Connect with us

রাজশাহী

মানুষ যেন খেয়ে বাঁচতে পারে সেজন্য সরকার সহযোগিতা দিচ্ছে: রেলমন্ত্রী

Published

on

কোন মানুষ যেন  না খেয়ে না থাকে অন্তত খেয়ে বাঁচতে পারে  সেজন্য সরকার খাদ্য সহায়তাসহ অন্যান্য সকল সহযোগিতা দিয়ে আসছে। করোনাভাইরাসসহ সকল প্রকার দুর্যোগে সাধারণ মানুষ, কৃষক, শ্রমিক ও খেটে খাওয়া এবং কর্মহীন মানুষের কল্যানে সহায়তা করে যাচ্ছে সরকার। বললেন রেলপথ মন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. নূরুল ইসলাম সুজন।

মঙ্গলবার (১১ মে) পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬ শত জন অসহায় দুঃস্থ ও অতিদরিদ্র মানুষের মাঝে ব্যক্তিগত অর্থে  খাদ্য ও ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগে শুধু সরকার নয়, সমস্যাগ্রস্ত মানুষের পাশে বিত্তবানরাও সাড়া দিলে সকল সমস্যা লাঘব করা সহজ হবে। এজন্য মানবিকতার হাত বাড়াতে, বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে এবং করোনাকালে সবাইকে সচেতন হয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান। 

তিনি বলেন, ভারতে ইতোমধ্যে করোনা মহামারি আকার ধারণ করেছে এজন্য করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আমাদের আরো সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। 

রেলপথ মন্ত্রীর বড় ভাই ময়দান দিঘী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বাবের সভাপতিত্বে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ সভায় অন্যানের মধ্যে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাদ জাহান, বোদা পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট ওয়াহিদুজ্জামান সুজা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সোলেমান আলী, আওয়ামীলীগ নেতা আব্বাস আলী, অ্যাডভোকেট মির্জা সারোয়ার হোসেন, আবু সারোয়ার বকুল ও মন্ত্রী ছেলে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা কৌশিক নাহিয়ান নাবিদ বক্তব্য রাখেন। 

Advertisement

বিতরণ কৃত সামগ্রীর মধ্যে চাল, ডাল, লবন, তেল, চিনি, সেমাই, গুড়ো দুধ ও আলু বিতরণ করা হয়। একই অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পঞ্চগড় ইউনিটের উদ্যোগে একশত জন দুঃস্থ পরিবারের মাঝে একশ প্যাকেট খাদ্য ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন। 

এস

Advertisement

জাতীয়

‘ভোটাররা কেন্দ্রে কেন আসেন না, তা প্রার্থীদেরই দেখতে হবে’

Published

on

ভোটাররা কেন্দ্রে কেন আসেন না, সেটি প্রার্থীদেরই দেখতে হবে। ভোটাররা নির্বিঘ্নে যাতে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন, সেদিকে লক্ষ্য রাখেতে হবে। এ জন্য প্রার্থীদের নিজেদের মধ্যকার কোন্দল বাদ দিয়ে ভোটারদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা।

শুক্রবার (২৪ মে) দুপুর ১২টার দিকে বগুড়া জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন রাশেদা সুলতানা।

এর আগে সভায় বগুড়ার তৃতীয় ও চতুর্থ দফা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা উপস্থিত হয়ে নিজেদের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানান।

এ সময় ইসি রাশেদা বলেন, প্রার্থীরা বলেছেন, ভোটাররা আতঙ্কিত। তারা কেন্দ্রে আসেন না। এ জন্য প্রার্থীরা এমন কিছু করবেন না, যাতে ভোটাররা আতঙ্কিত হন।

প্রার্থীদের প্রতি রাশেদা সুলতানার পরামর্শ, ‘আপনারা নিজেদের মধ্যে কোন্দল আর কাদা ছোঁড়াছুড়ি না করে ভোটারদের কাছে যান, ভোট চান। কারণ আপনাদের মূল লক্ষ্য হবে প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করা।

Advertisement

মতবিনিময় সভায় আরও বলা হয়, নতুন নিয়ম অনুযায়ী প্রার্থীরা এখন ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার করতে পারবেন। তবে কারও চরিত্র হনন হয়, এমন কথা প্রচার করা যাবে না। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে কোনো কথা বলা যাবে না। ডিজিটাল মাধ্যমে কী কী প্রচার করবেন, তা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে আগে জানাতে হবে।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

দুই বছর ধরে জমানো টাকা না পেয়ে আত্মহত্যাচেষ্টা পারুলের

Published

on

পোস্ট অফিসে অনেক কষ্ট করে দুই বছর ধরে জমানো টাকা না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক নারী। তানোর পোস্ট অফিসে প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এরমধ্যে দুই লাখ টাকা ওই নারীর। ওই টাকা না পেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। গেলো বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজশাহীর তানোর পোস্ট অফিসে এ ঘটনা ঘটে।

ওই নারীর নাম পারুল বেগম। তিনি তানোর উপজেলার গোকুল গ্রামের মৃত এনামুল হাসান রনির স্ত্রী।

পারুল বেগম গণমাধ্যমে বলেন, প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর হলো অনেক কষ্টে দুই লাখ টাকা জমা করেছি। এখন টাকা পাচ্ছি না। আমার স্বামী ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এতিম বাচ্চা নিয়ে আমি অসহায়।

তিনি আরও বলেন, জমানো টাকা নভেম্বরে পাওয়ার কথা। অথচ ছয় মাস ধরে ঘুরছি। তারা আজ না কাল বলে ঘোরাচ্ছে। আমি এখন কী করবো? মরা ছাড়াতো আমার কোনো পথ নেই। এরাতো আমার টাকা দিচ্ছি না।’

তানোর পোস্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, তানোর পোস্ট অফিসে পারুল বেগমসহ আরও ৩০০ গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন তৎকালীন পোস্টমাস্টার মকছেদ আলী। গত ১৭ মার্চ রাজশাহীর ডাক বিভাগের কর্মকর্তারা তদন্তে এসে টাকা গায়েবের প্রাথমিক সত্যতা পান। এ ঘটনায় পোস্টমাস্টার মকছেদ আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রাজশাহীর ডাক বিভাগের পরিদর্শক মজিবুর রহমান বাদী হয়ে মকছেদ আলীকে অভিযুক্ত করে তানোর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। পরে দুদকে মামলা করা হয়।

Advertisement

এ বিষয়ে তানোর পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার আবদুল মালেক গণমাধ্যমে বলেন, দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। এ পোস্ট অফিসের গ্রাহক ৩০০ জন। তাদের মধ্যে কতজনের টাকা আত্মসাৎ হয়েছে, সেটি তদন্তের বিষয়।

তিনি আরও বলেন, পোস্ট অফিসে পারুল নামের এক নারী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তাকেসহ কয়েকজন ভুক্তভোগীকে রাজশাহী বিভাগীয় পোস্ট অফিসে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাদের সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কথা বলেছেন। তারা টাকা পাবেন তবে সময় লাগবে।

তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগীদের টাকার বিষয়ে তারা কাজ করছেন। বিষয়টি নিয়ে তারা দুদকে চিঠি দিয়েছেন। দুদক তদন্তে নামলে সব বেরিয়ে আসবে। সাময়িক বরখাস্তকৃত তানোর ডিজিটাল পোস্ট অফিসের পোস্টমাস্টার মকছেদ আলী পলাতক বলেও জানান ওসি।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রাজশাহী

রিকশা চালক বেশে মাদক অস্ত্রের ব্যবসা, অবশেষে গ্রেপ্তার

Published

on

রিকশা

রাজশাহীর চারঘাটে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও ফেন্সিডিলসহ এক মাদক কারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-৫ (র‌্যাব) এর একটি দল।

বুধবার (২২ মে) দিবাগত রাতে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার রাওথা (ঘোষপাড়া) এলাকায় এ অভিযান চালায় র‌্যাব। এসময় দুটি ওয়ান শুচারগান ও ১০২ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার হয়েছে।

গ্রেপ্তার মাদক কারবারীর নাম রফিকুল ইসলাম (৪২)। তিনি রাজশাহী নগরীর কাজলা এলাকার মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে। মূলত রিকশা চালকের বেশে তিনি অস্ত্র ও মাদকের কারবার করতো বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) র‌্যাবের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, র‌্যাব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে চারঘাট রাওথা (ঘোষপাড়া) গ্রামের এক আম বাগানে কিছু মাদক কারবারী ফেন্সিডিল ও অস্ত্র নিয়ে বিক্রির জন্য অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের দল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে অভিযানর চালিয়ে রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার কাছে তল্লাশী চালিয়ে দু’টি ওয়ান শুটারগান ও ১০২ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার হয়।

র‌্যাব জানায় গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলাম একজন চিহ্নিত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী। তিনি পেশায় একজন রিকশা চালক। তিনি রিকশা চালানোর পাশা পাশি দীর্ঘদিন ধরে আগ্নেয়াস্ত্র, ফেন্সিডিল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক আমদানি করে বিক্রি করতো। তিনি নিজেও হেরোইন ও ইয়াবা সেবন করত।

Advertisement

গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলামেকে চারঘাট থানায় সোপর্দ করে তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কেএস/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত