লাইফস্টাইল
কর্নফ্লাওয়ারের আছে আরও অনেক গুণ!
পাকোড়া মুচমুচে করতেই হোক বা রান্নার গ্রেভি ঘন করতে, কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে রান্নাঘরের অনেক সমস্যার সমাধান হয়। শুধু রান্নায় নয়, রান্নাঘরের এই উপকরণটি কিন্তু আরও অনেক কাজেই ব্যবহার করা যেতে পারে। রান্না ছাড়া কর্নফ্লাওয়ার আর কোন কোন কাজে লাগতে পারে রইল তারই হদিস-
ঘরের জানালার কাচ ময়লা হয়েছে? ময়লা কাচে খানিকটা কর্নফ্লাওয়ার লাগিয়ে নিন। তার পরে ভেজা কাপড় দিয়ে ভাল করে মুছে নিন। কাচ পরিষ্কার হয়ে যাবে।
গয়নার হার বা দড়িতে গিঁট লেগে গিয়েছে, সেটা ছাড়াতে পারছেন না? গিঁট লাগা গয়নাকে কর্নফ্লাওয়ার আর পানির মিশ্রণে চুবিয়ে রেখে দিন খানিক ক্ষণ। এবার সেই গিঁট খোলার চেষ্টা করুন। অতি সহজে খুলে যাবে গয়নার গিঁট।
চুলের জট ছাড়াতে অনেক সময় নাজেহাল হতে হয়। যেখানে জট পড়েছে, সেখানে খানিকটা কর্নফ্লাওয়ার লাগিয়ে মোটা দাড়ের চিরুনী দিয়ে ভাল করে আছড়ে নিন। শ্যাম্পু করারও দরকার পড়বে না, জট খুলে যাবে।
পোকা কামড়েছে? বা রোদে বেরিয়ে ত্বক জ্বালা করছে? কর্নফ্লাওয়ারের সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে সেই জায়গায় লাগিয়ে নিন। প্রদাহ কমবে।
নতুন জুতো পরলে পায়ে ফোস্কা পড়বেই। সে ক্ষেত্রেও কাজে আসতে পারে কর্নফ্লাওয়ারের মিশ্রণ। সেটি ফোস্কার উপরে লাগিয়ে নিন। তারপরে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। দ্রুত ভালো হয়ে যাবে ফোস্কা।
লাইফস্টাইল
তালশাঁসের যত গুণ
গরম পড়তেই বাজারে শুরু হয়েছে তালশাঁসের আনাগোনা। পাড়ার মোড়ে, রাস্তায় ধারে যে ফল বিক্রেতারা বসে থাকেন, তাদের ঝুড়িতে এখন তালশাঁসের দেখা মিলবেই। পেকে যাওয়ার আগে পর্যন্ত তালশাঁসের দানা বা বীজটি খাওয়ার মতো অবস্থায় থাকে। নরম, শাঁসযুক্ত এবং সুমিষ্ট এই ফলটি খেলে শরীরও ঠান্ডা হয়। ভিটামিন সি, কে, ই, আয়রন, কার্বোহাড্রেট, ক্যালশিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে এই ফলে।
চলুন জেনে নেয়া যাক ভিটামিন বা খনিজের ঘাটতি পূরণ করার পাশাপাশি আর কী উপকার হয় এই ফল খেলে-
শসা, তরমুজের মতোই তালশাঁস খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে এই ফল। শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতেও তাল শাঁস খাওয়া যায়।
ক্যালশিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, আয়রন এবং বিভিন্ন রকম ভিটামিন রয়েছে তালশাঁসে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে এই ফল।
তালশাঁসের মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। তাই হজম সংক্রান্ত সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে এই ফল। পেটফাঁপা, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি বমি ভাব কাটাতেও তালশাঁস খাওয়া যায়।
অন্তঃসত্ত্বা এবং স্তন্যদায়ীদের জন্য এই ফল বেশ কাজের। তালশাঁসের মধ্যে নানা রকম ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে। হবু কিংবা নতুন মায়েদের হাড়ের জোর বাড়িয়ে তুলতে এবং শরীরে নানা রকম পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে তালশাঁস।
গরমে, রোদে বেরোলেই মুখে অ্যালার্জি হয়, মুখ জ্বালা করে? তালশাঁস কুরে বা মিক্সিতে বেটে মুখে মেখে রাখুন। ত্বকের প্রদাহ নিরাময়ে ঘরোয়া উপাদান হিসাবে তালশাঁস দারুণ কাজের।
লাইফস্টাইল
সম্পর্কের উষ্ণতা ফেরাতে বদলে ফেলুন কিছু অভ্যাস
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এক এক সময়ে ক্লান্তির ছাপ পড়ে দীর্ঘ দিনের সম্পর্কেও। একে অপরের প্রতি উত্তেজনা, আবেগে মরচে পড়তে শুরু করে। তখন সম্পর্কে উদাসীনতা আসে, ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়, প্রেম যেন কোথাও হারিয়ে যায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একে অপরের প্রতি অহংবোধ তৈরি হওয়া, আকর্ষণ কমে যাওয়া- এই সব সমস্যার সঙ্গেই চোরাপথে হাজির হয় অশান্তি। মতের অমিল থেকে ছোটখাটো কথাতেও যেন জোর করে অশান্তি ডেকে আনা।
যতই ভিতরে ভিতরে ভালবাসা থাক, প্রকাশের অভাবটাই তখন মুখ্য হয়ে ওঠে। সম্পর্কের উষ্ণতার আঁচ আর টের পাওয়া যায় না তখন। তবে এই পরিস্থিতি থেকে কিন্তু সম্পর্ককে টেনে আনতেই হবে। দীর্ঘ দিনের সম্পর্কে ভাল আছেন, এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। ভাল থাকতে হলে কিছু কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে আপনাকেও। অশান্তি এড়াতে ও আগের মতো সম্পর্কে উষ্ণতা ফেরাতে মেনে চলুন কিছু বিষয়-
সময়
এখন আমরা সঙ্গীর থেকে ফোনের সঙ্গে বেশি সময় কাটাই। অফিস থেকে বাড়ি ফিরেও হাতে সেই ফোন! সম্পর্ক ভাঙার অন্যতম কারণ কিন্তু একে অপরকে সময় না দেয়া। দৈনন্দিন নানা সূক্ষ্ম বিষয় একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেয়া, একে-অপরের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেয়া— এ সবের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সঙ্গীকে চেনার চাবিকাঠি। তাই দিনের একটা সময় সঙ্গীর জন্য বরাদ্দ রাখুন, আর ফোনটাকে সেই সময় সাইলেন্ট মোডে রাখুন।
রোম্যান্স
একে অপরের মনে কী চলছে, তা জানা ভীষণ জরুরি। সঙ্গীর মন ভাল করার পথটাও কিন্তু আপনাকেই খুঁজে বার করতে হবে। ভালবাসা থাকলেই হল না। কখনও কখনও ভালবাসা দেখাতেও হবে। সঙ্গীকে ছোটখোটো সারপ্রাইজ দেয়া, সঙ্গীর প্রশংসা করা, মাঝেমধ্যেই দু’জনে কোথাও বেরিয়ে পড়া— জীবনে এই ছোট ছোট বদলগুলি এনেই দেখুন না!
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
সম্পর্ক মানেই তো সঙ্গীর সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে থাকা। তবে অনেক সময়েই আমরা সঙ্গীকে ধন্যবাদ জানাই না। প্রিয়জনকে কথায় কথায় ধন্যবাদ জানানোর দরকার নেই। তবে মাঝেমধ্যে এই শব্দটি সামনের মানুষটির মন ভাল করে দিতে পারে। আপনি যে তার প্রতি কৃতজ্ঞ, সেটা কখনও কখনও ভাষায় প্রকাশ করা জরুরি।
মিলেমিশে কাজ
একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ খুঁজে নিন। বাড়ির কাজ মিলেমিশে করতে পারেন। দেখবেন সম্পর্কের জটিলতা অনেকটাই কেটেছে। শুধু বাড়ির কাজ নয়, একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য একসঙ্গে শরীরচর্চা করতে পারেন। সেই সময় না হলে রাতে খানিকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। একে অপরের যত কাছাকাছি থাকবেন, ভুল বোঝাবুঝি ততই কমবে।
পুরনো বিবাদ ভুলে যাওয়া
পুরনো কোনও সমস্যা বা বিবাদকে ঝগড়ার মাঝে টেনে আনবেন না। একসঙ্গে থাকতে গেলে কথা কাটাকাটি হবেই। কিন্তু সেই জের সঙ্গে নিয়ে রাতে বিছানায় যাবেন না। যাকে ভালবাসছেন, তার ছোটখাটো ভুল ক্ষমা করে দিন। বার বার অতীতের বিবাদের প্রসঙ্গ টেনে আনলে কখনই সুখী হবে না দাম্পত্য জীবন।
এসি//
লাইফস্টাইল
শরীর হিমশীতল রাখতে ৫ মশলার বাজিমাত
গ্রীষ্মের সময় খাবারে তেল মশলা এড়িয়ে চলা উচিত। বেশিরভাগ মানুষই তেমনটাই বিশ্বাস করেন। তবে জানেন কী, রান্নাঘরের বেশ কয়েকটি মশলাই হয়ে উঠতে পারে গরমের বিরুদ্ধে অস্ত্র। প্রতিটি রান্নাঘরে পাওয়া এই সাধারণ মশলাগুলি শরীরের একাধিক উপকারের পাশপাশি শরীরে ঠান্ডা রাখে।
ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা প্রায় প্রত্যেকেরই। প্রচণ্ড গরমে শরীরে দেখা দিচ্ছে একাধিক রোগের প্রকোপ। ফলে এই সময় শরীর ঠান্ডা রাখা অত্যন্ত জরুরী। শরীর ঠান্ডা রাখতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি মশলায়।
জিরা
জিরা প্রায় প্রতিটি বাড়ির রান্নাঘরেই থাকে। রান্নার অপরিহার্য এই মশলা শরীরের জন্যেই অত্যন্ত উপকারী। শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি শরীরে মেটাবলিজম বাড়ায়।
মৌরি
গরমের মৌসুমে মৌরি খুবই উপকারী। মৌরির একটি শীতল প্রভাব আছে। শরীর ঠান্ডা রাখার পাশাপাশি এটি শরীরকে হিট স্ট্রোক থেকে রক্ষা করে। ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাসিয়ামের মতো উপাদানও মৌরিতে পাওয়া যায়।
ধনে
একাধিক গুণে সমৃদ্ধ ধনেও। এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে অত্যন্ত উপকারী। পাশাপাশি, ব্রিটিশ জার্নাল অফ নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে এটি শরীরকে ডি-হাইড্রেশন থেকেও রক্ষা করে। ধনে বীজের নির্যাসটিতে এমন কিছু যৌগ রয়েছে যা অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক। এটি শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
এলাচ
শরীর ঠান্ডা রাখতে এলাচেরও জুড়ি মেলা ভার। শরীরকে ডিটক্সিফাইও করে এলাচ। এলাচের আরও অনেক গুণ রয়েছে। এটি শরীরের রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। হজমশক্তি ভাল রাখতেও সাহায্য করে।
পুদিনা
পুদিনা শুধুমাত্র মশলা হিসেবেই নয়, আরও অনেক কাজে ব্যবহার করা হয়। এটি গরমে খাওয়া খুবই ভাল। কারণ পুদিনা শরীরকে ঠান্ডা রাখে।
-
বলিউড6 days ago
জরায়ুতে কত বড় টিউমার ধরা পড়েছে জানালেন রাখি
-
বলিউড5 days ago
অর্থাভাবে চড়া দামে ফ্ল্যাট ভাড়া দিলেন মালাইকা অরোরা
-
আইন-বিচার7 days ago
ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস এসএমসি প্লাসকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা
-
ঢাকা5 days ago
এ যেনো আরেক ছুটির ঘণ্টা!
-
জাতীয়3 days ago
রামপুরার সড়ক ছেড়েছে রিকশাচালকরা
-
অপরাধ4 days ago
ক্লাসে শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল-ঘুষি মারল ছাত্র
-
আন্তর্জাতিক5 days ago
দুই বোনকে গলা টিপে মেরে ফেললো কিশোরী, কারণ জানলে অবাক হবেন
-
ঢাকা2 days ago
নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন