Connect with us

বাংলাদেশ

ইসরায়েল-গাজায় সহিংসতার তদন্ত করবে জাতিসংঘ

Published

on

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার ঘটনা তদন্ত করবে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ। একইসঙ্গে, ইসরায়েল ও হামাসের সংঘাতের বিষয়টিও তদন্ত করতে যাচ্ছে সংস্থাটি। তবে তদন্তের এই সিদ্ধান্ত অঞ্চলটিকে শান্ত করার প্রক্রিয়ায় অগ্রগতিকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েল–হামাস সংঘাতের তদন্ত করতে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি এবং জাতিসংঘের ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি মানবাধিকার কাউন্সিলে প্রস্তাব আনে। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই প্রস্তাবের ওপর অধিবেশনের পর ভোটাভুটি হয়। এতে প্রস্তাবের পক্ষে থাকে ৪৭ সদস্যের ফোরামের ২৪টি দেশ। বিপক্ষে ভোট দেয় নয়টি দেশ। ভোটদানে বিরত থাকে বাকি ১৪টি দেশ।

পরিষদের আনা প্রস্তাবে ইসরায়েল–হামাস সংঘাত তদন্তে একটি স্থায়ী তদন্ত কমিশন গঠন করতে বলা হয়। ইসরায়েল, গাজা, দখলকৃত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেবে এই কমিশন।

ইউরোপভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইউরো নিউজ জানায়, এর আগে বৃহস্পতিবার জাতিস‌ংঘ মানবাধিকার পরিষদের বিশেষ অধিবেশনে উদ্বোধনী ভাষণ দেন জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট। জানান, অবরুদ্ধ গাজায় ব্যাপক মাত্রায় ইসরায়েলি হামলায় হতাহতের ঘটনায় তিনি উদ্বিগ্ন। গাজায় ইসরায়েল যে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়েছে তা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বলে সতর্ক করেন জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার।

একইসঙ্গে, ইসরায়েলে ইসলামপন্থি দল হামাসের নির্বিচারে রকেট নিক্ষেপকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করেন মিশেল। ওই সময় দুইপক্ষের সংঘাত তদন্তে একটি কমিটি গঠনের দাবিও জানানো হয়।

Advertisement

মিশেল ব্যাচেলেট আরও বলেন, চলতি মাসে হামাসের বিরুদ্ধে ১১ দিন হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। গাজা, পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে সহিংসতার সময় ৬৮ শিশুসহ ২৭০ ফিলিস্তিনির মৃত্যুর বিষয়টি যাচাই করেছে তার অফিস। এর বেশিরভাগই নিহত হয়েছে হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজায়। সেখানে যুদ্ধবিরতি দিয়ে এই দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে।

অপরদিকে, হামাসের রকেট হামলায় নিহত হয় ১২ ইসরায়েলি। এর মধ্যে তিনজন বিদেশি শ্রমিক এবং দুই শিশু রয়েছে।

 

এসএন

Advertisement
Advertisement

জাতীয়

বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে ‘জাতীয় ঐক্যের’ ডাক বিএনপির

Published

on

প্রতীকী ছবি

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের সব শরীকদল ও জোট, বাম-ডান দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সব ইসলামী রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের প্রতি ‘জাতীয় ঐক্য’ গঠনের আহবান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) দিবাগত রাতে দলের প্যাডে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই ঐক্যের আহবান জানানো হয়।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে লুণ্ঠিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, অধিকারহীন জনগণের ও জাতির মুক্তির লক্ষ্যে আমরা নূন্যতম এক দফার ভিত্তিতে ও দাবিতে দেশের সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যক্তি ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি জাতীয় ঐক্য গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি।’

‘আমরা বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনের শরীক দল ও জোট, বাম-ডান সকল রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সকল ইসলামী রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছি। জাতীয় ঐক্যের এই ঐতিহাসিক ঘোষণা ও দলিল দেশ এবং জাতির মুক্তি তরান্বিত করতে ইনশাল্লাহ।’

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে বলেন, ‘সময় ও যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতার কারণে বিবৃতির মাধ্যমে সম্মতি প্রদান করা যেতে পারে। শীঘ্রই সম্মতিপ্রাপ্ত সবার স্বাক্ষরে যৌথ বিবৃতি প্রদান করা হবে।’

Advertisement

প্রসঙ্গত, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ২০২৩ সালের জুলাই থেকে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও সংগঠন যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে। ওই সময়ে জামায়াতে ইসলামী আলাদাভাবে সরকার পতনের আন্দোলন থাকে। উল্লেখযোগ্য  অন্য রাজনৈতিক দলগুলো হলো-গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, লিভারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণফোরাম, পিপলস পার্টি, লেবার পার্টি, এনডিএ, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

এমআর//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

জাতীয়

কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ডিবি হেফাজতে

Published

on

কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদার ডিবি হেফাজতে। বলেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবিপ্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে ডিবিপ্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের ডিবি হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ওই তিন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করেন অন্য দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও আব্দুল হান্নান মাসুদ।

এএম/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

দুর্ঘটনা

তদন্তকাজে বেরিয়ে সাপের কামড় খেলেন পুলিশ কর্মকর্তা

Published

on

দিনাজপুরের বিরামপুরে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) সাপের দংশনে আহত হয়েছেন। তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বিজুলডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট থানার (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার ঘটনা গণমাধ্যমকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম আব্দুর রশীদ। তিনি বিরামপুর থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল চিকিৎসক শাহরিয়ার পারভেজ গণমাধ্যমকে জানান, আহত পুলিশ কর্মকর্তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে তাকে বিষধর কোনো সাপ কামড় দেয়নি।

আহত এসআই আব্দুর রশিদ গণমাধ্যমে বলেন, সকালে উপজেলার দিওড় বটতলি এলাকায় একটি সড়ক দুর্ঘটনার খবর জানতে পারি। দ্রুত সেখানে গিয়ে চেয়ারে বসে আহত ড্রাইভার ও হেলপারের নাম ঠিকানা লিখছিলাম। এ সময় চেয়ার বেয়ে একটি সাপ উঠে ডান হাতের আঙুলে কামড় দেয়। সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যরা দ্রুত বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। সেখানে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে ভালো আছি।

Advertisement

এএম/

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত