Connect with us

রংপুর

লালমনিরহাটে ট্রাকের ধাক্কায় কৃষক নিহত

Published

on

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে ট্রাকের ধাক্কায় ইয়াসিন আলী বাবু (৩১) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। এ সময় ধান মারাইয়ের গাড়ি উল্টে দুইজন কৃষক আহত হন। 

শনিবার (১মে) সকালে কালীগঞ্জ উপজেলাধীন লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের ভোটমারী রেলষ্টেশন সংলগ্ন ভাকারি ব্রীজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় নিহত কৃষক ইয়াসিন আলী বাবু ওই উপজেলার ভোটমারী ইউনিয়নের উত্তর মুশরত মদাতী গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে ধান মারাই করে শ্যালো মেশিন চালিত একটি গাড়ি নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে ভোটমারীর দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বুড়িমারী ছেড়ে আসা একটি ট্রাক ধান মারাইয়ের গাড়িটিকে ধাক্কা দিলে শ্যালো মেশিন চালিত থ্রী- হুলার (ধান মাড়াই) গাড়িটি উল্টে যায়। এতে কৃষক ইয়াসিন আলী বাবু ও তার ছোট ভাই ইমরান এবং একই গ্রামের জাহেদুর রহমান(৩৫) আহত হয়। এদের মধ্যে কৃষক ইয়াসিন আলী বাবু শ্যালো মেশিনের ধান মাড়াই গাড়ির নিচে পড়ে যান।

পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ এসে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক ইয়াসিনকে মৃত ঘোষনা করেন। অপর দুই কৃষক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরজু মোঃ সাজ্জাত হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্য ট্রাক ও থ্রি হুইলাটি উদ্ধার করেছে।

Advertisement

এস

Advertisement

দুর্ঘটনা

বন্যায় বিদ্যুৎস্পর্শে দুই বোনসহ মৃত্যু ৩

Published

on

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে পৃথক ঘটনায় ভেলায় করে চলাচলের সময় বিদ্যুৎস্পর্শে দুই বোনসহ তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎস্পর্শে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে তাদের।

শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলার কচাকাটা থানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার কালিগঞ্জ ইউনিয়নের বেগুনী পাড়া গ্রামের শাহাদাৎ হোসেনের দুই মেয়ে সুমাইয়া (১১) ও মাছুমা (৬) এবং নারায়ণপুর ইউনিয়নের ব্যাপারী পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রহমান মুন্সির ছেলে সিরাজুল ইসলাম।

কচাকাটা থানার পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সুমাইয়া ও মাছুমা কলাগাছের ভেলা নিয়ে বাড়ির পাশে খালার বাড়িতে রওনা দেয়। এসময় বাড়ির অদূরে সেচ পাম্পের টানানো বিদ্যুতের তার দুই বোনের শরীরে আটকে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু ঘটে।

প্রায় একই সময়ে নারায়ণপুর ইউনিয়নের ব্যাপারীপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ভেলাযোগে পাশের বাড়িতে যাওয়ার সময় ভেলার লগি বিদ্যুৎ সরবরাহের মেইন লাইনের তারে লাগে। এসময় বিদ্যুৎস্পর্শে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।

Advertisement

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিশ্বদেব রায় গণমাধ্যমে বলেন, এ বিষযে় থানায় পৃথক অপমৃত্যুর মামলা হবে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জনদুর্ভোগ

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি, বাড়ছে দুর্ভোগ

Published

on

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। বন্যায় জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় লক্ষাধিকের বেশি মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। বিশেষ করে গৃহপালিত পশু নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। অনেকে খোলা আকাশের নীচে নৌকায় রাত যাপন করছেন। এসব উপজেলায় যোগাযোগের একমাত্র বাহন নৌকা। তবে ঘরে চাল-ডাল থাকলেও রান্না করে খেতে পারছেন না অনেকে। বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যানিটেশনের অভাবে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ দেয়া হলেও যা চাহিদার তুলনায় কম।

উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের আঞ্জুমান আরা গণমাধ্যমে বলেন, গত চারদিন ধরে পানিতে ভাসছি। ঘরে এক গলা পানি। আশপাশে কোথাও যাওয়ার উপায় নাই। বৃষ্টির মধ্যে নৌকার মধ্যে দিন-রাত পার করছি।

হকের চরের মো. আব্দুল কাদের বলেন, আজ পাঁচদিন ধরে আমাদের এলাকার মানুষ পানিতে। অথচ কোনো চেয়ারম্যান-মেম্বার কেউ দেখতে আসেনি। আমরা সবাই খুব কষ্টে আছি।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ গণমাধ্যমে বলেন, বন্যা ও নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ত্রাণের পাশাপাশি ৪০০টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।

এএম/

Advertisement

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

আশ্রয়ণ প্রকল্প বসবাসের অনুপযোগী, ৫৫ পরিবারের মানবেতর জীবন-যাপন

Published

on

প্রকল্প

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে আশ্রয়ণ প্রকল্প বসবাসের অনুপযোগী হওয়ায় ৫৫টি পরিবার মানবেতর জীবন-যাপন করে আসছে। অসহনী দুর্ভোগ সহ্য করতে না পেরে ইতোমধ্যে ১৭৫ টি পরিবার আবাসন ছেড়ে অন্য জায়গায় ঠাই নিয়েছেন। টানা ২২ বছর অতিবাহিত হলেও সংস্কারের উদ্যোগ না নেয়ায় বর্তমানে আবাসনে বসবাসরত ৫৫ টি পরিবারের অন্য কোথাও বসবাসের সুযোগ না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ফুটো-ফাটা মরিচা ধরা টিনের চালে পলিথিন দিয়ে অসহনীয় দূর্ভোগের মধ্যেই দিন পাড় করছেন অসহায় বাসিন্দরা। আবাসনের টিনের চালে বড় বড় ফুটো ও ঘরের বেড়ার টিনগুলো পচে নষ্ট এবং ২০১৭ সালের ভয়াভহ বন্যায় কয়েকটি ব্যারাক দুমড়ে মুচড়ে পড়ে যাওয়ায় বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ যেন দেখার কেউ নেই।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের সীমান্তরঘেষা গোরকমন্ডল এলাকার ভুমিহীন ও গৃহহীন ছিন্নমুল পরিবারের জন্য ২০০৩ সালে নির্মিত হয় আশ্রয়ণ ও গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প (আবাসন)। খাত জমির ওপর থাকার ঘর নির্মান করে সুফলভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হলে বসবাসের সুযোগ পান ২৩০ টি ভূমিহীন পরিবার। মাত্র ৬-৭ বছর ভূমিহীন পরিবারগুলো আনন্দের সঙ্গে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করেছেন। এরপর আস্তে আস্তে আবাসন প্রকল্পের টিনসেটের ঘরগুলোর চাল ফুটো হয়ে যাওয়ায় একেবারে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। শীত মৌসুমে তীব্র ঠান্ডা ও হিমেল হাওয়া এবং শিশির বিন্দু ঘরে প্রবেশ করায় কষ্টের জীবন কাঁটছে আবাসনে। আবাসনের প্রতিটি ঘরের চাল ও টিনের বেড়া বড় বড় ফুটো হয়েছে। শীতকালে প্রতিটি রুমে বৃষ্টির পানির মতো শিশির বিন্দু পড়ে বিছানা পত্র ও আসবাব পত্রসহ প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন বর্ষাকাল। এই বর্ষাকালে দুর্ভোগ যেন তিন-চারগুন বেড়ে যায়। টানা ২২ বছর আগে নির্মাণ করা এ সব ঘর সংস্কার না করায় টিনের ছাউনি বেড়া ফুটো হয়ে গেছে। ফলে সামন্য বৃষ্টি হলেই ঘরের  ভিতর পানি পড়ে। কেউ কেউ বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেতে টিনের ওপর পলিথিন দিয়ে রেখেছেন। প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি টিউবওয়েল ও একটি টয়লেট নির্মাণ করা হলেও সংস্কারের অভাবে তা ব্যবহারের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে কেউ কেউ পলিথিনের বেড়া দিয়ে ঘিরে কাঁচা টয়লেট বানিয়ে তা ব্যবহার করছেন। ফলে তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিও পড়ে হুমকির মূখে। শত কষ্টের পরেও ভূমিহীন পরিবার গুলো দিনের পর দিন নিরুপায় হয়ে দিন কাটাঁচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অতি দ্রুত সময়ে গোরকমন্ডল এলাকার জরার্জির্ণ আশ্রয়ণ ও আবাসন প্রকল্প পূর্ণ  নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন আবাসনের বাসিন্দারা।

এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ জানান, গোরকমন্ডল আবাসনের দুর-অবস্থার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। আশাকরি এই অর্থ বছরেই বরাদ্দ আসার সম্ভাবনা রয়েছে। আর বরাদ্দ আসলেই সেখানকার বসবাসরত প্রত্যেকটি পরিবারকে পাঁকাঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত