Connect with us

খুলনা

ফকিরের দরবার শরীফে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

Published

on

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কল্যাণপুর দরবার শরীফে মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত ওই যুবকের নাম রাশেদ (২৮)। নিহত রাশেদ হরিনগাছী গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

রোববার দুপুরে কল্যাণপুর দরবার শরীফের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বাবা সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

নিহত রাশেদের বাবা আব্দুর রাজ্জাক জানান, রাশেদ ৫-৬ মাস ধরে কল্যাণপুর দরবার শরীফের মুরিদ হিসেবে ওই দরবার শরীফেই থাকত। রোববার সকালে দরবারের লোকজন তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে রেখে দরবার শরীফের লোকজন পালিয়ে যায়।

দৌলতপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিরুল ইসলাম জানান, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লা্শ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে থানায় নেয়া হয়েছে।

Advertisement

মুনিয়া

আবহাওয়া

খুলনার কয়রায় বাঁধ ভেঙে ২০ গ্রাম প্লাবিত

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে প্রবল জোয়ারের চাপে বাঁধ ভেঙে খুলনার কয়রায় ২০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। রাতে তিনটি স্থানে বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে এসব গ্রাম তলিয়ে গেছে ।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, রোববার (২৬ মে) রাতে জোয়ারের তীব্র চাপে মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের সিংহেরকোণা, মহারাজপুর ইউনিয়নের দশহালিয়া ও দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেলাল গাজীর বাড়ির সামনের বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে ভেসে গেছে শতাধিক চিংড়ির ঘের, ধসে গেছে কয়েকশ কাঁচা ঘরবাড়ি ও দোকানপাট, ভেঙেছে গাছপালা।

স্থানীয়রা জানান, বাঁধের দুর্বল অংশের ওই ৩টি স্থানে প্রায় ১৫০ মিটার ভেঙে নদীর নোনা পানিতে প্লাবিত হয়েছে এলাকা। এছাড়া বাঁধের নিচু কয়েকটি জায়গা ছাপিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এসব জায়গায় এলাকার মানুষ রাতভর মেরামত কাজ চালিয়েছে।

মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, রোববার রাতে জোয়ারের চাপে ইউনিয়নের দশহালিয়া এলাকায় প্রায় ৫০ মিটার বাঁধ ভেঙে কপোতাক্ষ নদের পানি ঢুকে পড়েছে। এতে কয়েকটি গ্রাম ও কয়েকশ চিংড়ির ঘের তলিয়ে গেছে।

মহেশ্বরীপুরের ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারি বলেন, ইউনিয়নের সিংহেরকোণা এলাকায় বাঁধ ভেঙে গেছে। এছাড়া নয়ানি এলাকায় বাঁধ উপচে সারারাত পানি ঢুকেছে। এতে অন্তত ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডব ও ভারী বৃষ্টিতে কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে শতাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement

দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল জানান, তার ইউনিয়নের মাটিয়াভাঙ্গা এলাকায় রাতের জোয়ারে বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। এতে ৫-৭টি গ্রামে নদীর পানি ঢুকেছে। এছাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন জায়গায় নিচু বাঁধ ছাপিয়ে পানি প্রবেশ করেছে।

পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড়ের সতর্ক সংকেত পাওয়ার পর থেকে স্থানীয় মানুষ ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করা হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বেড়ে যাওয়ায় কয়েকটি স্থানে বাঁধ সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার (২৭ মে) দুপুরে জোয়ারের আগে তা মেরামতের চেষ্টা চলছে।

কয়রার ইউএনও এবিএম তারিক উজ জামান বলেন, কয়েকটি স্থানে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। এছাড়া ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার তাণ্ডবে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জেনেছি।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আবহাওয়া

খুলনার দাকোপে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে পানি

Published

on

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে খুলনার দাকোপ উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে পানি। রোববার (২৬ মে) দিনগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার শিবসা ও ঢাকী নদীর বাঁধ ভেঙে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের কামিনীবাসিয়া গ্রামের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা তলিয়ে যায়।

তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ক্ষিতীশ গোলদার বলেন, একই এলাকায় পাঁচটি পয়েন্ট ভেঙে এখন পানি ঢুকছে। কামিনীবাসিয়া গ্রামের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় পুরোটা লোনাপানি ঢুকে তলিয়ে গেছে। এলাকাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩১ নম্বর পোল্ডারের আওতাভুক্ত।

তিনি আরও বলেন, এত উঁচু জোয়ার আগে তিনি দেখেননি। ঢাকি ও শিবসা নদীর মোহনায় কামিনীবাসিয়া পুরাতন পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন ওই এলাকায় বেড়িবাঁধের অংশ খুব বেশি দুর্বল ছিল না। তবে বেশ কিছুটা নিচু হওয়ায় উচ্চ জোয়ারের চাপে পানি বেড়িবাঁধ ছাপিয়ে ভেতরে ঢোকে। এরপর বেড়িবাঁধের পাঁচটি পয়েন্ট ভেঙে যায়।

ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে খুলনা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা আমিনুল আজাদ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় বর্তমানে কয়রা উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থান করছে। তবে ঘণ্টা খানেকের মধ্যে দুর্বল হয়ে পড়বে। আজ সারাদিন গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

খুলনা

আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে বৃদ্ধের মৃত্যু

Published

on

ফাইল ছবি

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। নদ-নদীর পানি ৫ থেকে ৭ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালী আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শওকাত মোড়ল (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) গাবুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জি.এম মাসুদুল আলম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের পুত্রবধূ জানান, সন্ধ্যার দিকে তার শ্বশুর ও শাশুড়িকে নিয়ে নাপিতখালী আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে রাস্তায় পড়ে গিয়ে তাঁর শ্বশুর মৃত্যুবরণ করেন।

এদিকে দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান বলেন, সবাই এখনো আতঙ্কের মধ্যে আছে। আতঙ্ক কাটেনি, সামনে আতঙ্ক বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা আছে। ঘূর্ণিঝড় অতিক্রম করার পরও সারা দেশে প্রবল বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। এটাও একটি দুর্যোগের মধ্যে পড়ে। এর ফলে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। এসব দুর্যোগকে লক্ষ্য করে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডসহ  সবাই একসঙ্গে কাজ করছে।‌

দুর্যোগ পরবর্তী সময়ে মানুষের প্রয়োজনে ইতোমধ্যে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়েছে।

Advertisement

আই/এ

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত

Exit mobile version