বাংলাদেশ
আরও ১৯ জোড়া ট্রেন চালু হচ্ছে, কিন্তু কবে থেকে
করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আরও ৯ জোড়া আন্তঃনগর এবং ১০ জোড়া মেইল এক্সপ্রেস ও কমিউটার ট্রেন পরিচালনা করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। বুধবার (০৯ জুন) থেকে এসব ট্রেন চলাচল করবে বলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লকডাউনের কারণে গত ৫ এপ্রিল সব যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ২৪ মে থেকে আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ২৮ জোড়া আন্তঃনগর এবং ৯ জোড়া মেইল ও লোকাল ট্রেন চলছে। বর্তমানে আন্তঃনগর ট্রেনের সব টিকিট অনলাইন ও অ্যাপে বিক্রি হচ্ছে।
৯ জুন থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ-তারাকান্দা রুটের ‘অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেটের ‘জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-সিলেটের -পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করবে।
এছাড়া রাজশাহী-চিলাহাটির ‘বরেন্দ্র এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটির ‘সীমান্ত এক্সপ্রেস, ঢাকা-কুড়িগ্রামের ‘কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস', পঞ্চগড়-ঢাকার পঞ্চগড় এক্সপ্রেস এবং পঞ্চগড়-রাজশাহীর বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস চলবে।
ঢাকা/চট্টগ্রাম মেইল, সুরমা মেইল, তিতাস কমিউটার, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, মহুয়া কমিউটার, রাজবাড়ী এক্সপ্রেস, বিরল কমিউটার, বগুড়া কমিউটার এবং বোনারপাড়া-শান্তাহার কলেজ ট্রেন মোট ১০টি মেইল ও কমিউটার ট্রেনের চলাচল পুনরায় শুরু হচ্ছে ৯ জুন থেকে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে ট্রেনের সব টিকেট অনলাইনে টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। তবে মঙ্গলবার (৮ জুন) থেকে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে। তবে ট্রেনের আসনসংখ্যার অর্ধেক ফাঁকা রাখার সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
জাতীয়
সকল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল
দুর্যোগ মোকাবিলা এবং দুর্গত মানুষের পাশে থাকার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বললেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান।
রোববার (২৬ মে) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিন্ত্রী বলেন, ৮ লাখের বেশি মানুষ ইতোমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছেন। বাকিদের আসার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলে আপাতত স্কুল খোলা থাকবে তবে ক্লাস বন্ধ থাকবে। এছাড়া আজ সন্ধ্যা থেকে সোমবার (২৭ মে) সকাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু টানেলও বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন তিনি।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ৯ নম্বর মহাপবিদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তি-১০ এ বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৯.৫০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.৪০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এটি আজ (২৬ মে) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩০ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৯৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড়টি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আজ রোববার সন্ধ্যা/মধ্যরাত নাগাদ মোংলার কাছ দিয়ে সাগর আইল্যান্ড (পশ্চিমবঙ্গ) খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের প্রভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে।
কেএস/
জাতীয়
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: শাহ আমানতে বিমান ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা
ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (২৬ মে) দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ ঘোষণা বহাল থাকবে। পরিস্থিতির অবনতি হলে এ সময় আরও বাড়ানো হতে পারে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ ।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি কমাতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ৮ ঘণ্টা বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিমানবন্দরের সম্পদ এবং মানুষের নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, কলকাতা ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দরের অপারেশনাল কাজ পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার (২৬ মে) সকাল ৯টায় আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত ঘোষণার পর চট্টগ্রাম বন্দরে অ্যালার্ট-৪ জারি করা হয়েছে। এর আগে রাতে অ্যালার্ট-৩ জারির পর জোয়ারে সময় জেটিতে থাকা সব জাহাজ বের করে দেয়া হয়।
খুলনা
মোংলায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলারডুবি
বাগেরহাটের মোংলা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে।
আজ রোববার (২৬ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে মোংলা ইপিজেড ছুটি শেষে মোংলা বাস স্যান্ড ঘাট থেকে মোংলার মামার ঘাটে আসার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মোংলা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিশাত তামান্না এ ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
নিশাত তামান্না বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী তোলার কারণে একটি ট্রলার ডুবে গেছে। এটিতে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী ছিল বলে শুনেছি। ট্রলার দুর্ঘটনার পর থেকেই খোঁজখবর রাখছি। যাত্রী নিখোঁজ আছে কিনা, সে বিষয়ে পৌরসভার সিসি ক্যামেরায় দেখা হচ্ছে এবং নৌপুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্টগার্ডের ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি চালাচ্ছে।
তবে কত জন নিখোঁজ রয়েছেন তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানাতে পারছে না প্রশাসন।
জেএইচ
- অপরাধ3 days ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
- জাতীয়6 days ago
রামপুরার সড়ক ছেড়েছে রিকশাচালকরা
- আইন-বিচার7 days ago
এবার “রিচার্জ” এনার্জি ড্রিংকসকে বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ
- অপরাধ7 days ago
ক্লাসে শিক্ষকের ঘাড় ধরে কিল-ঘুষি মারল ছাত্র
- বাংলাদেশ3 days ago
এমপি আজিম হত্যা: ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
- টুকিটাকি3 days ago
কাউন্সিলিংয়ের নামে ছাত্রকে ৩০ বার ধর্ষণ
- ঢাকা5 days ago
নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
- অপরাধ3 days ago
এমপি আজীম হত্যা: মূল মাস্টারমাইন্ড কে এই শাহীন