Connect with us

এশিয়া

আল-আকসায় আবারো উত্তেজনা

Published

on

অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েল ফিলিস্তিন লড়াইয়ের অবসান হয়েছে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। তবে এগারো দিনের সংঘাতের পর বিজয় দাবি করেছে দুইপক্ষই। এর ফলে পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসায় আবারো উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় টানা ১১ দিন তাণ্ডব চালিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর রাত না পোহাতেই ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় ইসরায়েলি পুলিশ।

প্রত্যক্ষ্যদর্শীদের উদ্বৃতি দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর আল-আকসা মসজিদের প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনিরা যুদ্ধবিরতি উদযাপন করতে জড়ো হন।

পূর্ব জেরুজালেম থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক বলেন, গান গাইছিল এবং চিৎকার করছিল ফিলিস্তিনিরা। এ সময় পাশের একটি প্রাঙ্গণ থেকে ইসরায়েলি পুলিশ ফিলিস্তিনিদের উদযাপনের প্রাঙ্গণে চলে যায় এবং তাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের ওপর স্টান গ্রেনেড, স্মোক বোমা ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনিদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি ছুড়তে থাকে পুলিশ। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ বলেছে, গাজায় ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের ১১ দিনের লড়াইয়ে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের ২৫ জন ঊর্ধ্বতন কমান্ডারসহ দুই শ’র মত সক্রিয় সদস্যকে হত্যা করেছে তারা। সংঘাতে নিহতদের বেশিরভাগই গাজার বাসিন্দা। তবে এই লড়াইয়ে নিজেদের বিজয় দাবি করছে ইসরায়েল-হামাস দুই পক্ষই।

Advertisement

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বিনিয়ামিন নেতানিয়াহুর উদ্বৃতি দিয়ে বিবিসি আরও জানায়, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান অভূতপূর্ব সফল। বিমান হামলা চালিয়ে হামাসের ১০০ কিলোমিটার বিস্তৃত সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্ক বিধ্বস্ত করে দিয়েছে তারা। পাশাপাশি ইসরায়েলি শহর লক্ষ্য করে হামাসের রকেট নিক্ষেপের ক্ষমতা নষ্ট করেও দিয়েছে।

এদিকে, আইডিএফ দাবি করেছে হামাসের সামরিক শাখা যেসব বহুতল ভবন থেকে কর্মকাণ্ড চালাত এমন নয়টি ভবন, গাজায় হামাসের ১০টি সরকারি দপ্তর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১টি শাখা অফিস এবং ৫টি ব্যাংকে বোমা ফেলেছে তারা।

 

এসএন

Advertisement
Advertisement

এশিয়া

বিষাক্ত মদ্যপানে ২৯ জনের মৃত্যু

Published

on

ভারতের তামিলনাড়ুতে বিষাক্ত মদপানে কমপক্ষে ২৯ জন মারা গেছেন। এছাড়া ৬০ জনেরও বেশি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির দেয়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের তামিলনাড়ুর কাল্লাকুরিচি জেলায় বিষাক্ত মদপানের পর কমপক্ষে ২৯ জন মারা গেছেন। এছাড়া ৬০ জনেরও বেশি মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।

এক বিবৃতিতে রাজ্য সরকার বলেছে, ২৬ জনের পান করা দেশি মদের প্যাকেট থেকে নমুনা নিয়ে ফরেনসিক করা হয়েছে এবং সেখানে বিষাক্ত মিথানলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

দেশটির মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন নিহতদের প্রতি সমবেদনা ও তাদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

Advertisement

তিনি বলেন, কাল্লাকুড়িতে বিষাক্ত মদ খেয়ে মানুষের মৃত্যুর খবর শুনে আমি মর্মাহত ও ব্যথিত হয়েছি। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কল্লাকুড়ির জেলা কালেক্টর এমএস প্রশান্ত জেলার সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারতদের অবস্থা পর্যবেক্ষণে গিয়েছেন।

টিআর/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

সৌদিতে ৯২২ হজযাত্রীর মৃত্যু, নিখোঁজ অনেকে

Published

on

হজ্জ

সৌদি আরবে চলমান তীব্র তাপদাহে এখন পর্যন্ত ৯২২ জন হজযাত্রীর মারা গেছেন। সেইসঙ্গে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। নিখোঁজ হজযাত্রীদের পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়রা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ছবি আপলোড করে সহায়তার আকুতি জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সৌদির সরকারি প্রশাসন, মক্কার বিভিন্ন হাসপাতাল এবং সৌদির বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য সহায়তার ভিত্তিতে মৃত হজযাত্রীদের একটি সংখ্যাগত টালি করেছে আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা এএফপি। সেই টালির সর্বশেষ তথ্য থেকে মৃত হজযাত্রীদের এই সংখ্যা নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গেলো ১৪ জুন থেকে শুরু হয় এবারের হজের আনুষ্ঠানিকতা। এর আগেই সৌদির হজ মন্ত্রণালয় এক বিশেষ সতর্কবার্তা জারি করে জানায়, হজের সময় ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়াতে পারে সেখানকার তাপমাত্রা। সেইসঙ্গে তীব্র এ তাপদাহ থেকে হজযাত্রীদের নিরাপদ রাখতে বেশ কিছু পদক্ষেপও গ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি হজযাত্রী ও তাদের এজেন্সিগুলোর প্রতি জারি করে কিছু নির্দেশনাও।

সৌদির আবহওয়া দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহ ধরে মক্কার তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। সোমবার মক্কার তাপমাত্রা ছিল ৫১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জানা গেছে, মৃতদের অধিকাংশই মিসরের নাগরিক। মক্কার প্রশাসনসূত্রে জানা গেছে, হজের শুরু থেকে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০০ মিসরীয় হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।

Advertisement

মিসর ছাড়াও জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, সেনেগাল, তিউনিসিয়া, বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকরাও রয়েছেন মৃত হজযাত্রীদের তালিকায়। সৌদির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এবার হজ করতে গিয়ে মারা গেছেন ২৭ জন বাংলাদেশি।

আর হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) বলছে, সৌদিতে এখন পর্যন্ত ৩০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ২৭ জনের তথ্য সৌদি সরকার অফিসিয়ালি ঘোষণা করেছে। বাকি তিনজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

হাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেছেন, বাংলাদেশের তিনজন হজযাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। তারা মারা গেছেন বলে তাদের সংশ্লিষ্ট এজেন্সি আমাকে নিশ্চিত করেছে, কিন্তু এখনো সৌদি সরকার ঘোষণা করেনি।

এদিকে হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, অফিসিয়ালভাবে ঘোষিত মারা যাওয়া ২৭ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মধ্যে ২২ জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। তাদের মধ্যে মক্কায় ২০ জন, মদিনায় চারজন, মিনায় দুইজন এবং জেদ্দায় একজন মারা গেছেন।

এএফপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১৮ লাখ হজযাত্রী এবার হজ করতে পা রাখেন সৌদি আরবে। বিদেশি হজযাত্রীদের অনেকেই মক্কার তীব্র গরমে অভ্যস্ত নন। তাছাড়া এই হজযাত্রীদের মধ্যে এমন হাজার হাজার যাত্রী রয়েছেন, যারা বিধি মেনে সৌদিতে আসেননি। ফলে প্রখর তাপপ্রবাহ থেকে সুরক্ষা নিশ্চিতে যাত্রীদের জন্য যেসব সুবিধা ও পরিষেবা বরাদ্দ করেছে সৌদির সরকার, সেসব তারা পাচ্ছেন না। এমনকি থাকা, খাওয়া এবং এয়ার কন্ডিশন সুবিধাও পাচ্ছেন না অবৈধভাবে সৌদিতে প্রবেশ করা এই হজযাত্রীরা।

Advertisement

সৌদি প্রশাসন বলছে, যেসব হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে, তাদের একটি বড় অংশই অবৈধভাবে সৌদিতে প্রবেশ করেছিলেন।

এদিকে হজের বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন বহুসংখ্যক যাত্রী। এই গরমে নিরাপদ আশ্রয়ের বাইরে থাকা এই হজযাত্রীদের সবাই বেঁচে আছেন— এমন নিশ্চয়তা নেই। তাই সামনের দিনগুলোতে মৃত হজযাত্রীদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।

নিখোঁজদের সন্ধানে ব্যাপক উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে স্বজনদের। নিখোঁজ হজযাত্রীদের পরিবার-পরিজন ও আত্মীয়রা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ছবি আপলোড করে সহায়তার আকুতি জানিয়েছেন।

মক্কার বিভিন্ন হাসপাতালের বরাত দিয়ে এএফপি জানিয়েছে, গরমের কারণে শুধু রোববারই হিটস্ট্রোক ও বিভিন্ন তাপজনিত অসুস্থতায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি হজযাত্রী।

গেলো বছর হজ করতে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন দুইশ’র কিছু বেশি হজযাত্রী। সেই তুলনায় এবার মৃতের সংখ্যা চারগুণেরও বেশি, যা সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়তে পারে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

এশিয়া

আগামী তিন দিন আসাম ও মেঘালয়ে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস

Published

on

আগামী তিন দিন আসাম ও মেঘালয়ে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে ভয়াবহ হতে পারে সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি।

বুধবার (১৯ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর।

সংস্থাটি জানায়, ভারতের হিমালয় সংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গের জেলা, আসাম ,মেঘালয়, সিকিম, বিহার, ত্রিপুরা, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম ও তামিল নাড়ুতে আগামী তিনদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে মেঘালয় থেকে আসা ঢল ও কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে সিলেট বিভাগের বন্যা পরিস্থিতি। সুরমা,যাদুকাটসহ গুরুতপূর্ণ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেট জেলার ৭ লাখ মানুষ বর্তমানে পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন। বাড়িঘর ডুবে যাওয়ায় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন বেশ কিছু মানুষ।

Advertisement

সিলেট জেলা প্রশাসন জানায়, জেলা ও সিটি কর্পোরেশন মিলিয়ে মোট ৬২৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে সিটি কর্পোরেশনে রয়েছে ৮০টি। এসব আশ্রয়কেন্দ্রে ১৭ হাজার ২৮৫ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

এদিকে ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর এমন এক সময়ে এ পূর্বাভাস দিলো যখন সিকিম থেকে নেমে আসা তিস্তা নদীও ফুঁসছে। সিকিম থেকে আসা ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতের কবলে কুড়িগ্রামে দুধকুমার, ধরলা, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদী। এর ফলে  ক্রমশ  বাড়ছে নদীগুলোর পানি। পানি বৃদ্ধির ফলে এসব নদীর তীরবর্তী নিচু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এদিকে, তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত