Connect with us

অন্যান্য

ইসরায়েলকে যারা সহযোগিতা করছে তারাও অপরাধী : জাফরুল্লাহ

Published

on

অস্ত্র দিয়ে, অর্থ দিয়ে ও কূটনীতিকভাবে ইসরাইলকে যারা সহযোগিতা করছে তারাও সমান অপরাধী বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

বুধবার (১৯ মে) দুপুরে কেন্দ্রেীয় শহীদ মিনারে ইসরাইলের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও ফিলিস্তিনের জনগণের অধিকারের প্রতি সংহতি জানাতে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে যদি সত্যিকার অর্থে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে হয় তবে জীবনাদর্শকে কার্যকর করতে হবে। তার সময়কার সংবিধানে স্পষ্টভাবে বলা আছে জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সরকার সার্বিকভাবে সমর্থন করবে। এর অর্থ আজকে প্রধানমন্ত্রীর ২ কলম চিঠি পাঠিয়ে তার দায়িত্ব শেষ না। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যই শেষ কথা হতে পারে না। তাই প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা করা উচিত ফিলিস্তিনিদের এই বেঁচে থাকার আন্দোলনে অর্থ দিয়ে, সামরিক অস্ত্র দিয়ে সাহয্য করবে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি বঙ্গবন্ধুকে নেতা হিসেবে শ্রদ্ধা করেন তবে তার কাজ হবে বঙ্গবন্ধুর বক্তব্যের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করা এবং তা কার্যকর করা। সর্বদলীয় কমিটি করে ফিলিস্তিন, পাকিস্তান, তুরস্ক এই সবাইকে নিয়ে একটি বাহিনী গড়ে তুলে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো। তাহলেই লুকিয়ে থাকা মানবতাবিরোধী পাশ্চাত্য শক্তি তারা সজাগ হবে। তা না হলে ফিলিস্তিনের প্রতি সহমর্মিতার কথা বলা ভাঁওতাবাজি হবে। ফিলিস্তিনির পাশে থেকে তাদের বিজয় অর্জন করাটাই হবে সত্যিকার অর্থে মানবতার কাজ।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, শুক্রবার জুমা'র পরে সকল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের একত্রিত হয়ে জিয়ানবাদী দেশগুলোর দূতাবাস ঘেরাও করেন। আমিও আপনাদের সাথে থাকবো। এ সময় তিনি আরো বলেন, সৌদি আরবকে তাদের অবস্থান পরিস্কার করতে হবে এবং তাদের বলতে হবে ইয়ামিনে তোমাদের নির্যাতন বন্ধ করো।

Advertisement

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জনগণের প্রতিবাদ করার ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সব কিছু বলবে সরকার, আমরা কোনো কিছু বলতে পারব না। আজকে মধ্যপ্রাচ্যের সমস্যা আমরা এখানে সভা করে বলতে পারব না। কিন্তু সরকার তো বলতে পারতো। জাতিসংঘ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে বিবৃতি দিয়েছে তাতে নেতানিয়াহু কর্ণপাত করছে না। এই সামগ্রিক বিষয়ে সরকার চাইলে তো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারত। কিন্তু এরা শুধু সত্যকে মিথ্যা বানানোর চেষ্টা করে যেটা সাংবাদিক রোজিনার ক্ষেত্রে হলো। যদি এদের সমস্ত কিছুর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়তে না পারি তাহলে এরকম একটা দুইটা সমাবেশ করে আমাদের কোনো কাজ হবে না।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী এবং তাদের সর্বোচ্চ নেতার বিচারের দাবি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, ইসরাইলের মতো একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনের সমর্থন করা নিন্দনীয়। এ সময় ফিলিস্তিন ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্যের নীরব থাকারও কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমি জোরালোভাবে বলছি আরবদের সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকা উচিৎ।

Advertisement

অন্যান্য

ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যা বললেন মামুনুল হক

Published

on

অর্ধশতাধিক মামলায় গ্রেপ্তারের সময় জব্দকৃত মোবাইল ফোন ফিরে পেতে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে এসেছেন হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক।

শনিবার (১৮ মে) বিকালে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন তিনি।

