Connect with us

জাতীয়

ফিলিস্তিনে সহিংসতা বন্ধে বাংলাদেশের আহ্বান

Published

on

আল-কুদস আল-শরীফসহ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দখলকৃত অংশে চলমান ভয়াবহ সহিংসতা নিরসন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ (ইউএনএনসি)’র প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

রোববার ভার্চুয়াল প্লাটফরমে আয়োজিত ওআইসি নির্বাহী কমিটির এক উন্মুক্ত সভায় এ আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মনে করে যে- নিরপরাধ বেসামরিক লোককে হত্যার কোন ওজর থাকতে পারে না। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও মানবাধিকারের ভিত্তিতে কোন মানুষের প্রার্থনায় বিঘ্ন ঘটানোকে ন্যায়সঙ্গত বলা যাবে না। এর স্বপক্ষে কোন যুক্তিই থাকতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘ প্রস্তাব, আরব শান্তি উদ্যোগ ও কোয়ার্টার রোডম্যাপের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ একটি সমন্বিত ও টেকসই সমাধানে বিশ্বাসী। জাতিসংঘের প্রধান অঙ্গ হিসেবে ইউএনএসসি’র উচিত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

আল-কুদস আল শরীফে নিরপরাধ বেসামরিক মানুষের উপর দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলা, আল-আকসা মসজিদে বোমা বর্ষণ এবং এরপর প্রার্থনারত মুসুল্লি ও শেখ জাররাহ আবাসিক এলাকায় ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের উপর হামলার প্রতিবাদে এই বৈঠকের আহ্বান করা হয়।

Advertisement

বৈঠকে, বাংলাদেশ জাতিসংঘে ওআইসি’র পক্ষ থেকে বিবৃতি প্রদানের কথা উপস্থাপন করে এবং ইউএনএসসি তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ১০তম জরুরি বিশেষ অধিবেশন আহ্বানের ব্যাপারে একমত প্রকাশ করে।

এদিকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টকে এক চিঠিতে বলেন, ‘আমি এই সময়টিকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিনের ভাতৃপ্রতিম জনগণের অধিকারের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করতে চাই। পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী তরে ১৯৬৭ সালে নির্ধারিত সীমা অনুযায়ী একটি স্বাধীন সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের অধিকার ওই ভূখন্ডে জনগণের রয়েছে।’

Advertisement

জাতীয়

‘আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পাওয়া যাবে জুনে’

Published

on

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের তৃতীয় কিস্তির অর্থ জুন মাসে পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

রোববার (২৬ মে) দুপুরে সচিবালয়ে আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক ড. কৃষ্ণমূর্তি ভি সুব্রামানিয়ানের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যাতে ডলারের প্রবাহটা বাড়ানো যায়। এখানে অনেক নেগোসিয়েশন আছে। আশা করছি এই সমস্যাটি আমরা সমাধান করতে পারব। আমরা কাজ করছি।

আইএমএফের নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, আপনারা সঠিক পথে আছেন। সমস্যা সমাধানে আপনারা যে কাজ করছেন তাতে আমাদের সমর্থন আছে।

জুনে আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির টাকা পাচ্ছি কি না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, জুন মাসেই তারা দেবে, সেখানে তো বাধা নেই।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

ডকুমেন্টারি ‘কলকাতায় মুজিব’ এর খসড়া কপি অবলোকন প্রধানমন্ত্রীর

Published

on

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীভিত্তিক ডকুমেন্টারি ‘কলকাতায় মুজিব’ এর খসড়া কপি অবলোকন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ রোববার (২৬ মে) সকালে গণভবনে তথ্যচিত্রটির খসড়া কপি অবলোকন করেন তিনি।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনে কলকাতা মহানগরীর বড় ভূমিকা রয়েছে। সেই বিষয়টিকে উপজীব্য করেই ‘কলকাতায় মুজিব’ শীর্ষক  তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করেছেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ।

প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন জানান, প্রধানমন্ত্রী ‘কলকাতায় মুজিব’ তথ্যচিত্রটি অবলোকন করেন এবং এর নির্মাণ সংশ্লিষ্টদের এ সম্পর্কে তার মতামত ও বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।

বঙ্গবন্ধুর কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে পড়া, বেকার হোস্টেলে থাকা, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া, আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে রাত কাটানো পার্ক সার্কাসে ঘুরে বেড়ানো, ব্রিগেডের ময়দানে তার আগুন ঝরানো ভাষণ-এমন আরও অনেক কিছু বঙ্গবন্ধুর প্রিয় এই শহরের অলিগলি থেকে তুলে এনে তথ্যচিত্রটিতে ক্যামেরাবন্দি করছেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ।

Advertisement

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

‘রেমাল’ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা

Published

on

রেমাল,-স্বাস্থ্য-অধিদপ্তর

দেশের উপকূলে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। ইতিমধ্যে এর প্রভাবে বইছে দমকা বাতাস, সঙ্গে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এটি রোববার (২৬ মে) বিকেল থেকে মধ্যরাতের মধ্যে পটুয়াখালীর খেপুপাড়া দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে।

এ ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রোববার সকালে ঘূর্ণিঝড় রেমাল নিয়ে দেয়া ১০ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তাতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে নতুন করে ৯ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে হবে।

এ অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও এর নিয়ন্ত্রণাধীন স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রিক প্রস্তুতি ও প্রয়োজনীয় বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর।

শনিবার (২৫ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নির্দেশনা দেয়া হয়।

নির্দেশনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদেরকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা, বিকল্প বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাপনা তৈরি রাখা, মোবাইল যোগাযোগ নিরবচ্ছিন্ন রাখা এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের মজুত রাখার নির্দেশ দেন।

Advertisement

পাশাপাশি তিনি অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের উপকূলীয় হাসপাতালগুলোর যেকোনো চাহিদা তাৎক্ষণিকভাবে পূরণের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা ও নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থাও নিশ্চিত করার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন।

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও জানান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সার্বক্ষণিকভাবে খোঁজ নিচ্ছেন ও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন।

নির্দেশনাসমূহ

জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখতে হবে। জরুরি বিভাগে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করতে হবে।

খাবার স্যালাইনসহ জরুরি প্রতিরোধ ও প্রতিষেধক ওষুধ এবং উপকরণ উপকূলবর্তী জেলায় পর্যাপ্ত মজুত রাখতে হবে।

প্রয়োজনীয় সংখ্যক পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং সাপে কামড় দেওয়া রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক অ্যান্টিভেনম মজুত রাখতে হবে।

Advertisement

উপকূলবর্তী এলাকায় মাঠকর্মীদের (স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বাস্থ্য সহকারীসহ অন্যান্য) মাধ্যমে উপদ্রুত অঞ্চলে নিয়মিত পরিদর্শন এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।

কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সার্বক্ষণিক চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে।

যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনে কর্মকর্তা/কর্মচারীর নৈমিত্তিক ছুটি বাতিলসহ প্রতিষ্ঠান প্রধান ও চিকিৎসকদের কর্মস্থলে অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। এই সময়ে মাঠ পর্যায়ের সব কর্মকর্তার যেকোনো ট্রেনিং কয়েকদিন পিছিয়ে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে আয়োজন করতে হবে।

স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাম্বুলেন্সসমূহ প্রয়োজনীয় জ্বালানিসহ প্রস্তুত রাখতে হবে। যেসব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স সচল আছে, সেসব ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স মেডিকেল টিম এবং প্রয়োজনীয় জ্বালানিসহ প্রস্তুত রাখতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণকক্ষ সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে। (নিয়ন্ত্রণ কক্ষের জরুরি হটলাইন নম্বর ০১৭৫৯১১৪৪৮৮)

Advertisement

সর্বোপরি সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও সতর্কতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা যেতে পারে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত