ফুটবল
ডি মারিয়াকে নিয়েই ফাইনালের একাদশ সাজালেন আর্জেন্টিনা কোচ
নকআউট পর্বে এসে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াকে প্রায়ই সাইড লাইনে বসিয়ে রেখেছিলেন কোচ লিওনেল স্কালোনি। মূলত ইনজুরি শঙ্কা থেকেই ডি মারিয়াকে মাঠে নামাতে পারেননি।
আবার ডি মারিয়া হচ্ছেন এমন এক খেলোয়াড়, যিনি কঠিন যে কোনো মুহূর্তে গোল আদায় করে নিতে পারেন। অতীতেও বেশ কয়েকবার প্রমাণ হয়েছে এটা। গেলো বছর কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে ডি মারিয়ার গোলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো আর্জেন্টিনা। বলা হয়ে থাকে, ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে যদি তিনি খেলতে পারতেন, তাহলে চ্যাম্পিয়ন হতো মেসিরাই।
সেই ডি মারিয়া ফাইনালের ঠিক আগ মুহূর্তে ঘোষণা দিয়েছেন, আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে এটাই তার শেষ ম্যাচ। সুতরাং, কোচ লিওনেল স্কালোনি ফাইনালকে সামনে রেখে সর্বোচ্চ ঝুঁকিটা নিতে সাহস পেলেন। ঝুঁকি নেয়ার জন্য তো এর চেয়ে আর ভালো কোনো মুহূর্ত হয় না। ডি মারিয়াকে তাই একেবারে শুরুর একাদশেই রাখলেন বিশ্বকাপের ফাইনালে।
আর কিছুক্ষণ পরই শিরোপা লড়াইয়ে ফ্রান্সের বিপক্ষে মাঠে নামছে আর্জেন্টিনা। সেমিফাইনালের একাদশ থেকে ফাইনালের একাদশে একটি পরিবর্তনই এনেছে আর্জেন্টিনা কোচও। লিয়ান্দ্রো পেরেদেসের পরিবর্তে নামছেন ডি মারিয়া। নিকোলাস তালিয়াফিকোর পরিবর্তে মাঠে নামার কথা ছিলো মার্কোস আকুনার; কিন্তু ফিটনেস সমস্যার কারণে শেষ মুহূর্তে আকুনা আর মাঠে নামতে পারছেন না, নামছেন তালিয়াফিকোই।
আর্জেন্টিনাও খেলতে নামছে ৪-৩-৩ ফরমেশন নিয়ে। অর্থ্যা, আক্রমণে মেসি, আলভারেজের সঙ্গে ডি মারিয়া। মিডফিল্ডে রদ্রিগো ডি পল, ম্যাক অ্যালিস্টার এবং এনজো ফার্নান্দেজ। ডিফেন্সে নাহুয়েল মোলিনা, নিকোলাস ওতামেন্দি, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো এবং নিকোলাস তালিয়াফিকো। পোস্টের নিচে রয়েছেন হিমালয় সমান- এমিলিয়ানো মার্টিনেজ।
টিমে আছে, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, নাহুয়েল মোলিনা, নিকোলাস ওতামেন্দি, ক্রিশ্চিয়ান রোমেরো, নিকোলাস তালিয়াফিকো, রদ্রিগো ডি পল, ম্যাক অ্যালিস্টার, এনজো ফার্নান্দেজ, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, লিওনেল মেসি, হুলিয়ান আলভারেজ।
ফুটবল
দীর্ঘ বছর পর জার্মান কাপ জিতলো লেভারকুসেন
বায়ার লেভারকুসেন তো চলতি মৌসুমে নানাভাবেই অবাক করে চলেছে। এবার জার্মান কাপের শিরোপা জিতলো দলটি। জাবি আলোনসোর অধীনে নিজেদের অপ্রতিরোধ্য করে তুলেছে তারা। বুন্দেসলিগায় অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র একটি ম্যাচ তারা পরাজিত হয়েছে এই মৌসুমে। যেটি আটালান্টার বিপক্ষে ইউরোপা লিগের ফাইনাল। জার্মান কাপের ফাইনালে শনিবার রাতে ১-০ গোলে কাইজারস্লাটার্নকে হারিয়েছে তারা।
ম্যাচ শুরু হওয়ার পর দ্রুতই এগিয়ে যায় লেভারকুসেন। যখন ১৭ মিনিটের খেলা চলছে বক্সের বাইরে থেকে গ্রানিত জাকার এক দারুণ শটে এগিয়ে যায় আলোনসোর দল। এরপর আর কোনো গোল আসেনি কোনো দলের পক্ষ থেকে। যদিও প্রথমার্ধে দুইটি হলুদ কার্ড খেয়ে বসেন লেভারকুসেন ডিফেন্ডার ওদিলন কোসসুনু। ফলে লাল কার্ড খেয়ে মাঠের বাইরে যেতে হয় তাকে।
বিপদ শুধু সেই একটিই ছিল লেভারকুসেনের জন্য। দ্বিতীয়ার্ধের পুরো সময়টুকু ১০ জন নিয়ে খেলতে হয়েছে তাদের। যদিও আর কোনো অসুবিধায় পড়তে হয়নি দলটির। শিরোপা নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছে।
এর আগে ১৯৯৩ সালে জার্মান কাপ জিতেছিল লেভারকুসেন। ফলে আবারও ৩১ বছর পর এই শিরোপা জিতলো তারা। আলোনসোর অধীনে বুন্দেসলিগার পর জার্মান কাপ জয় করলো লেভারকুসেন। সময়টা কত ভালো যাচ্ছে দলটির জন্য, তা তাদের খেলোয়াড় ও কোচ সবাই জেনে থাকবে নিশ্চিতভাবেই।
এম/এইচ
ফুটবল
ফ্রেঞ্চ কাপের শিরোপা নিয়ে বিদায় নিলেন এমবাপ্পে
মাথা উঁচু করেই প্যারিস সেন্ট জার্মেই থেকে বিদায় বললেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। শনিবার রাতে লিওঁ এর বিপক্ষে দলটি জিতেছে ফ্রেঞ্চ কাপের শিরোপা। এমবাপ্পের জন্য পিএসজির হয়ে শেষ ম্যাচ ছিল এটি। এই ফ্রান্স খেলোয়াড় অবশ্য জানাননি, কোথায় যাচ্ছেন তিনি পরের মৌসুমে। ফাইনাল ম্যাচে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে পিএসজি।
ফ্রেঞ্চ কাপে ১৫তম বারের মতো শিরোপা উঠল পিএসজির ঝুলিতে। ক্লাবটির কোচ লুইস এনরিকে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপার স্বাদ পেলেন। এর আগে লিগ ওয়ান জিতেছেন কিছুদিন আগেই। পিএসজি নিজেদের গোল দু’টি দিয়েছে প্রথমার্ধেই। প্রথম গোলটি আসে ২২ মিনিটের মাথায়, দ্বিতীয় গোলটি ৩৪ মিনিটের মাথায়। যথাক্রমে ওসমান ডেম্বেলে ও ফাবিয়ান রুইজের পা থেকে।
লিওঁ অবশ্য বিরতির পর বেশ লড়াই করে। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর কিছু বাদেই জেইক ও’ব্রায়েন এর গোলে ব্যবধান কমায় দলটি। পরিস্থিতি এমন ছিল যে লিওঁ বেশ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর কোনো বিপদ ছাড়াই ম্যাচটি শেষ হয়। শিরোপা ওঠে পিএসজির কাঁধে।
The last one…❤️💙🥺 @PSG_inside pic.twitter.com/na5oKsVRya
— Kylian Mbappé (@KMbappe) May 25, 2024
এমবাপ্পে নিজের অভিব্যক্তি জানিয়েছেন ম্যাচ শেষে। তিনি বলেন, “এখানে শুধু ভাল স্মৃতি রয়েছে এবং আমি মাথা উঁচু করেই যেতে পারি, পাশাপাশি একটা ট্রফি নিয়েও। তো আমি শুধু ইতিবাচক জিনিসগুলো মনে করতে পারি।”
এম/এইচ
ফুটবল
এফএ কাপের শিরোপা জিতলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
এফএ কাপের ফাইনালে টানা দুই মৌসুমে মুখোমুখি হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তবে টানা দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলা হলো না ম্যানসিটির। আলজান্দ্রো গারনাচো ও কোবি মাইনুর গোলে সিটির বিপক্ষে ২-১ গোলে জয়ী হয়েছে ইউনাইটেড। ফলে ১৩তম বারের মতো এফএ কাপের শিরোপা ঘরে তুললো দলটি।
ওয়েম্বলিতে শনিবার (২৫ মে) রাত ৮ ঘটিকায় মুখোমুখি হয় দুই দল। ম্যানচেস্টার ডার্বি নামে খ্যাত এই দুই দলের লড়াই। ম্যাচে বল ধরে রাখায় সিটি এগিয়ে ছিল ম্যাচ জুড়ে। তবে জয়টা ইউনাইটেডের কাছেই ভিড়েছে। যেখানে ৭০ শতাংশের বেশি সিটির অঞ্চলে বল ছিল। শট খেলাতেও এগিয়ে ছিল, কিন্তু অন-টার্গেটে শট করায় পিছিয়ে ছিল তারা। যেমনটি ইউনাইটেডের ক্ষেত্রেও হয়েছে।
তবে ২৯ মিনিটের মাথায় ইউনাইটেড প্রথম গোলটি করে। যেখানে সিটি ডিফেন্ডার গাভারদিওলের ভুলে গারনাচো গোল পেয়ে যায়। এর ঠিক ১০ মিনিট পর ৩৯ মিনিটের মাথায় গোল আসে মাইনুর দারুণ এক গোলে ২-০ তে এগিয়ে যায় এরিক টেন হাগের শিষ্যরা।
এই অবস্থাতেই বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতির পর আর খুব বেশি সুবিধা করা হয়ে ওঠেনি সিটির। যখন মনে হচ্ছিল গোল আর আসছে না পেপ গার্দিওলার দলের কাছ থেকে, তখন ৮৭ মিনিটের মাথায় বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামা জেরেমি ডকু সিটির পক্ষে গোল করে বসেন।
শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে শেষ হয় এফ এ কাপের রাত।
এম/এইচ
-
অপরাধ4 days ago
পাঁচ কোটি টাকার চুক্তি, ২০ মিনিটের কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন
-
জাতীয়6 days ago
রামপুরার সড়ক ছেড়েছে রিকশাচালকরা
-
আইন-বিচার7 days ago
এবার “রিচার্জ” এনার্জি ড্রিংকসকে বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ
-
বাংলাদেশ3 days ago
এমপি আজিম হত্যা: ট্যাক্সি চালককে আটক করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ
-
টুকিটাকি3 days ago
কাউন্সিলিংয়ের নামে ছাত্রকে ৩০ বার ধর্ষণ
-
অপরাধ3 days ago
এমপি আজীম হত্যা: মূল মাস্টারমাইন্ড কে এই শাহীন
-
অপরাধ1 day ago
চামড়া ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আজীমের দেহ
-
ঢাকা5 days ago
নিরাপত্তা জোরদারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
মন্তব্য করতে লগিন করুন লগিন