মামুনুল হক বলেন, গ্রেপ্তারের সময় মামলার আলামত হিসেবে জব্দকৃত ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন ফিরে পেতে ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন তিনি।

তবে তার মোবাইলটি ডিবি হস্তান্তর করেছে কি না, তা এখনও জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ওই মাসেই বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর গেলো ৩ মে সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান মামুনুল হক।

Advertisement

 

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

ডিবিতে হেফাজত নেতা মামুনুল হক

Published

on

ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে এসেছেন হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক। তবে তিনি কী কারণে ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন তা জানা যায়নি।

শনিবার (১৮ মে) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিবির এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, হেফাজত নেতা মাওলানা মামুনুল হক আজ বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন। এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য কিছুক্ষণ পর জানানো হবে।

ডিবির একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেই ডিবি কার্যালয়ে এসেছেন তিনি। সাক্ষাতে কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে সেটা এখনও জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতাকর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক। ১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ওই মাসেই বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর গেলো ৩ মে সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান মামুনুল হক।

Advertisement

এএম/

 

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

অন্যান্য

‘ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করছি’

Published

on

ইসরায়েলর বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করছি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সরাসরি ইসরায়েলের বিপক্ষে যুদ্ধ ঘোষণা করছে। যখনই আমাদের প্রয়োজন হবে, সুযোগ হবে, আমাদের যা কিছু আছে সব নিয়ে ইসরায়েলের বিপক্ষে ঝাঁপিয়ে পড়ব। সম্মিলিতভাবে ইসরায়েলকে বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম।

শুক্রবার (১০ মে) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত অব্যাহত ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের দাবিতে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে নামাজের পর স্লোগানে স্লোগানে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণ মুখর করে তোলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন, জাতিসংঘের জবাব চাই’। সমাবেশ চলাকালে তারা ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে নাড়তে থাকেন।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, আপনি যদি ইসরায়েলের বিপক্ষে এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকেন তাহলে বলতে চাই, তাহলে আপনি ইসরায়েলের বিপক্ষে একদল সৈন্য বাহিনী গঠন করুন।

তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, ইসরায়েলি পণ্য বয়কট নয়, বাংলাদেশে ইসরায়েলের কোনো পণ্য ঢুকতে দেয়া হবে না। এটি আইন করে নিষেধ করতে হবে। তাহলেই আমরা বুঝব আপনি ইসরায়েলের বিপক্ষে।

Advertisement

ভারতকে উদ্দেশ করে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, আজ বাংলাদেশ থেকে ইসলাম ও মুসলমানকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র চলছে। আজ এই ভূখণ্ডকে বিক্রি করার ষড়যন্ত্র চলছে। আজ বন্ধু বলে যাদের আপন করতে চাই, তারা আমাদের বুকের ওপর বারবার গুলি করবে, আমাদের ভূখণ্ড দখল করার ষড়যন্ত্র করবে, এ দেশের ইসলামকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করবে, এ দেশের মানুষকে গোলাম বানাবার চক্রান্ত করবে, এ দেশের মানুষ তা মানতে পারে না। কাজেই শুধু ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নয়, যে ভারত ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে, ইসরায়েলের পক্ষে তারা দাবি তুলেছে, সেই ভারতকে বাংলাদেশের মানুষ বয়কট করে তাদের আপন করতে পারে না।

কর্মসূচি ঘোষণা করে ফয়জুল করীম বলেন, একই দাবিতে শুক্রবার দেশের সব উপজেলা, জেলা ও মহানগরীতে মিছিল করা হবে। এ ছাড়া ফরিদপুরে যেসব শ্রমিক ভাইয়েরা হত্যার স্বীকার হয়েছে, আজও সেই খুনিদের অ্যারেস্ট করতে সরকার পারেনি, ব্যর্থ হয়েছে। যদি সরকার তালবাহানা করে তবে ইনশাআল্লাহ ফরিদপুরে বিশাল জনসভার ঘোষণা দেব। পুরো দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ একত্রিত হয়ে আমরা এই খুনিদের বিপক্ষে আন্দোলন করব।

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত