Connect with us

রংপুর

সাংবাদিক রোজিনার মুক্তির দাবিতে পঞ্চগড়ে মানববন্ধন

Published

on

দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ মুক্তি চেয়ে এবং হেনস্তাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে পঞ্চগড়ে মানববন্ধন হয়েছে।

বুধবার দুপুরে পঞ্চগড় শহরের শেরে-বাংলা চত্বর সংলগ্ন পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে পঞ্চগড় জেলা প্রেস ক্লাব।

এসময় জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আনিস প্রধানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু সালেক, জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহজালালসহ অন্যান্যরা। 

বক্তরা সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের হেনস্তাকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তিসহ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তার মুক্তির দাবি জানান।

এসময় মানববন্ধনে সাংবাদিক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।

Advertisement

মুনিয়া

Advertisement

রংপুর

কুড়িগ্রামে নদী ভাঙনে হুমকির মুখে গ্রামীণ সড়ক

Published

on

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে টানা দুই সপ্তাহ ধরে ভারি বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলে বারোমাসিয়া নদীর তীব্র  স্রোতে হুমকির মুখে পড়েছে গ্রামীন সড়ক ।  দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন না করলে এক দুই দিনের মধ্যে বালাতাড়ি এলাকা থেকে গোরকমন্ডল বিজিবি ক্যাম্পসহ ওই দুই গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবারের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে যাবে বলে আশংকা করছেন এলাকাবাসী।

শুক্রবার (২১ জুন) নদী ভাঙ্গনের বিষয়টি বায়ান্ন টিভিকে নিশ্চিত করেন নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাছেন আলী।

সরজমিনে দেখা যায়, বারোমাসিয়া নদীর তীব্র স্রোতে ৪শ থেকে ৫শ মিটার গ্রামীন কাঁচা সড়কটি ইতোমধ্যে তিন ভাগ অংশ নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এক ভাগ অংশে স্থানীয়রা দিনে কিংবা রাতে দুঘর্টনা থেকে রক্ষা পেতে একটি লাল নিশান সেখানে টাংগিয়ে দিয়েছেন।

সেখানকার মানুষজন বাইসাইকেল ও পাঁয়ে হেঁটে যাতায়াত করছে। তবে অটোবাইকসহ বড় ধরণের যান বাহন চলাচল গত দুই দিন থেকে বন্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুদ ও বাবুল মাস্টার বলেন, নদী গর্ভে বিলীনের হাত থেকে ৫শ মিটার সড়কটি রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোড় দাবী করছেন। সড়কটি রক্ষা করতে না পারলে যোগযোগ বিছিন্নসহ  ওই এলাকার অর্ধশতাধিক বাড়ী-ঘর ও শতশত বিঘা ফসলি জমি বারোমাসিয়া নদী গর্ভে যাবে।

Advertisement

নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাছেন আলী জানান, টানা দুই সপ্তাহের ভারি বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ী ঢলে বারোমাসিয়া নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাঁচা গ্রামীণ সড়কটি নদী গর্ভে বিলীনের পথে।  বিষয়টি তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রেহেনুমা তারান্নুম  জানান, গ্রামীণ সড়ক নদী গর্ভে বিলীনের পথে, অথচ এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ জানায়নি। তিনি সড়কটি রক্ষা করার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে দ্রæত ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দেন।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

আগামী তিন দিনে তিন জেলায় বন্যার পূর্বাভাস

Published

on

আগামী তিন দিনে কুড়িগ্রাম,লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা হতে পারে। সেই সঙ্গে এই সময়ে রংপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।

শুক্রবার (২১ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হানের সই করা বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা আগামী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়ে কিছু কিছু পয়েন্টে সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে। পাশাপাশি গঙ্গা-পদ্মা নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোনার কিছু নিম্নাঞ্চল ছাড়াও সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় চলমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

আই/এ

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

রংপুর

কুড়িগ্রামে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপরে

Published

on

বিপৎসীমা

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে  চরা ল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিতে ডুবে গেছে চরা লের রাস্তাঘাট, আবাদি জমি। বাড়ির চারপাশে পানি উঠায় দূর্ভোগে পড়েছে এসব চরা লের মানুষ। নৌকা আর ভেলা দিয়ে যাতায়াত করছেন তারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য মতে, আজ ২১ জুন (শুক্রবার) সকাল ৬ টায় তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও ধরলা নদীর পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী এবং রাজারহাট উপজেলার চরা ল ও নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেয়া তথ্য মতে ১৫ হাজারেরও বেশি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন সড়ক। ডুবে গেছে সবজি ক্ষেতসহ বিভিন্ন উঠতি ফসল।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, জেলায় স্বল্প মেয়াদি এই বন্যা পরিস্থিতি দু-একদিনের মধ্যে উন্নতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে পানি বৃদ্ধির কারণে ৫/৬টি স্থানে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি বিভাগের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চলতি বন্যায় জেলায় প্রায় ৪৫৩ হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়েছে। এরমধ্যে মরিচ,আউশ ধান,পাট,চিনা,পটল খেতসহ অন্যান্য ফসল রয়েছে।

Advertisement

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৯১ জন। উপজেলা পর্যায়ে ১৪৪ মেট্রিকটন জিআর চাল ও নগদ ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ত্রাণ হিসাবে উপ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৪০৪টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে দুর্গত মানুষ আশ্রয় নেয়া শুরু করেছেন। আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে খাদ্য সহায়তা। ৪টি স্পিড বোট ও ২ টি নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে বন্যার্তদের উদ্ধারের জন্য। জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

জেএইচ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত