Connect with us

আন্তর্জাতিক

বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত আড়াই লাখ, মৃত্যু আরও ৪ শতাধিক

Avatar of author

Published

on

গেলো ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বব্যাপী করোনায় ৪১২ জন মারা গেছেন। আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমেছে ৮৭ জন। এ সময় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৪৪০ জন; অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় শনাক্ত রোগী কমেছে ৫০ হাজারের বেশি।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) সকালে করোনার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।

এতে বলা হয়, বিশ্বে এখন পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৪ কোটি ৬১ লাখ ৩২ হাজার ৬৭৩ জন। এরমধ্যে মারা গেছে ৬৬ লাখ ৩৬ হাজার ১৮৬ জন।

এদিকে, গেলো ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এ সময় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৮ হাজার ৪৭৬ জন এবং মারা গেছেন ১৪২ জন। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে রাশিয়া। এ সময় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৯১৮ জন এবং মারা গেছেন ৫১ জন।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৯৮ জন এবং মারা গেছেন ৪ জন। দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ হাজার ২৮ জন এবং মারা গেছেন ৩৯ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৭ হাজার ৬৭৫ জন। ইন্দোনেশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ১৫১ জন এবং মারা গেছেন ৩৫ জন। তাইওয়ানে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৩১১ জন এবং মারা গেছেন ২৫ জন। চিলিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৩৪৩ জন এবং মারা গেছেন ২০ জন। ব্রাজিলে মারা গেছেন ১৫ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৬৬৭ জন।

Advertisement

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।

Advertisement
মন্তব্য করতে ক্লিক রুন

মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন

রিপ্লাই দিন

আন্তর্জাতিক

ইরানে নির্বাচন: চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

Published

on

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী- কট্টরপন্থী ও সংস্কারপন্থী দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস মিলেছে।

দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা ভোটগ্রহণ শেষে গভীর রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ভোট গণনার কাজ। ভোট গ্রহণ শেষ হতে সময় বেশি লাগায় ফলাফল ঘোষণা হতেও বিলম্ব হতে পারে।

শনিবার (২৯ জুন) ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে এ তথ্য বলা হয়। এখন পর্যন্ত ভোট গণনায় পাওয়া ফল অনুযায়ী কট্টরপন্থি প্রার্থী সাইদ জালিলি এগিয়ে আছেন। তিনি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মোহসেন এসলামি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে বলেন, এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৩ লাখের বেশি ভোট গণনা হয়েছে। এর মধ্যে জালিলি পেয়েছেন ৪২ লাখ ৬০ হাজার ভোট। সংস্কারপন্থি প্রতিদ্বন্দ্বী ও আইনপ্রণেতা মাসুদ পেজেশকিয়ান প্রায় ৪২ লাখ ৪০ হাজার ভোট পেয়েছেন।

কট্টরপন্থি প্রার্থী ও পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের গালিবাফ পেয়েছেন ১৩ লাখ ৮০ হাজার ভোট। আরেক কট্টরপন্থি মোস্তফা পুরমোহাম্মদি পেয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি ভোট।

Advertisement

এবারের নির্বাচনে জালিলি এবং একমাত্র সংস্কারপন্থী প্রার্থী মাসুদ পেজেশকিয়ানের মধ্যে মূল লড়াই হচ্ছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এপি এক প্রতিবেদনে জানায়, শুক্রবারের নির্বাচনে কোনো প্রার্থীই জয়ের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা তথা প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। ইরানের বার্তা সংস্থা তাসনিমের প্রতিবেদনেও আভাস দেয়া হয়েছে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়াতে পারে।

ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচনের প্রথম ধাপে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ ভোট পেতে হবে। কেউ যদি এই ‘ম্যাজিক ফিগার’ স্পর্শ করতে না পারেন তাহলে নির্বাচন গড়াবে দ্বিতীয় ধাপে। যা রানঅফ নামে পরিচিত। এই রানঅফে লড়বেন নির্বাচনের প্রথম ধাপে সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রার্থীরা। আগামী ৫ জুলাই রানঅফের তারিখ নির্ধারণ করা আছে।

নিয়ম অনুযায়ী, ইরানে আগামী বছরের জুনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ‍নিহত হলে প্রেসিডেন্ট পদটি শূন্য হয়ে পড়ে। ফলে আগাম নির্বাচনের প্রয়োজন পড়ে দেশটিতে।

কেএস/

Advertisement
পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

একসঙ্গে স্বেচ্ছায় মৃত্যু বরণ করলেন দম্পত্তি

Published

on

স্বেচ্ছা-মৃত্যু

পৃথিবীতে অনেক দম্পত্তিই আছেন যারা সহমরণের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রতি নিয়ত প্রার্থণা করেন। কিন্তু ভাগ্য যদি সহায় না হয় তবে এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা খুবই কম। পৃথিবীর বুকে এমন একটি দেশ আছে যেখানে স্বেচ্ছা মৃত্যু একটি বৈধ পন্থা। যদিও ঘটনাটি বিরল। তবে ইদানিং এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছেন অনেক দম্পত্তিই।

ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডসে রয়েছে এই সুযোগ।

দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে একে অপরের সঙ্গে সংসার করেন জ্যান (৭০) এবং ইলস (৭১)। চলতি বছরের জুনের শুরুতে একসঙ্গে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেন এ দম্পত্তি।

কিন্তু কেন তারা মৃত্যুকে বেছে নিলেন, জীবনের শেষ বেলায় গণমাধ্যমকে জানিয়ে গেছেন এ দম্পত্তি। মৃত্যুর তিনদিন আগে তারা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির লিন্ডা প্রেসলির সঙ্গে কথা বলেছেন।

ওই দম্পত্তি জানিয়েছেন, দীর্ঘ পাঁচ দশক দু’জন একসঙ্গে ছিলেন। তারা তাদের সংসার জীবনের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন নৌকায়। আর জীবনের শেষ ভাগে এসে একটি ভ্যানে থাকতেন। কারণ— তাদের ইটপাথরের বাড়িতে থাকতে মন চাইত না। যেহেতু নৌকায় থাকতেন তাই নৌকা দিয়ে পরিবহণের ব্যবসায়ও নেমেছিলেন স্বামী জ্যান।

Advertisement

কিন্তু ভারী কাজ করতে করতে জ্যানের একটা সময় পিঠের ব্যথার সৃষ্টি হয়, যা তাকে পুরো জীবনজুড়ে কষ্ট দিয়েছে। ২০০৩ সালে এই ব্যথার জন্য একটি অস্ত্রোপচারও করেছিলেন তিনি। কিন্তু এতে কাজ হয়নি। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে যাওয়ায় তিনি আর বাঁচতে চাইছিলেন না।

স্বেচ্ছা-মৃত্যু,-নেদারল্যান্ডস

জ্যান জানিয়েছেন, তার অসুস্থতার মধ্যেই ২০২২ সালে তার স্ত্রীর মস্তিস্কের কঠিন অসুখ ‘স্মৃতিভ্রমের’ সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে তার সেরে উঠার কোনও সম্ভাবনা ছিল না।

আর তার স্ত্রী ইলসের স্মৃতিভ্রমের সমস্যা দেখা দেয়ার পরই একসঙ্গে দু’জন মৃত্যুবরণের সিদ্ধান্ত নেন। এ ব্যাপারে নিজেদের একমাত্র ছেলের সঙ্গেও কথা বলেন তারা। এরপর সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে জুনে তারা মৃত্যুবরণ করেন।

বিবিসি জানিয়েছে, স্বেচ্ছা মৃত্যুতে তাদের সহযোগিতা করেন দু’জন চিকিৎসক। মৃত্যুর জন্য তাদের দু’জনকে দেয়া হয় প্রাণনাশী ওষুধ।

জ্যান এবং ইলসের প্রথম দেখা হয় কিন্ডারগার্টেনে। জ্যান একসময় নেদারল্যান্ডসের জাতীয় যুব দলের হয়ে হকি খেলেন। পরে ক্রীড়া প্রশিক্ষকও হন। আর ইলস প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তবে পানি, নৌকা এবং পাল তোলার প্রতি তাদের ভালোবাসা ছিল অনেক।

Advertisement

 

এসি//

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

আন্তর্জাতিক

গঙ্গা চুক্তি নিয়ে মমতার অভিযোগ ভিত্তিহীন: ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

Published

on

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গা চুক্তি নবায়নের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শুক্রবার (২৮ জুন) মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল জানান, মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ সারবত্তাহীন।

সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে গঙ্গা চুক্তির নবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়। ৩০ বছরের ওই চুক্তির মেয়াদ  শেষ হচ্ছে ২০২৬ সালে। চুক্তি নবায়নের বিষয়টি বিবেচনা করতে দুই দেশের মধ্যে কারিগরি একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তবে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের বৈঠকের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, এ বিষয়ে তাকে (মমতা) অন্ধকারে রাখা হয়েছে। কেন্দ্র একতরফা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। অথচ নদী ও নদীর পানি রাজ্য সরকারের এখতিয়ারে পড়ে। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছেন বলেও জানান।

আজ সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়ালকে। জবাবে তিনি বলেন, সরকারি তথ্য ও মুখ্যমন্ত্রীর তোলা অভিযোগের মধ্যে মিল নেই। গঙ্গা চুক্তি নবায়নের বিষয়টির আন্তর্জাতিক পর্যালোচনা হবে। সে জন্য একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি হয়েছে। সেই কমিটির প্রতিটি বৈঠকে চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সবাই যোগ দিয়েছেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিও বৈঠকে ছিলেন।

Advertisement

জয়সোয়াল জানান, চলতি বছরের ৫ এপ্রিল বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কী পরিমাণ শিল্প ও পানীয় জলের প্রয়োজন সে কথা জানানো হয়। অভ্যন্তরীণ কমিটি ইতিমধ্যেই তাদের প্রতিবেদন পেশ করেছে। আপাতত সেই প্রতিবেদন বিবেচনাধীন রয়েছে।

পুরো পরতিবেদনটি পড়ুন

সর্বাধিক পঠিত