অর্থনীতি
গার্মেন্টর্সের অর্ডার কমেছে ৩০ শতাংশ: এফবিসিসিআই
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2022/11/News-Image-13-5.jpg)
আমাদের ডলার সংকট এবং আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। গার্মেন্টস সেক্টরে আমাদের ৩০ শতাংশ অর্ডার কমে গেছে। এ ক্ষেত্রে একটা শঙ্কা আমাদের সামনে আসছে। বললেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
গেলো বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ফায়ার, সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এক্সপো-২০২২ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের ডলার সংকট এবং আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। এগুলো সমাধানে সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। সারা পৃথিবীতেই মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। আমেরিকা, ইউকে এবং ইউরোপেও মূল্যস্ফীতি বেশি। আমাদের মূল ক্রেতা যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো। ওখানে মূল্যস্ফীতি হলে এর একটা প্রভাব আমাদের এখানে আসবেই। এটা প্রকৃত পক্ষে আমাদের একার সমস্যা না। এটা সারা পৃথিবীরই সমস্যা। সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের বিজনেস বাড়াতে হবে। সামনে আমরা এনডিসি গ্রাজুয়েশনে যাচ্ছি। এটি একটি চ্যালেঞ্জ, তবে এটি একটি সুযোগও। আমি মনে করি এটা আমাদের জন্য গর্বের। এ ক্ষেত্রে টেক্সটাইলের উপর একটা বড় বিনিয়োগ দরকার। উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমাদের এখন ভ্যালু অ্যাডেট আইটেমের দিকে যেতে হবে। যে আইটেমগুলো আমাদের ইম্পোর্ট করতে হয় সেগুলো যদি আমরা কিছুটা প্রডাকশন করি তাহলে আমাদের ডলারের যে সংকট হয়েছে সেটা মিনিমাইজ করা যাবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমাদের দুটি সোর্স রয়েছে এক্সপোর্ট এবং হিউম্যান রিসোর্স। হিউম্যান রিসোর্সের ক্ষেত্রে আমাদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। বাংলাদেশে ফ্রিজ উৎপাদন হবে এটা কেউ কল্পনাও করেনি। এখন বাংলাদেশ থেকে টিভি রপ্তানি হচ্ছে। অগ্নিনির্বাপণ খাতের সম্ভাবনাও কাজে লাগাতে হবে।
অর্থনীতি
করলা-বেগুনের সেঞ্চুরি, ঝাল কমেছে কাঁচা মরিচের
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/02/কাঁচা-বাজার.jpg)
বৃষ্টি ও সবজির মৌসুম শেষ হওয়ার অজুহাতে বেড়েছে সব ধরণের সবজির দাম। করলা ও বেগুন কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। তবে গেল সপ্তাহে খুচরা পর্যায়ে ৪০০ টাকার কাঁচা মরিচের দাম এ সপ্তাহ এসেছে কমেছে।
শুক্রবার (২৮ জুন) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির দামের এমন চিত্র দেখতে পায় গণমাধ্যম।
বাজারে প্রতি কেজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ২৪০ টাকা, প্রতি কেজি কচু বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, কাঁকরোল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ১০০ টাকা, জালি প্রতি পিস ৪০ টাকা, ধুন্দল প্রতি কেজি ৬০ টাকা, বরবটি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, ঢেঁড়স প্রতি কেজি ৫০ টাকা, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ টাকা, পটল প্রতি কেজি ৫০ টাকা, কচুর লতি প্রতি কেজি ৮০ টাকা, কলা প্রতি হালি ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ এবং লাউ প্রতি পিস ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে কোরবানির আগেই বেড়ে যাওয়া কাঁচা মরিচের দাম এবার কমেছে। কোরবানির সময়ে ঢাকায় কাঁচা মরিচের কেজি ৩২০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। কিছুটা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে বাজারভেদে ২৬০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত।
এদিকে রাজধানীর মালিবাগ বাজারে আসা ক্রেতা রহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারে করলা, বেগুন প্রতি কেজি ১০০ টাকা। আর বাকি সবজিগুলোরও বাড়তি দাম। বলতে গেলে ৬০ টাকার নিচে বাজারে কোনো সবজি নেই। এত দাম দিয়ে সবজি কিনে খেতে সাধারণ মানুষের আসলেই সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। বাজারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, যেদিন যখন ইচ্ছে সবজির দাম বেড়ে যাচ্ছে, কিন্তু কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই বাজারে।
বাজারে গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ ব্যবধানে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। খুচরা দোকানে বাছায় করা পেঁয়াজ এখন ১০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে। এগুলো আকারে একটু বড়। সাধারণ মানের পেঁয়াজ ৯৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
পেঁয়াজ বিক্রেতা মেহেদি হাসান জানান, পেঁয়াজের মৌসুম (বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ) যত শেষের দিকে যাচ্ছে, দাম তত বাড়ছে। আগামীতে এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা বলা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে বাজারে বেড়েছে আলুর দামও। গত সপ্তাহে খুচরায় ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ শুক্রবার বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে। তবে দরদাম করলে কোনো কোনো দোকানে ৬০ টাকায় মিলছে।
রামপুরা বাজারের দোকানি শাহাদাত বলেন, ৬০ টাকায় আলু বিক্রি করলে কোনো লাভ থাকে না। কারণ, পাইকারি কেনায় পড়ছে ৫৮ টাকা কেজি দরে।
এদিকে অপরিবর্তিত আছে মুরগি ও গরুর মাংসের বাজার।
এখনো উত্তাপ ছড়াচ্ছে ডিমের দাম। খুচরা পর্যায়ে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকায়।
ভরা মৌসুমে বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও দামে খুব একটা স্বস্তি দেখা যায়নি। ৬০০ থেকে ৭০০ গ্রাম আকারের ইলিশ প্রতি কেজি এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা এবং এক কেজির ইলিশ এক হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আই/এ
অর্থনীতি
আইএমএফের ঋণের তৃতীয় কিস্তি পেলো বাংলাদেশ
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/আইএমএফ.gif)
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেয়া ঋণের তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। ঋণের এ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে যোগ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) ঋণের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।
এ মুখপাত্র জানান, রিজার্ভে আইএমএফ এর ঋণের পাশাপাশি কেরিয়া, আইবিআরডি ও আইডিবি থেকে আরও ৯০০ মিলিয়ন বা ৯০ কোটি ডলার যোগ হয়েছে। এতে আজ মোট রিজার্ভ দাড়িয়েছে ২৬.৫ বিলিয়ন ডলারে।
এর আগে গেলো ২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আইএমএফের পর্ষদ সভায় তৃতীয় কিস্তির ১১৫ কোটি ডলার অনুমোদন হয়। এর মধ্যে এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিটি (ইসিএফ) ও এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটির (ইএফএফ) ৯২ কোটি ৮০ লাখ ডলার এবং রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি ফ্যাসিলিটির ২২ কোটি ডলার রয়েছে।
আই/এ
অর্থনীতি
ঋণের ৭ম ও ৮ম কিস্তি পরিশোধ করলো পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ
![](https://bayanno.com/wp-content/uploads/2024/06/পদ্মা-সেতুর-ঋণের-৭-ও-৮ম-কিস্তি.jpg)
নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত দেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের জন্য নেয়া ঋণের ৭ম ও ৮ম কিস্তি পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অর্থ বিভাগের কাছে ঋণের ৭ম ও ৮ম কিস্তি বাবদ ৩১৪ কোটি ৬৪ লাখ ৮৬ হাজার ৯৬৩ টাকা পরিশোধের চালান হস্তান্তর করেন।
বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে দেশের সর্ববৃহৎ অবকাঠামো, আমাদের অহংকার, গর্ব, সক্ষমতা ও মর্যাদার প্রতীক পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। নির্মাণ ব্যয়ের প্রায় পুরো অর্থ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দিয়েছে অর্থ বিভাগ।
২০২২ সালের ২৬ জুলাই সরকারের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সংশোধিত ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। ঋণ চুক্তি অনুযায়ী ১৬ শতাংশ সুদসহ ৩৫ বছরে ঋণের টাকা ফেরত দেবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। ঋণ পরিশোধের শিডিউল অনুযায়ী প্রতি অর্থবছরে ৪টি কিস্তি করে সর্বমোট ১৪০টি কিস্তিতে সুদ-আসল পরিশোধ করা হবে।
এছাড়া সেতুর ডিটেইল ডিজাইনের জন্য এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক থেকে ১৫ বছর মেয়াদে ২টি ঋণ চুক্তির আওতায় ২ শতাংশ সুদে মোট ১,৭৪,৫৩,০০০ স্পেশাল ড্রইং রাইটস (এসডিআর) ঋণ নেয়া হয়েছে, যা বছরে ৪টি কিস্তি করে মোট ৬০টি কিস্তিতে সুদ-আসলসহ মোট ২,৮০,৯৯,৩৩০ এসডিআর পরিশোধ করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৫ এপ্রিল ১ম ও ২য় কিস্তি বাবদ মোট ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৫০ টাকা, ১৯ জুন ৩য় ও ৪র্থ কিস্তি বাবদ ৩১৬ কোটি ২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা, ৫ম ও ৬ষ্ঠ কিস্তি বাবদ ৩১৫ কোটি ৭ লাখ ৫৩ হাজার ৪৪২ টাকাসহ মোট ৯৪৮ কোটি ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৫ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে; ৭ম ও ৮ম কিস্তিসহ পরিশোধিত মোট টাকার পরিমাণ ১২৬২ হাজার ৬৬ লাখ ৬ হাজার ৫৪৮ টাকা। এছাড়া, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর হতে জুন ২০২৪ মাস পর্যন্ত ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাবদ পরিশোধিত হয়েছে ২২৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা।
চুক্তি অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে সেতুটির ঋণ পরিশোধ শুরু হয়েছে এবং বাংলাদেশ সরকারের এ ঋণ পরিশোধের জন্য ২০৫৬-৫৭ অর্থবছর পর্যন্ত সময় পাবে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৫ জুন তারিখ পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত সংগৃহীত টোলের পরিমাণ ১৬৫৩ কোটি ৭১ লাখ ৬৫ হাজার ৫৫০ টাকা।
টিআর/
- পর্যটন1 day ago
যে কারণে কক্সবাজারে বন্ধ প্যারাসেইলিং
- ইসলাম14 hours ago
পা ছুঁয়ে সালাম করা কি ইসলামে জায়েজ?
- আবহাওয়া3 days ago
শুক্রবার থেকে টানা ৬ দিন বৃষ্টির সম্ভাবনা
- অপরাধ24 hours ago
যৌতুকলোভী প্রেমিকের কাছে হেরে জীবন বিসর্জন দিলেন প্রেমিকা
- টুকিটাকি2 days ago
লটারিতে ৩৭ কোটি টাকা পেয়ে হার্ট অ্যাটাক, অতপর…
- রংপুর2 days ago
চলন্ত ট্রেনের ছাদে সাপ, আতঙ্কে যাত্রীরা
- জাতীয়2 days ago
আনলকড দরজা, ছুটতে ছুটতে আবার রানওয়েতেই ফিরলো বিমান!
- ক্রিকেট16 hours ago
বিশ্বকাপ ফাইনাল পণ্ড হলে যারা জিতবে শিরোপা
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন