Connect with us

অপরাধ

জঙ্গিদের টার্গেটে পুলিশ ও বিজিবি!

Published

on

রাজধানী ও সিলেটের একটি বিজিবি ক্যাম্প এবং টহল টিমের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছিল আনসার আল ইসলামের সদস্যরা। রাজধানীর মোহম্মদপুরের বসিলা এলাকা থেকে চার জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিস) সদস্যরা। 

রোববার (৯ মে) দুপুরে মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি প্রধান ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান এসব কথা বলেন। 

সিটিটিসি প্রধান বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে টার্গেট করে হামলার পরিকল্পনাকারী চার জঙ্গি হলো- মো. জসিমুল ইসলাম ওরফে জ্যাক, মো. আব্দুল মুকিত, মো. আমিনুল হক ও সজীব ইখতিয়ার। তাদের কাছ থেকে একটি ব্যাগ, একটা চাপাতি, পাঁচটি স্মার্টফোন জব্দ করা হয়।  
ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিরা ‘সাইন্স প্রজেক্ট’ নামে একটি পরিকল্পনা তৈরি করছিল। এর মাধ্যমে তাদের টার্গেট ছিল অক্সিজেন সিলিন্ডারকে শক্তিশালী বোমা হিসেবে ব্যবহার করে হামলা চালানো। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মাধ্যমে দেশে আবারও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে।   

সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের গ্রেফতার সদস্যরা ঢাকা ও সিলেটে পুলিশ ও বিজিবির টহল টিমে হামলার পরিকল্পনা করেছিল। এ চক্রের বাকি দুই সদস্য হিজরতের উদ্দেশ্যে আফগানিস্তান গমন করেছেন। গ্রেফতার এই চারজনেরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা করে কথিত হিজরতের মাধ্যমে আফগানিস্তান পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। এ জন্য তারা পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলার উদ্দেশ্যে রেকি করছিল। 

ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান আরও বলেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের আদর্শ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অনলাইনে টেলিগ্রাম অ্যাপসে ‘সাইন্স প্রজেক্ট’ নামে তৈরি করে অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করে বিস্ফোরক প্রস্তুতের চেষ্টা করেছিল। তাদের কাছ থেকে জব্দ করা ডিভাইস পর্যালোচনা করে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। 

Advertisement

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার জঙ্গিরা জানায়, তারা সংগঠনের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সম্পাদনের উদ্দেশ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মোহাম্মদপুরে এসে একত্রিত হয়। আনসার আল ইসলামের দায়িত্বশীল বা মাসুল ফরিদ ওরফে তারিক আবদুল্লাহর সহযোগিতায় সামাজিক যোগাযোগ অ্যাপস গ্রুপ ও অনলাইনে গোপনীয় টেক্সট নামের সিক্রেট চ্যাটিং অ্যাপস ব্যবহার করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করত। 

ডিআইজি বলেন, গ্রেফতার জঙ্গিরা সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে সিলেটে একটি আবাসিক হোটেলে হোটেল ম্যানেজারকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে পালিয়ে যায়। গ্রেফতার জসিমুল হক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অতীশ দীপংকর ইউনিভার্সিটির বিবিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। আবদুল মুকিত হবিগঞ্জের মারকাজুস সুন্নাহ আল ইসলামিয়া মাদরাসায় শিক্ষকতা করত। আমিনুল হক সিলেটের আল হিদায়া ইসলামিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র এবং সজীব ইখতিয়ার সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ছিল।

 জঙ্গিদের সাইন্স প্রজেক্টে কতজন যুক্ত হয়েছে এবং এদের হামলার কোনো নির্দিষ্ট তারিখ ছিল কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসি প্রধান বলেন, তাদের পরিকল্পনা ছিল গ্যাস সিলিন্ডারের মাধ্যমে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানো। এ বিষয়টি তাদের পরিকল্পনা পর্যায়ে ছিল। এই ‘সাইন্স প্রজেক্ট’ বা গ্রুপের সদস্য এখন পর্যন্ত ১০ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, জঙ্গিরা এখন অনলাইনে সক্রিয়। তারা অনলাইনেই সদস্য রিক্রুটমেন্ট করছে, ট্রেনিং দিচ্ছে এবং নির্দেশনা দিচ্ছে। সাইবার স্পেস ব্যবহার করে তারা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে আমাদেরও সাইবার তৎপরতা রয়েছে। তাই অনেককে গ্রেফতার করতে পারছি।

মোহাম্মদপুর এলাকায় আরো বেশ কয়েকবার জঙ্গি ধরা পড়েছে। পুলিশ ও র‌্যাব আলাদা অভিযান পরিচালনা করেছে একই এলাকায়। এসব এলাকায় জঙ্গিদের এত বেশি আনাগোনার কারণ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে সিটিটিসির প্রধান বলেন, যেখানে দরিদ্র মানুষ ও ঘনবসতি রয়েছে সেখানেই জঙ্গিরা আস্তানা গেড়ে নেয়। গ্রেফতার এড়াতেই তারা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা বেছে নেয়।

Advertisement

এস

Advertisement

অপরাধ

সরকারি লোগো লাগানো গাড়িতে ইয়াবা পাচার, গ্রেপ্তার ৪

Published

on

সড়ক ও জনপদ বিভাগের লোগো লাগানো বিলাস বহুল (এসইউভি) পাজেরো গাড়িতে ইয়াবা নিয়ে টেকনাফ হয়ে মেরিন ড্রাইভ পার করার পরিকল্পনা ভন্ডুল করে দিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব। মাদক পাচারকালে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মেরিন ড্রাইভের পাটুয়ারটেক এলাকা থেকে গাড়িটি আটক এবং চারজনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। জব্দ করা হয়েছে সাত লাখ ইয়াবা।

র‌্যাব জানায়,  সোমবার (২০ মে) দিনগত রাতে ওই গাড়িতে করে ইয়াবা পাচারের চেস্টা করছিলো মাদক কারবারীরা। খবর পেয়ে অভিযান চালায় র‌্যাব । পরে গাড়ি তল্লাশী করে ইয়াবা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আত্মসমর্পণ করা ইয়াবা কারবারি আবদুল আমিন (৪০) । তার সহযোগী- টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আবু সৈয়দ এর ছেলে মো. আবদুল্লাহ (৩৫), তার ভগ্নিপতি নুরুল আবসার (২৮) ও জাফর আলম (২৬) কে।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে কক্সবাজারের র‍্যাব-১৫ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপঅধিনায়ক মেজর শরিফুল আহসান।

তিনি বলেন, গ্রেফতার আব্দুল্লাহর বাবা আবু সৈয়দের মালিকানাধীন বিলাসবহুল গাড়িটিতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর এর লোগো লাগানো ছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতে তারা ইয়াবা পাচারে ওই গাড়ি ব্যবহার করে।

প্রাথমিকভাবে র‌্যাব ধারণা করছে, মিয়ানমার থেকে ইয়াবাগুলো বাংলাদেশ সরবরাহ করছিল মিয়ানমারের বাসিন্দা রোহিঙ্গা সিরাজ। এই সিরাজের মাধ্যমেই বেশীর ভাগ ইয়াবা টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে মাদক চোরাচালানীরা।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

৫ লাখ টাকার জাল নোটসহ গ্রেপ্তার ২

Published

on

ঈদকে সামনে রেখে গরুর হাটসহ বিভিন্ন শপিং মলে জাল টাকা ছড়িয়ে দিতে তৎপর এসব চক্রের সদস্যরা। গাজীপুরে ৪ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা মূল্যের জাল নোট জব্দসহ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো রোববার (১৯ মে) দিবাগত রাতে মহানগরীর গাছা থানাধীন উত্তর খাইলকুর বটতলা মোড়ের একটি ভবনে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের টঙ্গি উপ পুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেন উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

গ্রেপ্তাররা হলেন, ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন থানাধীন পক্ষিয়া এলাকার রুহুল আমীনের ছেলে মো. শিবলু (৩৯)। ও কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানাধীন ছয়গ্রাম এলাকার মোমিন মিয়ার ছেলে মো. রাকিবুল হাসান (২৭)।

পুলিশ জানায়, ঈদকে সামনে রেখে গরুর হাটসহ বিভিন্ন শপিং মলে এসব টাকা ছড়িয়ে দিতে সরব হয়ে উঠেছে এসব চক্রের সদস্যরা। জাল টাকা ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য একটি চক্র অবস্থান করছে এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। পরে ওই ফ্ল্যাটের ভেতর থেকে জাল নোট জব্দসহ দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এ চক্রের সাথে জড়িত আরও ৩/৪ জনের তথ্য দিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে গাছা থানার মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অপরাধ

রাজধানীতে প্রকাশ্যে চাপাতি ধরে ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৪

Published

on

রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রকাশ্যে গলায় চাপাতি ধরে ছিনতাইয়ে জড়িত ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গেলো রোববার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত ১টি চাপাতি ও ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল এবং ম্যানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে ) সকালে রমনার নিউ সার্কুলার রোডে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানান রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. আলী, মো. ইমন, আকাশ ও মো. তারেক।

মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, একজন বেসরকারি চাকুরিজীবী প্রতিদিনের মতো গত শনিবার সকালে সাতমসজিদ রোড দিয়ে ধানমন্ডির অফিসে যাচ্ছিলেন। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের দিকে আবাহনী মাঠ সংলগ্ন উত্তর পাশের ফুটপাতে পৌঁছালে, ৪ জন যুবক এসে তাকে অতর্কিত কিলঘুষি মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। এরপর তার গলায় চাপাতি ধরে একটি মোবাইল ও ম্যানিব্যাগ কেড়ে নিয়ে অটোরিকশায় করে চলে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

এরপর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাদের শনাক্ত করে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হয়।

Advertisement

পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরেই এই ৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের, বিশেষ করে বাসাবাড়িতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ওপর জোর দেয় পুলিশ।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত