বিশাল শ্রমিক সমাবেশ ও ধর্মঘট দেখে ভয়ে পিছিয়ে যায়। ৩ মে ম্যাককর্মিক হার্ভাস্টার কারখানায় নির্মম পুলিশি আক্রমণ চলে, তাতে প্রাণ হারান ৬ জন নিরীহ শ্রমিক। সেই ঘটনা ইতিহাসের পাতায় চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

এর পরের দিন অর্থাৎ ৪ মে হে মার্কেট স্কোয়্যারে আয়োজিত হয় এক বিশাল প্রতিবাদ সভা। পুলিশ এই সভায় গুলি চালালে শহিদের রক্তে রাঙা হয় হাতের পতাকা। গ্রেফতার করা হয় চারজন শ্রমিক নেতাকে। বিচারের নামে শুরু হয় প্রহসন, জারি করা হয় ফাঁসির আদেশ।

দেশকালের গণ্ডি পেরিয়ে এই নৃশংস বর্বরতার খবর পৌঁছয় দুনিয়ার সব মেহনতি শ্রমজীবি মানুষের কানে। ১৮৮৯ সালে জুলাই মাসে প্যারিসে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রথমদিনের অধিবেশনেই সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হয় যে ১৮৯০ সালে ১ মে থেকে প্রতি বছর শ্রমিকশ্রেণির আন্তর্জাতিক সংহতি, সৌভ্রাতৃত্ব ও সংগ্রামের দিন হিসেবে এই দিনটি পালিত হবে। এভাবেই ১৮৮৬ সালের ঐতিহাসিক মে দিবস ১৯৯০ সালে আন্তর্জাতিক মে দিবসে পরিণত হল।

Advertisement

আজ এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের লড়াই সবচেয়ে কঠিন। এই লড়াই জীবনে বেঁচে থাকার লড়াই। এই আর্থিক বিপর্যয়ের মুহূর্তে ইতিমধ্যেই কাজ হারিয়েছেন বহু শ্রমজীবী মানুষ। পরিসংখ্যান বলছে করোনা পরবর্তী সময়ে কয়েক কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। তাদের জীবনে নেমে আসবে ভয়ঙ্কর কালো দিন।

করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই কাজ হারিয়ে দেশে দলে দলে ফিরে এসেছে বহু মানুষ। তাদের সেই অসহায় ছবি প্রতিনিয়ত ভেসে উঠছে সংবাদ মাধ্যমের পর্দায়। অনেকে আবার ফিরতে না পেরে আটকে রয়েছে বিভিন্ন দেশে। কোনওরকমে সামান্য সাহায্যে তাদের মুখে জুটছে আহার। সেটাও অনিশ্চিত। কারোর কারোর হয়তো সেটাও জুটছে না নিয়মিত।

আজ এই ভয়ঙ্কর সঙ্কটের সময় দেশের প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন এই সব শ্রমিকদের যেন কাজ থেকে ছাঁটাই করা না হয়। কিন্তু বাস্তবটা ঠিক তার উল্টো। ভয়াবহ আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে তাদের ভবিষ্যৎ আজ সম্পূর্ণই অনিশ্চিত।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে সারা দেশ কবে মুক্তি পাবে, তার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে দেশের প্রতিটি মানুষ। তবে একদিন না একদিন করোনাভীতি থেকে মুক্ত হবে, আসবে আবার নতুন ভোর। সেই দিনের অপেক্ষায় সবাই।

এএ

Advertisement
Advertisement

জাতীয়

কক্সবাজার এক্সপ্রেসের রেক থেকে ইঞ্জিন বিচ্ছিন্ন

Published

on

খিলগাঁওয়ে কক্সবাজার থেকে আসা কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনের রেক থেকে ইঞ্জিন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শুক্রবার (১৭ মে) দিবাগত রাতে।

শনিবার (১৮ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।

তিনি জানান, কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আসার পথে খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় কক্সবাজার এক্সপ্রেস (৮১৩) ট্রেনের রেক থেকে ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। মূল হুক খুলে যাওয়ার কারণে এমন হয়েছে। তবে গতি কম থাকায় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।

স্টেশন মাস্টার আরও বলেন, পরে লোকোশেড থেকে অন্য একটি ইঞ্জিন পাঠিয়ে ওই রেককে ঢাকা স্টেশনে আনা হয়। এই ঘটনার এক ঘণ্টা পরে ট্রেনটি আবার কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।

কক্সবাজার এক্সপ্রেস (৮১৩) কক্সবাজার থেকে ছাড়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় এবং ঢাকায় এসে পৌঁছায় রাত ৯টা ১০ মিনিটে। ট্রেনটির সাপ্তাহিক বন্ধ মঙ্গলবার।

Advertisement

কক্সবাজার এক্সপ্রেস (৮১৪) ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় রাত সাড়ে ১০টায়। এবং কক্সবাজার পৌঁছায় সকাল ৭টা ২০ মিনিটে। ট্রেনটির সাপ্তাহিক বন্ধ সোমবার।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

চলতি মৌসুমে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু

Published

on

পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে মো. আসাদুজ্জামান নামে বাংলাদেশি এক হজযাত্রী মারা গেছেন। চলতি হজ মৌসুমে তিনিই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন। গেলো ১৫ মে তিনি মদিনায় মারা যান। তার পাসপোর্ট নম্বর এ-১৩৫৬১০৩৪।

শনিবার (১৮ মে) ভোররাত তিনটার দিকে হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিদিনের বুলেটিনে আরও জানানো হয়, পবিত্র হজ পালন করতে এখন পর্যন্ত (১৭ মে রাত ১টা ৫৯ মিনিট) সৌদি পৌঁছেছেন ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী। মোট ৬৮টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২৩ হাজার ৩৬৪ জন।এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২৫টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ২৩টি ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিচালিত ফ্লাইট সংখ্যা ২০টি। এখন পর্যন্ত ৮১ হাজার ১টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

গেলো ৯ মে বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ডেডিকেটেড ফ্লাইট ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এর মাধ্যমেই চলতি বছরের হজের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। যা শেষ হবে ১০ জুন।

এ বছর হজে যেতে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। এর মধ্যে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ৩২৩ জন। আর বেসরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। প্রতি প্রতি ৪৪ জনে একজন করে গাইড হিসাবে ১ হাজার ৮৯৯ জন হজযাত্রীদের সঙ্গে যাবেন।

Advertisement

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত

Published

on

কুয়েতে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেনকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

শুক্রবার (১৭ মে) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল তারেক ১৯৮৯ সালে কমিশন লাভ করেন। সামরিক কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন পর্যায়ে স্টাফ ও কমান্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত হওয়ার আগে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের সিনিয়র ডিরেক্টর স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সমগ্র কর্মজীবনে তার প্রধান কার্যাবলীর মধ্যে আছে বাংলাদেশ অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরির কমান্ড্যান্ট, ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি, ৪৪ এবং ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার।

মেজর জেনারেল তারেক অ্যাঙ্গোলা এবং আইভরি কোস্টে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনের জন্য স্বতন্ত্র সম্মানও পেয়েছিলেন। মেজর জেনারেল তারেক সারা বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সামরিক প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের অনন্য সুযোগ পেয়েছেন। তার মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশের মিরপুরে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, ভারতের ওয়েলিংটনে ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজ এবং পেনসিলভেনিয়ায় ইউএস আর্মি ওয়ার কলেজ।

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিলকিস বেগম সিমির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। এই দম্পতির দুইটি কন্যা সন্তান আছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত